বিশ্বকাপজয়ী পারফরম্যান্সে শচীনের ভূমিকা জানালেন শেফালি

3
Spread the love


স্পোর্টস ডেস্ক।।
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে ‘প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ’ নির্বাচিত হয়েছেন ভারতের শেফালি ভার্মা। রবিবার নাভি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে মাঠে উপস্থিত শচীন টেন্ডুলকারকে দেখেই নিজের ভেতর নতুন উদ্দীপনা পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ২১ বছর বয়সী এই তরুণ ব্যাটার।

শেফালি ২১ বছর ২৭৯ দিন বয়সে, ইতিহাসও গড়েছেন। তিনি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটার (পুরুষ বা নারী) যিনি কোনো ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল বা ফাইনালে ‘প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ’ হয়েছেন।

গতকাল ভারত নারী দল অবশেষে বিশ্ব শিরোপার খরা ভেঙেছে। রবিবার প্রথমবারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে তারা, দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে এই শিরোপা ঘরে তোলে তারা।

ম্যাচে শেফালির ৮৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস এবং তার সঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট ভারতের ঐতিহাসিক জয়ে প্রধান ভূমিকা রাখে। এই জয় অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, আগামী বছরগুলোতে ভারতের নারী ক্রিকেটের বিকাশে বড় ভূমিকা রাখবে।

শেফালি ম্যাচ শেষে আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, ‘আমি শুরুতেই বলেছিলাম, ঈশ্বর আমাকে কিছু ভালো করার জন্যই পাঠিয়েছেন, আর আজ সেটাই হয়েছে। আমরা জিতেছি-শব্দে বোঝানো যাবে না কতটা আনন্দ হচ্ছে। কঠিন ছিল, কিন্তু নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল-মন শান্ত রাখতে পারলে সবকিছু সম্ভব। বাবা-মা, বন্ধুরা, ভাই-সবাই আমাকে সমর্থন করেছে। শুধু চেয়েছিলাম দলকে জেতাতে। পরিকল্পনা ঠিক রেখেছিলাম এবং তা মাঠে কাজে লাগাতে পেরেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্মৃতি দিদি (মন্ধানা), হারমান দিদি (কৌর)-সবাই পাশে ছিলেন। সিনিয়ররা বলেছিলেন, নিজের খেলা খেলতে, আর এই আত্মবিশ্বাসটাই আমাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।’

শচীনকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘মাঠে শচীন স্যারকে দেখে যেন ভেতরে নতুন শক্তি পেলাম। আমি ওনার সঙ্গে কথা বলি, উনি আমাকে সবসময় অনুপ্রেরণা দেন। তিনি ক্রিকেটের মাস্টার-ওনাকে দেখলেই আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।’

শেফালির এই ইনিংস ইতিহাসও গড়েছে-তিনি ভারতের হয়ে নারী বিশ্বকাপ ফাইনালে সর্বোচ্চ রান করেছেন, ২০১৭ সালের ফাইনালে পুনম রাউতের ৮৬ রানের আগের রেকর্ড ছিল।

ভারতের ইনিংস শুরু হয় দুর্দান্তভাবে। স্মৃতি মন্ধানা ও শেফালি ভার্মা জুটি ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ও সতর্ক ব্যাটিংয়ের মিশ্রণ দেখান। মাত্র ৬.৩ ওভারে আসে পঞ্চাশ রানের জুটি, আর প্রথম ১০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ওঠে ৬৪/০।

এই ওপেনিং জুটি অবশেষে ১০৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে, এর পর মন্ধানা ৪৫ রানে আউট হন ক্লোই ট্রায়নের বলে।

এই ইনিংস এবং পারফরম্যান্সে শেফালি শুধু ভারতের প্রথম নারী বিশ্বকাপ জয়ের নায়িকাই নন, বরং তিনি প্রমাণ করেছেন-ভারতীয় নারী ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ এখন তার মতো তরুণদের হাতেই সবচেয়ে নিরাপদ।