খুলনাঞ্চল রিপোর্ট।।
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের হাতিয়ায় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি ঘটনায় এক স্যানিটারি মিস্ত্রি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম আবু সাঈদ (৩১)। তিনি দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের তারাপাশা গ্রামের তাজ মিয়ার ছেলে। দু’পক্ষের গুলি বিনিময়ের সময় গ্রামের একটি বাড়ির পানির ট্যাংকিতে কাজ করছিলেন তিনি। এ ঘটনায় একটি একনলা বন্দুক, ৪টি পাইপগানসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। দেশীয় অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৭টি রামদা, ৯টি বল্লম, ৬টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, ১ রাউন্ড তাজা বুলেট ও ১ রাউন্ড ফায়ারকৃত ব্ল্যাংক কার্টিজ।
গতকাল দুপুরে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ ঘটনার পর সেনাবাহিনী এলাকায় তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করে সন্দেহভাজন ৪ সন্ত্রাসীকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো- তাজ উদ্দিন, আমির উদ্দিন, ইরন মিয়া ও জমির মিয়া। সেনাবাহিনীর দাবি, অজ্ঞাত কোনো সন্ত্রাসীর গুলিতে সাঈদের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে রোববার বিকালে হাতিয়ার গাধিয়ালা এলাকায় সেনাবাহিনী ও অস্ত্রধারীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে আবু সাঈদের লাশ উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। এরপর রাতভর যৌথ বাহিনী অভিযান চালায়। সোমবার সকাল ৯টায় সেনা অভিযান শেষ হয়।
সূত্রে জানায়, গত ২০শে জুন দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা একরার হোসেনের লোকজনের সঙ্গে একই ইউনিয়নের বিএনপি’র সভাপতি আতিকুর রহমানের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও একরার ও তার অনুসারীরা প্রায় সময় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিতো। এ ধরনের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ২২শে জুন সেনাবাহিনীর একটি টহল দল অস্ত্রধারীদের ধরতে হাতিয়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের উপস্থিতি টের পেয়ে একরার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। তবে, মৃত ব্যক্তি কার গুলিতে মারা গেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। অভিযানে আটককৃত ব্যক্তি এবং তাদের নিকট হতে উদ্ধারকৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি পুলিশের নিকট হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মৃত ব্যক্তিকে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।