কেশবপুর-রামচন্দ্রপুর সড়কটি পানিতে তলিয়ে থাকায় চরম দুর্ভোগে স্থানীয়রা

6
Spread the love

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি।।

যশোরের কেশবপুর উপজেলা সদরের সাথে কেশবপুর-ভায়া রামচন্দ্রপুর বাইপাস সড়কের হরিহর নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ করলেও নদী দুপাড়ের সংযোগ সড়কটি বন্যার পানির পানিতে ভেসে যাওয়ায় ১০টি গ্রামের শত শত পরিবারের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। গত ২০২৩ সালে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই বাইপাস সড়কের হরিহর নদীর ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েক বছরের বন্যায় কেশবপুর উপজেলা সদর ৬নং ইউনিয়নের কেশবপুর ভায়া রামচন্দ্রপুর সড়কটি পানির তোড়ে ভেসে যায়। এতে গত ১০ বছর ধরে সড়কটি পানিতে তলিয়ে থাকায় ১০টি গ্রামের মানুষ ও যান চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে। সড়কটি পানিতে তলিয়ে থাকায় এসব এলাকার মানুষের কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলা সদরে যেতে তাদের প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে শহরে যেতে হয়। যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে কেশবপুর-রামচন্দ্রপুর বাইপাস সড়কসহ ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। যার সুফল ভোগ করছিল কেশবপুর পৌরসভার মধ্যকুল, হাবাসপোল, বালিয়াডাঙ্গা, ব্রহ্মকাটি এবং সদর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর, বেলকাটি, ব্যাসডাঙ্গাসহ মনিরামপুর উপজেলার নাগরঘোপ, মুজগুন্নী ও বাডবিলাসহ ১০টি গ্রামের মানুষ।

এরই মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিতভাবে খাল ও নদী খননসহ ঘের নির্মাণ করার ফলে গত ১৫ বছর ধরে কেশবপুর পৌরসভাসহ উপজেলার প্রায় শতাধিক গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এরমধ্যে কেশবপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩টি ওয়ার্ড ৬ মাস জলাবদ্ধ হয়ে থাকে। এতে এলাকার রাস্তাঘাট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে। বর্তমানে কেশবপুর ভায়া রামচন্দপুর সড়কটির সিংহভাগ অংশ পানিতে তলিয়ে আছে। এতে সড়কের ওপর মাছ ও হাঁস চাষ করছে এলাকার লোকজন। এলাকাবাসী দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি উঁচু করে নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পৌর সভার ৭নং ওয়ার্ডের মধ্যকুল গ্রামের শাহীন দফাদার ও আব্দুস সোবাহান ড্রাইভার বলেন, বিগত বন্যায় কেশবপুর-রামচন্দ্রপুর সড়কটি ভেসে গিয়ে গত ১০ বছর যাবত মানুষ চলাচলের অন-উপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটি সংস্কারসহ উঁচু করে নির্মাণ করার জন্য তারা দাবি জানান।

উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মো. নাযিমুল হক বলেন, ‘কেশবপুরের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে কেশবপুর ভায়া রামচন্দ্রপুর সড়কটি নির্মাণ করা হয়। এ লক্ষ্যে হরিহর নদীর ওপর ২০২৩ সালে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সড়কটি পানিতে তলিয়ে থাকায় এলাকার মানুষ এর সুফল থেকে বঞ্চিত। এছাড়া সড়কটি উঁচু করে নির্মাণ করার জন্য যশোর উন্নয়ন প্রকল্প ডিপিপি ভুক্ত তালিকায় রাখা হয়েছে। যার অনুমোদন এখনো পাওয়া যায়নি।