শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বদানের সক্ষমতা তৈরি করতে হবে : ইউজিসি চেয়ারম্যান

2
Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার।।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, সংবেদনশীল, মানবিক, উন্নত মানসিকতাসম্পন্ন দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে কিছু করাই হলো স্মার্ট। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্মার্ট হতে হলে মুক্তিবুদ্ধি ও সৃষ্টিশীল কাজের চর্চা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে তারা অন্যকে নেতৃত্ব দিতে পারে। এজন্য শিক্ষিত সমাজের মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আসতে হবে।
আজ ২৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১.৩০ মিনিটে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান স্কুল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তর আয়োজিত উগ্রবাদ প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে কারিকুলাম/কো-কারিকুলামে যুব নেতৃত্ব বিষয়ক কোর্স অন্তর্ভুক্তিকরণে অধিপরামর্শ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব আইনের দ্বারা পরিচালিত হয়। কারিকুলাম তৈরিতে তাদের স্বাধীনতা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে পাঠ্য বিষয়সমূহের পাশাপাশি লিডারশিপ বিষয়ে কোর্স অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ইউজিসি আরও খুশি হবে। তিনি এ ধরনের অধিপরামর্শ সভায় আয়োজন এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট করায় রূপান্তরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে। স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বগুণ তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আজকের এই শিক্ষার্থীরাই ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে এবং দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেবে। তিনি আরও বলেন, পরিবর্তন এককভাবে সম্ভব না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিবর্তন আনতে হবে। কারণ, সমাজকে বাদ দিয়ে কোনো কিছুই করা যায় না। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য বিষয়সমূহে স্বল্প পরিসরে হলেও এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্তি করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। স্বাগত বক্তৃতা করেন সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আবুসাঈদ খান। কি-নোট পেপার উপস্থাপন করেন অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. নাসিফ আহসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রূপান্তর এর প্রকল্প পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু।
মুক্ত আলোচনা পর্বে বক্তৃতা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর কামাল পাশা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক পুনম চক্রবর্তী, শেখ মারুফুর রহমান, নুসরাত জাহান বুশরা, সুমাইয়া অনন্যা পূর্ণা, উজ্জ্বল সাহা, মেহবুব হোসেন মিথুন। মুক্ত আলোচনা পর্ব সঞ্চালনা করেন রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম খোকন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৬টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও যুব নেতৃত্ব বিষয়ক কোর্সে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা এই সভায় অংশগ্রহণ করেন।

খুবিতে ‘এ’ ইউনিটে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আগামী শনিবার, পরীক্ষার্থী ৮৮৮৬
গুচ্ছ পদ্ধতিতে দেশের ২৪টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান বিভাগ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৭ এপ্রিল (শনিবার) অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ৮ হাজার ৮৮৬ জন পরীক্ষার্থীর আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যার মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১৬৬০৬৮ থেকে ১৭১৩৮০ রোল পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ৩১৩ জন, দেলদার আহমেদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৭১৩৮১ থেকে ১৭৩২০০ রোল পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৮২০ জন, হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ১৭৩২০১ থেকে ১৭৩৯৯৬ রোল পর্যন্ত মোট ৭৯৬ জন এবং রেভারেন্ড পলস্ হাই স্কুলে ১৭৩৯৯৭ থেকে ১৭৪৯৫৩ রোল পর্যন্ত মোট ৯৫৭ জন পরীক্ষার্থীর আসন রয়েছে। এ ছাড়াও এদিন বিকাল ৩.৩০ মিনিট থেকে ৪.৩০ মিনিট পর্যন্ত স্থাপত্য বিষয়ে বিশেষ অংকন পরীক্ষা শুধুমাত্র খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনসহ কোনো প্রকার ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাগ, বই নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট দিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে তাদেরকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হবে। কোনো অভিভাবক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে পরীক্ষা শুরুর নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে আসা পরীক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ অন্যান্য পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে গল্লামারী পুলিশ বক্সের মোড় থেকে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে। ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে আশপাশের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, র‌্যাব ও সাদা পোশাকে নিরাপত্তা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন কোনো সাংবাদিক পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে পারবেন না তবে, ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য-চিত্রের প্রয়োজন হলে ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালকের সাথে আগেই যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।