দুর্যোগে বিচ্ছিন্ন দুটো গ্রামকে এক করলো দৃষ্টিনন্দন ভাসমান সেতু

4

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি।।

জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রতিনিয়ত দুর্যোগে ক্ষত বিক্ষত সাতক্ষীরার প্রতাপনগরে দৃষ্টিনন্দন একটি ভাসমান সেতু বদলে দিচ্ছে দুর্গত মানুষের কষ্টে চলাচলের দুঃসময়কে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও ইয়াসের প্রভাবে নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন। টানা দুই বছর ধরে চলা জোয়ার ভাটায় ভিটে-মাটি হারায় এলাকার মানুষ। পুরো এলাকায় ভেঙে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

দুর্যোগে বিচ্ছিন্ন দুটো গ্রামকে এক করলো দৃষ্টিনন্দন এক ভাসমান সেতু

টানা জোয়ার ভাটার ফলে গ্রামবাসীর বসতভিটা ফসলি জমি ও চলাচলের রাস্তা পরিণত হয় বিশাল খালে। প্রতাপনগর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে হাওলাদার বাড়ি ও দরগাহতলার আইট এই গ্রাম দুটি। স্থানীয়রা পড়েন চরম দুর্ভোগে। দুর্ভোগ লাঘবে এগিয়ে আসে চিকিৎসকদের দ্বারা পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ডু সামথিং ফাউন্ডেশন’। সংগঠনটি দুর্গম প্রতাপনগরের হাজারো মানুষের যাতায়াতের কষ্ট লাঘবে তৈরি করে দিয়েছে এই ভাসমান সেতু।

এখন দৃষ্টিনন্দন এই ভাসমান সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক আবু সাঈদ বলেন, যে স্থানে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে সেখান ছিল ৪০টি পরিবারের বসতভিটা, মসজিদ ও কবর স্থান। সব কিছু নদীতে বিলীন হয়ে তৈরি হয়েছে খাল। যাতায়াতের পথ ছিল না। সেতুটি তৈরি হওয়ায় মানুষের খুব উপকার হচ্ছে। ৫৬টি ড্রাম দিয়ে তৈরি ৩৫০ ফিট দৈর্ঘ্যের ভাসমান সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষে গত ২৮ মার্চ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় মানুষের কষ্ট লাঘবে এই সেতুটি তৈরি করা হয়েছে। ভাসমান সেতুটি বিচ্ছিন্ন দুটো গ্রামকে সংযুক্ত করেছে ইউনিয়নের সঙ্গে। এখন মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারছে। উপকূল অঞ্চলে জোয়ার-ভাটা হয়। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এটি বিশেষভাবে নির্মিত। পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে সেতু উপরে ভাসমান হয়ে উঠবে। আবার ভাটায় এটি স্বাভাবিক থাকবে।