শাহবাগ অবরোধ চাকরিচ্যুত বিডিআরের

2
Spread the love

ঢাকা অফিস।।

চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। গতকাল সোমবার দুপুর সোয়া ১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে শাহবাগে এসে অবস্থান নেন তারা। এ সময় পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আন্দোলনকারীদের আটকানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।


বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎ না হলে আজ মঙ্গলবার যমুনা ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা। সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ ঘোষণা দেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সংগঠন বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. ফয়জুল আলম সবুজ।

এ সময় তারা তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলোÑ পিলখানাসহ সারাদেশের বিডিআর ইউনিটগুলোর বিশেষ আদালত এবং মহাপরিচালক ও অধিনায়কের সামারি কোর্টে চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত (৭৬ ব্যাচসহ) সব বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহাল, রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ও পূর্ণ ক্ষতিপূরণ প্রদান। পিলখানা হত্যাকা-ে গঠিত তদন্ত কমিশনকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে কার্যপরিধি ও প্রজ্ঞাপন থেকে ‘ব্যতীত’ শব্দ এবং কার্যপরিধি ২(ঙ) ধারা বাতিল করে নিরপেক্ষ তদন্ত এবং প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা। মিথ্যা সাক্ষীর ভিত্তিতে প্রায় ১৬ বছর ধরে কারাবন্দি নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি এবং ২০০৯ সালের ঘটনায় অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদের পুনর্বাসন। একই সঙ্গে সীমান্তরক্ষী বাহিনী ‘বাংলাদেশ রাইফেলস’ তথা ‘বিডিআর’ নামটি পুনঃস্থাপনেরও দাবি জানান তারা।

চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের এ বিক্ষোভের কারণে শাহবাগ ও আশপাশ এলাকায় প্রায় ৪৫ মিনিট যানচলাচল বন্ধ থাকে। পরে তারা সড়ক ছেড়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ফয়জুল আলম সবুজ বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন মঙ্গলবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ করানো হবে। তবে সকাল ১০টার মধ্যে কোনো সাড়া না পেলে তারা যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবেন।

এ বিষয়ে রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, আন্দোলনকারীদের সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করানোর আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে এবং সড়ক থেকে সরিয়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিতে বলা হয়েছে, যেন মানুষের ভোগান্তি না হয়।