স্টাফ রিপোর্টার
নগরীর হরিণটানা থানা এলাকা, খুলনা জেলার দাকোপ থানা এবং যশোরের বেনাপোলে অভিযান চালিয়ে ইজিবাইক চালক জাহিদুর হাওলাদার (৪৯) হত্যাকান্ডে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২৪ ঘন্টার অভিযানে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত ইজিবাইক ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বাগেরহাট জেলা সদরের ভাতছালা গ্রামের মো. সালাম মোল্লার ছেলে সিরাজুল ইসলাম হৃদয় (১৯), খুলনা জেলার দাকোপ থানার নলিয়ান গ্রামের সায়েম খানের ছেলে বাপ্পী খান ওরফে রায়হান ওরফে চিতা (২০), একই গ্রামের বাবু গাজীর ছেলে নাজমুল গাজী ওরফে লাদেন (২৫), যশোর জেলা সদরের গাছগাছি গ্রামের মো. ইসা গাজীর ছেলে ইকবাল গাজী (৩০) ও বেনাপোল পোর্ট থানার ভবেরবেড় গ্রামের আসলাম মোল্লার ছেলে আসাদুল মোল্লা (২৮)।
কেএমপি জানায়, গত ১১ জুন কিবরিয়া হাওলাদার তার পিতা নিখোঁজ হয়েছে মর্মে হরিণটানা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। পরবর্তীতে ২২ জুন হরিণটানা থানা পুলিশ কেডিএর ময়ূর আবাসিকের ভিতরে স্টীলের ব্রীজের উত্তর পাশে ডিব্লকের প্লটে একটি লাশ পড়ে আছে মর্মে সংবাদ পায়। পুলিশ ইতোমধ্যে জিডির বাদীকে তার পরিবারের লোকজনসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করে। তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিধেয় বস্ত্র দেখে লাশটি তার পিতা জাহিদুর হাওলাদার (৪৯), পিতা-আয়ুব আলী হাওলাদার, সাং-শোভনা, থানা-ডুমুরিয়া, জেলা-খুলনা মর্মে সনাক্ত করে। এই ঘটনায় এজাহার প্রাপ্ত হয়ে হরিণটানা থানার মামলা নং-০৬, তাং-২২/০৬/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৭৯/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদের সনাক্ত করে এবং গ্রেপ্তাতারের জন্য হরিণটানা থানা এলাকা, খুলনা জেলার দাকোপ থানা এবং যশোরের বেনাপোলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় লুণ্ঠিত ইজিবাইক ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ ওই ৫জনকে গ্রেপ্তার করনা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আসামীরা কেডিএর ময়ূর আবাসিকের ভিতরে ঘোরার কথা বলে গল্লামারী হতে ভিকটিমের ইজিবাইক রিজার্ভ ভাড়া করে। আবাসিকের ভেতরে প্রবেশ করার পর সুযোগ বুঝে জোরপূর্বক ইজিবাইক ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে ভিকটিম বাধা প্রদান করে। তখন আসামীরা ছুরিকাঘাতের মাধ্যমে জাহিদুর হাওলাদারের মৃত্যু নিশ্চিত করে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়।