ডুমুরিয়ায় এক গৃহবধূকে কুপিয়ে জখম
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বিলায়েত হোসেনের স্ত্রী সালেহা বেগম (৪২) কে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ।গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার চুকনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।আহতকে ডুমুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আহত সালেহা জানান,একই এলাকার প্রতিপক্ষ সরদার দৌলত হোসেনের সাথে তাদের জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।তারই জের ধরে ঘটনার দিন দুপুরে বাড়ীর পাশে অবস্থান কালে তাকে একা পেয়ে মশিয়ার রহমান,হাবিব উল্লাহ সহ ৪/৫জন দা,লাঠিসোটা নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। ্এতে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাথা কেটে সে রক্তাক্ত জখম হয়।এরপর স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ডুমুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তÍতি চলছিল।
আওয়ামী ফ্যাসিবাদ রুখতে জনগণের বৃহত্তর শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: সাকি
খবর বিজ্ঞপ্তি
গণসংহতি আন্দোলনের খুলনা বিভাগীয় কর্মশালা শনিবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে সংগঠনের যশোর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পরিষদ সদস্য ও খুলনা জেলা আহবায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেলের সভাপতিত্বে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকি। কর্মশালায় বক্তব্য রাখেনÑগণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা নাজার আহমেদ, ঝিনাইদহ জেলা আহবায়ক নজরুল ইসলাম, সদস্য সচিব আশরাফ জামান, শৈলকূপা উপজেলা আহবায়ক মিজানুর রহমান,খুলনার ফুলতলা উপজেলা আহবায়ক মোঃ অলিয়ার রহমান, যশোর জেলা সংগঠক শিরিন সুলতানা, ছাত্র ফেডারেশন খুলনা মহানগর আহবায়ক আল আমিন শেখ, সম্পাদক অনিক ইসলাম, যশোর জেলা সম্পাদক অনুপম আইচ, অর্থ সম্পাদক জান্নাতুল ফোয়ারা অন্তরা, সদস্য জান্নাতুল ফাতেমা অনন্যা। কর্মশালায় প্রধান অতিথি জোনায়েদ সাকি বলেন, আওয়ামী সরকারের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনে দুর্নীতি-লুটপাট, দলীয়করণ, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, শ্রমিক ছাঁটাই, নারী ধর্ষণ অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ভোট ডাকাতির মাধ্যমে মসনদ দখল করে বর্তমান সরকার দেশে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার গু-াতন্ত্র, পুলিশ ও প্রশাসনের ওপর ভর করে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় প্রতিবাদী জনগণের ওপর দমন-পীড়ন-নির্যাতন চালাচ্ছে। সাংবিধানিক সকল প্রতিষ্ঠান অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে একক কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। করোনা মোকাবিলায় সরকার চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভঙ্গুর দশা প্রকটভাবে উন্মোচিত হয়েছে। দ্রব্যমূল্য আকাশ ছোঁয়া। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের দৌরাত্মে বাজারে চাল-ডাল-তেল-আলুসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে চলেছে। জনগণের পকেট কেটে লুটেরাদের পকেট ভারী করছে। রাষ্ট্রায়ত্ব ২৫টি পাটকল বন্ধের পাশাপাশি ৬টি চিনিকল বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। বেসরকারীকরণের ধারায় অবশিষ্ট চিনিকল বন্ধের পায়তারা করছে। সরকার তাদের জীবন নিয়ে নিষ্ঠুর খেলায় মেতে উঠেছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার শ্রমিক। পরিবারসহ শ্রমিকদের জীবনযাপন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। প্রধান অতিথি জোনায়েদ সাকি আরো বলেন, এই শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য জনগণ পরিবর্তন চায়। সেই পরিবর্তনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের জনগণের আকাক্সক্ষার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা অতীব জরুরী। তিনি দেশের সকল বাম প্রগতিশীল-গণতান্ত্রিক শক্তির সমন্বয়ে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য জোরদার করার আহবান জানান।
ঘরের সাথে লাখ টাকার গাভী পাবেন মণিরামপুরের ভূমিহীনরা
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
মণিরামপুরে ভূমিহীনদের স্বাবলম্বী করতে ঘরের সাথে এক লাখ টাকার গাভী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ঘর উদ্বোধন উপলক্ষে মণিরামপুর উপজেলা পরিষদে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান, মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) পলাশ দেবনাথ, পিআইও আবু আব্দুল্লাহ বায়েজিদ, বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ, সাংবাদিক ও উপকারভোগীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এসময় প্রতিমন্ত্রী ঘরপ্রাপ্তদের মাঝে বরাদ্দ দেওয়া খাস জমির দলিল হস্তান্তর করেন।
স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘প্রতিবন্ধী, বিধবা ও কর্মহীন মানুষ মণিরামপুরে ঘর পাচ্ছেন। তাদের স্বাবলম্বী করে তুলতে প্রত্যেককে একলাখ টাকা মূল্যের বিদেশী গাভী এবং গাভী পালনের জন্য ছয় মাসের খাদ্য কিনতে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আমার মন্ত্রনালয় থেকে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে মণিরামপুরে দেড় হাজার পরিবারকে গাভী দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ‘ঘর’ পাওয়া ২৬২ জন থাকবেন। পরের বছর আরো এক হাজার দুইশ পরিবারের মাঝে এই গাভী দেওয়া হবে।
গাভীপ্রাপ্তরা যেন দুধ বিক্রি করতে গিয়ে বিপাকে না পড়েন সেই জন্য মণিরামপুরে মিল্কভিটা কোম্পানীর একটি কেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া দ্রুত মণিরামপুরে ১৭টি ইউনিয়নের দুইতলা মার্কেট করার ঘোষণা দেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে হানাদার মুক্ত সোনাল বাংলা গড়ার। তারই নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। এরপর জিয়া ও এরশাদ মিলে সেই স্বপ্ন নষ্ট করতে চেয়েছিল; কিন্তু পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বের গুণে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে মণিরামপুরে ২৬২টি ভূমিহীন পরিবারকে সেমি পাকাবাড়ি দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। ইতিমধ্যে উপজেলার মাছনা, হাজরাইল, হরিহরনগরের মধুপুর, চাকলা, শিরিলি এবং পৌরএলাকার হাকোবা, তাহেরপুর ও গাংড়ায় ১৯৯টি ঘর নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। যা আজ (শনিবার) উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া ভোজগাতী, মশ্মিমনগর ও পৌর এলাকায় আরো ৬৩টি ঘর নির্মাণ হবে বলে জানিয়েছেন এসিল্যান্ড পলাশ দেবনাথ।
গ্রামীণফোনের ১৮০ জন কর্মীকে কাজে ফিরিয়ে নেয়ার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
স্টাফ রিপোর্টার
স্থায়ী ১৮০ জন কর্মহীন কর্মীকে কাজে ফিরিয়ে নেয়ার দাবিতে গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের উদ্যোগে আজ শনিবার বিকাল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত, তীব্র শীত উপেক্ষা করে খুলনায় শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। করোনা মহামারীর মধ্যে যে খাতগুলো বেশি মুনাফা করছে তার মধ্যে টেলিযোগাযোগ অন্যতম। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন টেলিযোগাযোগ খাতে গ্রামীণফোন একটি অত্যান্ত লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এরকম লাভজনক অবস্থায় থাকার পরও রাতের আধারে করোনা মহামারীর সুযোগে গত বছরের ৩১শে মে হতে টেকনোলজি ও কমার্শিয়াল ডিভিশনের ১৮০ জন দক্ষ কর্মীকে তাদের স্থায়ী কাজ থেকে অপসারন করে কর্মহীন করে রেখেছে এবং অদক্ষ তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে এই সেবাগুলি পরিচালনা করছে । আমরা বিশ্বাস করি এর ফলে প্রকৃত নেটওয়ার্ক ও গ্রাহক সেবা থেকে গ্রাহকেরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এই সব কর্মীকে তাদের কাজে ফিরায়ে নেয়ার দাবিতে গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষের কাছে জোরালো ভাবে শুরু থেকেই দাবি জানিয়ে আসছে। গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টির এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা না করায়, গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন তাদের ধারাবাহিক আন্দোলন কর্ম সূচির অংশ হিসেবে আজকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের খুলনা সার্কেল কমিটির সভাপতি মোঃ বেলাল হোসেন এবং সহসাধারন সম্মপাদক সুজিত কুমার ঘোষসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা অতিসত্বর কর্মহীন সকলকে কাজে ফেরত নেয়া এবং চাকুরীর নিশ্চয়তা বিধানের জন্য গ্রামীণফোন এর কাছে জোরালো দাবি জানান। তাঁরা মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান করেন।
সাতক্ষীরার ১১৪৮ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেলো প্রধানমন্ত্রীর পাকা ঘর
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
“আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে মুজিববর্ষ উপলক্ষে সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আবাসন সুবিধার আওতায় আনার জন্য ভিডিও কনফা- রেন্সিং এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক সারা দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা প্রান্তে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদু- জ্জামান বাবু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠান থেকে জানানো হয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলায় ১১৪৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া একক গৃহ দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হচ্ছে। এ সময় সদর উপজেলায় ১৩০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে একক গৃহ দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন, এমপি রবি। ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত প্রতিটি ঘর নির্মাণে খরচ হয়েছে এক লক্ষ ৭১ হাজার টাকা। যার মধ্যে দুটি কক্ষ, একটি রান্নাঘর ও একটি টয়লেট রয়েছে। সবুজ টিনসেডের এসব ঘরে একটি পরিবার স্বাচ্ছন্দে বসবাস করতে পারবেন বলে জানা গেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
মোংলায় বন্দর জেটিতে দুর্ঘটনার শিকার দুইটি বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
মোংলা বন্দর জেটিতে ভিড়া দুইটি বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। বন্দরের পশুর চ্যানেলের জেটির সম্মুখভাগে নাব্যতা কম থাকায় একটি জাহাজ কাত হয়ে পড়েছে, অপরদিকে জেটিতে প্যানডার না থাকায় আঘাত ও ঘষায় আরেকটি জাহাজের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ জাহাজের ক্যাপেন্ট বন্দর চেয়ারম্যান ও হারবার মাষ্টারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জাহাজ দুইটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট জানায়, পাথর বোঝাই এম,ভি তুহিনা নামক বিদেশী জাহাজটি গত ১৮ জানুয়ারী বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভিড়ে। জেটিতে থাকা অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সেখানে নাব্যতা সংকটের কারণে জাহাজটি বাঁধারত দুইটি মুরিংরোপ ছড়ি গিয়ে ওই জাহাজটি কাত হয়ে পড়ে। জাহাজটি কাত হয়ে যাওয়ায় ওই জায়গাতে জাহাজটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট আল সাফা শিপিং লাইন্সের খুলনাস্থ ম্যানেজার সাধন কুমার চক্রবর্তী বলেন, বন্দর জেটির সম্মুখভাগে ৭ মিটার গভীরতা রয়েছে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষের ঘোষণা রয়েছে। কিন্তু জাহাজটি সেখানে রাখার পর দেখা গেছে ৪ মিটার সাড়ে ৪ মিটার গভীরতা রয়েছে। যার ফলে ভাটার সময় জাহাজটি কাত হয়ে যায়। এতে জাহাজের ক্যাপ্টেন আমাদেও এবং বন্দর চেয়ারম্যান ও হারবার মাষ্টারকে ‘লেটার অফ পোর্টেস্ট’ (অভিযোগ) করেছে। অপরদিকে রুপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের মেশিনারী নিয়ে এম,ভি ইউ,এইচ,এল ফোকাস নামক জাহাজটি বৃহস্পতিবার ৯ নম্বর জেটিতে ভিড়ার সময় জেটির বাহিরের অংশে প্যানডার না থাকায় আঘাত ও ঘষায় জাহাজটির বাহিরের অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শিপিং এজেন্ট অলসিস এর স্থানীয় প্রতিনিধি সাখাওয়াত হোসেন মিলন বলেন, ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখ করে এই জাহাজের ক্যাপ্টেনও বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ (লেটার অফ পোর্টেস্ট) দিয়েছেন। দুর্ঘটনার শিকার জাহাজের ক্যাপ্টেনেরা তাদের জাহাজ মালিককেও ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়ে ম্যাসেজে দিয়েছে। এবং এ বন্দর ব্যবহারেও অনিহা প্রকাশ করছেন তারা। বন্দর জেটিতে একই সাথে দুইটি জাহাজ দুর্ঘটনার শিকার হওয়াতে বর্হি:বিশ্বে মোংলা বন্দরের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বন্দর ব্যবহারকারীরা। গত বছরের এপ্রিলে বন্দরের ৭ ও ৯ নম্বর জেটি এলাকায় ড্রেজিং করা হয়েছে। মাত্র ৮ থেকে ৯ মাসের মধ্যে ড্রেজিং এলাকা কিভাবে ভরাট হয়ে যায় এবং নাব্যতা সংকটের সৃষ্টি হয়ে এ নিয়ে নানা অভিযোগও রয়েছে বন্দর ব্যবহারকারীদের মাঝে। তারা বলেন, সঠিকভাবে এবং সময় মত ড্রেজিং করা হলে এ অবস্থার সৃষ্টি হতো না। নাম প্রকাশ না করা শর্তে কয়েকজন বন্দর ব্যবহারকারীরা বলেন, গত বছরের জুলাই মাসে ৫ নম্বর জেটি এলাকায় ড্রেজিং শেষে সিভিল ও হাইড্রোলিক বিভাগ হারবার বিভাগকে জেটি এলাকার আর কোথাও ড্রেজিয়ের প্রয়োজনীতা রয়েছে কিনা জানতে চেয়ে চিঠি দেন। সেই চিঠির জবাবে হারবার বিভাগ ড্রেজিংয়ের প্রয়োজনীতা নেই বলে উত্তর দেন। কিন্তু সেই সময় যদি ড্রেজিং করা হতো তাহলে বিদেশী জাহাজটি দুইটি এভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ও ক্ষতির সম্মুখীন হতো না। এমতাবস্থায় বর্হি:বিশ্বে মোংলা বন্দরের সুনাম ক্ষুন্নের পাশাপাশি বিদেশী জাহাজ মালিকেরা এ বন্দরে জাহাজ আনায় অনিহা প্রকাশ করছেন বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বন্দর ব্যবহারকারীরা। এ দুর্ঘটনার জন্য বন্দরের হারবার বিভাগকেই দোষছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। এদিকে হারবার মাষ্টার প্রথমে ড্রেজিংয়ের ব্যাপারে বিরোধীতা করলেও জাহাজ দুর্ঘটনার দায় এড়াতে তড়িঘড়ি করে ওই এলাকায় ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সিভিল ও হাইড্রোলিক বিভাগে চাহিদা জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বন্দর সংশ্লিষ্টদের মধ্যে নানান প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
নাব্যতা সংকটে জাহাজ কাত হয়ে পড়ার ঘটনার বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার ফখরউদ্দিন বলেন, এম,ভি তুহিনা জাহাজের ক্যাপ্টেন অভিযোগ দিয়েছে তার জাহাজের তলদেশ মাটিতে আটকে যাচ্ছে, ভাটার সময়ে। কিন্তু গত এক মাসে জেটিতে আরো যে জাহাজগুলো ছিলো, তাদের কোন অভিযোগ ছিলো না। বন্দরের সিভিল ও হাইড্রোলিক বিভাগ জেটি এলাকায় ড্রেজিংয়ের প্রয়োজনীয়তা জানতে চাইলে হারবার বিভাগ (তিনি) তার বিরোধীতা করেন এমন প্রশ্নের জবাবে হারবার মাষ্টার কমান্ডার ফখরউদ্দিন বলেন, আমি তখন মানা করলেও গত দেড় মাস আগে ড্রেজিংয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছি সিভিল ও হাইড্রোলিক বিভাগকে। সেই অনুযায়ী তারা কাজও করেছেন আজ কিংবা আগামীকাল জেটি এলাকায় নতুন করে ড্রেজিংয়ে কাজ শুরু হবে।
অপরদিকে জেটিতে প্যানডার না থাকায় এম,ভি ইউ,এইচ,এল ফোকাস নামক জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, যা আছে তাই, রাষ্ট্র যে অবস্থায় রাখছে মোংলা বন্দর। মোংলা বন্দর যেভাবে এগুচ্ছে সেভাবেই তাদেরকে থাকতে হবে, যদি না থাকতে পারবে, আসবে না। তিনি আরো বলেন, প্যানডার লাগানো বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এরমধ্যে যতগুলো জাহাজ আসবে তারা একটু সাফার করবেই।
যশোরের শার্শায় ইট বোঝাই ট্রলি থেকে ১৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
বেনাপোল প্রতিনিধি
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা শনিবার বিকেলে একটি ইট বোঝাই ট্রলি থেকে ১৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ জাকারিয়া হোসেন (২৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে। আটক যুবক শার্শা থানার বালুন্ডা গ্রামের মোসাব্দী মোড়ল এর ছেলে। ট্রলিতে ইট বহনের আড়ালে ফেন্সিডিল এর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। আটক ফেনসিডিলের মূল্য ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা বলে পুলিশ জানায়। শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি একটি ইট বোঝাই ট্রলিতে বিপুল পরিমাণ মাদকের চালান নিয়ে বসতপুর-সেতাই পাকা রাস্তা হয়ে যাচ্ছে। এমন সংবাদে ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে ফেন্সিডিল ও ট্রলিসহ জাকারিয়াকে আটক করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে ইট বহন ট্রলিতে মাঝে মাঝে ফেন্সিডিল বহন করতো বলে স্বীকার করেন। তার বিরুদ্ধে শার্শা থানায় মাদক আইনে মামলা হয়েছে।
পাইকগাছায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম : আটক ৩
পাইকগাছা প্রতিনিধি
পাইকগাছায় পূর্ব শত্রুতার জেরে আলাউদ্দীন গাজী নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। আহতকে পাইকগাছা হাসপাতালে ভর্তি করলে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বক্তব্যরত চিকিৎসক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনাটি উপজেলার রাড়–লী গ্রামে। এ ঘটনায় পাইকগাছা থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রাড়–লী গ্রামের নাসির শেখের কন্যাকে একই এলাকার আব্দুল মালেক গাজীর ছেলে আছানুর গাজী (২৮) ৩ অক্টোবর ২০২০ তারিখে কমল পানীয়ের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করার অভিযোগে মামলা হয়। এ মামলার সার্বিক সহযোগিতা করেন আহত আলাউদ্দীন গাজী। এরই সূত্র ধরে মালেক গাজীর ছেলে আছানুর গাজী, শাহিনুর গাজী ও মালেক গাজী বিভিন্নভাবে তাদেরকে হুমকি দিয়ে আসছিল। গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে আলাউদ্দীন গাজীর বাড়ীতে ঢুকে এলোপাতাড়ীভাবে দা, রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আলাউদ্দীন গাজীকে রক্তাক্ত জখম করে। এলাকাবাসী আহতকে উদ্ধার করে পাইকগাছা হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক খুমেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় আহত আলাউদ্দীনের স্ত্রী রোকসানা বাদী হয়ে আছানুর সহ ৩জনের নামে থানায় মামলা করলে পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে আটক করে। ওসি এজাজ শফী জানান, আসামীদের আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
পাইকগাছায় সোলাদানা ইউনিয়নে মেধাবী ছাত্রীদের বাই সাইকেল বিতরণ
পাইকগাছা প্রতিনিধি
পাইকগাছায় সোলাদানা ইউনিয়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী ছাত্রীদের বাই সাইকেল বিতরন করেন চেয়ারম্যান এনামুল হক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সোলাদানা বাজারস্থ ইউনিয়ন পরিষদে এল জি এসপির অর্থায়নে ইউনিয়ানের ৬ টি মাধ্যোমিক বিদ্যালয়ে ২৫ টি বাইসাইকেল প্রদান করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সচিব শেখ মিরাজুল ইসলাম, ইউপি সদস্য মোঃ আজিজুর রহমান লাভলু, আবুল কাশেম, ঠাকুর দাশ সরদার, আবু সাঈদ মোল্যা, আব্দুস সবুর, আবু বক্কার সিদ্দিক শিকারী, আনিছুর রহমান, কল্যানী মন্ডল, গাজী জেসমিন সুলতানা, সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও ছাত্রীবৃন্দ এবং অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
গ্রীন স্কুলের উদ্যোগে সাংবাদিক সুমনের মায়ের স্মরণে তেলিগাতী গ্রামে শীতবস্ত্র বিতরণ
খবর বিজ্ঞপ্তি
গ্রীন স্কুল খুলনা ও ইয়ুথ চেম্বারের যৌথ উদ্যোগে দৈনিক প্রবাহ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার খলিলুর রহমান সুমনের মা মরহুম আয়শা বেগমের স্মরণে প্রতিবছরের ন্যায় শনিবার বেলা ১১টায় আড়ংঘাটা থানাধীন তেলিগাতী দক্ষিণপাড়ায় নিজ বাড়িতে দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তেলিগাতী দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মোঃ বাকি উল্লাহ ঢালী। অতিথি ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা ও সাংস্কৃতি অফিসার এসকেএম তাছাদুজ্জামান, মহিলা করিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রিন্সিপাল মোঃ রিয়াজ শরীফ, যোগীপোল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর মাহফুজা বেগম, খানজাহান আলী থানা সাংবাদিক ইউনিটের সভাপতি শেখ বদরউদ্দিন, একুশের আলোর নির্বাহী প্রধান মাহবুবুল হক ও খুলনা ইয়ুথ চেম্বারের পরিচালক জাকারিয়া হোসেন। সাংবাদিক খলিলুর রহমান সুমনের পরিচালনায় বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খানজাহান আলী আ’লীগ নেত্রী সুফিয়া বেগম, থানা যুবদল নেতা হাসিবুর রহমান উজ্জল, আঃ হাকিম মাঝি, শেখ ইকরাম হোসেন, সাংবাদিক শফিউদ্দীন শফি ও আশিকুর রহমান, একুশের আলোর ইরাক আলী, কলেজ ছাত্র মোঃ ইউনুসুর রহমান তন্ময়, মিজানুর রহমান. তারিকুল ইসলাম, হৃদয় আহম্দে, ইয়াসিন আরাফাত আবির, জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমূখ। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা করোনা দ্বিতীয় ধাপের সংকলন রোধে সকলকে বার্ধ্যতামূলক মাক্রা ব্যবহার এবং সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।
মুজিববর্ষে খুলনায় জমিসহ ঘর উপহার পেলেন ৯২২টি পরিবার
তথ্য বিবরণী
মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকালে ৬৬ হাজার একশ ৮৯টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের হাতে জমিসহ ঘর তুলে দেন। এরমধ্যে খুলনা বিভাগে তিন হাজার দুইশত পঁচিশ পরিবার এবং জেলায় নয়শত বাইশ পরিবার পেলেন প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেসিং এর মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ৬৪ জেলায় ৪৯২ উপজেলায় একযোগে জমিসহ ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ ভূমিহীন-গৃহহীন এসকল পরিবারের কাছে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। উপকারভোগী পরিবারের প্রত্যেককে দুই শতক সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা একক ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মুজিববর্ষে ২১টি উপজেলার ৩৬টি উপজেলায় ৪৪টি প্রকল্পগ্রামে ৭৪৩টি ব্যারাক নির্মাণের মাধ্যমে ৩৭১৫টি পরিবারকে পূনর্বাসন করা হয়েছে। একক গৃহ ও ব্যারাকের মাধ্যমে একসাথে ৬৯ হাজার ৯০৪টি পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদানের ঘটনা বিশে^ এটিই প্রথম। সারা বাংলাদেশে কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ছাড়া মাত্র তিন মাসে উপজেলা প্রশাসনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এই ঘরগুলো নির্মাণ সম্পন্ন হয়। আগামী একমাসের মধ্যে আরও এক লক্ষ ঘর নির্মাণ সম্পন্ন হবে। এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের কাঠালপাড়া গ্রামে একশত চল্লিশ জন উপকারভোগীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে মতবিনিময় করেন। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন, কেএমপি কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খঃ মহিদ উদ্দিন, খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, খুলনা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, এডিসি (রাজস্ব) জিয়াউর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, ডুমুরিয়ার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা। ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াদুদ ডুমুরিয়া প্রান্তে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। উল্লেখ্য, খুলনার ৯২২টি পরিবারের মধ্যে তেরখাদা ৪০টি, দিঘলিয়া ৭০টি, ডুমুরিয়া ১৪০টি, ফুলতলা ৪০টি, রূপসা ৭২টি, পাইকগাছা ২২০টি, বটিয়াঘাটা ১৫০টি, কয়রা ৫০টি, দাকোপ ১৪০টি পরিবার জমি ও ঘর পেয়েছেন। এই ৯২২ পরিবারের প্রধানদের মধ্যে ৫৭০জন দিন মজুর, ৩২ জন শ্রমিক, ০৩ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ২০১ জন কৃষক, ৫৮জন গৃহিনী, ০৪ জন প্রতিবন্ধী, ২৮ জন ভ্যানচালক, ১২ জন ভিক্ষুক এবং অন্যান্য ১৪ জন।
ভিপিজি স্পোর্টিং ক্লাব আয়োজিত ৮দলীয় ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার
দৈনিক খুলনাঞ্চল সম্পাদক মিজানুর রহমান মিলটন বলেছেন, মাদকের করাল গ্রাস থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে হলে তাদের খেলার মাঠে আনতে হবে। একমাত্র খেলাই পারে মাদকের ছোবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে। বৃহস্পতিবার রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার ভাটখালী ভিপিজি স্পোর্টিং ক্লাব আয়োজিত ৮দলীয় ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ক্লাবের উপদেষ্টা দেলদার হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের শুরু হয় রাত ৯টায় এবং ফাইনাল পর্ব শেষ হয় রাত সাড়ে তিনটায়। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক দৃস্টি পত্রিকার সম্পাদক রেজাইল ইসলাম রাজু, সময় টেলিভিশন ফেনি প্রতিনিধি আতিয়ার সজল, পাইকগাছার সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মাস্টার মহিদুল ইসলাম মাহমুদ পলাশ, মাস্টার কামরুল ইসলাম, সাংবাদিক রিফাত আল মাহমুদ, সিফাত উল্লাহ, ইসাহাক হাওলাদার সহ অনেকে। পরে চ্যাম্পিয়ান দলকে ২৪ ইঞ্চি এলইডি টিভি এবং রানার্সআপ দলকে ট্রফি প্রদান করা হয়।
মোংলায় রেল লাইনের কাজ করতে গিয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু
মোংলা প্রতিনিধি
মোংলায় রেল লাইনের কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। চলমান মোংলা-খুলনা রেল লাইনের মোংলার দিগরাজ এলাকায় শনিবার বিকেলে মাটির কাজ করছিলো শ্রমিকেরা। মাটি কাটার মেশিনের হাইড্রোলিক পাম্প ছুটে এক শ্রমিকের মাথায় লাগে। তাতেই ঘটনাস্থলেই ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। নিহত শ্রমিকের নাম মো: আব্দুল্লাহ (২৪)। নিহত আব্দুল্লাহ যশোরের বাঘার উপজেলার নারকেলবাড়ীয়া গ্রামের মো: রাবান্নির ছেলে। নিহতের লাশ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার করে থানা পুলিশের কাছে দেয়। পরে পুলিশ লাশের ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে মোংলা থানার সেকেন্ডর অফিসার মো: জাহাঙ্গীর আলম।
কমরেড আজিজুর রহমান স্মরণসভা অনুষ্ঠিত
খবর বিজ্ঞপ্তি
কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত, আজীবন মার্কসবাদী কমিউনিস্ট নেতা, রাজনৈতিক শিক্ষা গুরু, তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠক ও রাজনৈতিক সংগ্রাম গড়ে তোলার রূপকার, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সাবেক সদস্য, তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি, খুলনা জেলা শাখার সাবেক আহ্বায়ক, খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট-এর সাবেক ভিপি, কৃষক আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক, এবং বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, কেন্দ্রীয় সম্পাদকম-লীর সদস্য কমরেড প্রয়াত আজিজুর রহমানের স্মরণসভা শনিবার ৪টায় বিএমএ ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউসিএলবি’র খুলনা জেলা সম্পাদক ডাঃ সমরেশ চন্দ্র রায় এবং সঞ্চালনা করেন জেলা সম্পাদকম-লীর সদস্য আনিসুর রহমান মিঠু। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউসিএলবি’র কেন্দ্রীয় সম্পাদকম-লীর সদস্য কমরেড অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, কেন্দ্রীয় সদস্য কমঃ নাজিম আহমেদ, তুষার কান্তি দাস, বাম গণতান্ত্রিক জোট ও গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা সমন্বয়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কেন্দ্রীয় সদস্য এস এ রশীদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) খুলনা জেলা সমন্বয়ক জনার্দন দত্ত নাণ্টু, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, খুলনা সভাপতি আবুল হোসেন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সদস্য বরকত আলী। আরো উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেনÑওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) খুলনা জেলা সভাপতি মোজাম্মেল হক খান, সাবেক ছাত্র মৈত্রী নেতা সিরাজুল আলম সেন্টু, এড. জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকী, গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা সদস্য আল আমিন শেখ, ইউসিএলবি জেলা সম্পাদকম-লীর সদস্য মোস্তফা খালিদ খসরু, সদস্য কাজী দেলোয়ার হোসেন, সাতক্ষীরা জেলা সদস্য আনসার আলী মোড়ল, সাংবাদিক অনিন্দ্য আরিফ, মৈত্রী বন্ধন আহ্বায়ক কাজী ওয়াহিদুজ্জামান টিটো প্রমুখ। বক্তারা বলেন, কমরেড আজিজুর রহমান ছিলেন আপাদমস্তক ত্যাগী কমিউনিস্ট। তিনি কৃষক-শ্রমিকসহ শ্রমজীবী মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। সুদীর্ঘ সময়ে তিনি খুলনা অঞ্চলের কমিউনিস্ট রাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে খুলনা অঞ্চলের বামপন্থী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ সংগঠকদের পরিসমাপ্তি ঘটলো। ত্যাগী এই নেতা ব্যক্তিগত জীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিস্পৃহ ছিলেন। প্রকৌশলী পাস করেও তিনি কোনো চাকরী গ্রহণ করেননি। তিনি তাঁর পরিবারকে একটি রাজনৈতিক পরিবার হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা ও তালার কৃষক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি নীতি আদর্শে ছিলেন আপোষহীন। আজীবন সুবিধাবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। অথচ তাঁর অসংখ্য রাজনৈতিক সহকর্মী ও ভাবশিষ্যরা আদর্শচ্যূত হয়েছেন। নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাসীন নেতৃত্বে ছায়াতলে সামিল হয়ে সুবিধা ভোগ করেছেন। তাঁর মতো নৈতিক দৃঢ়তাসম্পন্ন নেতা পাওয়া সত্যিই বিরল।
মহানগর ছাত্রদলের মিছিল
খবর বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল খুলনা জেলা শাখার ২৯টি ইউনিট কমিটি অনুমোদন দেওয়ায় ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক জননেতা তারেক রহমান এবং ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় সংসদ এবং ছাত্রদল খুলনা বিভাগীয় টিমকে অভিনন্দন জানিয়ে শুভেচ্ছা মিছিল করেছে খুলনা জেলা ছাত্রদল। মিছিলটি শনিবার বিকাল ৪.০০ টায় নগরীর ডাকবাংলা ফেরীঘাট মোড় থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ৬নং কে ডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ের সামনে যেয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। খুলনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা তুহিনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রনেতা হুমায়ুন কবির রুবেল, গাজী শহিদুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, রাকিবুল ইসলাম, আল আমিন শেখ নয়ন, মল্লিক শাহাদাতুজ্জামান বাবু, হাবিবুর রহমান, শাহজামান প্রিন্স, হান্নান শিকদার, সাগর শিকদার, মোক্তারুজ্জামান সবুর, চৌধুরী আসাফুর রহমান, মাহফুজ শিকদার, ফিরোজ আহম্মেদ, রাসেল আকন বাবু, গাজী মনিরুল ইসলাম, সাব্বির আহম্মেদ টগর, শাকিল হোসেন, ফয়সাল চৌধুরী, প্রসেন রায়, শেখ হৃদয় আহমেদ, কাজী জাকারিয়া, এস এম আল আমিন হোসেন, আরিফুল ইসলাম অরিন, আসিবুর রহমান শেখ, আসাদুজ্জামান রনি, মনিরুল ইসলাম মনির, মোল্লা সাইফুল ইসলাম, মোঃ ইয়ামিন শেখ, জি এম হিমেল হোসেন, মনিরুজ্জামান সোহাগ, ইমতিয়াজ আলী সুজন, এস এম ফয়সাল হোসেন, মোঃ আবু সাঈদ শেখ, আবু হানিফ, আবু জাফর, অনিক আহমেদ, জাহিদুল ইসলাম, হাসিবুর রহমান রনি, আব্দুল্লা আল মুক্তাদির মিম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আলীম আল রাজী ইমন, মোঃ রুবেল শেখ, এনামুল হক, মাকসুদ আলম, ওয়াদুদ হোসেন, রাসেল ফরাজী, মাহমুদুল হাসান, মেহেদী হাসান সোহাগ, আবুবকর শেখ, শেখ শাকিল আহম্মেদ, খান শোয়েব আক্তার, মোঃ জাহিদ হাসান, মঞ্জুর মোল্লা. আব্দুল্লাহ শেখ, মোঃ নাহিদ ইসলাম, মোঃ রানা শেখ, মোঃ জুয়েল হোসেন, মোঃ ইকবাল হোসেন, মোঃ হাসিবুর শেখ, মোঃ নুর হোসেন, নুরুজ্জামান ঝলক, মাসুম বিল্লাহ, আবিদ চৌধুরী, মুরাদ মল্লিক, মোস্তফা রশিদ, এনায়েত হোসেন শেখ, আউয়াল হোসেন এ্যানি, ইমরান খান, নুরুল আমিন পাপ্পু, ইছানুর হাসিব গাজী, ইমন তালুকদার, জোসেফ রশিদ, মুকিব আকুঞ্জী প্রমুখ।
‘হিন্দু উত্তরাধিকার আইন, সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠক
খবর বিজ্ঞপ্তি
সম্মিলিত নারী অধিকার সুরক্ষা ফোরাম, খুলনা’র উদ্যোগ শনিবার সকাল ১০:৩০টায় খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের হিন্দু উত্তরাধিকার আইন, সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ভারতী ঘোষ এবং সঞ্চালনা করেন এড. মোমিনুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ জাফর ইমাম, সাবেক অধ্যক্ষ সৈয়দা লুৎফুন নাহার। আলোচক হিসেবে ছিলেন চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজ-এর পরিচালক গোপী কৃষাণ মুন্ধরা, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ শ্যামল সিংহরায়, এড. কুদরত-ই-খুদা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ খুলনার সভাপতি বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কু-ু, শিক্ষক উল্লাসিনী সরকার, এড. সুমলা ধর, সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেন, এড. জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকী, এড. অশোক সাহা, এড. পপি ব্যানার্জী, রোজী রহমান প্রমুখ। গোলটেবিলে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানবাধিকার ও নারী মুক্তি আন্দোলনের সংগঠক সুতপা বেদজ্ঞ। প্রবন্ধে তিনি বাংলাদেশে বর্তমান হিন্দু উত্তরাধিকার আইন নারীর জন্য বৈষম্যমূলক, অমর্যাদাকর বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা কিছু বিশ্বাস, কিছু আচার-আচরণ, কিছু কুপ্রথা নিয়েই এই হিন্দু উত্তরাধিকার আইন। সময়ের প্রয়োজনে মানুষের জীবন-যাপনে, আচরণে পরিবর্তন এসেছে। মানুষ ধীরে ধীরে তা মেনে নিয়েছে। হিন্দু সমাজও নানা কুপ্রথা, কুসংস্কার, বর্জন করে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু নারীর অধিকারের ব্যাপারে বাংলাদেশের হিন্দু সমাজের কিছু পুরুষতান্ত্রিক প্রতিনিধি আজও পরিবর্তনের বিপক্ষে। সেই সাথে রাষ্ট্র হিন্দু নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে এখনও হিন্দু নারী মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। হিন্দুদের উত্তরাধিকার আইনে নারী ও কন্যা শিশুদের উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে যে বৈষম্য রয়েছে তা অবশ্যই দূর করতে হবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের সক্রিয় উদ্যোগ বিশেষভাবে প্রয়োজন।
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: চার লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ১০
খুলনাঞ্চল রিপোর্ট
সেন্ট মার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরে ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনায় ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা। এ ঘটনায় আরও ১০ জন জেলে নিখোঁজ বলে জানা গেছে। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) ভোরে সেন্ট মার্টিন থেকে প্রায় ৩৫ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে ২৬ মাঝিসহ এফবি জানযাবিল সোমকেন নামে একটি মাছ ধরার ফিশিং ট্রলার ডুবে যায়। একইদিন সকালে সেন্ট মার্টিনের পশ্চিমে সাগরে ভাসমান লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। টেকনাফ কোস্ট গার্ড স্টেশনের কর্মকর্তা লে. কমান্ডার এম মানসুরুল মাহদীন জানান, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে দক্ষিণে প্রায় ৩৫ নটিক্যাল মাইলর অদূরে বঙ্গোপসাগরে ২৬ মাঝিমাল্লা নিয়ে মাছ ধারার ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কোস্টগার্ড ও নৌ-বাহিনীর সদস্যরা তল্লাশি চালিয়ে ৪ জনের লাশ এবং জীবিত অবস্থা ১২ জনকে উদ্ধার করে। এছাড়া নিখোঁজদের সন্ধানে কোস্টগার্ডের দুটি ও নৌ-বাহিনীর দুটি জাহাজ উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, দ্বীপের অদূরে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনায় কোস্টগার্ড ও নৌ-বাহিনী সদস্যরা ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া জীবিত ১২ জন জেলেকে উদ্ধার করে। ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরও ১০ জন নিখোঁজ থাকার খবর রয়েছে। তবে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি সেন্ট মার্টিনের নয়।
খুবির এক শিক্ষক বরখাস্ত, অপর ২ জনকে অপসারণে সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
স্টাফ রিপোর্টার
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশের অপরাধে ৩ শিক্ষককের বিরুদ্ধে সি-িকেটে শাস্তি চূড়ান্ত। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে চাকুরি থেকে বরখাস্ত এবং দুইজন শিক্ষককে চাকুরি থেকে অপসারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বরখাস্তকৃত শিক্ষক হলেন বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী শিক্ষক মো. আবুল ফজল। অপসারণকৃত শিক্ষকদ্বয় হলেন ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী ও বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক শাকিলা আলম। বরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে মো. আবুল ফজল বলেন, বর্তমান ভিসি ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটি একটি পাতানো খেলা। এই ভিসির ভবন নির্মান-দুর্নীতি, নারী প্রার্থীতে যৌন হয়রানি করাসহ নানাবিধি অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে উপাচার্য এ ব্যক্তিগত আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ করলেন। তিনি বলেন, গত বছরের ১৩ অক্টোবর আমাকে প্রথম চিঠি দেওয়া হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত অসংখ্য চিঠি দিয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। কিসের ভিত্তিতে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তা চিঠির মাধ্যমে জানতে আমি জানতে চেয়েছি। কিন্তু কোনও ধরনের তথ্য আমাকে সরবরাহ করা হয়নি। আমাকে ডাকা হয় গত ১০ ডিসেম্বর। কিন্তু তার ২দিন আগে অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর সমস্ত স্বাক্ষির স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। যা আমার অনুপস্থিতিতেই করা হয়। জুডিশিয়াল নিয়ম অনুযায়ী অভিযুক্তর উপস্থিতিতেই স্বাক্ষ্য গ্রহণ করার বিধান। কিন্তু তা করা হয়নি। তবুও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সমস্ত অনুলিপি চাওয়া হলেও তা পাইনি। তিনি আরও বলেন, পাতানো খেলায় চাকরিচ্যুত করা গেলেও শিক্ষকত্ব কেড়ে নেওয়া যায় না। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করি না। একটি ব্রত নিয়ে এ মহান পেশায় নিয়োজিত। তাই, আমার ব্রত থেকে কখনই বিচ্যুত হব না।
২৩ জানুয়ারি বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ২১২তম সভায় এ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তসহ আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও সভায় স্থান পায়। সূত্রে জানা গেছে, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পেয়েও তিন শিক্ষক তাদের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা বা দুঃখ প্রকাশ না করায় এবং অবাধ্যতা, গুরুতর অসদাচারণ, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসন বিরোধী কার্যক্রম ছাড়াও একাধিক অভিযোগ সন্দেহাতীতকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধন্ত চূড়ান্ত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র ও সিন্ডিকেট সচিব ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস জানান, উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভায় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, নতুন সদস্য প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ ওয়াহিদা আক্তার, প্রফেসর ড. মো. মনিরুল ইসলাম, প্রফেসর এ কে ফজলুল হক, প্রফেসর ড. মো. আব্দুল জব্বার, ড. নিহার রঞ্জন সিংহকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এছাড়া সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুন, প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা, প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্যাটাগিরর অন্যান্য সকল সদস্য সভায় উপস্থিত ছিলেন। সিন্ডিকেটের অপর দুই সদস্য খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য বর্তমানে ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন এনডিসি অনলাইনে যুক্ত থেকে এ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান ফটক স্থাপনের নকশাও গৃহীত হয়। এছাড়া উপাচার্য ফিতা কেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে একটি আর্কাইভয়ের উদ্বোধন করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সিন্ডিকেট সদস্যদের অনেকেই গত দশ বছরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধমে বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া এবং উপাচার্য হিসেবে তার ধৈর্য, নিষ্ঠা, আন্তরিকতার জন্য তাকে অন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। উপাচার্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের তার দুই মেয়াদ মিলিয়ে দশ বছর দুই মাস সময়ে দায়িত্ব পালনে সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দের অঅন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন এই দীর্ঘ সময়ে কাজ করতে যেয়ে তিনি সব সময়েই সবার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ দেখেছেন। সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চেষ্টা করেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি কোয়ালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে চেষ্টা করেছেন। তার কর্মকালে সিন্ডিকেট সভায় অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসবই বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থে। তবে তিনি বলেন মানুষ হিসেবে আমরা ভুল করতেই পারি। কিন্ত সেই ভুলের জন্য দুঃখবোধ বা অনুশোচনা থাকাটা জরুরি। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে জীবনে সামনে এগোতে হয় এটাই জীবনের বাস্তবতা।
এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ২১১তম সভার সিদ্ধান্তে উক্ত তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে নিয়মানুযায়ী রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাদের নিজ নিজ নামে কেনও তাদেরকে বরখাস্ত এবং অপসারণ করা হবে না বলে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য পত্র দেওয়া হয়। অভিযুক্ত তিনজন নির্ধারিত ২১ জানুয়ারি দুপুর মধ্যে উক্ত পত্রের জবাব প্রদান করেন। তবে সূত্রে জানা গেছে তিনজন শিক্ষক জবাব দিলেও তারা কোনওরকম দুঃখ বা ক্ষমা প্রকাশ করেননি। নিয়মানুযায়ী ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২১২তম সভায় পূর্ববর্তী ২১১তম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত এবং তিন শিক্ষককে দেওয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে জবাব নিয়ে দীর্ঘ পর্যালোচনা করা হয়। শেষে সিন্ডিকেট তাদের চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত এবং অপসারণের সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।
অন্যদিকে, নিজেদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় রয়েছেন দুই শিক্ষার্থী। শনিবার ৬ষ্ঠ দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ায় দুজনকেই স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে অনশনরত শিক্ষার্থী ইমামুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে অনশনরত মোহাম্মদ মোবারক হোসেন ওরফে নোমান অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকেও স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়। মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী। ইমামুল ইসলাম ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের শিক্ষার্থী। গত ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটা থেকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে ৪৮ ঘন্টা ও ১৯ জানুয়ারি থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১ ও ২ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন করে। এ সময় শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ, তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতা না করাসহ বিভিন্ন কারণে ওই দুই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড। ওই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে তারা আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন-ফিস কমানো, আবাসন সংকট নিরসনসহ ৫ দফা দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীর সঙ্গে ইমামুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মোবারকও আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। ওই সময় দুই শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ করার অভিযোগ তোলা হয় তাদের বিরুদ্ধে। তবে ওই দুই শিক্ষার্থী দাবি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও প্রহসনমূলক।
৫ লাখ টাকার বরই বিক্রির আশা করছেন ফারুক
স্টাফ রিপোর্টার
দেখতে অনেকটা ছোট আকৃতির আপেলের মতো। রঙও আপেলের মতো সবুজ ও হালকা হলুদের ওপর লাল। খেতে অনেক মিষ্টি। এ বরই অনেকটা বাউকুলের মতো দেখা গেলেও এটি মূলত আপেল কুল। এ বছর খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় আপেল কুলের পাশাপাশি নতুন জাতের কাশ্মিরি আপেল কুল চাষে এসেছে সাফল্য। ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষক। পাঁচ বিঘা জমিতে কুল চাষ করেছেন ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া গ্রামের কৃষক মো. ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, এবছর কুল প্রথম বিক্রি করেছি ১৮০ টাকা কেজি করে। এখন ১৯০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তাদের ফলন ও বিক্রি খুব ভালো। কৃষি অফিস থেকে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করছে। এ বছর উপজেলায় কুল চাষির সংখ্যা বেড়েছে। ফলনও বেড়েছে। কোনো প্রকার সমস্যা না হলে এবার ৫ লাখ টাকার কুল বিক্রি হবে বলে তিনি আশা করছেন। স্থানীয় আরেক কৃষক তুষার বিশ্বাস। তিনি বলেন, কুল চাষের জন্য উপযুক্ত স্থানগুলোর মধ্যে ডুমুরিয়া অন্যতম। যেখান সূর্যের আলো পায়, সেসব জায়গায় আপেল কুল ভালো হয়।
ভিটা জমিতে যে কুলগুলো চাষ হয়, তার চেয়ে ঘেরের বেড়ির আইলে যে কুলটা হয়, সেই কুলের রং, স্বাদ, উৎপাদন ও বাজারের চাহিদা খুবই ভালো। কুল গাছ থেকে সংগ্রহ বাছাই ও প্যাকেজিং করে পরিবহনের মাধ্যমে ঢাকার কারওয়ান বাজারে আড়তে বিক্রি করেন তারা।
ডুমুরিয়ার শোলমারি গ্রামের কৃষক হোসেন সরদার এ বছর তার জমিতে ব্যাপক পরিমাণের কুল চাষ হয়েছে। তিনি ১৮ বছর ধরে কুল চাষ করছেন। ফলন বেশি হওয়াতে ফলের ওজনে তার গাছ ঝুঁকে পড়েছে। তিনি বলেন, শীতের কারণে তার কুল ভালো হয়েছে। এবার তিনি দুই বিঘা জমিতে কুলের চাষ করেছেন। আশা করছেন এবার চার লাখ টাকার কুল বিক্রি হবে।
ডুমুরিয়ার জিলেরডাঙ্গী গ্রামের মৎস চাষি নিমাই চন্দ্র তার নিজস্ব মৎস ঘেরের বেড়িতে প্রায় একশত আপেল কুলের গাছ রোপণ করেন। তিনি বলেন, শীতের কারণে তার কুল ভালো হয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি কুল বিক্রয় হবে বলে তিনি আশা করেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, ডুমুরিয়ায় এবার ১০০ হেক্টর জমিতে কুল চাষ হয়েছে। অধিকাংশ কুলই ঘেরের পাড়ে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ উপায়ে উৎপাদন হয়েছে। এখানের উৎপাদিত কুল দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। এখান থেকে ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকার কুল দেশের বিভিন্ন মার্কেটে বিক্রি হয়।
এখানে যে জাতগুলো করা হয়েছে তার মধ্যে আপেল কুল, বাউকুল, নারকেল কুল। ইতোমধ্যে আপেল কুল ও কাশ্মিরি আপেল কুলের হারভেস্টিং (গাছ থেকে কুল সংগ্রহ) চলছে। এখান থেকে কুল সরাসরি ঢাকায় যাচ্ছে। এ বছর কুলের বাজার মূল্য বেশ ভালো।
তিনি আরো বলেন, দক্ষিণাঞ্চল লবণাক্ত এলাকা। কুল লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে। এ উপজেলায় ঘেরের পাড়ে ও বাণিজ্যিকভাবে আরো বাগান তৈরি হচ্ছে। তারা কৃষকদের বিভিন্ন সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। কৃষকদের মাঠের যে সমস্যাগুলো হচ্ছে, সেগুলো মাঠে গিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলা ১০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের কুল চাষ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে পাঁচ হেক্টর বেশি। এ বছর এ উপজেলা থেকে এক কোটি টাকার কুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে নিহত ২ জেলের সন্ধান মেলেনি, অপরজন ভারতে
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণের ঘটনার দুইদিন পার হলেও দুই মৎস্যজীবীর মরদেহ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে জীবিত থাকা অপর মৎস্যজীবীর সন্ধান মিলেছে। তাকেও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অন্যদিকে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) নিহত দুই মৎস্যজীবীর মরদেহ উদ্ধারে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। নিহত দুই মৎস্যজীবী হলেন-সাতক্ষীরার শ্যমানগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কৈখালী গ্রামের কফিলউদ্দিনের ছেলে রতন (৪২) ও একই গ্রামের মনোমিস্ত্রীর ছেলে মিজানুর রহমান (৪০)। জীবিত থাকা অপর মৎস্যজীবী একই গ্রামের সাত্তারের ছেলে আবু মুসা (৪১)। শ্যামনগর উপজেলার নীলডুমুর ১৭ বিজিবির সিও ইয়াছিন চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বিপরীতে ভারতীয় অংশে পাইজুরি খালে (ম্যাপে নেই) তারা নিখোঁজ হন। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বাঘের আক্রমণে নিহত দুই মৎস্যজীবীর কোনো সন্ধান মেলেনি। তবে জীবিত থাকা অপর মৎস্যজীবী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্বজনদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে যোগাযোগ করছেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি এমন দুর্গম এলাকায় ঘটেছে সেখানে কাউকে খুঁজে বের করাও দুরূহ ব্যাপার। ভারতীয় বিএসএফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেছি চাপ দিচ্ছি, অনুরোধ করছি। তারাও মানবিক হয়ে বিষয়টি দেখছেন বলে জানিয়েছেন। অবৈধভাবে ভারতীয় অংশ প্রবেশ করলেও দুইজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি মানবিক সেভাবেই আমরা দেখছি। জীবিত থাকা মৎস্যজীবীকেও ফেরত আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মরদেহ দুটিরও এখনো হদিস মেলেনি।’
বৃস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মৎস্যজীবী আবু মুসা তার স্ত্রীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বলেন, ‘রতন ও মিজানুরকে বাঘে ধরে মেরে ফেলেছে। আমি বেঁচে আছি।’ শ্যামনগরের কৈখালী সীমান্তের বিপরীতে ভারতের কালিতলা এলাকায় পুল্লাদ নামের এক ভারতীয়র কাছে এই মৎস্যজীবী অবস্থান করছেন বলে ফোনে স্বজনদের জানিয়েছেন।
কৈখালী এলাকার জিএম আবুল কালাম শুভ বলেন, ‘আবু মূসার সঙ্গে ফোনে আমার কথা হয়েছে। তিনি কৈখালীর বিপরীতে ভারতীয় এলাকায় পুল্লাদ নামের এক ভারতীয় ব্যক্তির কাছে রয়েছেন। তিনজন একটি নৌকায় ছিলেন। নৌকা থেকে দুইজন নামার পরই তাদের বাঘে আক্রমণ করে। নিরুপায় হয়ে তড়িঘড়ি করে নৌকা নিয়ে ওখান থেকে তিনি চলে আসেন।’ কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম জানান, এখন মরদেহটি দুটি উদ্ধার করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। জীবিত থাকা মৎস্যজীবী আবু মুসাকেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তিনি এখন ভারতে রয়েছেন। কৈখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জিএম রেজাউল করিম বলেন, ‘বাঘের আক্রমণে নিহত দুই মৎম্যজীবীর মরদেহ দুটি উদ্ধারে সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়েছে আসছে। আমরা সবাই মরদেহ দুটি উদ্ধার ও জীবিত আবু মূসাকে ফিরেয়ে আনার দাবি করছি।’ এসব ঘটনার মধ্যেই বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ ছড়িয়েছে ভারতে চোরাচালান করতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন দুই মৎম্যজীবী। মরদেহ দুটি বিএসএফ উদ্ধার করেছে ও অপরজনকে আটক রাখা হয়েছে। তবে এমন ঘটনাটি সত্য নয় জানিয়ে সীমান্তের নীলডুমুর ১৭ বিজিবির সিও ইয়াছিন চৌধুরী জানান, বিএসএফের গুলিতে নিহত হলে বা তারা লাশ উদ্ধার করে রাখলে সেটি অবশ্যই তারা জানাতেন। এটি গোপন করার মতো কিছু নয়। তাছাড়া অপর মৎস্যজীবীও বিএসএফের হাতে আটক নেই।
কালীগঞ্জে টিসিবির পেঁয়াজ কান্ডে হৈ চৈ
সাবজাল হোসেন,বিশেষ প্রতিনিধি
টিসিবি’র পণ্য নিতে হলেই ১২ কেজি পেঁয়াজ বাধ্যতামলক। না হলে মিলবেনা টিসিবির তেল, চিনি ও ডাল। ৪ শত ৪০ টাকার এক অভিনব প্যাকেজ চালু করেছেন ঝিনাইদহের এক টিসিবি ডিলার। যে প্যাকেজে ১২ কেজি পেঁয়াজ, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি ডাল ও ২ লিটার সয়াবিন তেল দেয়া হবে। সরকারী এমন নিয়ম না থাকলেও শুক্রবার বিকালে ট্রাকে করে কালীগঞ্জে টিসিবির পন্য বিক্রি করতে আসা ঝিনাইদহের মানিক ট্রেডার্স নামে ডিলারের লোকজন এমন ঘোষনা দিয়ে বিক্রি করা কালে এক ”পেয়াজ” কান্ড ঘটিয়ে হৈ চৈ ফেলেছেন। তবে ভূক্তভোগীরা বিষয়টি কালীগঞ্জ ইউএনওকে অবহিত করলে বিষয়টি আচ করতে পেরেই ট্রাক নিয়ে দ্রুত সটকে পড়েন তারা। অথচ স্থানীয় প্রশাসন বলছে, একজন ব্যক্তিকে টিসিবির পেঁয়াজ ১২ কেজি নিতে হবে এমন কোন সরকারী নিয়ম নেই।
ভূক্তভোগীদের মধ্যে ফিরোজ আহম্মেদ নামে এক ক্রেতা জানান, শুক্রবার বিকেলে কালীগঞ্জ শহরের বৈশাখী মোড়ে একটি পিকাপে টিসিবির পন্য বোঝায় দিয়ে বিক্রি করতে আসেন ঝিনাইদহের ডিলার মানিক ট্রেডাস। এ সময় তারা প্রতিজন ক্রেতাদেরকে গাড়ির ওপর থেকেই সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন তেল.চিনি ও ডাল পেতে হলে বাধ্যতামুলক ১২ কেজি ঁেপয়াজ নিতে হবে। না নিলে কাউকেই দেয়া হচ্ছেনা।
এসব কথা শুনে উপস্থিত ক্রেতাদের মধ্যে অনেকেই পন্য না নিয়েই খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। কিন্তু কেউ কেউ পন্য না কিনতে পেয়ে ডিলারের লোকজনের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এমন পরিস্থিতি ও জটলা দেখে সেখানে এগিয়ে আসেন গনমাধ্যমের এক কর্মী। তিনি তাৎক্ষনিক ওই বিষয়টি কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন করে জানতে পারেন, জনপ্রতি ৫ কেজি পন্য বিক্রির নিয়ম রয়েছে। পন্য বিক্রয়ে প্যাকেজ বা বাধ্যতামুলক করা হয়নি। এরিমধ্যে প্রশাসনকে অবহতির বিষয়টি আচ করতে পেরে সু-চতুুুর ডিলারের লোকজন তড়িঘড়ি করে তাদের কিছু পন্য ক্রেতাকে দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন।
এমন অভিযোগ দেন কালীগঞ্জের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা বিপ্লব দাসও । তিনি বলেন আমি গরীব মানুষ। টিসিবির তেল ও ডাল নিতে শুক্রবার ভূষন হাইস্কুল রোডে গাড়ি থামিয়েছিলাম। এরপর গাড়িতে থাকা লোকজন বললেন প্যাকেজ ধরে নিতে হবে। আমি বললাম বুঝলাম না। তখন উনারা বললেন, তেল ও ডাল ,চিনি তখনই দেয়া হবে যখন আমি ১২ কেজি পেঁয়াজ নিবো। আমি বললাম এর আগে তো নিয়েছি উত্তর আসলো এখন এই নিয়মে দেয়া হচ্ছে। কাছে ওই পরিমান টাকা না থাকায় নিতে পারেনি। পরে আমি মিডিয়াকর্মিদের কাছে বিষয়টি জানাই। সরকার আমাদের মত হতদরিদ্রদের জন্য একটি মহৎ উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্ত এমন নিয়ম চালু হলে তো আমার মত হতদরিদ্রদের সমস্যা।
এ বিষয়টি নিয়ে টিসিবির ডিলার ঝিনাইদহের মানিক ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী শরিফুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, পেঁয়াজ বিক্রি না হওয়াতে গোডাউনে থেকে পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এজন্য আমরা ক্রেতাদের পেঁয়াজ নিতে ৪ শত ৪০ টাকার প্যাকেজ চালু করেছি। আর ঝিনাইদহ শহরের টিসিবির ডিলার হয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা শহরে পন্য বিক্রি করার অনুমতি আছে কি ? এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, টিসিবির কর্মকর্তা রানা সাহেব তাকে বাইরের উপজেলাতেও গিয়ে পন্য বিক্রির অনুমতি দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূবর্না রানী সাহার সাথে কথা বললে তিনি জানান, একজন ক্রেতার নিকট ৫ কেজির বেশি টিসিবির পন্য বিক্রি করা যাবে না। অথচ একজন ক্রেতাকে ১২ কেজি পেঁয়াজ নিতে হবে এমন কথা শুনে হতবাক হয়েছি। নিজেদের তৈরী করা নিয়ম চালু করে সাধারন মানুষের সরকারী সুযোগ বঞ্চিত করার সুযোগ কাউকে দেয়া হবেনা। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখছেন।
পাইকগাছা পৌর নির্বাচনে কাস্তের সমর্থনে সিপিবি মহানগর সম্পাদকের গণসংযোগ
খবর বিজ্ঞপ্তি
পাইকগাছা পৌরসভা নির্বাচনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) মনোনীত ও বাম গণতান্ত্রিক জোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী অ্যাডঃ প্রশান্ত মন্ডলের কাস্তে মার্কার সমর্থনে আজ শনিবার দিনব্যাপী পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন সিপিবি’র খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ মোঃ বাবুল হাওলাদার। এসময়ে মেয়র প্রার্থী অ্যাড. প্রশান্ত মন্ডল সাথে ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন জেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি অ্যাড. নিত্যানন্দ ঢালী, মহানগর আহবায়ক আফজাল হোসেন রাজু, বাসদ নেতা রবিন মন্ডল, যুব ইউনিয়ন নেতা রামপ্রসাদ রায়, মৃনাল কান্তি গাইন, মোঃ এবাদুল হক, কোনাই গাজী প্রমুখ। এ সময় নেতৃবৃন্দ পথসভায় বক্তব্য রাখেন।
ইশা ছাত্র আন্দোলন খুলনা দাকোপের উপজেলা সম্মেলন
খবর বিজ্ঞপ্তি
শনিবার সকাল ১০টায় উপজেলাস্থ খাটাইল অস্থায়ী কার্যালয়ে শাখা সভাপতি মোঃ আব্দুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোসাদ্দেক বিল্লাহ এর সঞ্চালনায় ইসলামী শাসনতন্র ছাত্র আন্দোলন দাকোপ উপজেলার “উপজেলা সম্মেলন” অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলন খুলনা জেলার সভাপতি মুহাম্মদ নাজমুস সাকিব। প্রধান অতিথি তার আলোচনা বলেন, “ঘুনেধরা এই সমাজ ব্যাবস্থার পরিবর্তন করতে একদল আদর্শবান ছাত্র সমাজের বিকল্প নেই”। প্রধান অতিথি তার আলোচনা শেষে দাকোপ উপজেলার ২০২০ সেশনের কমিটিকে বিলুপ্ত করে ২০২১ সেশনের জন্য নতুন কমিটির সভাপতি আঃ রহমান, সহ-সভাপতি মুসাদ্দেক বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রওশন হাবিব এর নাম ঘোষণা করেন। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলন খুলনা জেলার সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ইনামুল হাসান সাঈদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উপজেলা সভাপতি মাওলানা মোঃ ওবায়দুল্লাহ ও ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন উপজেলা সভাপতি মাষ্টার রফিকুল ইসলাম। উপজেলা সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলন উপজেলা আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড শাখার নেতৃবৃন্দ সহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উপজেলা দায়িত্বশীল ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
হরিণাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ ৩ নেতা বহিস্কার
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের বিরুদ্ধে কাজ করায় ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ ৩ আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিস্কার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আছাদুজ্জামান আছাদ স্বাক্ষরিত পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বহিস্কৃতরা হলো-হরিণাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিউর রহমান জোয়ার্দ্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম শরিফ ও হরিণাকুন্ডু পৌরসভার বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা শাহিনুর রহমান রিন্টু। জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আছাদুজ্জামান আছাদ জানান, ৩য় ধাপে অনুষ্ঠিত হরিণাকুন্ডু পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে পৌরসভার বর্তমান কাউন্সিলর ফারুক হোসেনকে মনোনীত করা হয়েছে। কিন্তু ওই ৩ আওয়ামী লীগ নেতা বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী ফারুক হোসেনের প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণাসহ মানববন্ধন, উস্কানীমুলক বক্তব্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বসে নেতাকর্মীদের নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করতে উৎসাহিত করে আসছে। এ ঘটনায় মেয়র প্রার্থী ফারুক হোসেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাছে অভিযোগ করে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কেন্দ্রের নির্দেশে ওই ৩ জনকে বহিস্কার করা হয়েছে।
শীতার্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জামাল
খবর বিজ্ঞপ্তিঃ
গতকাল অসহায় শীতার্থ মানুষের মাঝে গতকাল রাত ৮টায় আহসান আহমেদ রোডে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা জেলা যুবলীগ সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান জামাল। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির সদস্য শিউলি সরোয়ার, মোঃ জামিল খান, যুবলীগ নেতা সরদার জাকির হোসেন, বিধান চন্দ্র রায়, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা গাজী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, কবির আহমেদ মনা, শফিকুর রহমান ইমন, তানভীর রহমান আকাশ, কাজী নাজিব, চিশতি নাজমুল বাসার স¤্রাট, মোঃ কবিরুল ইসলাম, ইমন, হাসিব প্রমুখ।
সাংবাদিক মিজানের মায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ
স্টাফ রিপোর্টার
খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে) সদস্য ও দৈনিক দেশসংযোগের স্টাফ রিপোর্টার মিজানুর রহমান এর মাতা মোমেনা বেগম (৫৩) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি …. রাজিউন)। গতকাল শনিবার ফজরের আযানের সময় বটিয়াঘাটার নিজ বাসভবনে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি তিন পুত্র এক কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বাদ যোহর বটিয়াঘাটার বারোভুঁইয়া জামে মসজিদে মরহুমার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এদিকে মিজানুর রহমানের মায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) এর নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। বিবৃতিদাতারা হলেন সভাপতি মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, সহ-সভাপতি মো. হুমায়ুন কবীর ও মহেন্দ্রনাথ সেন, সাধারণ সম্পাদক ও বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য মো. সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাট, যুগ্ম সম্পাদক নেয়ামুল হোসেন কচি, কোষাধ্যক্ষ অভিজিৎ পাল, দপ্তর সম্পাদক জয়নাল ফরাজী, প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নূর হাসান জনি, নির্বাহী সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, আল মাহমুদ প্রিন্স ও বিমল সাহা। অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন বিএফইউজে’র নির্বাহী সদস্য এস এম ফরিদ রানা।
খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজিঃ ৬২২) নির্বাচন সম্পন্ন: সেলিম সভাপতি দুদু মিয়া সাধারণ সম্পাদক
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং ৬২২) এর নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে মো. সেলিম হোসেন সভাপতি এবং আব্দুর রহিম বক্স দুদু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। গত শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের সামনের মাঠে ভোট কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন সূত্রে জানা যায়, খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং ৬২২) এর মোট ৬৮৭২ জন ভোটারের মধ্যে ৫৮৮০ জন ভোটার তাদের ভোট প্রদান করেন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভোটার এবং প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় সকাল ৮টার মধ্যে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়। বিরতিহীন ভাবে সকল ভোটার এবং প্রার্থীদের সহযোগিতায় বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নিরবিচ্ছন্নভাবে ভোট গ্রহণ করা হয়। শেষ রাতের দিকে ভোট গগণা শেষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও খুলনা সিটি মেয়র আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেক ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনের সম্পূর্ণ সময়ই ছিলো নিরাপত্তা বেষ্টনি দিয়ে ঢাকা। কেএমপি’র ৩ শত পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা সহ বিভিন্ন এজেন্সির সদস্যরা নির্বাচন কালীন পর্যবেক্ষন করেছেন। নির্বাচনে রেকর্ড পরিমান উপস্থিতি ছিলো। খুলনা যশোর মহাসড়কে প্রার্থীদের সমর্থকদের আনন্দ উল্লাস অন্য সব আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছিলো। নির্বাচন সূত্রে জানা যায়, মোট ২৫ টি পদে ৯৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদের মধ্যে সভাপতি পদে কবুতর প্রতীক নিয়ে মো. সেলিম হোসেন ২ হাজার ৫৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন কাজী মো. সরোয়ার হোসেন। তিনি দাড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ২৯৮ ভোট পেয়েছেন। কার্যকরী সভাপতি পদে গোলাপ ফুল নিয়ে বাবলু খলিফা ১ হাজার ৪০৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী ছিলেন আব্দুল বারেক ফারাজী। তিনি সাইকেল প্রতীক নিয়ে ১০৪৯ ভোট পেয়েছেন। সহ-সভাপতিতে চারটি পদে যথাক্রমে উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ৬১০ ভোটে আবুল হোসেন কার্ফূ, গামছা প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৩৫৩ ভোটে আব্দুল মান্নান শেখ, মালা (ফুলের মালা) প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৩০৭ ভোটে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদার এবং হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ২৯৫ ভোটে মো. ইউসুফ বিজয়ী হয়েছেন। ছাতা প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ৯৫৮ ভোটে মো. আব্দুর রহিম বক্স দুদু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। আম প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ১৬ ভোটে মো. বজলু হাওলাদার যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। সহ সাধারণ সম্পাদকের চারটি পদে যথাক্রমে হাঁস প্রতীক নিয়ে মো. দুলাল শেখ, সেলাই রেঞ্জ প্রতীকে ১ হাজার ৯৪১ ভোটে মো. রুহুল আমিন, টেলিফোন প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৬০০ ভোটে মো. দেলোয়ার সরদার এবং প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৫৮১ ভোটে মো. সাগর মিয়া নির্বাচিত হয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদকের দু’টি পদে যথাক্রমে ঠেলাগাড়ী প্রতীকে ২ হাজার ১২৫ ভোটে মো. টিটো খান এবং কলম প্রতীকে ১ হাজার ৮৭৪ ভোটে মো. শাহবুল আলম রানা বিজয়ী হয়েছেন। বই প্রতীক নিয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে ৩ হাজার ৮৬ ভোট পেয়ে মো. কাজী হুমায়ূন কবির নির্বাচিত হয়েছেন। ক্রাচ প্রতীকে ৩ হাজার ২৭ ভোট পেয়ে দপ্তর সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন মো. শাহীন হোসেন মজুমদার। লাইন সম্পাদকের ৬টি পদে যথাক্রমে আপেল প্রতীকে ১ হাজার ৫২৯ ভোটে মো. ইমরান হাওলাদার (মিন্টু), শাপলা ফুল প্রতীকে ১ হাজার ৪৬৭ ভোটে মো. মোফিজুর রহমান (পলাশ), ব্যাট প্রতীকে ১ হাজার ৪৪৮ ভোটে মো. আনোয়ার হোসেন, তাঁরা প্রতীকে ১ হাজার ৩১১ ভোটে মো. নয়ন হাওলাদার, তালা চাবি প্রতীকে ১ হাজার ১৪২ ভোটে রোকা মিয়া এবং মোবাইল প্রতীকে ১ হাজার ৯৯ ভোটে মো. নজরুল ইসলাম কাজী নির্বাচিত হয়েছেন। প্রচার সম্পাদকের দু’টি পদে যথাক্রমে মিনার প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৯৬০ ভোটে মো. মোতালেব মাতুব্বর, মাইক প্রতীকে ১ হাজার ৮৪৪ ভোটে মো. সায়েদ তালুকদার বিজয়ী হয়েছেন। ক্রীড়া ও সংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ব্যাটারী প্রতীকে ১ হাজার ৫৭২ ভোট পেয়ে আলমগীর হোসেন বিজয়ী হয়েছেন।
উল্লেখ্য, খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে একটি বিতর্কহীন নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেককে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। ওই নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানাকে ভাইস চেয়ারম্যান এবং আনিসুর রহমান মোড়লকে সদস্য সচিব, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ^াস ও মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রণজিত কুমার ঘোষকে সদস্য করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। নির্বাচনের সার্বিক তদারকির জন্য বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মিজানুর রহমানকে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
নির্বাচন সম্পর্কে মো. মিজানুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি ছিলো শ্রমিকদের। আমি শুধু সমন্বয় করেছি। বাকি কাজ করেছেন মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য ভোট গ্রহণের শুরু থেকে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত ৩ শ’ পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য সহ বিভিন্ন এজেন্সির সদস্যরা পর্যবেক্ষন করেছেন। নির্বাচন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্নের জন্য ৮টি ক্যাম্প করা হয়। প্রতিটি ক্যাম্পে ১৮টি করে বুথ করা হয়েছিলো। ফলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভোট গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া ৩০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে ভোটার এবং প্রার্থীদের সামনে স্বচ্ছতা উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া একদল দক্ষ পোলিং অফিসার দ্বারা ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচন চলাকালে পরিচালনা কমিটির সদস্যগণ প্রতিটি ক্যাম্পে গিয়ে জাল ভোট যাতে কেউ না দিতে পারে সেদিকে সর্তক দৃষ্টি রেখেছেন। এ ভাবেই নির্বাচনকে সকল ভোটারের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে সমর্থ হয়েছি। এছাড়া শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আমার সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রেখে নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি সকল স্তরের প্রশাসনকে নির্বাচন পর্যবেক্ষনের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি নির্বাচন কমিশন সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। সকলের কাছে কৃতজ্ঞা জ্ঞাপন করেছেন বিভাগীয় শ্রম পরিচালক মো. মিজানুর রহমান।
স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট আ.লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে : মঞ্জু
খবর বিজ্ঞপ্তি
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, ৪২ বছরে ছাত্রদলের বহু ইতিহাস ঐতিহ্য রয়েছে। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সকল আন্দোলনে ছাত্রদল নেতৃত্ব দিয়েছে। স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধেও ছাত্রদলের নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বৈরাচারী সরকার বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বে দেবে ছাত্রদল।
খুলনা মহানগর ছাত্রদলের উদ্যোগে স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শনিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় নগরীর বসুপাড়ায় জাতীয় শিশুসদনে এতিম ছাত্রদের মাঝে শীতের কম্বল বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, ইকবাল হোসেন খোকন, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শরিফুল ইসলাম বাবু, শেখ জামিরুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন, আকরাম হোসেন খোকন, সরদার রবিউল ইসলাম রবি, বাচ্চু মীর, মোস্তফা কামাল, বাবু মোড়ল, মনিরুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম তুষার, হেদায়েত হোসেন হেদু, বুলবুল আহমেদ, মাহবুব হোসেন, ওহেদুজ্জামান, এ কে এম তাসাদুজ্জামান, হাফেজ আব্দুল মান্নান, আবুল কালাম আজাদ, শরিফুল ইসলাম সাগর, আল আমিন তালুকদার প্রিন্স, আবু সাহাদাৎ কিমিয়া, আশিকুর রহমান আশিক, মুসফিকুর রহমান অভি, আরিফুর রহমান আরিফ, মাহিম আহমেদ রুবেল, সাজ্জাত হোসেন জিতু, এমরান হোসেন, মাহমুদ হাসান মুন্না, রাজিবুল আলম বাপ্পী, মিরাজুল ইসলাম, আব্দুল আহাদ শাহিন, নাজিম উদ্দিন শামীম, শামীম রেজা, তুহিন ইসলাম, শেখ আল মামুন, নাজমুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মনি, ইজবুল রহমান ইমুল, সাহাবুদ্দিন সাজু, ফারদিন সরাফত, রুহুল আমিন রাসেল, তানভির ইসলাম শিমুল প্রমুখ।
অপরদিকে গতকাল বাদ মাগরিব সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির উদ্যোগে থানা বিএনপির কার্যালয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে হিজরা সম্প্রদায়ের শীতার্ত হিজরাদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেন খুলনা মহানগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আসাদুজ্জামান মুরাদ, ইকবাল হোসেন খোকন, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ জামিরুল ইসলাম, আকরাম হোসেন খোকন, জামাল উদ্দিন, মোস্তফা কামাল, রবিউল ইসলাম রবি, তরিকুল ইসলাম তুষার, ইজবুল রহমান ইমুল, শেখ আল মামুন, ইফতিকার আহমেদ প্রমুখ।
কোকোর ৬ষ্ঠ মৃত্যু জন্মবার্ষিকীতে খুলনায় কর্মসুচি
খবর বিজ্ঞপ্তি
মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপোষহীন নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর ৬ষ্ঠ মৃত্যু জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ রবিবার বেলা ১২টায় দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
উক্ত কর্মসূচি সফল করার জন্য দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মিদের উপস্থিত থাকার আহবান জানিয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, জেলা বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা, সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান।
ফুলতলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ৪০পরিবারের মাঝে ঘরসহ জমির দলিল হস্তান্তর
ফুলতলা প্রতিনিধি
মুজিব শতবর্ষে ”বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’’ প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষে শনিবার সকাল সকাল ৯টায় শহীদ হাবিবুর রহমান মিলনায়তনে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জমি ও গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কসফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন ঘোষনার পর উপকারভোগী ভূমিহীন ও গৃহহীন ৪০ পরিবারকে ২ শতক জমি ও গৃহ হস্তান্তর করা হয়। ইউএনও সাদিয়া আফরিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থান ীয় সরকার খুলনার উপ-পরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আকরাম হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুলি বিশ্বাস, ওসি মাহাতাব উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কে এম জিয়া হাসান তুহিন ও ফারজানা ফেরদৌস নিশা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার শাহাবুদ্দিন জিপ্পী। স্বাগত বক্তৃতা করেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম। উপকারভোগীদের মধ্যে মোঃ রইচ উদ্দিন মোড়ল, আলো শীল তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। ফারহানা ইয়াসমিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী জাফর উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ মোহাম্মাদ ভূইয়া শিপলু, শেখ আবুল বাশার, মাওলানা সাইফুল হাসান, সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহীন আলম, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা বেগম, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাঃ আবুল কাশেম, আইসিটি কর্মকর্তা পুষ্পেন্দু দাস, রিসোর্স কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম রনি, অধ্যক্ষ গাজী মারুফুল কবির, আওয়ামীলীগ নেতা মৃনাল হাজরা, প্রেসক্লাব সভাপতি তাপস কুমার বিশ্বাস, উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি শামসুল আলম খোকন, সহকারী অধ্যাপক মোঃ নেছার উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ৪০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের কাছে জমির কবুলিয়াত দলিল, নামজারি খতিয়ান, ঘর প্রদানের সনদ হস্তান্তর করা হয়।
ফুলতলায় সড়ক দূর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র ইব্রাহিমের দাফন সম্পন্ন
ফুলতলা প্রতিনিধি
ফুলতলায় মাইক্রোবাস ও মটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত কলেজ ছাত্র মোঃ ইব্রাহিম মোড়ল (২২) এর নামাজে জানাযা শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বরণপাড়া পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। হাফেজ আজগর আলীর ইমামতিতে নামাজে জানাযায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আঃ গফুর, অধ্যক্ষ খায়রুল ইসলাম, জেলা যুবলীগ নেতা সরদার জাকির হোসেন, ক্যাপ্টেন (অবঃ) মাহাবুবুল হক, প্রভাষক আঃ আলিম মোল্যা, ওয়াহিদুজ্জামান, মাজহারুল ইসলাম, শহিদুল্লাহ প্রিন্স, ফেরদাউস হোসেন বেলু, শেখ সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। পরে নিহত ইব্রাহিম মোড়লকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। প্রসংগত শুক্রবার বিকাল ৪টায় খুলনা-যশোর মহাসড়কের ফুলতলা এ গফুর মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে মাইক্রোবাস ও মটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মটরসাইকেল চালক ইব্রাহিম মোড়ল নিহত হন। তিনি ফুলতলা এম এম কলেজের ডিগ্রী ২য় বর্ষের ছাত্র ও বরণপাড়া গ্রামের ওসমান মোড়লের পুত্র।
দাকোপে সম্পত্তি দখলের প্রচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।
দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনার দাকোপে এলাকার চিহ্নিত দখলবাজ ভূমিদস্যু কর্তৃক গায়ের জোরে দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় সম্পত্তির আইল সীমানা লংঘন করে দখলের প্রচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় দাকোপ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা সদর চালনা পৌরসভার চালনা বাজার লঞ্চঘাট এলাকার কুমারেশ বিশ্বাস। বক্তব্যে তিনি বলেন তার বাবা কুঞ্জ বিহারী বিশ্বাস আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের একজন ভূমিদাতা। তিনি চালনা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে অবস্থিত পানখালী মৌজার এস.এ ৫৫২ নং খতিয়ানের ৩১০১ নং দাগে ০.৩৮ একর পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয় লোকদ্বারা মৎস্য ঘের পরিচালনা করে শান্তিপূর্ণ ভোগ দখল করে আসছেন। এঅবস্থায় পাশ^বর্তী বজলুর রহমানের স্ত্রী কাজী রেহেনা পারভীন এবং ওদুদ কাজীর ছেলে বিদ্যুৎ কাজী ও আইপিএল জুয়ার হোতা বিল্টু কাজী একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে পূর্বে স্থানীয় ভাবে মীমাংসিত লিখিত সালিশীনামা অমান্য করে দখলের প্রচেষ্টা করছেন। তাছাড়া উক্ত সম্পত্তি নিয়ে খুলনার বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ৪র্থ আদালতে দেঃ ৩৮/২০ নম্বর ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আদালতে রিভিশন ৪১/২০ নম্বর তার দায়ের করা মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া তিনি ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গত ২০ জানুয়ারী থানায় ৭৩৫ নম্বর একটি সাধারণ ডায়েরীও করেছেন। সম্মেলনে তিনি স্থানীয় ও উর্দ্ধতন প্রশাসনের কাছে ওই ব্যক্তিদের দখলের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান। এসময় ভূক্তভোগীর স্ত্রী সন্ধ্যা রানী বিশ্বাস ও কন্যা ঈশিতা বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
এবিয়য়ে বিল্টু কাজীর কাছে জানতে চাইলে উল্টে কুমারেশ তাদের সম্পত্তি জবরানে দখল করছে বলে দাবি করেন। আর আইপিএল জুয়ার বিষয় অস্বীকার করে বলেন তার ওসব করার সময় নেই। তিনি তার ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন বলে জানান।
সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত আওয়ামী লীগ নেতা বেগ আনিসুর রহমানের মাগফেরাত কামনায় দোয়া
খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি
সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বেগ লিয়াকত আলীর ছোট ভাই বেগ আনিছুর রহামানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে ২২ জানুয়ারী শুক্রবার জুম্মাবাদ ফুলবাড়ীগেট বাজার জামে মসজিদ সহ ৩৩নং ওয়ার্ডের ২৬টি মসজিদে দোয়ার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দোয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, ফুলতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ শেখ আকরাম হোসেন, খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ আনিছুর রহমান, গিলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মনিরুল ইসলাম, মাষ্টার মনিরুল ইসলাম,৩৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোড়ল হাবিবুর রহমান, খানজাহান আলী থানা সাংবাদিক ইউনিটি’র সভাপতি শেখ বদর উদ্দীন, গাজী মাকুল উদ্দীন,তোফাজ্জেল হোসেন, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, অলিয়ার রহমান রাজু সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ্য, বেগ আনিছুর রহমান সোমবার রাত সাড়ে ৭টায় খুলনা যশোর মহাসড়কের ফুলবাড়ীগেট জামিয়া কারিমীয়া মাদ্রাসা সংলগ্নের সামনে মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হন।
আফিলগেট বাইপাস সড়কে বালু বোঝাই ড্যাম্প ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে
ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি
নগরীর আফিলগেট বাইপাস সড়কের শিরোমনি নানাবাড়ী মোড় সংলগ্ন এলাকায় শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বালু বোঝাই ড্যাম্প ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় । আফিলগেট থেকে বালু লোড দিয়ে ট্রাক টি আড়ংঘাটার দিকে যাওয়ার পথে এ দূর্ঘটনা ঘটে । স্থানীয় বাসিন্দা মোবারেক আলী জানান বালু বোঝাই ট্রাকটি হঠাৎ করে রাস্তার পাশে বিদুৎ এর পোল এর সাধে ধাক্কা লাগিয়ে পল্টি খেয়ে খাদে পড়ে যায় । ঘটনার পর ট্রাকের হেলপার ও ড্রাইভার পলাতক । খবর পেয়ে আড়ংঘাটা থানা পুলিশ সকাল ১১ টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছায় । এ রিপোট লেখা পর্যন্ত ট্রাকটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছিলো ।
যোগিপোল ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মী সভা ও শীতবন্ত্র কম্বল বিতরণ
ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি
যোগিপোল ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ইউনিয়নের ৫,৬, ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের কর্র্মী সভা ও শীতবন্ত্র কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান গতকাল শনিবার বিকাল ৪টায় ফুলবাড়ীগেট আই আর আই প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। যোগিপোল ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রুমা খন্দকার মুন্নির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডঃ সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও খানজাহান আলী থানা যুবলীগের আহবায়ক মোঃ সাজ্জাদুর রহমান লিংকন। ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদিকা অম্বিকা রানী মন্ডলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন, ৩৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ইউসুফ আলী খলিফা, খানাবাড়ী যুব সংঘ ক্লাব ও লাইব্রেরীর সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা আবু হেনা বাবলু, খানজাহান আলী থানা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মিজানুর রহমান রুপম, রতনা বেগম, জিনিয়া বেগম, মনিরা বেগম, নাজমা বেগম, কাকলী আক্তার, ফজিলা বেগম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। কর্মীসভা শেষে জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও খানজাহান আলী থানা যুবলীগের আহবায়ক মোঃ সাজ্জাদুর রহমান লিংকনের সৌজনে উপস্থিত সকলের মাঝে শীতবন্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়।
কেডিএ আবাসিকে আইন শৃংখলা ও সামাজিক নিরাপত্তা রক্ষা বিষয়ে আলোচনা সভা
ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি
নগরীর মীরেরডাঙ্গা কেডিএ আবাসিক কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে শুক্রবার সন্ধ্যায় আবাসিকের ঈদগাহ প্রাঙ্গণে আইন শৃংখলা ও সামাজিক নিরাপত্তা রক্ষা বিষয়ে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ ইউনুছ আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেসিসি ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্জ শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ, খানজাহান আলী থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ^াস, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী আলহাজ্জ মোড়ল আব্দুস সোবহান, কেসিসি ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, ওয়ার্ড পুলিশিং কমিটির সভাপতি মাষ্টার শাহজাহান হাওলাদার, আওয়ামী লীগ নেতা এফ এম জাহিদ হাসান জাকির, বিশিষ্ট আইনজীবি ্এ্যাডঃ আলিনুর রহমান। কেডিএ আবাসিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি শেখ রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ মনিরুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন, শ্রমিক নেতা শেখ আমজাদ হোসেন, শেখ আজাহার আলী, পুলিশ কর্তকর্তা হেমায়েত, থানা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আলামিন, মোস্তাফিজুর রহমান মানিক, সেকেন্দার আলী, কিবরিয়া, মহিলা নেত্রী শাহানাজ পারভিন শানু। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার ও রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মোড়েলগঞ্জে প্রতিবন্ধীদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ
স্টাফ রিপোর্টার
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে নারী ও শিশু প্রতিবন্ধীদের মাঝে শনিবার সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা চত্বরে উপকরণ বিতরণীতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ এ্যাড. মো. শাহ-ই-আলম বাচ্চু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দোলোয়ার হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা খানম।
কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে যুক্তরাজ্যের দাতাসংস্থা ইউকে এইডের সহযোগিতায় সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্য সেবা (ইএইচডি) প্রকল্পের পক্ষ থেকে উপজেলা পরিষদে ইএইচডি প্রকল্পের অন্যতম বাস্তবায়নকারী সংস্থা সিবিএম এবং ডিআরআরএ আওতায় অনুষ্ঠিত বিতরণীতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মুক্তি সেবা সংস্থার (কেএমএসএস) ইএইচডি প্রকল্পের আরবান হেল্থ কো-অর্ডিনেটর মোঃ মহিউদ্দীন, মোঃ মিজানুর রহমান প্রমুখ। উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ৬ জন প্রতিবন্ধীর মাঝে এই সহায়ক উপকরন বিতরণ করা হয়।
মোড়েলগঞ্জে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি গৃহ হস্তান্তর
এম.পলাশ শরীফ, স্টাফ রিপোর্টার
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে শনিবার অনুষ্ঠানিকভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি ও গৃহের দলিলপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভিডি কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে সারা দেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ধোধনীর দিনে এসব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে চাবি দলিলপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ এ্যাড. মো. শাহ-ই-আলম বাচ্চু এ সব পরিবারের মাঝে চাবি ও দলিলপত্র হস্তান্তর করেন। এ সময় অন্যান্য মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দোলোয়ার হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা খানম, মোড়েলগঞ্জ প্রেস ক্লাব সভাপতি এইচএম মইনুল ইসলাম, ৮নং বনগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান রিপন দাস প্রমুখ।
যশোরে ঠিকাদারের কাছে চাঁদাদাবি ও ছিনতাই ছুরিকাঘাতের ঘটনায় মামলা
যশোর অফিস
সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের জগহাটি কমলাপুর সড়কে রাস্তার কাজে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ঠিকাদারের কাছে মোটা অংকের চাঁদা চেয়ে দুই দফায় দফায় হামলা করে দেড়লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। এ সময় চাঁদার দাবিতে একটি ঘরে অবৈধভাবে আটক করে রেখে মারপিটের এক পর্যায় ছুরিকাঘাতের ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় ৬ সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার আসামীরা হচ্ছে, যশোর সদর উপজেলার জগহাটি গ্রামের সিরাজের ছেলে বাচ্চু,সামাদ ঢালীর ছেলে রাজ্জাক,শহর মল্লিকের ছেলে নবাব আলী, আনছার ঢালীর ছেলে মুক্তার, মৃত আরশাদের ছেলে আনিছুর রহমান ও মৃত সোনা ঢালীর ছেলে শিপন ঢালীসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।
যশোরের চৌগাছা উপজেলার ইছাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমানে যশোর শহরতলী পালবাড়ী রয়েল কমিউনিটি সেন্টার মোড় মনোয়ার হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত ইউসুফ আলী মৃধার ছেলে সাবির আহমেদ বাদি হয়ে শুক্রবার ২২ জানুয়ারী রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, তার বড় ভাই মহিদুল ইসলাম মিন্ট মৃধা পেশায় একজন সরকারী ঠিকাদার ব্যবসায়ী। যশোর সদর উপজেলার জগহাটি কমলাপুর সড়কে ঠিকাদারীর কাজ পেয়ে গত ২ মাস পূর্ব হতে রাস্তার কাজ শুরু করে। সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা বিভিন্ন সময় উক্ত রাস্তার উপর কাজের সময় এসে মহিদুল ইসলামের কাছে চাঁদার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে রাজী না হলে চাঁদাবাজরা মহিদুল ইসলামকে খুন জখমের হুমকী দেয়। গত ১৯ জানুয়ারী বিকেল ৩ টায় জগহাটি রাস্তার দক্ষিণ মাথায় কাজ শুরুর প্রথম স্থানে চাঁদাবাজরা এসে মহিদুল ইসলামের কাছে চাঁদার টাকা দাবি করে। বাচ্চু ওই দিন সহযোগী চাঁদাবাজদের সহযোগীতায় ঠিকাদারের কাছ থেকে জোর পূর্বক ৫০ হাজার টাকা চাঁদা স্বরুপ ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ২১ জানুয়ারী সকাল ১০ টায় জগহাটি স্কুল মোড়ে কাজ চলার স্থানে কাজ দেখার জন্য মোটর সাইকেল যোগে ঠিকাদার মহিদুল ইসলাম হাজির হলে উক্ত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধভাবে ঠিকাদার মহিদুল ইসলামের কাছে এসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। মহিদুল ইসলাম চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তার সাথে থাকা শ্রমিক লেবারদের কাজ বন্ধ করে দেয়। বাচ্চু ধারালো চাকু দিয়ে মহিদুল ইসলামকে আঘাত করতে গেলে মহিদুল ইসলাম হেলমেট দিয়ে উক্ত আঘাত প্রতিহত করে। এর পর উক্ত চাঁদাবাজরা মহিদুল ইসলামকে উক্ত স্থান হতে জোর পূর্বক জগহাটি স্কুলের একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে অবৈধভাবে আটক করে। বাচ্চুর হুকুমে সহযোগীরা সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা মহিদুল ইসলামকে আঘাত করে। বাচ্চু ধারালো চাকু দিয়ে ঠিকাদারের বাকের বাম পাশে কলারের নিচে আঘাত করে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। বাচ্চু মহিদুল ইসলামের পকেটে থাকা নগদ ১লাখ টাকা চাঁদা স্বরুপ ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার সময় আশে পাশের্^র লোকজন ও কাজের সাইড ম্যানেজার ঠেকাতে চেষ্টা করলে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা মহিদুল ইসলামকে এ বিষয়ে কেস মামলা করলে খুন জখমের হুমকী দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। গুরুতর আহত অবস্থায় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের রাস্তায় অবস্থান করায় শহরে নিতে না পেরে মহিদুল ইসলামকে চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করে।
যশোরে ইজিবাইকে যাত্রী সেজে দস্যুতা আটক ১
যশোর অফিস
ডিবি পুলিশ পরিচয়ে দিন দুপুরে ইজিবাইকের চালকের সহযোগীতায় দস্যুতার ঘটনায় স্থানীয় জনগনের সহায়তায় রানা মোল্যা নামে এক দস্যুকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় শুক্রবার মামলা হয়েছে। মামলায় আসামীরা হচ্ছে, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ীয়া গ্রামের নজরুল মোল্যার ছেলে রানা মোল্যা,একই উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের মুন্না ও অজ্ঞাতনামা ইজিবাইকের চালক।
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার শাহাপুর ঘিঘাটি গ্রামের আতিয়ার রহমানের মেয়ে যশোর শহরের খড়কী এমএম কলেজের সামনে শিশির এর ছাত্রী হোস্টেলের ছাত্রী রিপনা খাতুন কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন,শুক্রবার ২২ জানুয়ারী দুপুর সাড়ে ১২ টায় তিনি তার বন্ধু চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে শিহাব ও রিপনা খাতুন একটি ইজিবাইকে যশোর উপশহর এলাকা থেকে ওঠে। তারা মনিহারের দিকে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ইজিবাইকে উঠার সময় উক্ত স্থান থেকে রানা মোল্যা উঠে। কিছুদূর যাওয়ার পর মুন্না উক্ত ইজিবাইকে ওঠে ইজিবাইকে উঠার পর রানা মোল্যা রিপনা খাতুনের কাছে তাদের মধ্যে সম্পর্ক জানতে চাইলে সে জানায় তার বন্ধু। জানার সাথে সাথে রানা মোল্যা ও মুন্না তাদের গালিগালাজের এক পর্যায় নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদেরকে জিম্মি করে। মনিহার এলাকায় যাওয়ার পর ইজিবাইক থেকে শিহাবকে জোর পূর্বক নামিয়ে দেয়। পরে উক্ত ইজিবাইক ডিবি অফিসে যাওয়ার কথা বলে পালবাড়ি মোড় এলাকায় যায়। পথিমধ্যে রিপনা খাতুনের কাছ থেকে নগদ ৫০ টাকা ও ১২ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। ইজিবাইকটি পালবাড়ী মোড় এলাকা দিয়ে যাওয়ার এক পর্যায় রানা মোল্যা ইজিবাইক থেকে নেমে দৌড়ে পালালোন চেষ্টা করলে রিপনা খাতুন চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন ও জনগন এগিয়ে এসে রানা মোল্যাকে ধরে ফেলে। এ সময় তার সহযোগী অপর সহযোগী মুন্না ও ইজিবাইকসহ চালক দ্রুত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে রানা মোল্যার দখল হতে মোবাইল ফোন ও টাকা উদ্ধার করে। পরে পুলিশে খবর দিয়ে হস্তান্তর করে। শনিবার রানা মোল্যাকে আদালতে সোপর্দ করে।
চৌগাছায় ফেনসিডিলসহ যুবক গ্রেফতার
যশোর অফিস
র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা শনিবার ২৩ জানুয়ারী দুপুর ১২ টায় যশোরের চৌগাছা উপজেলার দেবীপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭৫ বোতল ফেনসিডিলসহ খবিরুল ইসলাম নামে এক মাদকবহনকারীকে গ্রেফতার করেছে। সে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার আটলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
র্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস দল শনিবার দুপুর ১২ টায় চৌগাছা উপজেলার দেবীপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় দেবীপুর বাজার মোড়স্থ সারা কনফেকশনারীর সামনে কোট চাঁদপুর হতে চৌগাছাগামী পাকা রাস্তার পশ্চিম পাশের্^ অভিযান চালিয়ে খবিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। পরে তার দখল হতে ৭৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। পরে তাকে চৌগাছা থানায় সোপর্দ করে মাদক আইনে মামলা করেছে।
জমিসহ ঘর পেয়ে উচ্ছ্বসিত যশোরের ৬শ’৬৬ পরিবার
যশোর অফিস
যশোরে জেলার ৮টি উপজেলায় প্রথম ধাপে ৬শ’৬৬টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে। আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধনের পর সুবিধাভোগীদের জমির দলিলসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়। জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এসব দলিল হস্তান্তর করেন।
এদিকে জমিসহ নতুন ঘর পেয়ে উচ্ছ্বসিত সুবিধাভোগীরা। মাথা গোঁজার ঠাই করে দেয়ায় তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
দলিল হস্তান্তরকালে উপিস্থত ছিলেন যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নূরজাহান ইসলাম নিরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামানসহ সরকারি কর্মকর্তাগণ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদানের উদ্যোগ নেন। তারই অংশ হিসেবে যশোরের ৮ উপজেলায় এক হাজার ৭৩টি পরিবারকে জমিসহ নুতন ঘর দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আজ প্রথম ধাপে ৬শ’৬৬টি পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান করা হলো। বাকী ৪শ’ ৭ পরিবারকে দ্রুততম সময়ে জমি ও ঘর হস্তান্তর করা হবে। প্রথম পর্যায়ে যশোর সদর উপজেলায় ২৯০টি, ঝিকরগাছায় ১৯টি. চৌগাছায় ২৫টি, মণিরামপুরে ১৯৯টি, অভয়নগরে ৫৭টি, কেশবপুরে ১২টি ও শার্শা উপলোয় ৫০টি জমিসহ ঘর বুঝে পেয়েছেন সুবিধাভোগীরা।
এদিকে জমিসহ নতুন ঘর পেয়ে উচ্ছ্বসিত সুবিধাভোগীরা। মাথা গোঁজার ঠাই করে দেয়ায় তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
শাহিনূর বেগম নামে একজন উপকারভোগী বলেন, আমার জায়গা জমি ছিলো না। পরের বাড়ি কাজকর্ম করতাম ও ভাড়া বাড়িতে থাকতাম। জীবনে অনেক কষ্ট করেছি। এখন আমাদের মা জননি হাসিনা জায়গা দিয়েছে ঘর দিয়েছে আমি তাতে অনেক খুশি। তার জন্য নামাজ পড়ে মোনাজাত করবো। আমাদের মত গরীবদের পাশে যেন সে সারাজীবন থাকতে পারে। আমাদের চোখের পানিটা যেন মুছে যায়। দোয়া করি প্রধানমন্ত্রী সারা পৃথিবীর কাছে সম্মান পায়।
হাবিল উদ্দীন নামে অপর একজন সুবিধাভোগী বলেন, আমাদের সংসারে পাঁচজন লোক। মাঠে ঘাটে কাজ করে খাই। আমার কোন জমি নেই। প্রধানমন্ত্রী জমি দেছে, ঘর দেছে। এ পেয়ে আমি খুব খুশি। বিনামূল্যে জমি-ঘর পাবো কোনদিন ভাবিনি।
স্বপন শেখ নামে আরেকজন বলেন, আমার বাড়ি রুপদিয়া। আমরা পরের ভিটায় থাকি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমারে জমিসহ ঘর দেছে। আমার সন্তানদের নিয়ে পরের জমিতে থাকতি হবে না। এখন আমি আর ভূমিহীন ঘরহীন না। আমি প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করি। তিনি যেন মানুষের কল্যাণে আরো কাজ করতে পারেন।
তালায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি ও গৃহ প্রদান
ইলিয়াস হোসেন, তালা
“আশ্রায়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় মুজিববর্য উপলক্ষে সাতক্ষীরা তালায় ৭৫টি পরিবারের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে। শনিবার( ২৩ জানুয়ারি) শিল্পকলা একাডেমীতে, তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তারিফ-উল-হাসান এর সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার জেলা পরিষদ সদস্য সাংবাদিক মীর জাকির হোসেন এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার এর সঞ্চলনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তালা সার্কেল হুমায়ূন কবির, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমান, সহকারী কমিশনার ভূমি এস এম তারেক সুলতান, তালা থানার অফিসার মেহেদী রাসেল, উত্তরন পরিচালক মোঃ শহিদুল ইসলাম, তালা মুক্তিযোদ্ধা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ এনামুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার মফিজ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন জোয়াদ্দার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা মোঃ ওবায়দুল হক, খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আজিজুর রহমান রাজু, কুমিরা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আজিজুল ইসলামসহ সকল ইউপি চেয়ারম্যানগন, মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রহমান, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রনব ঘোষ বাবলু, তালা সদর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আব্দুল জব্বার, তালা সদর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ আকবর হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সাদী, সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান, উপকার ভোগী নাজমা বেগম, সিদ্দিক সরকার প্রমুখ।
শীতলপুর কুলসুমিয়া এতিমখানা পরিদশর্শনে উপজেলা চেয়ারম্যান
আশাশুনি প্রতিনিধি
আশাশুনি উপজেলার শীতলপুর কুলসুমিয়া এতিমখানা পরিদর্শন ও মতবিনিময় করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম। শনিবার দুপুরে তিনি মাদরাসা পরিদর্শনে যান।
এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আলহাজ্ব আকরামুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম। অনুষ্ঠানে এতিমখানার সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনি, প্রতিষ্ঠাতার পুত্র তায়হান হোসেন তোহা, এতিমখানার হুজুর হাফেজ আছাদুল ইসলাম, হাফেজ আজম আলী প্রমুখ আলোচনা রাখেন। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ আজম আলী। প্রধান অতিথি মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তূক বরাদ্দকৃত অনুদানের ৪৪ হাজার টাকা প্রদান করেন।
জাতীয় শ্রমিক লীগ ডুমুরিয়া থানা সভাপতির মা জামিরণ বিবি এবং সাধারণ সম্পাদকের স্ত্রী ফাতেমা বিপ্লবীর স্মরণসভা
খবর বিজ্ঞপ্তি
জাতীয় শ্রমিক লীগ, ডুমুরিয়া থানা শাখার সভাপতি ইসমাইল বিশ্বাসের মাতা প্রয়াত জামিরণ বিবি এবং সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম লিটুর সহধর্মিনী ও খুলনা জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত ফাতেমা বিপ্লবীর স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল আজ ২৩ জানুয়ারি শনিবার বাদ মাগরিব ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব থানা সভাপতি ইসমাইল বিশ্বাস ও পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম লিটু। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ পীর আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাওলাদার, প্রচার সম্পাদক শেখ মঈনুল ইসলাম মোহন, ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহা নেওয়াজ হোসেন জোয়ার্দ্দার, দপ্তর সম্পাদক আবু বক্কর খান, বটিয়াঘাটা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহাগ হাওলাদার, জলমা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ সভাপতি মনিরুল ইসলাম, আসগর হোসেন জোয়ার্দ্দার, শিলা রানী ম-ল, শ্রমিক নেতা এরশাদ মোল্লা, সোহেল রানা, মোল্লা সোহেল, হালিম সরদার, কামাল বাওয়ালী, মণীষা ম-ল প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন হযরত মাওলানা আব্দুল গফুর।
ডুমুরিয়ার চেচুড়ি প্রতিবন্ধীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
ডুমুরিয়ায় ধামালিয়া ইউনিয়নে চেচুড়ি এলাকায় প্রভাতী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়েছে।গতকাল শনিবার দুপুরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির আয়োজনে দুঃস্থ প্রতিবন্ধীর মাঝে ১১২টি কম্বল বিতরন করা হয়।বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম মোড়লের সভাপতিত্বে আয়োজিত বিতরনী সভায় প্রধান অতিথি অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল জলিল। ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক গাজী আঃ সালামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যদেন ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি মাষ্টার শহিদুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান।বক্তব্যদেন আ’লীগ নেতা পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি গাজী সামছুর রহমান ইউপি সদস্য নওশাদ আলম বাহারুল,শাহিদা খাতুন প্রমূখ। নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত ১১২জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতি বছরের ন্যায় শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়েছে,যা অব্যাহত থাকবে সভাপতির বক্তব্যে সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা আবুল কালাম মোড়ল এসব কথা বলেন।
শিক্ষাবিদ এস এম আব্দুল জলিলকে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সংবর্ধনা
খবর বিজ্ঞপ্তি
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বঙ্গবাসী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক এস এম আব্দুল জলিল খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনোনীত হওয়ায় গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫টায় ১০নং ওয়ার্ড বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। ১০নং ওয়ার্ড বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সভাপতি মুন্সি মোঃ মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংবর্ধিত অতিথি শিক্ষাবিদ এস এম আব্দুল জলিল, বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এম আলম, আ’লীগ নেতা তৈয়েবুর রহমান, ফরিদপুর জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি খান আকরামুজ্জামান, সরকারি বি এল কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ শামীম, খুলনা প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত সহকারী সম্পাদক এস এম নূর হাসান জনি, খুলনা মহানগর বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সাধারন সম্পাদক ডা:
সায়েম মিয়া, আ’লীগ নেতা ওয়ালিউর রহমান,শরীফ ক্বারী মিজানুর রহমান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তালুকদার মশিউর রহমান লিটন, মিজানুর রহমান, ইমরুল কাওছার প্রমূখ।
কুষ্টিয়ায় হঠাৎ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গত কয়েকদিনে শতাধিক শিশু হাসপাতালে ভর্তি!
মোঃ রেজাউর রহমান তনু
কুষ্টিয়ায় হঠাৎ করেই শীত জনিত কারণে শিশুদের অসুখের বেড়েছে। গত কয়েকদিনে কুষ্টিয়ায় শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তাদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের। তবে আক্রান্তের মধ্যে ০-৫ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যাই বেশী এবং তীব্র শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ (এআরআই), জ্বর, ঠান্ডা কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত বলে ওয়ার্ড সুত্রে জানা গেছে । গত কয়েকদিনে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের বর্হিরবিভাগসহ শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়েছে প্রায় হাজার খানেক শিশু রোগী । তবে ০-৬ মাসের কম বয়সী শিশুরা এআরআই রোগে অধিক সংখ্যায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানান চিকিৎসকরা। এদিকে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের মাত্র ২০ টি বেড থাকলেও সেখানে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ২১ জন শিশু রোগী ভর্তিসহ বারান্দা ও মেঝেতে যত্র তত্র বিছানা করে চিকিৎসা নিচ্ছে ৮০ জন শিশু রোগী। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশু ও স্বজনদের ভীড়ে শিশু ওয়ার্ডটি যেন মেছোহাটে পরিণত হয়েছে। কর্তব্যর এক নার্স জানান,এখন মাত্র ২০টি শয্যার স্থলে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৮০ জন রোগী। তাদের চিকিৎসা সেবা দিতে সিনিয়র নার্সসহ বেশ কয়েক ছাত্রী নার্স রীতিমত হিমসিম খেতে হচ্ছে । প্রতিদিন যত রোগী চিকিৎসা পেয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরছে তার চেয়ে দিগুন আবার ভর্তি হচ্ছে বলে জানান ওই নার্স।এছাড়া ও ওয়ার্ডের জায়গা না পেয়ে মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলে জানাগেল, চিকিৎসাধীন রোগীদের বেশীর ভাগই জ্বর, কাশি, ঠান্ডা জ্বরে ভূগছে শিশুরা। ২০১২ সালে ৩ মার্চ ৫শ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই মেডিকেল কলেজ ৩ বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ৯ বছরে কাজ হয়েছে অর্ধেক। যা কুষ্টিয়াবাসীর জন্য হতাশার এবং মেডিকেলে গিয়ে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার স্বপ্ন একন দুঃস্বপ্ন হতে চলেছে। ঠিক সময়ে কাজ শেষ হলে ২০১৫ সালে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী ভর্তিসহ চিকিৎসা সেবা পেতো কুষ্টিয়াসহ আশেপাশের জেলার রোগীরা।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে কেশবপুরে গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমির দলিল হস্তান্তর
আলমগীর হোসেন কেশবপুর প্রতিনিধি:
যশোরের কেশবপুরে মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন পরিবারকে জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের সকল জেলায় একযোগে এ কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে এ উপজেলায় উপকারভোগীদের মধ্যে এসব হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় কেশবপুর উপজেলা পরিষদের হলরুমে ১২টি উপকারভোগী পরিবারের মাঝে চাবি ও দলিল হস্তান্তর করেন স্থানীয় সরকার বিভাগ যশোরের উপ-পরিচালক হোসাইন শওকত, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পলাশ কুমার মল্লিক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা সাদেক। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আমীর হোসেন, সহ সভাপতি তপন কুমার ঘোষ, সহ সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম পিটু, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জামান খান, সাধারণ স¤পাদক জয়দেব চক্রবর্ত্তী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উৎপল দে, সহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ডুমুরিয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আ’লীগ নেতা সাংবাদিক জাহাঙ্গীরের গনসংযোগ
ডুমুুরিয়া প্রতিনিধি
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ণ প্রত্যাশী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর আলম দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছেন। গত শুক্রবার রাতে মৃত্যুবরণ করেন মির্জাপুর গ্রামের মৃত রামকৃষ্ণ বিশ্বানের স্ত্রী শতবর্ষী দিব্যদাসী বিশ্বাস (১০৮)। খবর পেয়েই গতকাল শনিবার ভোরেই হাজির হন সাংবাদিক জাহাঙ্গীর ওই বাড়ি। তিনি সকলকে সান্তনা দেন। দুপুরে খড়িয়া মির্জাপুর মঠে তাঁর অন্তেষ্ট্রিক্রিযায় অংশ নেন। দুপুর আড়াইটায় মির্জাপুর গ্রামের সত্য বৈরাগীর ছেলে অসুস্থ হিমেল বৈরাগীকে দেখতে যান। তার চিকিৎসার খোজঁ খবর নেন। রাতে মির্জাপুর মধ্যপাড়ার উদ্যেগে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত গাজীর গানের পালায় আগতদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এছাড়া দক্ষিণ ডুমুরিয়া গ্রামের ঢালীপাড়া, মোড়লপাড়াসহ বেশ কয়েকটি পাড়ায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষেন সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেণ। এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আজমত শেখ, রেজাউল শেখ, রবিউল মোল্লা, জাকির মোল্লা, শাইদুল মোড়ল, হারুনুর রশিদ বাবু, মোজাম্মেল হক মোহন, জাফর মোড়ল, বাধণ মন্ডল, জাহাঙ্গীর মোড়ল প্রমুখ।
আশাশুনীতে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দু’দিন ব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ
খবর বিজ্ঞপ্তি
সাতক্ষীরার আশাশুনীতে দু’দিন ব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্র ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে দিন ব্যাপী উপজেলার মাড়িয়ালা বাজারে এর আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণে গোপালগঞ্জ-খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা – পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প (এসআরডিআই অংগ)’র আওতায় শ্রীউলা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত ৬০জন করে ১২০জন কৃষক ও কিষানী অংশ গ্রহন করেন।
কৃষকদের মাটির নমুনা পরীক্ষা, সুষম সার ব্যবহার ও ভেজাল সার সনাক্তকরণের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রকল্প পরিচালক শচীন্দ্রনাথ বিশ্বাস। প্রশিক্ষণ প্রদান করেন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কর্মকর্তা অমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, যশোরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জি এম মোস্তাফিজুর রহমান ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শামসুন নাহার রতœা।
এদিকে শ্যামনগর উপজেলার চাঁদনীমুখা সরককারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে মঙ্গল ও বুধবার দু’দিন ব্যাপী সকাল ১০টা থেকে দিন ব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষনের আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষনে গোপালগঞ্জ-খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা – পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প (এসআরডিআই অংগ)’র আওতায় গাবুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত ৬০জন করে ১২০জন কৃষক ও কিষানী অংশ গ্রহন করেন।
বাগেরহাটে দুই শিশু হত্যাঃ হয়রানিমূলক মামলা থেকে রক্ষা পেতে মানববন্ধন
বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের চিতলমারীতে একই পরিবারের দুই শিশুকে হত্যা করে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা ও বাড়ি ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন হলেও, নিরাপরাধ আসামীরা ফিরতে পারছেন না বাড়িতে।আবারও নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে মামলার বাদী আওয়ামী লীগ নেতা কাওছার তালুকদার ও তার পরিবোর।শনিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে চিহ্নিত হত্যাকারীদের বিচার ও নিরাপরাধ ব্যক্তিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবিতে দুই শতাধিক এলাকাবাসী এই মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বাগেরহাটের চাঞ্চল্যকর শিশু খালিদ ও রিফাত হত্যা মামলার আসামী মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান তালুকদার বাদশা, সাইদুর রহমান, মেরিনা বেগম, সবুর তালুকদার, রহিমা বেগম, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আইয়ুব আলী, সোবহান শেখ, মোঃ মিজানুর রহমান, বাবর আলী তালুকদার, শিহাব তালুকদারসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, ২০১৯ সালে চিতলমারী উপজেলার চৌদ্দহাজারি গ্রামের কাউছার তালুকদার ও তার ভাই মান্নান তালুকদার প্রতিবেশীদের ফাসাতে এবং এলাকা থেকে উচ্ছেদ করতে তাদের পরিবারের দুই শিশু খালিদ ও রিফাতকে হত্যা করে।পরবর্তীতে খালিদ হত্যা মামলায় কাউছার তালুকদার মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান তালুকদার বাদশার পরিবারের ১৯ সদস্যের নামে মামলা দেয়।রিফাত হত্যা মামলায়ও আরও ১৬ জনের নামে মামলা দেয়।দুটি মামলায় আমরা অনেক আসামী জেল খেটেছে। বর্তমানে আমরা বেশিরভাগ আসামী জামিনে রয়েছে। কিন্তু বাদীদের অত্যাচারে বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। সত্য কখনও চাপা থাকে না। রিফাত হত্যা মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বাগেরহাট কার্যালয়ের প্রেসব্রিফিংয়ে রিফাত হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন করেন।প্রেসব্রিফিংয়ে সংস্থাটির খুলনা বিভাগীয় প্রধান বিশেষ পুলিশ সুপার আতিকুর রহমান মিয়া জানান, জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকায় একই বংশের প্রতিপক্ষকে ফাসাঁতে রিফাতুল তালুকদারকে হত্যা করে রিফাতের চাচাতো ভাই ইকবাল তালুকদার ও সাকিব তালুকদার।মান্নান তালুকদারের ভাইয়ের ছেলে ইকবাল, সাকিব ও আত্মীয় হাফিজুর রহমান ছোট আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, এটা দিনের মত স্পষ্ট যে স্থানীয়দের ফাসাতে রিফাতকে হত্যা করেছে তার পরিবার। তারপরও রিফাত হত্যা মামলার আসামীদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিচ্ছেন না পুলিশ। আমাদেরকে ফাসাতে খালিদকেও একই ভাবে হত্যা করেছে তার পরিবার। কাউছার তালুকদার ও তার ভাই শুধু তার প্রতিবেশী মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান তালুকদার বাদশা‘র বাড়ি, ঘর লুট ও ঘের দখল করেনি স্থানীয় অর্ধশতাধিক মানুষের বাড়ি ঘর লুট করেছেন। হত্যা মামলার আসামী দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে বিপুল পরিমান চাঁদা তুলেছেন। যারা চাঁদা দেয়নি তাদেরকে মারধর করেছেন।এমনকি অনেককে মামলার আসামীও করেছেন। এক কথায় চৌদ্দ হাজারী গ্রামটিকে অসান্ত করে তুলেছে কাউছার তালুকদার ও তার ভাইয়েরা। আমরা এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চাই।মূল হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় এনে নিরাপরাধ ব্যক্তিদের অব্যহতি দিয়ে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তারা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, পিবিআই ও সিআইডি হত্যার রহস্য উন্মোচন এবং হত্যাকারীদের চিহ্নিত করার পরেও যারা হত্যার সাথে জড়িত নয় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে না। বরং কাউছার তালুকদার ও তার ভাইয়েরা এই হত্যাকান্ডকে পূজি করে স্থানীয়দের উপর অত্যাচার করে যাচ্ছে। লুটপাট চালাচ্ছে হরদম।
বাগেরহাটে ৩‘শ৩৮ ভূমিহীন পেলেন নতুন ঘরের চাবি
বাগেরহাট প্রতিনিধি
সারাদেশের সাথে একযোগে বাগেরহাটেও ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত ৩শ ৩৮টি ঘর উদ্বোদ্ধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এই ঘরের উদ্বোধন করেন। পরে বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই উপজেলার ৫২ জন ভূমিহীনের হাতে ঘরের চাবি, জমির দলিল ও সনদপত্র তুলে দেন জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক। এসময় বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ভুইয়া হেমায়েত উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ শাহিনুজ্জামান, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, বাগেরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক এমএ মতিন, বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম আজিজুল ইসলাম, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম, খানপুর ইউনিয়ণ পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির ফহম উদ্দিনসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
“আশ্রয়নের অধিকার-শেখ হাসিনার উপহার” এই স্লোগান নিয়ে আশ্র্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলায় ৪‘শ ৩৩টি ঘর নির্মান করা হচ্ছে। এর মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৫২, কচুয়ায় ৩০, চিতলমারী ১৭, মোল্লাহাটে ৩৫, ফকিরহাটে ৩০, রামপালে ১০, মোংলায় ৫০, মোরেলগঞ্জে ৬ এবং শরণখোলা উপজেলায় ১‘শ৯৭টি ঘর নির্মান করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৩‘শ ৩৮ টি ঘর নির্মান সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট ঘর গুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে নির্মান শেষ হবে।
নওয়াপাড়া বন্ধু সংসদ এর আয়োজনে মরহুম আসলাম হোসেন স্বরণে দোয় অনুষ্ঠিত
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি-
নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক নওয়াপাড়া পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মরহুম আসলাম হোসেনের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকালে নওয়াপাড়া বন্ধু সংসদ এর উদ্দ্যেগে সংগঠনের বেঙ্গল রেলগেটস্থ প্রধান কার্যলয়ে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলের সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের সভাপতি জালাল আহম্মেদ ভূইয়া। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল ইসলাম মল্লিক, উপদেষ্টা মাষ্টার ফারুক হোসেন, দৈনিক নওয়াপাড়ার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হারুন আর রশিদ, জিএম সাইফুল ইসলাম পারভেজ, প্রেস ক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক মাসুদ তাজ, কামরুল হাসান, ক্রীড়া সম্পাদক এফ এম আলাউদ্দিন, নওয়াপাড়া বন্ধু সংসদ এর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রিপানুর ইসলাম রিপন, সহ-সভাপতি শেখ জাবেদ আলী, সহ-সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম রুবেল, সাংগাঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেন লিটন, প্রেস ক্লাব সদস্য জাকির হোসেন হৃদয়, পিকুল হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, পৌর ৪নং ওয়ার্ডের সমাজসেবক আব্দুস সালাম শেখ, আলমগীর হোসেন মোল্ল্যা, । দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নওয়াপাড়া বেঙ্গল মিল জামে মসজিদের পেশ ইমাম জয়নুল আবেদিন।
অভয়নগরে ভূমি ও গৃহহীন ৫৭ পরিবার পেলো জমি ও বাড়ি
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ এই শ্লোগানে যশোরের অভয়নগরে ভূমি ও গৃহহীন ৫৭ পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান করা হয়েছে। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক জমি ও গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণার পর অভয়নগরের ৫৭ পরিবারকে জমি ও গৃহের মালিকানা স্বত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুসেইন খাঁনের সভাপতিত্বে জমি ও গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীর, নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুশান্ত কুমার দাস শান্ত, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেএম রফিকুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান তারু, মিনারা পারভীন, অভয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল, নওয়াপাড়া বাজার কমিটির সভাপতি গাজী নজরুল ইসলাম, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল ইসলাম মল্লিক, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফারুক হুসাইন সাগর, নওয়াপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়য়ের উপাধ্যক্ষ প্রশান্ত কুমার, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন, নাদির মোল্যা, বাবুল আক্তার প্রমুখ।
জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শে দুই শতাংশ জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক প্রথম পর্যায়ে ৬৬ হাজার ১৮৯টি পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হচ্ছে। গতকাল শনিবার ছিল জমিসহ গৃহ হস্তান্তরের দিন। এদিনে অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নে ১৭টি, চলিশিয়া ইউনিয়নে একটি, শ্রীধরপুর ইউনিয়নে ১৩টি, বাঘুটিয়া ইউনিয়নে একটি, শুভরাড়া ইউনিয়নে ৭টি, সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নে ৮টি ও নওয়াপাড়া পৌর এলাকায় ১১টি, মোট ৫৭টি পরিবারকে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর করা হয়। ৯ ফুট বাই ৯ ফুট ৮ ইঞ্চির দুইটি সেমিপাকা কক্ষ, সাথে একটি বারান্দা, একটি বাথরুম ও রান্নাঘর। দুর্যোগ সহনীয় একটি গৃহ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা।
মহেশপুরে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে খুশি ৬৪ গৃহহীন পরিবার
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি ঃ
‘আশ্রায়নের অধিকার শেখ হাচিনার উপহার’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মুজিবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান প্রকল্পের মাধ্যমে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অসহায় গরীব, ভূমিহীন ও গৃহহীন ৬৪ পরিবার পাচ্ছে মাথা গোঁজার ঠাঁই। গৃহহীন ৬৪ পরিবার তাদের স্বপ্নের বাড়ি পেয়ে আনন্দিত সবাই।
শনিবার সকাল ১০ টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধনের পর উপজেলার সুবিধাভোগী ৬৪ পরিবারের কাছে জমির দলিলসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়।
এ উপলক্ষে মহেশপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাংসদ এ্যাডঃ শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মইজদ্দিন হামিদ, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শাশ্বতী শীল,পিআইও মেহেরুননেছা,উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধি ও গৃহহীন পরিবারের সদস্যরা।
ফকিরহাটে ভূমিহীন ও গৃহহীন ৩০ পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান
ফকিরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ফকিরহাটে সারা দেশের ন্যায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন ৩০পরিবারের মাঝে জমি ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে। শনিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে গৃহহীনদের ঘর দেয়া অনুষ্ঠান শেষে ফকিরহাট উপজেলা অডিটরিয়ামে আনুষ্ঠানিক ভাবে ৩০টি পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: তানভীর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) রহিমা সুলতানা বুশরা এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাঈদা দিলরুবা সুলতানা। এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাহিদ সুজা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তহুরা থানম, সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শিরিনা আক্তার, পিলজংগ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খান শামিম জামান পলাশ, লখপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: অসিম কুমার সমাদ্দার, উপকারভোগী মো: রবিউল ইসলাম, আকলিমা বেগম প্রমূখ। এসময় বিভিন্ন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, সূধীজন সহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
ফকিরহাটে আন্ত: ইউনিয়ন ক্রিকেট প্রতিযোগিতার উদ্বোধন
ফকিরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে উপজেলা পরিষদ আন্ত: ইউনিয়ন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন শনিবার দুপুর ২টায় আট্টাকা কেরামত আলী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: তানভীর রহমানের সভাপতিত্বে বেলুন ও ফেষ্টুন উড়িয়ে খেলার উদ্বোধণ করেন প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাহিদ সুজা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তহুরা থানম। উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আলতাফ হোসেন টিপুর পরিচারনায় এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর ইউপি চেয়ারম্যান শিরিনা আক্তার, বাহিরদিয়া-মানসা ইউপি চেয়ারম্যান মো: রেজাউল করিম ফকির, মূলঘর ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড: হিটলার গোলদার, আট্টাকা স্কুলের সভাপতি মো: সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মো: আবু বকর, আট্টাকা স্পোটিং ক্লাবের মো: ইবারাত আলী, লিপন বিশ্বাস প্রমূখ। উদ্বোধনীতে ফকিরহাট সদর ইউনিয়ন বনাম বাহিরদিয়া-মানসা ইউনিয়নের মধ্যকার খেলা অনুষ্ঠিত হয়।