দুই গায়িকার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, দ্বন্দ্ব চরমে

5
Spread the love


বিনোদন ডেস্ক ||

দ্বন্দ্বে জড়ালের পশ্চিমবঙ্গের দুই প্রজন্মের দুই সংগীতশিল্পী জোজো মুখার্জি ও পৌষালী ব্যানার্জি। কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়ে এই বিরোধের সূচনা; যা চরমে পৌঁছে গিয়েছে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই দুই শিল্পী।

বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম কথা বলেন পৌষালী ব্যানার্জির সঙ্গে। এ গায়িকা বলেন, “এদিন আমাদের আগে অনুষ্ঠান ছিল। আমার পরে জোজোদির অনুষ্ঠান ছিল। সাধারণত, যাদের পরে অনুষ্ঠান থাকে তারা আগে সাউন্ড চেক করেন। সেভাবেই জোজোদির টিমের আগে সেসব করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি ও তার টিম সময়মতো পৌঁছাতে পারেনি। প্রায় এক ঘণ্টা পরে পৌঁছায়। সবকিছু ঠিক করতে অনেকটা সময় লাগে।”

পরের ঘটনা বর্ণনা করে পৌষালী বলেন, “মঞ্চে জায়গা এতটাই কম ছিল যে, জোজোদির টিম সমস্ত বাদ্যযন্ত্র রাখার পর আমাদের আর দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না। ড্রামকিটটা সরানোর জন্য অনেক অনুরোধ করি জোজোদির টিমের কাছে। ওটা সরালেই আমরা স্বচ্ছন্দ্যে দাঁড়াতে পারি। কিন্তু জোজোদির টিম যখন আমাদের অনুরোধ শোনে না, একটু কথা কাটাকাটি হয়। আমরা মঞ্চের ওপর ঠিকভাবে দাঁড়াতে পারছিলাম না, তখন বাধ্য হয়ে ক্লাবের সদস্যদের উপস্থিতিতে আমরা দেড়-দু ফুটের মতো সরিয়ে রাখি বাদ্যযন্ত্রটি। এই পুরো বিষয়টি একেবারে ভুলভাবে দিদির কাছে ব্যাখ্যা করা হয়।”

ভুল করেননি বলে দাবি পৌষালীর। তার ভাষায়—“আমার অনুষ্ঠান শেষে জোজোদি মঞ্চে উঠে মাইকে সকলের সামনে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তারপরও উনি থামেননি। বাড়ি ফিরে লাইভ করে আবারো কথাগুলো বলেছেন। আমি শুধু এটুকুই বলতে চাই, আমি ওনার থেকে অনেক জুনিয়র। আমি সিনিয়রদের কাছে নত হয়ে থাকতেই ভালোবাসি। কিন্তু যে ভুল আমি করিনি তার দায় আমি নিতে পারব না। প্রয়োজন হলে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ দেব।”

এ বিষয়ে কথা বলতে সংবাদমাধ্যমটি গায়িকা জোজো মুখার্জির সঙ্গে যোগাযোগ করে। জবাবে এই শিল্পী বলেন, “আমার যা বলার লাইভে বলে দিয়েছি।”

ফেসবুকে ঠিক কী বলেছেন জোজো? এ গায়িকা বলেন, “এত বছর ধরে আমি একজন সংগীতশিল্পী। নিজের পরিশ্রমে নিজের জায়গা নিজেকে অনেক কঠিন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে তৈরি করে নিতে হয়েছে। কলকাতা শহরের এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে আমি অনুষ্ঠান করিনি। আজও সেভাবেই একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে আমার সঙ্গে এমন কিছু হয়, যার ফলে আমার মারাত্মক রাগ হয়েছে। এত রাগ বোধহয় আমার আগে কারো উপর হয়নি। আমার জুনিয়রদের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। তবে ব্যতিক্রম অনেকে আছেন।”

পৌষালীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জোজো বলেন, “আমাদের সংগীত দুনিয়াটা খুব ছোট। সকলকেই কমবেশি অ্যাডজাস্ট করতে হয়। আমার টিমের সদস্যরা আগে গিয় সাউন্ড চেক করে রেস্টরুমে চলে যায়। এইসময় পৌষালী ও তার টিমের সদস্যরা আসেন এবং আমাদের অনুমতি ছাড়াই আমাদের বাদ্যযন্ত্র সরিয়ে দেয়। আমাদের না জানিয়ে এমনটা করেছে, এটা একপ্রকার অসভ্যতা। পৌষালীর টিম আমাদের সঙ্গে অসভ্যতা করেছে। ওদের উচিত ছিল আমাদের বলা। এই অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি। এই অসম্মানের পর শোটা করতাম না। কিন্তু ওখানে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের জন্য শোটা করেছি। এভাবে কারো অনুমতি ছাড়া মঞ্চ থেকে বাদ্যযন্ত্র সরানো যায় না।”