ডাকাতিকালে গৃহকর্তাকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

7
Spread the love


নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইল সদর উপজেলায় ডাকাতির সময় গৃহকর্তাকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় পাঁচ ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক এলিনা আক্তার মামলার রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিদের একজন আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) তারিকুজ্জামান লিটু রায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন নড়াইল সদর উপজেলার ধুড়িয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ মুন্সির ছেলে শাহিন মুন্সি, ভওয়াখালী গ্রামের লালমিয়ার ছেলে আক্তারুজ্জামান বাবুল, সলেমানের ছেলে সেলিম হোসেন, ফেদী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম মৃধা ও মাগুরার খানপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে তেজারত মোল্যা। রায় ঘোষণার সময় তেজারত মোল্যা আদালতের উপস্থিত ছিলেন। অপর চারজন পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ২৪ জুন রাতে নড়াইল পৌরসভার ভওয়াখালী এলাকার নির্মল পোদ্দারের বাড়িতে রাতে আসামিরা ডাকাতির উদ্দেশে ঢুকে বাড়ির সদস্যদের অস্ত্রের মুখে হাত পা-বেঁধে ফেলেন। এ সময় নির্মল পোদ্দার ডাকাতদের কাছে থাকা ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হন। ডাকাতেরা দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত নির্মল পোদ্দার মারা যান। এ ঘটনায় নির্মলের মেয়ে পলি পোদ্দার নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন।
মামলায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানার আদেশ দেন। এ ছাড়া তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁদের মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়।