স্পোর্টস ডেস্ক।।
ফুটবল ও ব্রিটিশ সমাজে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক স্যার ডেভিড বেকহামকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেছেন রাজা চার্লস তৃতীয়। এর আগে ৫০ বছর বয়সী বেকহামের নাম এ বছরের শুরুতে রাজা চার্লসের জন্মদিনের সম্মাননা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
আজ মঙ্গলবার বার্কশায়ারে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে রাজা স্বয়ং বেকহামকে নাইটহুড প্রদান করেন।
এ সময় বেকহাম বলেন, ‘এর চেয়ে গর্বের কিছু হতে পারে না। সবাই জানে আমি কতটা দেশপ্রেমিক। আমি আমার দেশকে ভালোবাসি। আমার পরিবারের জন্য রাজতন্ত্র সবসময়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি যখনই বিদেশে যাই, মানুষ সবসময় আমাদের রাজপরিবারের কথা তোলে-এটাই আমাকে সবচেয়ে বেশি গর্বিত করে।’
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই মিডফিল্ডার ইংল্যান্ডের হয়ে ১১৫টি ম্যাচ খেলেছেন ও ২০০০ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছয় বছর জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ ও দুটি ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেন।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একাডেমি থেকে উঠে আসা বেকহাম ১৯৯২ সালে প্রথম দলে যোগ দেন এবং ২০০৩ সালে ২৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার আগে ১১ বছর খেলেন ক্লাবটির হয়ে।
চার বছর স্পেনের রাজধানীতে কাটিয়ে তিনি যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএস ক্লাব এলএ গ্যালাক্সিতে। লস অ্যাঞ্জেলেসে থাকাকালীন সময় দু’বার ধারে খেলেছেন ইতালির এসি মিলানে। ২০১৩ সালে প্যারিস সেন্ট জার্মেইর হয়ে খেলে অবসর নেন তিনি।
তবে বেকহামের প্রভাব মাঠের বাইরেও বিস্তৃত। পূর্ব লন্ডনে জন্ম নেওয়া এই ফুটবলার লন্ডনে ২০১২ অলিম্পিক আয়োজনের প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
২০০৫ সাল থেকে তিনি জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)-এর সঙ্গে কাজ করছেন। ২০১৫ সালে তার নামে একটি বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়, যা তার দশকব্যাপী মানবিক কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০২৪ সালে তিনি কিংস ফাউন্ডেশনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত হন, যেখানে তিনি রাজা চার্লসের শিক্ষা ও পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মসূচিতে সহযোগিতা করছেন।
বর্তমানে বেকহাম ইংল্যান্ডের লিগ টু ক্লাব স্যালফোর্ড সিটির সহ-মালিক এবং যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএস ক্লাব ইন্টার মায়ামিরও সহ-স্বত্বাধিকারী।










































