স্টাফ রিপোর্টার
শেখ পরিবারের আস্তাভাজন আওয়ামী সরকারের সুবিধাভোগী খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী সরোয়ারের বিরুদ্ধে নগরীর সোনাডাঙার বৃহত্তর পাইকারি কাঁচাবাজরে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা হয়েও তিনি ক্ষমতার দাপটে এ কাজ করছেন। ২১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য হয়েও জুলাই ২৪ পরবর্তী সময়ে খোলস পাল্টে তিনি এ চাঁদাবাজি করছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের এই নেতার নেতৃত্বে বিভিন্ন প্রান্তর থেকে বাজারে আসা ভ্যান, রিক্রা, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। বৃহত্তর পাইকারি কাচাঁবাজারে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খুচরা বিক্রেতারা মালামাল ক্রয়ের জন্য এখানে আসেন। ক্রয়কৃত মালামাল নিয়ে বের হতে ভ্যান, রিক্সা অথবা ইজিবাইক প্রতি ১০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়। এভাবে প্রতিদিন প্রকাশ্যে হাজার হাজার টাকা চাঁদা তোলা হচ্ছে ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নামে।
সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে, সোনাডাঙ্গায় অবস্থিত খুলনার বৃহত্তর পাইকারি কাঁচাবাজারে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শতশত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এখান থেকে কাঁচামাল তরিতরকারি ক্রয় করে ছোট যানবাহন ভ্যান রিক্সা অথবা ইজিবাইকে করে তাদের গন্তব্যে নিয়ে যান। মালামাল পরিবহনকারী প্রতিটি রিক্সা, ভ্যান এবং ইজিবাইককে প্রবেশদার পার হতেই গুনতে হয় ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।
ভ্যান চালক আব্দুর রহিম জানান, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নামে প্রতিটি ভ্যান রিক্সা ও ইজিবাইক প্রতি চাঁদা দিতে হচ্ছে। ভ্যান বা যে কোন পরিবহন নিয়ে ঢুকতে এবং বের হতে তাদেরকে দিতে হচ্ছে ১০টাক করে চাঁদা। ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নামে ৫/৬ জন প্রতিটি গাড়ী থেকে প্রকাশ্যে চাঁদা তুলছে। চাঁদা দিতে অস্বিকার করলে আদায়কারীদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয়।
ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরি সভাপতি ও ২১ নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সভাপতি বাবলু খলিফা ভ্যান, রিক্সা ও ইজিবাইক প্রতি টাকা তোলার কথা স্বীকার করলেও তিনি জানান, যে টাকা তোলা হচ্ছে সেটা বাজারের যারা শৃংখলা বা গাড়ি পার্কিং এর দেখাশোনা কাজ করছেন তারা। এই টাকা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নে যায় না।
খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী সরোয়ার বলেন, বাজার কমিটির এবং আমরা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন এটা দেখভাল করি। বাজার কমিটির ওনাদের ৩জন এবং টার্মিনালের জন্য আমাদের ৩জন মোট ৬জন মিলে উঠায়। এটা বাজার মেনটেনেন্স এর কাজে তারা খায় আমাদেরকে কোন টাকা দেওয়া হয়না।
এ বিষয়ে সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কবির হোসেন জানায় এ ধরনের একটি খবর আমরা এর আগে পেয়েছিলাম। আমাদের উর্ধতন কর্মকর্তার অফিস থেকে এ ধরনের কিছু হয় কিনা। ম্যাসেজ পাওয়ার পরপরই আমরা ওই সময় অভিযান চালিয়েছিলাম। তখন তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। পুলিশ বিষয়টি নজরে রেখেছে।











































