স্পোর্টস ডেস্ক
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেডিংলিতে ৫ ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টে দারুণ এক সেঞ্চুরি হাঁকান রিশাভ পান্ত। প্রথম ইনিংসের সেই দুর্দান্ত ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসে নামার অপেক্ষায় তিনি। তবে দ্বিতীয় টেস্টে খেলা না-ও হতে পারে তার। আম্পায়ারের সঙ্গে বাজে আচরণের কারণে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হতে পারে তাকে।
হেডিংলেতে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন আম্পায়ারকে বল বদলের অনুরোধ করেছিলেন পন্থ। আম্পায়ার না শোনায় রাগে বল ছুড়ে দেন তিনি। এই ঘটনায়ই শাস্তি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে পান্তের।
ঘটনাটি তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেক পরের। ওই সময় বল পরিবর্তনের অনুরোধ করেন ভারতের পেসার জাসপ্রীত বুমরাহ। ততক্ষণে ওই বল দিয়ে ৬১ ওভার খেলা হয়েছিল। আম্পায়ার ক্রিস গাফানি সেই অনুরোধ শোনেননি। তার কিছুক্ষণ পরেই দেখা যায়, মাঠের অপর আম্পায়ার পল রাইফেলের কাছে গিয়েছেন পান্ত। তার কাছে গিয়েও বল বদলের অনুরোধ করেন তিনি।
পরে বলের আকার যাচাইয়ের যন্ত্র দিয়ে সেটি পরীক্ষা করেন রাইফেল। সন্তুষ্ট হওয়ায় একই বল দিয়ে খেলা চালিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান তিনি। এতেই মেজাজ হারান পান্ত। রাগে বল ছুড়ে ফেলেন ভারতের এই উইকেটকিপার ব্যাটার। সেসময় রাইফেলকে দেখো বোঝা যাচ্ছিল, পান্তের কাজে মোটেও খুশি হননি তিনি।
ক্রিকেটে বল বদলের ক্ষেত্রে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। তার বিরুদ্ধে বিরক্তি প্রকাশ অপরাধের সমান। তাই রাইফেল অভিযোগ করলে শাস্তি পাওয়ার কথা পান্তের। আইসিসির নিয়মের ২.৮ ধারা অনুযায়ী, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখালে লেভেল-১ অথবা লেবেল-২ অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
লেভেল-১ ধারার অপরাধের জন্য ক্রিকেটারের ম্যাচ ফি’র শূন্য থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কেটে নেওয়া হয়। পাশাপাশি তাকে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়। কিন্তু যদি কোনো ক্রিকেটার লেভেল-২ অপরাধে দোষী প্রমাণিত হন, তা হলে তার ম্যাচ ফি’র ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়। পাশাপাশি তাকে একটা টেস্ট অথবা দুটো এক দিনের ম্যাচের জন্য নির্বাসিত করা হতে পারে। যদিও পুরোটাই নির্ভর করছে আম্পায়ার কী রিপোর্ট জমা দেন তার ওপর।