স্পোর্টস ডেস্ক
বাউন্ডারি লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে ক্যাচ নেওয়া বা ছক্কা বাঁচাতে গিয়ে শরীরের ভারসাম্য না রাখতে পারলে ফিল্ডাররা সাধারণত একটি কৌশল ব্যবহার করেন—বলটি ওপরে ছুড়ে দিয়ে সীমানা পেরিয়ে গিয়ে আবার শূন্যে লাফিয়ে বল স্পর্শ করে সেটি সীমানার ভেতরে পাঠিয়ে দেন এবং তারপর ক্যাচ ধরেন বা বল থামান। তবে এই কৌশল আর বৈধ থাকছে না।
ক্রিকেটের নিয়ম নির্ধারক সংস্থা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) ঘোষণা করেছে, এমন ‘বাউন্ডারি ফিল্ডিং’ নতুন নিয়ম অনুযায়ী আর গ্রহণযোগ্য হবে না। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, একজন ফিল্ডার সীমানার বাইরে লাফিয়ে কেবল একবারই বল স্পর্শ করতে পারবেন। এরপর তাকে সীমানার ভেতরে ফিরে এসে ক্যাচ সম্পন্ন করতে হবে।
এই নিয়মের কার্যকরের প্রস্তুতি চলতি মাসেই সম্পন্ন করা হবে এবং আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনে এটি সংযুক্ত হবে জুন মাসেই। এরপর ২০২৫ সালের অক্টোবরে এটি এমসিসির বিধিমালায় স্থায়ীভাবে যুক্ত হবে।
২০২৩ সালে বিগ ব্যাশ লিগে এমনই একটি বিতর্কিত ক্যাচ ধরেন ব্রিসবেন হিটের মাইকেল নেসের। তিনি প্রথমে বলটি ওপরে ছুড়ে দিয়ে সীমানার বাইরে গিয়ে শূন্যে লাফিয়ে আবার বল স্পর্শ করেন এবং পরে দৌড়ে ভেতরে এসে ক্যাচটি ধরেন। এই ক্যাচের বৈধতা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়, যেখান থেকে নতুন নিয়ম প্রণয়নের পথ তৈরি হয়।
এর আগে ২০২০ সালে ম্যাথু ওয়েডের একটি ক্যাচ এভাবে নিয়েছিলেন ম্যাট রেনশ, যেটি নিয়েও বিতর্ক হয়েছিল। এসব ঘটনার পর আইসিসির ক্রিকেট কমিটি এমসিসিকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানায়।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ‘বাউন্ডারির বাইরে থেকে বল ছোঁয়া’ কৌশলের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে—একবারের বেশি শূন্যে বল স্পর্শ করা যাবে না, এবং ফাইনাল ক্যাচ বা ছক্কা বাঁচানোর কাজটি সম্পন্ন করতে হবে সীমানার ভেতরে থেকেই। রিলে ক্যাচের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর হবে—যদি একাধিক ফিল্ডার জড়িত থাকেন, তবে যিনি প্রথম বল স্পর্শ করবেন, তাকে সীমানার ভেতরে ফিরতে হবে, অন্যথায় ক্যাচ অবৈধ বলে গণ্য হবে।
এমসিসি জানিয়েছে, এই পরিবর্তনের উদ্দেশ্য হলো ফিল্ডিংয়ের অসাধারণ মুহূর্তগুলোকে রক্ষা করা, কিন্তু ‘অস্বাভাবিক ও কৃত্রিম’ ধরনের ক্যাচ বন্ধ করা।
আসছে ১৭ জুন গলে শ্রীলংকা ও বাংলাদেশের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে নতুন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্র। এই ম্যাচ থেকেই আইসিসির হালনাগাদ প্লেয়িং কন্ডিশন কার্যকর হবে, আর এমসিসির নতুন নিয়ম চূড়ান্তভাবে চালু হবে ২০২৫ সালের অক্টোবরে।