ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে খুলনার রাজনীতিতে নতুন সাড়া পড়েছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছেন, তা দলের তৃণমূল ও স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। খুলনার ৬টি আসনের মধ্যে ৫টিতে প্রার্থী ঘোষণা—এটি নিঃসন্দেহে দলের সাংগঠনিক প্রস্তুতির দৃঢ়তার ইঙ্গিত বহন করে।
খুলনা-২ আসনে নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা-৩ এ রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪ এ আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা-৫ এ আলী আসগার লবি এবং খুলনা-৬ আসনে মনিরুল হাসান বাপ্পি—এই পাঁচজনই বিএনপির পরিচিত, নিবেদিত ও মাঠে পরীক্ষিত নেতৃত্বের প্রতিনিধি। বিশেষ করে মনিরুল হাসান বাপ্পির প্রার্থিতা তৃণমূলে নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বে আস্থা প্রকাশের প্রতীক। একদিন আগেই যাকে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব করা হয়, পরদিনই কেন্দ্রীয় মনোনয়ন—এটা দেখায় যে দল তরুণ ও কর্মক্ষম নেতৃত্বকে মূল্যায়ন করতে জানে।
এখন দলের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ঐক্য বজায় রাখা। কে মনোনয়ন পেলেন, কে পেলেন না—এই বিতর্কে নয়, দলের প্রতীকের পক্ষে কাজ করাটাই এখন মুখ্য কাজ। মনে রাখতে হবে, বিএনপি আজ শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়; এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের প্রতীক। তাই দলের প্রতিটি সিদ্ধান্তই বড় সিদ্ধান্ত, এবং সেই সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্যই সফলতার মূল চাবিকাঠি।
নেতাকর্মীদের দায়িত্ব হলো ভেদাভেদ ভুলে একতাবদ্ধ হওয়া। যিনি প্রার্থী হয়েছেন, তিনি এখন পুরো দলের প্রার্থী। ধানের শীষের জয় মানেই জনগণের জয়—এই বিশ্বাস নিয়েই সবাইকে মাঠে নামতে হবে। আজ বিএনপির সামনে সুযোগ এসেছে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করার। আর সেই আস্থার মূলভিত্তি হবে শৃঙ্খলা, ঐক্য এবং কর্মপ্রাণ রাজনীতি। যদি বিএনপি এই তিনটি গুণ ধরে রাখতে পারে, তবে খুলনা থেকেই শুরু হতে পারে পরিবর্তনের নতুন অধ্যায়।
            
		









































