নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা

14
Spread the love

ঢাকা অফিস।।

সিন্ডিকেট গড়ে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির নামে প্রতারণা ও মানিলন্ডারিংয়ের (অর্থপাচার) অভিযোগে নাফিসা কামাল ও তার পরিচালিত ‘অরবিটালস ইন্টারন্যাশনাল’সহ আট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশান থানায় মানিলন্ডারিং আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সিআইডির প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী,নাফিসা কামাল ও তার প্রতিষ্ঠান অরবিটালস ইন্টারন্যাশনালসহ সহযোগী সিন্ডিকেট সদস্যরা সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে অবৈধভাবে বিপুল অর্থ আদায় করেছেন।

তাদের বিরুদ্ধে মোট ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬১০ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, হাফিযুল বারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমান (স্বত্বাধিকারী, ইরভিং এন্টারপ্রাইজ), রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী (স্বত্বাধিকারী, আমান এন্টারপ্রাইজ), জসিম উদ্দিন আহমেদ (স্বত্বাধিকারী, আহাদ ইন্টারন্যাশনাল লি.), মো. আকতার হোসাইন (স্বত্বাধিকারী, আক্তার রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি), শিউলী বেগম (স্বত্বাধিকারী, মালয়েশিয়া বাংলাদেশ হোল্ডিংস প্রা. লি.), কাউসার মৃধা (স্বত্বাধিকারী, মৃধা ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন) ও মোহাম্মদ বশির (স্বত্বাধিকারী, রাব্বি ইন্টারন্যাশনাল)

তাদের বিরুদ্ধে মোট ৩১১১ জন কর্মীর কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের তথ্য পাওয়া গেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই অর্থ আদায় করা হয়।

মামলাটি সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট তদন্ত করছে।

সিআইডি জানিয়েছে, অভিযুক্তদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজে অভিযান চলছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের লক্ষ্যে সিআইডির নিবিড় তদন্ত ও সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।