নৈসর্গিক সৌন্ধর্যের লীলাভুমি সুন্দরবনের পুটনির দ্বীপ

5
Spread the love


শ্যামনগর প্রতিনিধি
পুটনী আইল্যান্ড বঙ্গোপসাগরের এক শান্ত দ্বীপ, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং প্রাণীবৈচিত্রের অনন্য মেলবন্ধন। সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে অবস্থিত এই দ্বীপটি পশ্চিমে মান্দারবাড়িয়া সৈকত, পূর্বে হিরণ পয়েন্ট এবং দক্ষিণ-পূর্বে দুবলার চর দ্বারা বেষ্টিত। দ্বীপটির দৈর্ঘ্য ৯ কিলোমিটিার।আয়তন ১০ বর্গকিলোমিটার । এটি মূলত সুন্দরবনের দক্ষিণাংশের কাছাকাছি হওয়ায় এর জীববৈচিত্রে সুন্দরবনের প্রভাব রয়েছে। ১৯৭২ সালে মৎস্যজীবী মালেক ফরাজী নামের একব্যক্তি প্রথম এই দ্বীপটি আবিষ্কার করেন। সে সময় এটি ছিল মাত্র ২ একর আয়তনের ডুবোচর। সমুদ্র থেকে পলি জমার কারণে এই চরটির আকার ক্রমেই বৃদ্ধি পায়। ২০০৪ সালের দিকে এটি স্থায়ী ভূমির রূপ লাভ করে এবং বর্তমানে এটি ১০ বর্গকিলোমিটার আকারের একটি দ্বীপ।দ্বীপের একাংশে রয়েছে ঘন সবুজ বনাঞ্চল, যেখানে হরিণ, বাঘসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী দেখা যায়। অন্যদিকে দ্বীপের অন্য অংশজুড়ে রয়েছে দিগন্তজোড়া সৈকত, যা বালুকাবেলা ও লাল কাঁকড়ায় ভরপুর।দ্বীপটি হরিণের অভয়ারণ্য হিসেবে বিখ্যাত। সাম্প্রতিক সময় বাঘের আনাগোনা এটিকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। লাল কাঁকড়া, ঝিনুক, শামুক এবং মৌমাছি দ্বীপের পরিবেশে প্রাধান্য পায়।চারপাশে বঙ্গোপসাগরের নীল জলরাশি এবং নির্জন প্রাকৃতিক পরিবেশ এটিকে পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে তুলেছে।দ্বীপের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। লাল কাঁকড়া এবং সুন্দরবনের জীবনধারা কাছ থেকে উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে এইদ্বীপে।মান্দারবাড়িয়া সৈকতের পাশের সৈকত এটি হওয়ায় পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। সেখানকার নির্জন পরিবেশ ও সূর্যাস্ত দর্শনার্থীদের মনোমুগ্ধ করে।স্থানীয় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে মাছ ধরার কার্যক্রমেও অংশ নেওয়া যায়।দ্বীপের প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণে কাজ চলছে, যাতে এটি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সহ্য করতে পারে।
পুটনি আইল্যান্ডে যাওয়া এখনো কিছুটা চ্যালেঞ্জের, তবে এটি ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য রোমাঞ্চকর। সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জ অথবা নীলডুমুর থেকে ট্রলার ,স্পীডবোর্ড বা লঞ্চ যোগে পুটনি আইল্যান্ডে পৌঁছানো সম্ভব।পুটনি আইল্যান্ড বাংলাদেশ সরকারের পর্যটন খাতে একটি নতুন সংযোজন। পর্যটকদের জন্য আরও সুবিধা এবং অবকাঠামো উন্নয়ন করা হলে এটি স্থানীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।বর্তমানে সাতক্ষীরা থেকে সুন্দরবনে ভ্রমনে আসা পর্যটকদের একমাত্র বাধা হয়ে দাড়িয়েছে রাস্তা।রাস্তাটি সংস্কারে জন্য মন্ত্রী পরিষদ সচিব ডঃ আব্দুর রশিদ ব্যাপক ভুমিকা রাখায় সুন্দরবন দর্শনার্থীরা আশার আলো দেখছে।রাস্তা সংস্কার হলে দর্শনাদের আসাযাওয়া বৃদ্ধি পাবে, সরকার পাবে অধিক রাজস্ব ।শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাৎ রনি খাতুন বলছেন,মন্ত্রীপরিষদ সসিব স্যার সাতক্ষীরার ˜ীর্ঘ দিনের যে সমস্যা ছিল রাস্তা সংস্কার তা অচিরেই নিরশনের উদ্যোগ নিয়েছেন।