স্পোর্টস ডেস্ক
দক্ষিণ আফ্রিকায় আগামী মাসে বাগদত্তা অ্যান্টোনিয়া লিনিয়াস-পিটকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রস। প্রথম স্ত্রী রুথকে ফুসফুসের ক্যানসারে হারানোর ৭ বছর পর ৪৮ বছর বয়সী স্ট্রস আবার নতুন অধ্যায়ে পা রাখতে চলেছেন। বিয়ের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর হওয়ায় এ বছরের অ্যাশেজ সিরিজে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় উপস্থিত থাকবেন না। সিরিজ শুরু হবে আগামী শুক্রবার।
স্কাই স্পোর্টস ক্রিকেট পডকাস্টে অংশ নিয়ে স্ট্রস জানান, অনুষ্ঠানটি হবে একদম ছোট পরিসরে, পরিবারের সদস্যদের নিয়েই। প্রায় দুই বছর আগে প্রথমবার জনসমক্ষে একসঙ্গে দেখা স্ট্রস এবং লিনিয়াস-পিট কয়েক মাস ধরে গোপনে সম্পর্কে ছিলেন। এ বছর উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপের রয়্যাল বক্সেও দুজনকে একসঙ্গে দেখা গেছে।
৩০ বছর বয়সী অ্যান্টোনিয়া লিনিয়াস ফাইন আর্ট অ্যাডভাইজরি লিমিটেডের পরিচালক এবং এর আগে জনসংযোগ খাতে কাজ করেছেন। আগামী মাসে তিনি ‘মিসেস স্ট্রস’ হতে চলেছেন।
স্ট্রসের জীবনে এই আনন্দঘন মুহূর্ত এসেছে তার প্রথম স্ত্রী রুথের মৃত্যুর সাত বছর পর। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মাত্র ৪৬ বছর বয়সে ফুসফুসের বিরল ধরনের ক্যানসারে মারা যান রুথ। ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই ছেলে-১৯ বছরের স্যামুয়েল এবং ১৭ বছরের লুকা।
রুথকে স্মরণ করে স্ট্রস প্রতিষ্ঠা করেন রুথ স্ট্রস ফাউন্ডেশন, যা মৃত্যুপথযাত্রী বাবা-মাকে ঘিরে থাকা পরিবারগুলোর সহায়তা করে এবং নন-স্মোকারদের ফুসফুসের ক্যানসার নিয়ে গবেষণায় অর্থায়ন করে। ইংল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচগুলোতে দেখা যায় পরিচিত ‘রেড ফর রুথ’ প্রচারণা, যেখানে খেলোয়াড়, কোচ ও দর্শকদের জুলাইয়ের এক টেস্ট ম্যাচে লাল পোশাক পরতে উৎসাহিত করা হয়। সর্বশেষ ‘রেড ফর রুথ’ আয়োজনটি হয়েছিল গত গ্রীষ্মে লর্ডসে ইংল্যান্ড-ভারত টেস্টের দ্বিতীয় দিনে।
২০২৩ সালে দ্য টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্ট্রস বলেছিলেন, রুথের মৃত্যুর পর তার জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সময় সীমিত। তাই আমাকে আরো সচেতন হতে হয়েছে-কী করব, কী করব না। আগের মতো সবার মন রাখা সম্ভব নয়, মাঝে মাঝে না বলতে হয়। তবে সবচেয়ে বড় কথা, আমার সবচেয়ে কাছের মানুষদের সুখী রাখাই এখন প্রধান।’










































