শামসুজ্জামান সেলিমের শোকসভা অনুষ্ঠিত
খবর বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র প্রেসিডিয়াম সদস্য আজীবন বিপ্লবী বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড শামসুজ্জামান সেলিমের শোকসভা খুলনা জেলা কমিটির উদ্যোগে আজ ০৫ সেপ্টেম্বর ’২৩ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পার্টির কার্যালয়ে জেলা সভাপতি ডা: মনোজ দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। শোক সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা সাধারণ সম্পাদক এস এ রশীদ, শেখ আব্দুল হান্নান, এইচ এম শাহাদাৎ, মিজানুর রহমান বাবু, এড. নিত্যানন্দ ঢালী, এড. চিত্তরঞ্জন গোলদার, মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল, এড. সন্দীপ রায়, যুবনেতা মৌফারশের আলম লেনিন, ছাত্রনেতা সৌমিত্র সৌরভ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মিল ইজারার যড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ নাগরিক পরিষদের
খবর বিজ্ঞপ্তি
সরকার ২০২০ সালের ২ জুলাই রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬টি পাটকল করোনা মহামারীর মধ্যে উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করে। তিন বছর পার হয়ে গেলেও মিলগুলি কোন ভাবে উৎপাদনে যেতে পারিনি। অতি সম্প্রতি খুলনাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পাটকল লিজ দেওয়া শুরু করেছে। খুলনা অঞ্চলে জেজেআই ও দৌলতপুর জুট মিল ইতোমধ্যে ইজারাদারদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল ৪ সেপ্টেম্বর পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের এক মতবিনিময় সভা থেকে পাটকল লীজ দেওয়ার জন্য তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা করা হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, মিলের শ্রমিকদের সমুদয় টাকা পরিশোধ না করে কোন ভাবে মিল চালু করতে পারে না। বিশেষভাবে অস্থায়ী শ্রমিক দিয়ে পরিচিত পাঁচটি পাটকল যারা এখন পর্যন্ত কোন টাকা তারা পাইনি। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে লীজ বাতিল করে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল রাষ্ট্রীয়ভাবে চালুর দাবী করেন। নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক এড. কুদরত -ই-খুদার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এস এ রশীদের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ডা. মনোজ দাস, গাজী নওশের আলী, জনার্দন দত্ত নান্টু, মোজাম্মেল হক খান, শামসেদ আলম শোমশের, নুরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান বাবু, আব্দুল করিম, শেখ আব্দুল হান্নান, অলিয়ার রহমান, মনির হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার, নুর মোহাম্মদ, কোহিনুর আক্তার কনা, শামস্ শারফিন শ্যামন, আলা আমিন শেখ প্রমুখ। সভায় আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মিলে মিলে সভা ও ১৩ সেপ্টেম্বর খালিশপুরে কর্মীসভার মধ্যে দিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
তেরখাদায় নদী ভাঙন পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্থদের খাদ্য সহায়তা প্রদানে জেলা আ’লীগ নেতা জামাল
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নে নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান জামাল। তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত সরকার ও আ’লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পাপিয়া সরোয়ার শিউলি, মোঃ জামিল খান, সরদার জাকির হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃ সালাম মোল্যা,কাজী আক্তার হোসেন, তেরখাদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শারাফাত হোসেন মুক্তি, জেলা যুবলীগের সাবেক নেতা খান আবু সাইদ, দিঘলিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শেখ মনিরুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য বিধান চন্দ্র রায়, তালিউর রহমান সানি, রেজাউল ইসলাম রেজা, আলমগীর ফকির,আরিফ চৌধুরী,আনিসুর রহমান,মোঃ আলামিন,ফারুক মৃধা,সাইফুল মৃধা,মনিরুল ইসলাম, মিনারুল ইসলাম, জাফরিন হাসান, মঞ্জুরুল ইসলাম মোড়ল, রাকিবুল ইসলাম সুমন,এ্যাড জাহিদ ইসলাম, সোহেল মোড়ল,আহসান আহম্মেদ পাভেল, তেরখাদা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম,মোনায়েম খান,স্বাধীন গাজী, আহম মোল্যা,ডাঃ পারভেজ ফকির,কামরান শিকদার, মাহবুব রহমান,জাকির হোসেন প্রমুখ।
শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সফরসূচি
তথ্য বিবরণী
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান পাঁচ দিনের সফরে আজ ৬ সেপ্টেম্বর রাতে খুলনা আসছেন।
সফরসূচি অনুযায়ী প্রতিমন্ত্রী ৭ সেপ্টেম্বর বাদ মাগরিব খুলনার দৌলতপুর রেলিগেটস্থ এ্যাডামস মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ খুলনা মহানগর ১ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন।
তিনি ৮ সেপ্টেম্বর বিকাল চারটায় যোগীপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বঙ্গবন্ধু কাপ ৩২ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের চুড়ান্ত খেলায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এবং বাদ মাগরিব দৌলতপুরের রেলিগেটস্থ এ্যাডামস মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ খুলনা মহানগর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন।
প্রতিমন্ত্রী ৯ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর শেখ মতিয়ার রহমান মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ খুলনা মহানগর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন। তিনি ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় মহেশ^রপাশা সালেহা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন। রাতে প্রতিমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশ্যে খুলনা ত্যাগ করবেন।
আশাশুনিতে দিবালোকে গ্রীল কেটে শিক্ষক দম্পত্তির বাড়িতে চুরি
জ্বলেমিন হোসেন,আশাশুনি
আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ফকড়াবাদ গ্রামে দিবালোকে শিক্ষকের বাড়িতে গ্রীল ও দরজা ভেঙ্গে নগদ টাকাসহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ফকরাবাদ গ্রামে মেইন সড়কের পপাশে শিক্ষক দম্পত্তির বাড়িতে এই চুরির ঘটনা ঘটে।
তেঁতুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম আবু সাদেক ও ফকরাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সেলিনা পারভিন জানান, তারা প্রতিদিনের মতো সকালে স্কুলে চলে যান। দুপুর ২ টার দিকে সেলিনা পারভিন টিফিনে বাড়িতে এসে দেখেন বাড়ি লন্ডভন্ড করে সবকিছু নিয়ে গেছে। তিনি সাথে সাথে তার স্বামীকে খবর দেন। জানতে পেরে এলাকার শত শত মানুষ তাদের বাড়িতে ভিড় জমায়। চোরেরা তাদের বাড়ি থেকে ১ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একটি বড় চেইন, ২টা রুলি, দুইটা নুপুর সহ আনুমানিক আড়াই লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকার এবং নগদ বিশ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।
আশাশুনি থানার এসআই আব্দুস সালাম ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছিল । উল্লেখ্য, ২০২২ সালে একইভাবে তাদোর বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছিল।
আশাশুনি প্রেসক্লাবে নবাগত অফিসার ইনচার্জের মত বিনিময়
জ্বলেমিন হোসেন,আশাশুনি
আশাশুনি প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিশ্বজীৎ কুমার অধিকারী। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় প্রেসক্লাবের স্থায়ী কার্যালয়ে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসক্লাব সভাপতি এস এম আহসান হাবিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস কে হাসানের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা রাখেন, নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আমি বিগত দিনে আশাশুনিতে থাকার কারণে এখানকার সব কিছু আমার জানা রয়েছে। বিগত দিনে আপনাদের সাথে আমার সুসম্পর্ক ছিলো আগামীতেও থাকবে। আপনারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তথ্য দিয়ে আমাকে সহযোগীতা করবেন, আমিও আপনাদের পাশে থাকবো। ইতোমধ্যে আমরা আশাশুনি থানা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ হাট, বাজার মোড়ে সিসি ক্যামেরা এবং রাত্রিকালিন নৈশ প্রহরীর ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছি। আশাশুনির বিভিন্ন প্রবেশ পথগুলো নির্নয় করে চেক পোস্টের মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্টা করছি। এখানে সব শ্রেণি পেশার মানুষের বসবাস। আমরা চাই সকলে মিলে মিশে বসবাস করবে। কিন্তু শান্তি প্রিয় থানা এলাকায় কেউ কোন অশান্তি করার চেষ্টা করলে তাদেরকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবে। আশাশুনির ৯০% মানুষ শান্তি প্রিয়। দুই এক জন দূষ্কৃতিকারী ব্যক্তির জন্য আশাশুনিকে অশান্ত হতে দেওয়া হবে না। আমার সরলতাকে কেউ আমার দুর্বলতা ভাববেন না। সরলতা একটি পারিবারিক শিক্ষা। তিনি আরও বলেন, বিগত দিনে আমি আশাশুনিতে কর্মরত থাকা কালিন শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠ ভাবে একটি নির্বাচন উপহার দিয়েছি। আগামীতে আপনাদের সহযোগীতায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই অবাদ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবো। এছাড়া আশাশুনি থানা এলাকা থেকে মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং, চাঁদাবাজীসহ সকল অপরাধ মূলক কর্মকান্ড নির্মুল করবেন বলে তিনি দৃঢ়ভাবে জানান। তিনি সাধারণ মানুষকে কোন দালাল বা সুপারিশ ছাড়াই থানায় যাওয়ার অনুরোধ জানান। মত বিনিময় সভায় সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল আলিম, যুগ্ম সম্পাদক শরীফুজ্জামান মুকুল শিকারী, সাংগঠনিক সম্পাদক আকাশ হোসেন, সাবেক সভাপতি জি এম আল ফারুক, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি আলী নেওয়াজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সমীর রায়, কোষাধক্ষ এম এম নুর আলম, দপ্তর সম্পাদক হাবিবুল্লাহ বিলালী, সিনিয়র সাংবাদিক সোহরাব হোসেন, গোলাম মোস্তফা, বোরহান উদ্দীন বুলু, জাকির হোসেন, জগদীশ চন্দ্র সানা, ইলিয়াস মোল্যা, শেখ বাদশা, ফয়জুল কবীর, শাহজাহান হাবিব, বাহবুল হাসনাইন, শেখ ইয়াছিন আরাফাত প্রমুখ।
আশাশুনির শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রফেসর আবুল কালাম
আশাশুনি প্রতিনিধি
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩ এ আশাশুনি উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কলেজ পর্যায়) প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন আশাশুনি সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল ককালাম আজাদ।
চৌকস প্রতিষ্ঠান প্রধান, কলেজ উন্নয়ন, শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষার পাশাপাশি ক্রীড়া, সাহিত্য, বিবিন্স প্রতিযোগিতামুলক কর্মকান্ডসহ সকল ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ও নান্দনিক উন্নয়ন সাধন এবং শিক্ষক- কর্মচারীদেরকে স্ব সস্ব দায়িত্ববোধ সম্পর্কে সচেতন করে গড়ে তোলার পাশাপাশি কাজের সুযোগ তৈরী ককরে দিয়ে সকলকে যোগ্য নেতৃত্বের অধিকারী করার মহৎ দায়িত্ব পালন করেছেন আধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ। যার ফলাফল ইতিমধ্যে দেখতে পেয়েছে কলেজ। আর সবশেষ তাকে উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসাবে নির্বাচিত করা যথার্থতা রয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ররফিকুল ইসলাম অধ্যক্ষ্যের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দিয়েছেন।
কাদাকাটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন
আশাশুনি প্রতিনিধি
আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র পরিদর্শন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা কর্মকর্তা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা: সুদীপ্ত সেন কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন। এসময় তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কার্যক্রম, রোগির সেবার মান, ঔষদের ব্যবহারসহ সার্বিক বিষয় সম্পর্কে খোঁজ খবর নন। তিনি আগত রোগিদের সাথে কথা বলেন।
আশাশুনি প্রেসক্লাবে সাতক্ষীরার সকালের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
আশাশুনি প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাতক্ষীরার সকাল পত্রিকার ১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আশাশুনি প্রেসক্লাব বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় দৈনিক সাতক্ষীরার সকাল এর আশাশুনি ব্যুরো প্রধান আলী নেওয়াজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিশ্বজীৎ কুমার।
দৈনিক সাতক্ষীরার সকাল আশাশুনি প্রতিনিধি শেখ বাদশা’র সঞ্চালনায় সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম ও পত্রিকার খুলনা জেলা প্রতিনিধি রাবিদ মাহমুদ চঞ্চল। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আশাশুনি প্রেসক্লাব সভাপতি এস এম আহসান হাবিব ও সাধারণ সম্পাদক এস কে হাসান। আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি বিশেষ অতিথিবৃন্দের সাথে নিয়ে কেক কেটে পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেন। অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল আলিম, যুগ্ম সম্পাদক শরীফুজ্জামান মুকুল শিকারী, সাংগঠনিক সম্পাদক আকাশ হোসেন, সাবেক সভাপতি জি এম আল ফারুক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সমীর রায়, কোষাধক্ষ এম এম নুর আলম, দপ্তর সম্পাদক হাবিবুল্লাহ বিলালী, সিনিয়র সাংবাদিক সোহরাব হোসেন, গোলাম মোস্তফা, বোরহান উদ্দীন বুলু, জাকির হোসেন, জগদীশ চন্দ্র সানা, ইলিয়াস মোল্যা, ফয়জুল কবীর, শাহজাহান হাবিব, বাহবুল হাসনাইন, শেখ ইয়াছিন আরাফাত, পত্রিকার কুল্যা প্রতিনিধি ই. এইচ সুজন, খাজরা প্রতিনিধি সুব্রত গোলদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা-১ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আশরাফুল আলম খানের দাকোপে গন সংযোগ
বাজুয়া (দাকোপ) প্রতিনিধি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-১ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম খান, মঙ্গলবার খুলনা-১ আসনের বটিয়াঘাটা -দাকোপ উপজেলায় নির্বাচনী গণসংযোগ করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য দিলীপ কুমার হালদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেত্রী চঞ্চলা মন্ডল, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মোশাররফ হোসেন, অরিন্দম গুলদার,
সাবেক ছাত্র নেতা হুমায়ুন কবির পলাশ, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিলন গোলদার, চেয়ারম্যান মোঃ আসাবুর রহমান আসাদ, মোঃ আসলাম তালুকদার, বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব মোতাহার হোসেন শিমু, মোঃ আব্দুল আহাদ শেখ, বিএম মাসুদ রানা, দলিল লেখক সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম অপু, মোঃ মুন্না বিশ্বাস, মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ লুৎফর রহমান, মোহাম্মদ ইনামুল গাজী মোহাম্মদ আসাদ শেখ, মোহাম্মদ আলী গাজী, সর্দার জাকির হোসেন প্রমুখ
আপনারা তথ্য দিন, আমরা আরও বেশী সেবা দিতে পারবো, রামপালে এএসপি তুষার
রামপাল (বাগেরহাট) সংবাদদাতা
রামপাল উপজেলার বৃহত্তর ফয়লাহাটের ব্যবসায়ীদের সাথে এএসপি (রামপাল-মোংলা সার্কেল) মো. মুশফিকুর রহমান তুষার আইন শৃঙ্খলা পরিস্হিতি স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা করেছেন।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টায় উপজেলার ফয়লাহাটের চাদিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এএসপি মো. মুশফিকুর রহমান তুষার, রামপাল থানার অফিসার ইন-চার্জ এস, এম আশরাফুল আলম, উজলকুড় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুন্সি বোরহান উদ্দিন জেড, সাবেক চেয়ারম্যান গাজী আক্তারুজ্জামান, আওয়ামীলীগ নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টোসহ ব্যাবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সকল দোকান মালিক, ইউপি সদস্য, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী, সাংবাদিক ও গ্রাম পুলিশ। তাদের সাথে বাজারের নিরাপত্তাসহ উজলকুড় ইউনিয়নের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বাজারে নাইটগার্ডের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ গ্রাম পুলিশের রাত্রি কালীন ডিউটিতে নিয়োজিত থাকার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেউ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এএসপি তুষার বলেন, পু্লশি জনগণের বন্ধু। রাত জেগে আপনাদের জানমাল পাহারা দেওয়া পুলিশের কর্তব্য। রামপালে মাদকদ্রব্য উদ্ধারে কঠিন অভিযান চলছে। কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান প্রতিরোধ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, চুরি, জুয়া, নারী নির্যাতন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে পু্লশি কাজ করছে। আপনারা পু্লশিকে তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করুন। তাহলে আমরা আপনাদের আরও বেশী সেবা দিতে পারবো। অপরাধী যে দলের হোক আমরা সেটি আমলে নিবো না। আপনাদের কষ্টার্জিত রাজস্বে আমাদের বেতন হয়। আমরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। আপনারা রামপাল থানায় কোন প্রতিকার না পেলে আমাকে সরাসরি জানাবেন।
কেরুজ ২৩-২৪ আখরোপন/ আখ সরবরাহে চাষি উদ্বুদ্ধকরনের সভা অনুষ্ঠিত
মাহমুদ হাসান রনি,দামুড়হুদা
দর্শনাস্থ কেরু এ্যাণ্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ)লি.এর মিলসগেট (পূর্ব)সাবজোনের ৭নং ইউনিটের উদ্যোগে ২০২৩-২০২৪ আখরোপন/মাড়াই মৌসুমে আখরোপন ও পরিস্কার -পরিচ্ছন্ন আখ সরবরাহে চাষি উদ্বুদ্ধকরনের লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল৫ টায় আখচাষি মো.মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে শিংনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেরু এ্যাণ্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লি.এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন,এফসিএমএ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপক( সম্প্র.) মো.মাহবুবুর রহমান ও ব্যবস্থাপক (বী.প ও এগ্রো.) মো.দেলোয়ার হোসেন। অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবজোন প্রধান মো.গোলাম কিবরিয়া, এসএসিডিও মো.নজরুল ইসলাম ও সংশ্লিষ্ট সিডিএ মো.সাইফুদ্দিন সুমন সহ প্রমূখ। সভায় উপস্থিত আখচাষিবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো.আ. খালেক, জালাল উদ্দিন, ও মতিয়ার রহমান। উপস্থিত চাষীবৃন্দ আখের মূল্য বৃদ্ধির কারনে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং চলতি আখরোপন মৌসুমে আখচাষ বাড়ানোর আশ্বাস দেন।
ফকিরহাটের দোহাজারী গ্রামে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ফকিরহাট প্রতিনিধি।
বাগেরহাটের ফকিরহাটে মায়ের সাথে গোসল করতে এসে পানিতে ডুবে সাড়ে তিন বছরের শিশু অঙ্কিতা দাসের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের দোহাজারী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, দোহাজারী গ্রামের পলাশ দাসের শিশু কন্যা অঙ্কিতা দাস তার মা অনিতা দাসের সাথে প্রতিদিনের ন্যায় পাশর্^বর্তী পুকুরে গোসল করতে যায়। গোসলের পূর্বে পুকুরের পাড়ে দাড়িয়ে প্রতিবেশি এক নারীর সাথে মা অনিতা দাস কথা বলছিলেন। এসময় শিশু অঙ্কিতা পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। কিছু সময় পর শিশুটিকে পাশে দেখতে না পেয়ে তার মা খুঁজতে থাকে। এসময় পুকুরের পাশে তার স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে অনিতা দাস পুকুরে নামলে পানির মধ্যে শিশু অঙ্কিতার দেহ পায়ের সাথে স্পর্শ লাগে। এসময় মা অনিতা দাস ও স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে দ্রুত ফকিরহাট উপজেলা সরকারী স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোহতেশাম নেছা অঙ্কিতা দাসকে মৃত ঘোষণা করেন। ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মু. আলীমুজ্জামান ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। #
ফকিরহাটে ট্রলির ধাক্কায় ভ্যান চালক নিহত আহত-২
ফকিরহাট প্রতিনিধি।
বাগেরহাটের ফকিরহাটের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ট্রলির ধাক্কায় ঘটনা স্থলেই ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফলতিতা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবী দুর্ঘটনাস্থলেই ভ্যানচালকের নিথর দেহ পড়ে ছিল। নিহত আজগর আলী হাওলাদার (৬০) গোপালগঞ্জ সদরের নিচুপাড়ার গোয়াটা এলাকার মৃতঃ জনাব আলী হাওলাদারের ছেলে। মোল্লাহাট হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট কামরুজ্জামান জানান, সকালে ভ্যানচালক আজগর আলী গোপালগঞ্জ থেকে ভ্যান চালিয়ে ফকিরহাটের দিকে আসছিলেন। ভ্যানটি খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের ফকিরহাট উপজেলার ফলতিতা এলাকায় এসে পৌঁছালে বাইপাস সড়ক দিয়ে আসা একটি ট্রলির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত হন ভ্যানচালক আজগর। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা সরকারী স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নিয়ে আসলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মোল্লাহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবব্রত রায় জানান, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলিটি জব্দ করা হয়েছে। তবে দুর্ঘটনার পর ট্রলির চালক পালিয়ে গেছে। ##
মহেশপুরের বাঁশবাড়ীয়া ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে ১% এর ভ্যাট ও আয়করের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০২১-২২ অর্থ বছরের ১% এর ভ্যাট ও আয়করের অর্থ আত্মস্বাতের অভিযোগ উঠেছে।
বাঁশবাড়ীয়া ইউুিনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দাবি ভ্যাট ও আয়করের সমুদ্বয় অর্থ পরিশোধের জন্য সচিবের নিকট দিলেও আজ পর্যন্ত সচিব জমা দেননি। এমনকি ভ্যাট ও আয়কর পরিশোধের অফিসিয়ালী কোনো ডকুমেন্টও দেখাতে পারেনি। তবে সচিবের দাবি ভ্যাট ও আয়করের ৪লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। তাহলে আর ১০লাখ টাকা কোথাই গেলো?
বিভিন্ন সুত্রে জানাগেছে, মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জহুরুল ইসলাম ২০২১-২২ অর্থ বছরের ১% এর সাড়ে ১৪ লাখ টাকার ভ্যাট ও আয়করের অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজে আত্মসাত করেছেন। ২০২১-২২ অর্থ বছরে মকরধ্বজপুর জরিনার বাড়ি হইতে খাল অভিমুখে ড্রেন নির্মান, ভৈরবা হাটের ড্রেনের উপর ইটের গাতনি ও প্লাস্টার,বাশবাড়ীয়া আতিয়ারের বাড়ির উত্তর পাশ হইতে কোদলা নদী অভিমুখে ড্রেন নির্মান,ভৈরবা শুকুর আলীর বাড়ির সামনে বক্স কালভার্ট নির্মান,মতিলালপুর মোড় হইতে শাকোরখাল হাসপাতাল অভিমুখে রাস্তার পাশে ড্রেন সংস্কার ও ভোলাডাঙ্গা কাচা বাজারের হাট চালি সংস্কার বাবদ বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদে ১% এর সাড়ে ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ১% এর ভ্যাট ও আয়করের অর্থ চালানের মাধ্যমে সরকারী কোষাগারে জমা দিলেও আজ পর্যন্ত ২০২১-২২ অর্থ বছরের ভ্যাট ও আয়করের অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা দেননি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জহুরুল ইসলাম।
বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা জিন্টু বলেন,আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৬ মাস কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এ সময় ১% এর সাড়ে ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে এর ভ্যাট ও আইটি বাবদ ১ লাখ ৫২ হাজার ২শত টাকা আমি সচিবের নিকট দিয়ে দিয়েছি। তিনি এ টাকা অফিসে জমা দিয়েছেন কি না আমার জানানেই। তিনি আরো জানান, যদি টাকা সরকারী কোষাগারে জমা না দিয়ে থাকে তাহলে সে নিজে নিশ্চিত আত্মসাত করেছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জহুরুল ইসলামের নিকট জানতে চায়লে তিনি জানান, ২০২১-২২ অর্থ বছরের সাড়ে ১৪ লাখ টাকার ভ্যাট ও আয়করের ৪ লাখ টাকা সারকারী কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। বাকি ১০লাখ টাকা কোথায় গেলো জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি।
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী জানান, আমি বিষয়টি জানার পর বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জহুরুল ইসলামকে টাকা পরিষদের রশিদ দিতে বলেছিলাম কিন্তু তিনি এখনও দেন নি। তাই তিন কার্যদিবসের মধ্যে ২০২১-২২ অর্থ বছরের ১% এর সাড়ে ১৪ লাখ টাকার ভ্যাট ও আয়করের রশিদসহ হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
মহেশপুর উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হলেন রাম দুলাল
মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জাতীয় শিক্ষা পদক ২০২৩ এ শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন জলিলপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাম দুলাল মন্ডল। একই সাথে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে জলিলপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
গতকাল মঙ্গলবার মহেশপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে উপজেলার ১৫২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নাম যাচায় বাছাই করে জলিলপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাম দুলাল মন্ডলকে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত করা হয়। একই সাথে ১৫২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বাছাই করে জলিলপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচিত করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আশাদুজ্জামান জানান, আমরা উপজেলার সকল প্রধান শিক্ষকদের বাছাই করেই জাতীয় শিক্ষা পদক ২০২৩ এ শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে জলিলপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাম দুলাল মন্ডলকে। একই সাথে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে জলিলপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।
জলিলপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাম দুলাল মন্ডল সকলের কাছে দোয়া ও আর্শিবাদ প্রার্থী।
সাঈদীকে ফেসবুক পোষ্ট: মহেশপুর উপজেলা কৃষকলীগের সম্পাদক মানিককে অব্যহতি
মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধিঃ
আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোষ্ট দেওয়ায় ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক বিশ^াসকে তার পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বিকালে ঝিনাইদহ জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মহেশপুর উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক বিশ^াসকে তার পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান।
জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে নিয়ে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোষ্ট দেওয়ায় অপরাধে মহেশপুর উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক বিশ^াসকে তার পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
অভয়নগরে মডার্ন ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারে ডেঙ্গুর ভুল রিপোর্ট প্রদান; টাকা ফেরত দিয়ে মিমাংশার অভিযোগ
স্টাফ রির্পোটার-
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে মডার্ন ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের ডেঙ্গুর ভুল রিপোর্টে প্রদান। রিপোর্ট ভুলের কারণে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ভুক্তভোগী রোগীকে টাকা ফেরত দিয়ে মিমাংশার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে, মঙ্গলবার সকালে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ গেলে শ্রীধরপুর ইউনিয়নের পুড়াখালি গ্রামের হাদিউজ্জামান লাল্টুর পুত্র সাজিদ মাহমুদ (১৮) জানান, গত শনিবার ডেঙ্গু পজেটিভ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। গত রবিবার সিবিসি পরীক্ষার জন্য লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার থেকে রিপোর্ট করাই সেদিন প্লাটিলেট আসে ৯৮ হাজার। সোমবার সকালে আবারও প্লাটিলেট পরীক্ষার করাতে চাইলে এসময় মডার্ন ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারে লোক এসে ব্লাড নিয়ে যায় এবং কিছুখন পর এসে সেই লোক রিপোর্টের কাগজ দিয়ে যায়। রবিবারের রির্পোটে ৯৮ হাজার প্লাটিলেট যা একদিনের ব্যাবধানে ১লাখ ৯৩ হাজার আসায় কর্তব্যরত ডাক্তারের সন্ধেহ হলে। রোগীর সজনদের পুনরায় পরীক্ষা করাতে বলেন এসময় ইউনিক ডায়গনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা করা হলে ১লক্ষ ১৮হাজার প্লাটিলেট পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিয়ে মর্ডান ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারে গেলে তারা কৌশলে রিপোর্টের কাগজ রেখে দেন। এবং বিষয়টি কাউকে না জানানো অনুরোধ করে টাকা ফেরত দেয়।
এসময় আরোও অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ইতি পূর্বে এই প্রতিষ্ঠানের ভুল রির্পোট দেওয়ার প্রতিবাদ করার কারনে হাসপাতালের মেডিকেল এ্যাসিস্টেনের সাথে মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোকদের মারামারি হয়।
ঘটানার সত্যতা সিকার করেন প্রতিষ্ঠানের মালিক সৈমিত্র ভৌমিক বলেন, আমি প্রতিষ্ঠানের কাজে যশোর ছিলাম, কর্মচারিদের মাধ্যমে জানতে পারি এক জন রোগী ডেঙ্গু পরীক্ষার রির্পোট ভুল হয়েছে তাই নিয়ে সমস্য হচ্ছে। আমি যেহেতু বাহিরে ছিলাম তাই তাদের টাকা ফেরত দিতে বলি। আগে অনেকের এমন ভুল রির্পোর দেওয়ার বিষয়ে জনতে চাইলে তিনি কথা না বলে মোবাইল রেখে দেন।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো.ওহিদুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি কাজে আছেন বলে মোবাইল ফোন কেটেদেন।
অনিবন্ধিত ও ভুল রির্পোট প্রদানের বিষয়ে যশোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার বিপ্লব কান্তি বিশ^াস বলেন, রির্পোট প্রদানে এমন অনিয়ম হলে তথ্যপ্রমানে ভিত্তিতে তারদের বিরুদ্ধে আইন আনুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। নিবন্ধন আছে কিনা তা আমি খোঁজ নিয়ে দেখেবো।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের খুলনা সফরসূচি
তথ্য বিবরণী
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী দুই দিনের সফরে আজ ৬ সেপ্টেম্বর খুলনা আসছেন।
সফরসূচি অনুযায়ী সিনিয়র সচিব ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাতটায় খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে খুলনা বিভাগে কর্মরত এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় যোগদান করবেন।
তিনি ৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় খুলনায় নির্মাণাধীন এডমিনিস্ট্রেটিভ কনভেনশন সেন্টার পরিদর্শন এবং সকাল ১১টায় নির্মাণাধীন খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের নতুন কার্যালয় ভবন ও অডিটোরিয়াম পরিদর্শন করবেন। বিকালে সিনিয়র সচিব ঢাকার উদ্দেশ্যে খুলনা ত্যাগ করবেন।
তালায় উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা
ইলিয়াস হোসেন, তালা(সাতক্ষীরা)::
নানাবিধ প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন ছালমা বেগম। তিনি তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা বাজারের মোঃ ইমাদুল মোড়ল স্ত্রী। তার এ ন্যায্য অধিকার আদায়ের পথে সার্বিক সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা দিয়ে পাশে ছিল বে-সরকারী সংস্থা উত্তরণ এর অগঅজ প্রকল্প। ২০২০ সাল থেকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সহযোগিতায় উত্তরণ অগঅজ (অংংবৎঃরহম গধৎমরহধষরুবফ অপপবংং ঃড় জরমযঃং) প্রকল্প প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।
পাটকেলঘাটা এলাকার আনিস উদ্দীন মোড়লের কন্যা ছালমা বেগম বলেন, ‘প্রায় ৩০ বছর ধরে তিনি স্বামীর সাথে পাটকেলঘাটা বাজারে বসবাস করেন। বর্তমানে ৩ ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তাদের সংসার। সংসার চালাতে বেশ হিমশিম পোহাতে হতো তাদের। এক সময় উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে নারীর অধিকারের বিষয়ে আমার কোন ধারণাই ছিল না। নিজের নিয়তি মেনে নিয়ে দারিদ্র স্বামীর সংসারে মানবেতর জীবনে অভ্যস্ত ছিলাম। অথচ আমার পিতার পরিবারে অভাব ছিলনা বললেই চলে।’
তিনি বলেন, উত্তরণের আমার প্রকল্পের উঠানবৈঠকে অংশগ্রহণ করে সচেতনতামূলক বিভিন্ন বিষয় জানতে পারেন। এরমধ্যে নারীর উত্তরাধিকার বিষয়টি তাকে ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট করে। তিনি প্রকল্পের মাঠকর্মীর নিকট থেকে বিষয়টি খুব ভালো ভাবে বোঝার চেষ্টা করেন। তিনি বুঝতে সক্ষম হয়, উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে তার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের অভাব অকেকটা দূর হবে।
এদিকে এক পর্যায়ে ছালমা বেগম তার পিতার কাছ থেকে প্রাপ্য ২ শতক জমি সম্পত্তির বুঝে নেন। জমিটি পাটকেলঘাটা বাজারের উপর হওয়ায় তার বাজার মূল্য তুলনামূলক বেশি ছিল। সংসারে আয় বৃদ্ধির জন্য ছালমা বেগম জমিটি ৭ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। সেই অর্থ দিয়ে তিনি এক বিঘা জমি বন্ধক রাখেন যা দিয়ে বছরে প্রায় ১০মণ ধান পান। একই সাথে অবশিষ্ট টাকা দিয়ে তার নামে একটি পিকআপ ক্রয় করেন। গাড়িটি বর্তমানে তার স্বামী চালান এবং মাঝে মাঝে ভাড়া দেন। এখন পিকআপের ভাড়ার টাকা ও জমির ধান দিয়ে তাদের সংসার ভালোভাবে চলছে। তিনি সংসাসের খরচ মিটিয়ে অতিরিক্ত অর্থ সঞ্চয় করছেন। বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখেই আছেন ছালমা বেগম।
দেবহাটায় ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ যুবক গ্রেপ্তার
দেবহাটা প্রতিনিধি
দেবহাটায় অভিযান চালিয়ে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আব্দুল্যাহ আল মামুন (৩৮) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার বড়শান্তা গ্রামের মৃত আবুল হোসেন মোড়লের ছেলে।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই যুবক এলাকায় ইয়াবা ট্যাবলেটসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের ব্যবসা করে আসছিল। মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবহাটা থানার এসআই গিয়াস উদ্দীন, এসআই নূরনবী ও এএসআই আব্দুর রহমানসহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা সুবর্ণাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করেন।
পরে বিচারার্থে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয় বলে জানিয়েছেন দেবহাটা থানার ওসি বাবুল আক্তার।
কেশবপুরে গাছ থেকে তাল বুকের ওপর পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের কেশবপুরে গাছ থেকে তাল বুকের ওপর পড়ে ভরত রায় (৫) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভরত রায় সমাধান সমৃদ্ধি কর্মসূচির বাগডাঙ্গা গ্রামের হরিহর বৈকালিক শিক্ষা সহায়তা কেন্দ্রের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী। এলাকাবাসী জানায়, সকালে তালগাছের নিচে বসে শিশু ভরত রায়কে নিয়ে তার মা উষা রায় গরুর বিচালি কাটছিলেন। হঠাৎ গাছ থেকে একটি পাকা তাল শিশুটির বুকের ওপর পড়ে। এ সময় মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে ঘটনাস্থলেই শিশুটি মারা যায়। পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বৈদ্যনাথ সরকার বলেন, শিশুটির বাবা দাতারাম রায় ভারতের উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। মা উষা রায় নিজ এলাকায় ফিরে বাগডাঙ্গা গ্রামের জিতেন্দ্রনাথ সরকারের বাড়িতে থেকে গরুর খামারে কাজ করেন। সমাধান সমৃদ্ধি কর্মসূচির সুপারভাইজার (শিক্ষা) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ভরত রায় সমাধান সমৃদ্ধি কর্মসূচির হরিহর বৈকালিক শিক্ষা সহায়তা কেন্দ্রের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। গাছ থেকে তাল পড়ে শিশুটির মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পাঁজিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন বলেন, এটি একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা। নিহত ওই শিশুকে স্থানীয় শ্মশানে মাটি দেওয়া হয়েছে#
অভয়নগরে ভৈরব নদে মাছের পোনা অবমুক্ত করল অভয়নগর শুভসংঘ
তামিম আহমেদ মনির
যশোরের অভয়নগরে উন্মুক্ত জলাশয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা বসুন্ধরা শুভসংঘ অভয়নগর উপজেলা শাখার আয়োজনে অবমুক্ত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্রাদার্স ট্রেডিংয়ের সহযোগিতায় ভৈরব নদের নওয়াপাড়া বাজার খেয়াঘাট এলাকায় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। এসময় ১৫ কেজি (প্রায় ১১০০ পিস) বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
মাছ অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম মল্লিক, বসুন্ধরা শুভসংঘ অভয়নগর উপজেলা শাখার উপদেষ্টা ও ব্রাদার্স ট্রেডিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাফেজ নাঈমুল হাসান জনি, উপদেষ্টা ও কালের কণ্ঠের অভয়নগর উপজেলা প্রতিনিধি সৈয়দ জাহিদ মাসুদ তাজ, সহ সাধারণ সম্পাদক আশরাফ প্রিন্স, সদস্য ডিআর আনিস, আমেরিকা প্রবাসী অভয়নগর সোসাইটির (টঝঅওঘঈ) সভাপতি মাহমুদুল কবির, সাহারা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক রিদুয়ান কবির, শুভসংঘ অভয়নগর উপজেলা শাখার সহ সভাপতি আজগর আলী বিশ্বাস, কোষাধ্যক্ষ আকিব হোসেন গালিব, সদস্য নাজমুস সাকিব, হাসান মাসুদ উৎস সহ শুভসংঘের বন্ধুরা।
এ ব্যাপারে নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম মল্লিক বলেন, এক সময় সরকারিভাবে উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হতো। পরবর্তীতে তা বিভিন্ন সমবায় প্রকল্পের জলাশয়ে অবমুক্ত করা শুরু হয়। বসুন্ধরা শুভসংঘ উন্মুক্ত জলাশয় হিসেবে ভৈরব নদে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করেছে। শুভসংঘের এমন মহতি উদ্যোগ প্রশংসের দাবিদার।
শুভসংঘ অভয়নগর উপজেলা শাখার উপদেষ্টা মাসুদ তাজ বলেন, দখল-দূষণে ধীরে ধীরে নদ-নদী ও জলাশয় কমতে শুরু করেছে। ফলে দেশীয় প্রজাতির মাছের বিলুপ্তি বাড়ছে। বিলুপ্তি রোধে শুভসংঘ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করেছে। এ ধরণের কল্যাণকর কাজ অব্যাহত রাখবে বসুন্ধরা শুভসংঘ অভয়নগর উপজেলা শাখা।
মোংলায় ঘাট শ্রমিকদের জায়গা দখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-মানববন্ধন
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
মোংলায় ঘাট শ্রমিকদের বিশ্রামের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মানববন্ধন করেছেন শ্রমিকেরা। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপজেলার মুল গেইটে মানববন্ধন করেন তারা। এর আগে পৌর শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এ শ্রমিকেরা। মানববন্ধন শেষে অবৈধভাবে জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণকারী টিটু ওরফে গয়না টিটুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর দাশের কাছে স্মারকলিপি দেন এ ঘাট শ্রমিকেরা। এ সময় তারা অবিলম্বে তাদের জায়গা উদ্ধার করে টিটুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবী জানান।
ঘাট শ্রমিকদের জায়গা দখলকারী টিটু ওরফে গয়না টিটু বলেন, আমি বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে জায়গা চেয়ে আবেদন করেই স্থাপনা নির্মাণ করেছি।
উল্লেখ্য, ২০১৯সালের ৭ফেব্রুয়ারী মোংলার ১নম্বর লেবার জেটি সংলগ্ন এলাকায় ঘাট শ্রমিকদের এ বিশ্রামাগারের উদ্ধোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। কিন্তু গত সপ্তাহে সেই জায়গা দখল করে টিটু রাতারাতি মার্কেট নির্মাণ করেন। আর এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ঘাট শ্রমিকেরা। এনিয়ে গত রবিবারও ঘাট শ্রমিকেরা মানববন্ধন পালনসহ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দীন ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ হাবিবুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ঘাট শ্রমিকেরা। কিন্তু তাতেও কোন প্রতিকার না মেলায় মঙ্গলবার দুপুরে আবারো শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শন, মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর দাশের কাছে বিচার চেয়ে স্মারকলিপি প্রদাণ করেছেন ঘাট শ্রমিকেরা। আর ঘাট শ্রমিকদের জায়গা দখলের প্রতিবাদে তাদের সাথে একাত্ম হতে সংহতি ও বিচারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনও।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর দাশ বলেন, ঘাট শ্রমিকদের স্মারকলিপি পেয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার দুপুরেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে দ্রুতই সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। #
রামপালে মাদকসহ কারবারী আটক
রামপাল (বাগেরহাট) সংবাদদাতা
রামপাল থানা পু্লশি অভিযান চালিয়ে বিল্লাল মোড়ল (৩৮) নামের এক পেশাধারী মাদক কারবারীকে আটক করেছে। এ ঘটনায় ওই কারবারীর বিরুদ্ধে রামপাল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আটক বিল্লাল উপজেলার মানিকনগর গ্রামের শহিদ মোড়ের পুত্র।
পু্লশি জানায়, রামপাল উপজেলার রণসেন গ্রামের ওবায়দুলের দোকানের সামনের পাকা রাস্তায় সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টায় এসআই শেখ মো. আসগর আলী অভিযান চালান। এ সময় বিল্লালকে ৫০ গ্রাম গাঁজাসহ হাতেনাতে আটক করেন। বিল্লাল ওই এলাকায় মাদকের সম্রাজ্য গড়ে তুলেছে বলে এলাকাবাসী দাবী করেছে। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় আটক বিল্লাল কে বাগেরহাটের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। রামপাল থানার ওসি এস, এম আশরাফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নড়াইল-১ আসনে নৌকার মাঝি হিসেবে কাজী সরোয়ার হোসেনকে চায় আ,লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা
নড়াইল প্রতিনিধি।
আর মাত্র চার মাস পরেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কথা জানিয়েছেন।ইতিমধ্যে সারাদেশের ন্যায় ৯৩, নড়াইল-১ আসনের ভোটারদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে নির্বাচনী আমেজ। নড়াইল-কালিয়া আওয়ামীলীগের ঘাঁটি হওয়ায় চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্রই চলছে আলোচনা-সমালোচনা আগামী সংসদ নির্বাচনে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি? ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় অনেকেই বিলবোর্ড পোষ্টারে নিজেদের প্রচারনা শুরু করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রচার-প্রচারনা, সভা-সমাবেশ, লিফলেট বিতরণ, আওয়ামী লীগের সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড জনসাধারণের মাঝে তুলে ধরছেন কালিয়ার কৃতি সন্তান কেন্দ্রীয় যুবলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য কাজী সরোয়ার হোসেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ৯৩, নড়াইল-১ আসনের আওয়ামী লীগের নেতা কর্মিদের সাথে নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন কেন্দ্রীয় যুবলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য কাজি সরোয়ার হোসেন। নড়াইল-কালিয়া আওয়ামীলীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রাণের দাবি ৯৩, নড়াইল-১ আসনে কাজী সরোয়ার হোসেনকে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চান তারা। কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো: মুরসালিন মোল্যা এবং পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো: মকিত মোল্যা বলেন, আমরা সুখে-দুখে, বিপদে-আপদে, মাঠে ময়দানে, রাজপথে সভা-সমাবেশে সবসময় এই মহান নেতাকে পাশে পাই আমরা তাকে দ্বাদশ নির্বাচনে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চাই। খাশিয়াল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগে সভাপতি খান আজাদ আলী বলেন, কাজি সরোয়ার হোসেন রাজপথ থেকে বেড়ে ওটা নেতৃত্ব তিনি নেতা কর্মিদের মনের ভাষা বোঝেন, আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রাণ। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ লালন করেন। আমরা আশা করি ওনি এমপি হলে এ জনপদের উন্নয়ন হবে। কালিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জামান হোসেন জন ও সাধারন সম্পাদক আনুর মোহাম্মদ আনু বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯৩, নড়াইল-১ আসনে ডিজিটাল কালিয়া গড়ার লক্ষে, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্তা, উন্নত চিকিৎসা, মানুষের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত-করণে জনদরদি, খেটে খাওয়া মানুষের নেতা কাজী সরোয়ার হোসেনের বিকল্প নাই। কাজী সরোয়ার হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে, স্মার্ট বাংলাদেশের অংশিদার হিসাবে তারুণ্যের নেতৃত্বে স্মার্ট নড়াইল-১ বিনির্মানের লক্ষে এই অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের পাশে থাকতে চাই তবে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত ই চুড়ান্ত তিনি যার হাতে নৌকা তুলে দিবেন, আমি নৌকা বিজয়ের লক্ষে নিজের সর্বচ্চ দিয়ে মাঠে কাজ করে যাব ইনশাহল্লাহ।
ঘেরে যুবকের লাশ, আঙুলের ছাপেও মেলেনি পরিচয়
রূপসা (খুলনা) প্রতিনিধি।।
খুলনার রূপসা সেতু এলাকায় ঘের থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে সেতুর টোল প্লাজার পাশের জাবুসা গ্রামের একটি ঘের থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আঙুলের ছাপ মিলিয়েও তাঁর পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
ঘটনাস্থলে যাওয়া রূপসা থানার এসআই দীপক কুমার বিশ্বাস জানান, জাবুসা গ্রামের দীপংকর নামে এক ব্যক্তির ঘেরে লাশটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
এসআই জানান, সোমবার রাতের কোনো এক সময় লাশটি ঘেরে ফেলে দেওয়া হতে পারে। যুবকটি রূপসা এলাকার নন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তাঁর গায়ে একটি কালো গেঞ্জি এবং ডোরাকাটা প্যান্ট ছিল।
তবে যুবকের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না। কীভাবে তিনি মারা গেছেন, ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান এসআই দীপক।
মায়ের সঙ্গে গোসলে গিয়ে ডুবল শিশুটি
বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ফকিরহাটে মায়ের সঙ্গে গোসলে গিয়ে পানিতে ডুবে সাড়ে তিন বছরের শিশু অঙ্কিতা দাসের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার দোহাজারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অঙ্কিতা গ্রামের পলাশ দাসের মেয়ে।
ফকিরহাট থানা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো মেয়ে অঙ্কিতাকে নিয়ে পাশের পুকুরে গোসল করতে যান মা অনিতা দাস। গোসলের আগে পুকুরের পাড়ে দাঁড়িয়ে প্রতিবেশী নারীর সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। এ সময় শিশুটি পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। কিছুক্ষণ পর তাকে না পেয়ে খুঁজতে থাকেন মা।
এ সময় পুকুরের পাশে একটি স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে অনিতা দাস পুকুরে নামেন। পরে পানি থেকে অঙ্কিতাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহতেশাম নেছা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফকিরহাট মডেল থানার ওসি মু. আলীমুজ্জামান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চর দেবে ভাঙনে আতঙ্ক
শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
শ্যামনগরের খোলপেটুয়া নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। গতকাল রোববার ভোরে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাবাটি এলাকার দুটি অংশে প্রায় ১০০ ফুট চর দেবে গেছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। খবর পেয়ে সকালে উপবিভাগীয় প্রকৌশলীসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় সন্দীপ মণ্ডল, নীলকান্ত রপ্তানসহ কয়েকজন জানান, ভোরে প্রচণ্ড শব্দ পেয়ে তারা বাঁধের ওপর যান। এ সময় পার্শ্ববর্তী সাইক্লোন শেল্টারসংলগ্ন চর এলাকার বেশ কিছু অংশ খোলপেটুয়া নদীতে দেবে যেতে দেখেন। লম্বায় ১০০ ফুট ও আড়াআড়ি ৭০ ফুট অংশ দেবে যাওয়ায় তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
তারা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দুর্গাবাটির ওই অংশে ধস ও ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছিল। বারবার বলা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ কারণেই চর দেবে গেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো সময় উপকূল রক্ষা বাঁধ ও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলো নদীতে তলিয়ে যাবে।
পাউবোর শ্যামনগর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, দুর্গাবাটির দুটি অংশে বাঁধের পাশে ধসের ঘটনা ঘটেছে। ঠিকাদারকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ধসে যাওয়া অংশে কাজ শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
মাগুরার মহম্মদপুরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ছাত্রলীগ কর্মীকে আসামি ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ সোমবার দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
লিখিত বিবৃতি উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ বিপ্লব বলেন, ‘উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য বাপ্পাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। এ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে আমরা দ্রুতই তাকে জেল থেকে মুক্ত করে আনব।
উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক বলেন, ‘বাপ্পা ষড়যন্ত্রের স্বীকার। তাকে ফাঁসাতে মামলার আসামি করা হয়েছে। তবে পুলিশ ইচ্ছে করলে তাকে ছেড়ে দিতে পারত। একজন মুজিব আদর্শের সৈনিককে ষড়যন্ত্রের মামলায় আসামি করা ঠিক হয়নি। এতে আমার সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার ওসি বোরহান উল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মামলার এজাহারে তার নাম দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি ছাত্রলীগ কর্মী কিনা আমার জানা ছিল না। নেতাদের সুপারিশে জামিন যোগ্য ধারায় তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলের থেকে পুলিশের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ এনে মামলা করা হয়। মহম্মদপুর থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় বিএনপির দেড় হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। শনিবার সকালে মামলাটি করেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বাদশা মিয়া। এ মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মৃন্ময় তেওয়ারী বাপ্পাকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর রোববার সকালে তাকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
বিলুপ্তির পথে প্রকৃতির ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মী’ শকুন
নিজস্ব প্রতিনিধি
গ্রাম বাংলা থেকে বিলুপ্তির পথে প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী শকুন। এদের আকার চিলের চেয়ে বড়। শরীর কালচে বাদামি। পালকহীন মাথা, ঘাড়। কালো শক্তিশালী পা ও ঠোঁট।
প্রচলিত আছে, এরা নাকি মৃত্যুর খবর আগে থেকে জানতে পারে। তাই এরা অসুস্থ ও মৃতপ্রায় প্রাণীর চারদিকে উড়তে থাকে। অপেক্ষায় থাকে কখন ওই প্রাণীটি মারা যাবে। এরা তীক্ষ্ম দৃষ্টিসম্পন্ন। তাই এদের বলা হয় শিকারি পাখি। প্রশস্ত ডানা তাদের।
প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম শনিবার বিশ্ব শকুন সচেতনতা দিবস পালিত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের এখন অতি বিপন্ন একটি প্রাণীর নাম শকুন। এক সময়ে প্রায় সর্বত্রই দেখা মিলত বৃহদাকার এই পাখিটির। কিন্তু এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। অনেকের ধারণা শকুন অমঙ্গলের প্রতীক। আসলে ধারণাটি একদমই ভুল। পরিবেশবিদেরা বহু আগেই এই পাখিকে প্রকৃতির ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মী’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। মৃত প্রাণীর মাংস খেয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে শকুন।
শকুন পাখি দ্রুত ডানা ঝাঁপটিয়ে চলাচল করতে পারে। এরা লোকচক্ষুর আড়ালে বট, পাকুড়, অশত্থ, ডুমুর প্রভৃতি বিশালাকার গাছে বাসা বেঁধে থাকে। এরা তাল, শিমুল, দেবদারু, তেঁতুল ও বট গাছের মগডালে বসে থাকে শিকারের আশায়। এদের গলার স্বর খুবই কর্কশ ও তীষ্ট। দেখতে খুবই কুৎসিত।
বাংলাদেশে কয়েক প্রজাতির শকুন দেখা যেত। সেগুলোর মধ্যে রাজ শকুন, সরু ঠোঁট শকুন, হিমালয় বা তিব্বত অঞ্চল থেকে আসা হিমালয়ান গৃধিনী, মঙ্গোলিয়া থেকে উড়ে আসা ইউরেশীয় গৃধিনী ইত্যাদি।
বর্তমানে বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে এসেছে এই প্রজাতির। শকুন না থাকায় নদীতে, হাওড়ে ও উপকূলীয় চরে প্রায়ই গৃহপালিত জীবজন্তুর মৃতদেহ দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। লোকালয় থেকে মৃতদেহ অপসারণ করা গেলেও জনবিরল প্রান্তর, জলাশয় ও বনে থেকে সম্ভব হয় না।
বন বিভাগের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শকুনই একমাত্র পাখি, যেটি মৃত পশু সতেজ থাকাকালেই চামড়া ফুটো করে মাংস খেতে পারে। একমাত্র শকুন হচ্ছে সেই প্রাণী, যে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত মৃত গরুর মাংস খেয়ে হজম করতে পারে। যক্ষ্মা ও খুরারোগের জীবাণু শকুনের পেটে গিয়ে ধ্বংস হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে রাখলেও তা একশ বছর সংক্রমণক্ষম থাকে। কিন্তু প্রাণীটি সেই আগের মতো আর নেই। গত প্রায় তিন দশকে প্রকৃতি থেকে শকুনের সংখ্যা দ্রুত কমেছে।
শকুন বিলুপ্তির পেছনে রাসায়নিকই একমাত্র কারণ নয়। কীটনাশক ও সারের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে পানির দূষণ, খাদ্য সংকট, কবিরাজি ওষুধ তৈরিতে শকুনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যবহার, ইউরিক অ্যাসিডের প্রভাবে বিভিন্ন রোগ ও বাসস্থানের অভাবকেও দায়ী করছে আইইউসিএন।
প্রখর দৃষ্টিশক্তির অধিকারী পাখিটি বটগাছ, কড়ইগাছ, শিমুল, বাঁশঝাড়, দেবদারু গাছে বাসা বানায়। এদের দৃষ্টি এতটাই প্রখর যে, অনেক উঁচু থেকেও এরা মাটি বা পানির ওপরে থাকা লাশ দেখতে পায়। শকুন সাধারণত দল বেঁধে থাকে। মৃতপ্রায় মানুষ বা প্রাণীর আশেপাশে শকুন দলবদ্ধভাবে উড়তে থাকে। তবে জীবিত কোনো মানুষ বা প্রাণীকে সাধারণত শকুন আক্রমণ করে না।
এ পাখি একসঙ্গে ১৫ থেকে ২০টি ডিম পাড়ে। তিন সপ্তাহ তা দেয়ার পর বাচ্চা ফোটে। এর স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল ২৫ বছর। তিন থেকে চার ফুট উচ্চতার হয় এ পাখি। দেশে ২০০ প্রজাতির পাখি হুমকির মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শকুনও। ক্রমাগত কমছে শকুনের সংখ্যা।
পরিবেশ-প্রকৃতিবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা- আইইউসিএন এই শিকারি প্রজাতির শকুনকে ‘বিশ্ব মহাবিপন্ন’ পাখি ঘোষণা করেছে। এক গবেষণা গ্রন্থে জানা গেছে, ‘৩৫ বছর আগেও ভারতবর্ষে ৪ কোটি শকুন ছিল। বর্তমানে এ সংখ্যা ৪০ হাজারের নিচে নেমে এসেছে। বাংলাদেশে এখন শকুন নেই বললেই চলে। যা আছে তা ক্রমাগত হারিয়ে যাচ্ছে।
তিন দশক আগে বাংলাদেশের আকাশে ১০ লাখ শকুন উড়ত। এরপর কমতে কমতে তা এখন মাত্র ২৬০-এ নেমে এসেছে। মূলত ১৯৯০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যেই ৯৯ শতাংশ শকুন হারিয়ে গেছে দেশ থেকে।
শকুনের অবিশ্বাস্য গতিতে হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রথম নজরে আসে ১৯৯২ সালে। গবেষকরা মাঠে নেমে পড়েন। শুরু হয় কারণ উদ্ঘাটনের চেষ্টা। দ্রুত বিলুপ্তির রহস্য উন্মোচনে লেগে যায় ১১ বছর। গবাদি পশুর শরীরে তখন ডাইক্লোফেনাক ওষুধ প্রয়োগ করা হতো। মৃত গরুর মাংসই শকুনের প্রধান খাদ্য। তাই এ ধরনের পশু মারা গেলে সেটিই হয়ে উঠত শকুনের বংশ নির্মূলের প্রধান নিয়ামক।
২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক ড. লিন্ডসে প্রমাণ করেন, ডাইক্লোফেনাক প্রয়োগ করা গরুর মাংস খাওয়ার তিন মিনিটের মধ্যে শকুনের মৃত্যু হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই বিষয়টি জানাজানি হওয়ার আগেই পৃথিবীর আকাশ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শকুন হারিয়ে যায়। এমনকি এ তথ্য জানার পরও বাংলাদেশে ওষুধটি নিষিদ্ধ করতে দীর্ঘ সময় লেগেছে।
২০১০ সালে দেশব্যাপী শকুনের জন্য ক্ষতিকারক ওষুধ ডাইক্লোফেনাক নিষিদ্ধ করা হয়। দেশব্যাপী শকুনের খাদ্য প্রাণীর চিকিৎসায় কিটোটিফেনও নিষিদ্ধকরণ বিষয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে।
শকুন বিলুপ্তির পেছনে রাসায়নিকই একমাত্র কারণ নয়। কীটনাশক ও সারের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে পানির দূষণ, খাদ্য সংকট, কবিরাজি ওষুধ তৈরিতে শকুনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যবহার, ইউরিক অ্যাসিডের প্রভাবে বিভিন্ন রোগ ও বাসস্থানের অভাবকেও দায়ী করছে আইইউসিএন।
২০১৩ সালে ‘বাংলাদেশ জাতীয় শকুন সংরক্ষণ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে দেশের ৪৭ হাজার ৩৮০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় শকুনের জন্য দু’টি অঞ্চলকে নিরাপদ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৬ সালে দশ বছর মেয়াদি (২০১৬-২০২৫) বাংলাদেশ শকুন সংরক্ষণ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের শকুন রক্ষা করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী কাঠামো হিসেবে কাজ করছে। এই কর্মপরিকল্পনাকে অগ্রাধিকার দিয়েই শকুন সংরক্ষণে বর্তমানে সব ধরণের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
২০১৫ সালে শকুনের প্রজননকালীন সময়ে বাড়তি খাবারের চাহিদা মেটানোর জন্য হবিগঞ্জের রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে ও সুন্দরবনে দু’টি ফিডিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৬ সালে অসুস্থ ও আহত শকুনদের উদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দিনাজপুরের সিংড়ায় একটি শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
২০১৭ ও ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ৭ম ও ৮ম আঞ্চলিক পরিচালনা কমিটির সভায় শকুন সংরক্ষণে বিভিন্ন কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার শকুন সংরক্ষণের জন্য একটি মাইলফলক। শকুন রক্ষায় বাংলাদেশের এই উদ্যোগ ভারত, পাকিস্তান ও নেপালে বেসরকারি পর্যায়ে অনুসরণ করা হচ্ছে। এছাড়া আফ্রিকার কয়েকটি দেশও বাংলাদেশের শকুন রক্ষার এই মডেল অনুসরণের কথা ভাবছে।
সারাবিশ্বে শকুনকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম শনিবার আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস পালিত হয়ে থাকে।
বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন: আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে বিজিবি-বিএসএফের ৬ যৌথ সিদ্ধান্ত
যশোর জেলা প্রতিনিধি
সীমান্ত হত্যা নিরসন, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক ও মানবপাচার রোধ, স্বর্ণ ও অস্ত্র চোরাচালান রোধসহ বিভিন্ন ধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্য দিয়ে যশোরে শেষ হলো বিজিবি-বিএসএফ রিজিয়ন কমান্ডার ও ফ্রন্টিয়ার আইজি পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন।
যশোরের একটি পাঁচতারকা হোটেলে চার দিনব্যাপী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) এই সীমান্ত সম্মেলন মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) শেষ হয়। এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর বিজিবির রিজিয়ন কমান্ডারস (রংপুর ও যশোর রিজিয়ন) এবং বিএসএফের ফ্রন্টিয়ার ইন্সপেক্টর জেনারেলসের (সাউথ বেঙ্গল, নর্থ বেঙ্গল ও গৌহাটি ফ্রন্টিয়ার) মধ্যে এই সম্মেলন শুরু হয়।
এবারের সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা নিরসন, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদকপাচার, মানবপাচার রোধ, স্বর্ণ ও অস্ত্র চোরাচালান রোধসহ বিভিন্ন ধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমন, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ এবং পারস্পরিক সম্প্রীতি ও আস্থা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়। অবশেষে যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সম্মেলনটি শেষ হয়েছে।
সম্মেলনে ২১ সদস্যের বিজিবি দলের নেতৃত্ব দেন রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলম। অন্যদিকে বিএসএফের সাত সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি শ্রী আয়্যুষ মানি তিওয়ারি।
মঙ্গলবার দুপুরে সম্মেলন শেষে দুই বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়া বিজিবির রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলম ও বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি শ্রী আয়্যুষ মানি তিওয়ারি সম্মেলনের সার্বিক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
পরে বিজিবির যশোর রিজিয়ন সদর দপ্তরের পরিচালক অপারেশন মোহাম্মদ আনোয়ারুল মাজহার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবারের সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা নিরসন, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদকপাচার, মানবপাচার রোধ, স্বর্ণ ও অস্ত্র চোরাচালান রোধসহ বিভিন্ন ধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনসহ ৬টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এগুলোর মধ্যে সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা/আহতের ঘটনা জোরালোভাবে তুলে ধরে বিজিবি। এ প্রসঙ্গে বিজিবি বিএসএফকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর যৌথ বিবৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় আনার জন্য আহ্বান জানায়। সীমান্ত হত্যা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বিএসএফের পক্ষ থেকে নন-লেথাল নীতি অনুসরণের প্রতিশ্রুতি পুর্নব্যক্ত করা হয়।
উভয়পক্ষ সীমান্তে পেশাদারিত্বের সঙ্গে যৌথভাবে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তে রাত্রিকালীন যৌথ টহল বৃদ্ধি, সীমান্তবর্তী এলাকার জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, জনসচেতনতা ও জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ, অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের ব্যাপারে সম্মত হয়।
এছাড়া আন্তঃসীমান্ত অপরাধ যেমন- মাদকপাচার, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মানবপাচার, স্বর্ণ, অস্ত্র, জাল মুদ্রার নোট প্রভৃতি চোরাচালান রোধে সমন্বিত সীমান্তর ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের ওপর উভয় পক্ষ থেকে গুরুত্বারোপ করা হয়। সীমান্ত অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য আদান-প্রদান এবং তাদের সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে মাঠ পর্যায়ে শেয়ার করতেও উভয়পক্ষ সম্মত হয়।
আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘন করে উভয় দেশের নাগরিকদের অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম রোধকল্পে সীমান্তবর্তী এলাকায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ব্যাপারে উভয় পক্ষ কর্তৃক গুরুত্বারোপ করা হয়।
উভয়পক্ষ পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ও আস্থা বৃদ্ধির জন্য গৃহীত নানামুখী উদ্যোগ বাস্তবায়নে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে একমত হয়। উভয়পক্ষ আগামী দিনে যৌথ খেলাধূলা, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বিনিময়সহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেও সম্মত হয়েছেন।
উভয়পক্ষ পূর্বানুমতি ব্যতীত সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ না করার ব্যাপারে পারস্পরিক সম্মতি জ্ঞাপন করেন। এছাড়া সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বন্ধ থাকা উন্নয়নমূলক কাজসমূহ জয়েন্ট ভেরিভিকেশনের মাধ্যমে দ্রুত সমাধানের ব্যাপারে সম্মত হন।
উভয়পক্ষ পরবর্তী সীমান্ত সম্মেলন সুবিধাজনক সময়ে ভারতে অনুষ্ঠানের ব্যাপারে একমত পোষণ করেন।
সম্মেলনে বিজিবি রিজিয়নের অধীনস্ত সংশ্লিষ্ট সেক্টর কমান্ডারগণ, বিজিবির স্টাফ অফিসারবৃন্দ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর এবং যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
অন্যদিকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলে বিএসএফ নর্থ বেঙ্গল ও গৌহাটি ফ্রন্টিয়ারের আইজিগণ ছাড়াও সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের নোডাল অফিসার, ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।