গোপালগঞ্জে এনসিপি’র কমিটি গঠন; ব্যবসায়ীর নাম যুক্ত করায় প্রত্যাহারের দাবি

11
Oplus_131072
Spread the love


গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি।।
গোপালগঞ্জে এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি) (জাতীয় নাগরিক পার্টি) কমিটি ঘোষণা করার একদিন পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কমিটি থেকে নিজের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী। এনসিপির গোপালগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয় গত ০৪ জুলাই বৃহস্পতিবার। আরিফুল দাঁড়িয়া কে প্রধান সমন্বয় করে একটি তালিকা প্রকাশ করে গোপালগঞ্জ কমিটি। উক্ত কমিটিতে এক নম্বর সদস্য করা হয় ব্যবসায়ী ছাদিম কাজীকে। বিষয়টি তিনি জানতে পেরে তার নিজস্ব ফেসবুক পেইজে তার নাম প্রত্যাহার এর আহবান জানিয়ে তিনি একটি পোস্ট করেন। উক্ত পোস্টটি ইতিমধ্যে গোপালগঞ্জ শহরে ভাইরাল হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকের মাঝে ছড়াচ্ছে নানান ধরনের কথা।

গোপালগঞ্জ জেলা শহরের বটতলা নামক স্থানে স্বাধীন কাজী একটি মুদি দোকানের ব্যবসা করেন। এ ব্যাপারে ছাদিম কাজীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দোকান বন্ধ পাওয়া যায় পরে তার সাথে মুঠোফোনে কথা বলে তিনি বলেন, আমি কোনদিন কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত ছিলাম না। এখনো নেই। কিন্তু আমার অনুমতি ব্যতীত এলসিপি নামক একটি দল আমাকে গোপালগঞ্জ কমিটির সদস্য মনোনীত করায় আমি বেশ অবাক হয়েছি একই সাথে এই ঘটনায় আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। কেউ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আমার নাম উক্ত কমিটিতে দিয়েছে। এসসিপির গোপালগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়ক মো: আরিফুল ইসলাম আমার স্কুলের বড় ভাই ছিলেন। তিনি হয়তো কমিটিতে আমার নামটি যুক্ত করতে পারেন বলে আমি ধারণা করছি। আমি এনসিপির কমিটির কেউ না তাই অতিসত্বর আমার নাম প্রত্যাহার করার অনুরোধ করছি নতুবা আমি পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্স এর সভাপতি মোঃ মোশাররফ হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি এবং ব্যবসায়ী ছাদিম কাজীর সাথে আমার কথা হয়েছে। আমার জানামতে সে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত নয় এবং সম্প্রতি এনসিপির নতুন কমিটিতে তার যে নাম এসেছে সে বিষয়েও সে কিছু জানে না এটা আমরা তার কথায় আশ্বস্ত হয়েছি। অন্য কোন ব্যবসায়ীকে কোন দল ভুক্ত করা হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, যদি কেউ স্বইচ্ছায় কোন দল করতে চায় তাহলে আমরা কেউই তাকে বাধা দিতে পারি না তবে যদি অন্যায় ভাবে তাকে না জানিয়ে নাম দেওয়া হয় তাহলে আমরা তার প্রতিবাদ করব। এখন পর্যন্ত আমার কাছে এই বিষয়ে আর কোন অভিযোগ বা তথ্য নেই। ছাদিম কাজীর বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। আমি আপনাদের মাধ্যমে সকল ব্যবসায়ীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি, যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে অবশ্যই যেন তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর সই করা গোপালগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটি প্রকাশ করা হয়। ২৯ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির ১ নম্বর সদস্য করা হয় ছাদিম কাজীকে। এ ঘটনার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যবসায়ী ছাদিম কাজীকে অনেকেই অভিবাদন জানান।

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়ক মো: আরিফুল ইসলাম এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, ছাদিম কাজীর অনুমতি নিয়েই তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কমিটি গঠনের দুই তিন মাস আগের থেকেই সে আমার সাথে প্রায়ই যোগাযোগ করত এবং আমাদের প্রত্যেকটা মিটিংয়ে সে উপস্থিত থাকতো। একটা দলীয় পদবীর জন্য সে বারবার আমাকে অনুরোধ করেছে। এমনকি আজকেও সে আমাকে কল দিয়েছে। এবং সে যে ব্যাপারটি বলেছে আমি তার স্কুলের বড় ভাই কিন্তু আমি পড়ালেখা করেছি মাঝবাড়ি বিদ্যালয়ে সুতরাং এই বিষয়টিও সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিষয়টি সে ফেসবুকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছে এ ব্যাপারে আমরা দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। দল যে সিদ্ধান্ত নেয় পরবর্তীতে সেটা আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

সংযুক্ত কল রেকর্ডিং- প্রধান সমন্বয়কারী, আরিফুল দাঁড়িয়া।‌