স্পোর্টস ডেস্ক।।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) দ্বিতীয় দিন ছিল সেঞ্চুরির দিন। কোথাও লড়াকু ইনিংসে দলকে বিপদমুক্ত করেছেন অধিনায়ক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, কোথাও জন্মভূমির জার্সিতে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার আব্দুল মজিদ। তবে সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় গিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন মুমিনুল হক।
সিলেটের বিপক্ষে কঠিন পরিস্থিতিতে দলকে উদ্ধার করেছেন ঢাকা বিভাগের অধিনায়ক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। প্রথম দিনে ৫০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি।
চতুর্থ প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরিতে ২৭২ বলে ১২২ রান করেন মাহিদুল, যা তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। ১৩৬ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার পর লড়াই চালিয়ে ২২১ বলে শতরানে পৌঁছান তিনি।
অষ্টম উইকেটে সুমন খানের সঙ্গে ১২৫ রানের জুটি গড়ে দলকে ৩১০ রানে নিয়ে যান। ব্যাট হাতে নিজেকে প্রমাণ করেন সুমনও, ৫৪ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৭৪ রান করেন এই পেসার।
শেষ দিকে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে ইনিংস শেষ হয় ঢাকার। ইবাদত হোসেন আগের দিনের তিন উইকেটের পর আর সাফল্য পাননি। তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন টেস্ট পেসার খালেদ আহমেদ।
দিন শেষে সিলেট ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করে। তৃতীয় দিনে তাদের ইনিংসে নজর থাকবে দলের হয়ে নামা মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে।
৩ সেঞ্চুরিতে ময়মনসিংহের রানের পাহাড়
প্রথমবারের মতো জাতীয় লিগে অংশ নেওয়া ময়মনসিংহ বিভাগ দারুণ শুরু করেছে। আগের দিন সেঞ্চুরি করেছিলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও মাহফিজুল ইসলাম রবিন। পরদিন তাদের পথে হেঁটেছেন অভিজ্ঞ আব্দুল মজিদ।
নিজ শহরের হয়ে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেন তিনি। ১৬৯ বলে শতরান তুলে নেন মজিদ, আর তার সঙ্গে শুভাগত হোম চৌধুরী গড়েন ১৩০ রানের দারুণ জুটি। শুভাগত ৮৬ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৬৫ রান করে আউট হন।
শেষদিকে ঝড় তোলেন আবু হায়দার রনি — ৩৪ বলে ৫ ছক্কায় ৬০ রানে অপরাজিত থেকে দলকে নিয়ে যান বিশাল স্কোরে। এক পর্যায়ে ১০ বোলার ব্যবহার করেও রংপুরের কেউই থামাতে পারেননি ময়মনসিংহের ব্যাটারদের।
অবশেষে ৬ উইকেটে ৫৫৬ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে ময়মনসিংহ বিভাগ। ব্যাটিংয়ে নামতেই বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর — দুই ওপেনার মিম মোসাদ্দেক ও আব্দুল্লাহ আল মামুন আউট হয়ে ফেরেন দ্রুতই। তৃতীয় দিনে তাদের বড় চ্যালেঞ্জ ফলো-অন এড়ানো।
সেঞ্চুরি মিসে হতাশ মুমিনুল
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম বিভাগের মুমিনুল হক সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও ব্যর্থ হন। ৮৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা মুমিনুল রুয়েল মিয়ার বলে ৯২ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন।
আগের দিন ৪ উইকেটে ২৬০ রান করা চট্টগ্রাম এদিন আর ১০০ রানও যোগ করতে পারেনি — প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩৫৮ রানে।
মুমিনুলের সঙ্গী ইরফান শুক্কুর (২১) ব্যর্থ হন, তবে শেষদিকে নাঈম হাসান (৩৫) ও হাসান মুরাদ (২৮) কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে ধস নামে চট্টগ্রামের ইনিংসে।
বরিশাল বিভাগের অধিনায়ক তানভির ইসলাম ৪ উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশালও হারায় দ্রুত উইকেট — ওপেনার ইফতেখার হোসেন ইফতিখে আউট, অন্য ওপেনার জাহিদউজ্জামান চোটে সাইডলাইনে। এরপর আদিল বিন সিদ্দিক (৪৩) ও সালমান হোসেন ইমন (৪৭)* ধৈর্য ধরে দলকে এগিয়ে নেন।
দিন শেষে বরিশাল স্থিতিশীল অবস্থায় দিন শেষ করে, হাতে এখনো তাদের অনেক ব্যাটসম্যান বাকি।
            
		









































