অনলাইন ডেস্ক।।
আনন্দঘন হানিমুন পরিণত হলো এক মর্মান্তিক ঘটনায়। বিয়ের মাত্র চার দিন পরই পশ্চিম সুমাত্রার সোলক জেলার আলাহান পানজাং এলাকার এক রিসোর্টের বাথরুমে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেল নবদম্পতি গিলাং কুরনিয়াওয়ান ও সিন্ডি দেশ্তা নান্দাকে। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে নববধূকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অন্যদিকে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন স্বামী। খবর নিউ স্ট্রেইটস টাইমস
গত বুধবার (৮ অক্টোবর) ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রার লেকসাইড আলাহান পাঞ্জাংয়ের একটি রিসোর্টে ঘটে মর্মান্তিক এই ঘটনা। শনিবার (১১ অক্টোবর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে এই খবর।
খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন পাদাংয়ের বাসিন্দা ২৮ বছর বয়সি গিলাং কুরনিয়াওয়ান ও সিন্ডি দেস্তা নন্দা। এরপর পশ্চিম সুমাত্রার লেকসাইড আলাহান পাঞ্জাংয়ের একটি রিসোর্টে হানিমুনে যান নবদম্পতি। কিন্তু রিসোর্টে গিয়েই বড় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
ঘটনার দিন সকালে কোনো সাড়া মিলছিল না এই নবদম্পতির। সন্দেহ হওয়ায় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন রিসোর্টের কর্মচারীরা। ভেতরে ঢুকে তারা নবদম্পতি গিলাং ও সিন্ডি দুজনকেই বাথরুমের মেঝেতে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
রিসোর্টের কর্মীরা তৎক্ষণাৎ একটি অক্সিজেন কিট ব্যবহার করে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক নববধু সিন্ডিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে স্বামী গিলাং কুরনিয়াওয়ান প্রাণে বেঁচে যান। তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য আরোসুকা আঞ্চলিক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণের জন্য তদন্ত চলছে। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, বাথরুমের গিজার বা ওয়াটার হিটার থেকে নির্গত গ্যাসের বিষক্রিয়ার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।










































