নাটোরে ত্রিভুজ প্রেমের কারণেই খুন হন চিকিৎসক

21
Spread the love


খুলনাঞ্চল রিপোর্ট
নাটোরের বিএমএ ও বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক মালিক এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. এ এইচ এম আমিরুল ইসলাম ত্রিভুজ প্রেমের কারণেই নিজের ব্যক্তিগত সহকারী আসাদুল ইসলাম মিয়ার (২৬) হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন।
শহরের মাদ্রাসা মোড়ে নিজের গড়া জনসেবা হাসপাতালের একজন সেবিকার প্রেমে পড়েন ডা. এ এইচ এম আমিরুল ইসলাম। এর আগে থেকেই এই সেবিকা ডাক্তারের ব্যক্তিগত সহকারী আসাদুল ইসলাম মিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রেমে জড়িত ছিলেন। এর জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বিষয়গুলো নিশ্চিত করে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিং করেন। এ সময় পুলিশ সুপার বলেছেন, ত্রিভুজ প্রেমের বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় গত ২৫ আগস্ট নিজের শয়নকক্ষে ডা. আমিরুল ইসলাম তার ব্যক্তিগত সহকারী আসাদুল ইসলাম ও সেই সেবিকাকে মারপিট করেন। পরে সেদিনই ব্যক্তিগত সহকারী আসাদুল ইসলামকে চাকরিচ্যুত করেন। পরে আসাদুল ইসলাম একটি কালো বোরখা ও দুটি ধারালো ছুরি কিনেন। নিজের কাছে চাবি থাকার সুবাদে ঘটনার রাতে পূর্ব থেকেই সে চিকিৎসকের শয়নকক্ষে গোপনে অবস্থান নিয়েছিলেন। নিজের প্রেমিকার সঙ্গে ডা. আমিরুল ইসলাম অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া এবং সেটা জানাজানি হওয়ার পর আসাদুলকে তাড়িয়ে দেয়ার ক্ষোভ থেকেই পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে আসাদুল স্বীকার করেছেন। দ্রুত আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিবে বলেও পুলিশকে নিশ্চিত করেছেন। প্রেস ব্রিফিং এ নাটোরের পিবিআই পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমিন নেলি উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মঙ্গলবার আছরের নামাজের পর নাটোর পৌরসভার ঈদগাহ মাঠে জানাজার নামাজ শেষে স্থানীয় গাড়ীখানা কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
অপরদিকে সোমবার রাতেই নিহত চিকিৎসক ডা. এ এইচ এম আমিরুল ইসলামের সহধর্মিণী তাসমিন সুলতানা বাদী হয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে তার স্বামীকে হত্যার অভিয়োগে নাটোর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তার স্বামীর গলা ও পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। নাটোর থানার এসআই জামাল উদ্দিনকে এই মামলার তদন্তভার দেয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতালের তিন সেবিকাসহ ৫ জনকে আটক করে। পরে একপর্যায়ে নাটোর শহর থেকে মূল অভিযুক্ত নিহত চিকিৎসকের ব্যক্তিগত সহকারী আসাদুল ইসলামকেও আটক করে।
পুলিশ সুপার জানান, আপাতত এই মামলায় একমাত্র আসাদুল ইসলামকেই গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।