শামিম শিকদার।।
খুলনা নগরীতে এক সময়ের প্রভাবশালী ছাত্রলীগ নেতা ও পরবর্তীতে স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা মীর বরকত আলী আবারও আলোচনায়। সরকার পতনের পর কিছুদিন আত্মগোপনে থাকলেও বর্তমানে তিনি প্রকাশ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন-এমন অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহলে। সরকারি আযম খান কমার্স কলেজের সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা ও ছাত্র সংসদের দুই বার নির্বাচিত জি এস ছিলেন। সর্বশেষ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মীর বরকত আলী বিপুল অর্থ-বিত্ত ও সম্পদের মালিক বনে যান। রাজনীতির প্রভাব কাজে লাগিয়ে নগরীতে বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে অংশীদারিত্ব নেন তিনি।
সরকার পরিবর্তনের পর কিছুদিন গা ঢাকা দিলেও এখন তিনি পুনরায় নগরীতে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং তার ব্যবসা কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছেন।

মোবাইলের মাধ্যমে সক্রিয় যোগাযোগ: বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মীর বরকত আলী নিয়মিতভাবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খুলনার শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। শুধু তাই নয়-তিনি বিভিন্ন তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীর সঙ্গেও বার্তা আদান-প্রদান করছেন বলে জানা গেছে।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এর মাধ্যমে তিনি পুনরায় সংগঠন পুনর্গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছেন এবং নেপথ্যে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের পরিকল্পনা করছেন। একজন তৃণমূল নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “মীর বরকত এখনো আগের মতোই প্রভাবশালী। তিনি ফোনে নির্দেশ দেন, কোথায় কাকে দেখা করতে হবে, কীভাবে কাজ করতে হবে- সব ঠিক করে দেন।”
হাসিনা পতনের পরও টিকে থাকা প্রভাব: প্রায় এক বছর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও খুলনা নগরীতে মীর বরকত আলীর প্রভাব কমেনি বলেই জানা গেছে। তার ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, তিনি এখনো কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঠিকাদারি প্রকল্পের দেখাশোনা করছেন। তবে প্রশাসন এখনো তার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। নগরবাসীর প্রশ্ন “আইনের চোখ কি এখনো রাজনীতিক প্রভাবশালীদের জন্য বন্ধ?”
তবে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অবগত আছি। সব তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে মীর বরকত আলীর মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।










































