বিশ্বে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের অন্যতম উজ্জ্বল উদাহরণ বাংলাদেশ: তুহিন

23
Spread the love

খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, বিশ্বে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের অন্যতম উজ্জ্বল উদাহরণ বাংলাদেশ। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান- নাগরিকত্বের প্রশ্নে এখানে সবাই সমান। সবার মর্যাদা সমান। পতিত আওয়ামী লীগ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাজনৈতিক খেলায় তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করতে বারংবার চেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রতিবারেই তারা ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি সকল ধর্মের ধর্ম-কর্ম স্বাধীনভাবে পালন, ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা এবং ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার নীতিতে বিশ্বাসী। বিএনপি কোনো ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে না। রাজনীতি দিয়ে প্রতিপক্ষ রাজনীতিকে মোকাবেলার নীতিতে বিশ্বাসী।
রবিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় ছোট বয়রা পুজাখোলা কালিবাড়ি সার্বজনীন পুজা মন্দির কমিটি আয়োজিত মতবিনিময় সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে ফ্যসিবাদী আওয়ামী লীগের পতন হলেও তারা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা উসকানি দিচ্ছে। এ বিষয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আপনার-আমার, আমাদের সবার। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সকল ক্ষেত্রে সমান অধিকার ভোগ করবে এটাই বিএনপির নীতি, এটাই বিএনপির রাজনীতি। সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদক, নারী নির্যাতন সব ধর্মেই নিষিদ্ধ; সব ধর্মেই এগুলোকে প্রতিহত করার বয়ান রয়েছে। আমাদের সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে যেন কোনো অগণতান্ত্রিক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। গত ৫ আগস্টের আগে দীর্ঘ দেড়যুগের অবর্ননীয় নির্যাতন, নিপীড়ন, গুম, খুন, সোয়া লাখ গায়েবি মামলা, ইতিহাসের বর্বরতম ফ্যাসিবাদী নিষ্পেষণ থেকে দেশ, জাতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীরা মুক্তি লাভ করলেও দেশকে আবারো অশান্ত করার পায়তারা করা হচ্ছে। গুপ্ত রাজনৈতিক দলের অপকর্ম একতরফাভাবে চালালেও, মিডিয়া ক্যু’র মাধ্যমে তা দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর চাপানো হচ্ছে। বিএনপির ইতিবাচক দিকগুলো উপেক্ষা করে যারা ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করছেন তাতে কোনো লাভ হবে না। চাঁদপুরে পবিত্র মসজিদে ঢুকে ইমামকে কুপিয়েছে কারা এটা সবার জানা আছে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও খুলনার পুলিশ প্রশাসনের উদাসিনতায় হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।
অধ্যাপক ডা. পরিতোষ কুমার চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং এড. সমীর কুমার ঘোষের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, বেগম রেহানা ঈসা, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, বাবু বিপ্লব মিত্র, মোস্তফা কামাল, শেখ আজিজুর রহমান, শওকত আলী লাবু বিশ্বাস, সাইফুল ইসলাম, দিলীপ কুমার পাল, শ্যামল কৃষ্ণ মিত্রি, জামাল হোসেন তালুকদার, ফরহাদ হোসেন, ইয়াজুল ইসলাম এ্যাপোলো, রিয়াজ শাহেদ, ইয়াসিন মোল্লা প্রমুখ।