খুলনায় কোরবানির পশুর বর্জ্য নিষ্কাশন হোক পরিবেশবান্ধব

8
Spread the love


-ফাতেমা তুজ জোহরা
মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা আগামী শনিবার ৭ জুন ২০২৫ ইং পালিত হতে যাচ্ছে। ঈদুল আযহার অন্যতম অনুষঙ্গ হলো পশু কোরবানি করা। এদিন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী ছাগল, গরু, ভেড়া, উট কোরবানি দিয়ে থাকেন। কিন্তু সঠিক ব্যবস্থাপনা ও সচেতনতার অভাবে পশুর রক্ত ও উচ্ছিষ্টাংশ থেকে মারাত্মক পরিবেশ দূষণের মতো সমস্যা দেখা দেয়। আর বর্জ্য থেকে বিভিন্ন রোগবালাই ছড়ানোর আশঙ্কা তো থাকেই। এজন্য পশু কোরবানির পর সার্বিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে আমাদের সবারই নজর দিতে হবে। কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুধু পরিবেশ রক্ষার জন্য নয় বরং ইসলামের পবিত্রতার শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। হাদিসে বলা হয়েছে, “পবিত্রতা ইমানের অংশ” (সহিহ মুসলিম: ৪২৭)। বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যদি কোরবানির পশুর বর্জ্য যথাযথভাবে পরিষ্কার করা না হয়, তাহলে সামগ্রিকভাবেই নানারকম মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। অন্যদিকে কোরবানির বর্জ্যেও অর্থনীতির বিপুল সম্ভাবনার কথা বলছেন গবেষকেরা। তাই ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক উদ্যোগের মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করা গেলে ঈদের আনন্দ পূর্ণতা পাবে এবং পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকবে।
পবিত্র কোরআনুল করিমে ঈদুল আযহার দিন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি করার নির্দেশ এসেছে। আরবি কোরবান শব্দটি ফারসি বা উর্দুতে কোরবানি রূপে পরিচিত হয়েছে যার অর্থ নৈকট্য। ইসলামি চান্দ্র পঞ্জিকায় ঈদুল আযহা জ্বিলহজ্জের ১০ তারিখে পড়ে। আন্তর্জাতিক (গ্রেগরীয়) পঞ্জিকায় তারিখ প্রতি বছর ভিন্ন হয় সাধারণত এক বছর থেকে আরেক বছর ১০ বা ১১ দিন করে কমতে থাকে। ঈদের তারিখ স্থানীয়ভাবে জ্বিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে।
ইসলামে কুরবানির ইতিহাস বেশ প্রাচীন। আল কুরআনে হাবিল এবং কাবিলের উল্লেখ পাওয়া যায়। হাবিল প্রথম মানুষ যে আল্লাহর জন্য একটি পশু কুরবানি করেন। ইসলামের বিভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী মহান আল্লাহ তা’আলা ইসলামের রাসুল হযরত ইব্রাহীমকে স্বপ্নযোগে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বস্তুটি কুরবানি করার নির্দেশ দেনঃ “তুমি তোমার প্রিয় বস্তু আল্লাহর নামে কোরবানি কর”। ইব্রাহীম স্বপ্নে এ আদেশ পেয়ে ১০টি উট কোরবানি করলেন। পুনরায় তিনি একই স্বপ্ন দেখলেন। ইব্রাহীম আবার ১০০টি উট কোরবানি করেন। এরপরেও তিনি একই স্বপ্ন দেখে ভাবলেন আমার কাছে তো এ মুহূর্তে প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.) ছাড়া আর কোনো প্রিয় বস্তু নেই। তখন তিনি পুত্রকে কোরবানির উদ্দেশ্যে আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। যখন ইব্রাহীম আরাফাত পর্বতের উপর তাঁর পুত্রকে কোরবানি দেয়ার জন্য গলদেশে ছুরি চালানোর চেষ্টা করেন তখন তিনি বিস্মিত হয়ে দেখেন যে তাঁর পুত্রের পরিবর্তে একটি প্রাণী কোরবানি হয়েছে এবং তাঁর পুত্রের কোন ক্ষতি হয়নি। এই ঘটনাকে স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রতি বছর এই দিবসটি ঈদ উল আযহা নামে উদযাপন করে।
উন্নত মুসলিম দেশগুলোয় কোরবানির জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। যিনি বা যাঁরা কোরবানি দেবেন, তিনি বা তাঁরা নিজেদের পালিত পশু বা পছন্দসই গৃহপালিত পশু ক্রয় করে নির্ধারিত স্থানে দিয়ে দেন। ঈদের দিন পশুগুলোকে সরকারিভাবে হালাল ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে জবাই করে, চামড়া, হাড়-মাংস ও বর্জ্য আলাদা করে, শুধু হাড়-মাংস পশুর মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অতঃপর চামড়া প্রক্রিয়াজাতের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রান্নার অনুপযুক্ত হাড় ও অন্য বর্জ্যগুলো সঠিকভাবে ডাম্পিং বা পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এতে পরিবেশ যেমন সুন্দর থাকে, পাশাপাশি কোরবানির মাংস রোগ-জীবাণুমুক্ত থাকে।
সারা দেশে বছরে যে পরিমাণ পশু জবাই করা হয়, তার প্রায় ৫০ ভাগ কোরবানির ঈদে জবাই হয়। কোরবানির বর্জ্যের মধ্যে পশুর রক্ত, নাড়িভুড়ি, গোবর, হাড়, শিং, খুর ইত্যাদি ছাড়াও পশুর চামড়া এবং অন্যান্য বর্জ্য থাকে যা সঠিক ব্যবস্থাপনা ও জনসচেতনার অভাবে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়সহ জনস্বাস্থ্যের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলে। কারণ কোরবানিতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটের সাথে উন্নত মুসলিম দেশের মিল নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা নিজেরাই নিজেদের পশু জবাই করি। অতঃপর চামড়া, হাড়-মাংস ও বর্জ্য আলাদা করি। কাজে দক্ষতা না থাকায় এবং অসাবধানতাবশত মাংসে রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে, অদক্ষ হাতের কারণে চামড়ার গুণগত মান নষ্ট হয় ।যত্রতত্র পশুর মলমূত্র, পশুর অবশিষ্ট খাদ্য, জবাই করা পশুর রক্ত, নাড়িভুড়ি, পাকস্থলীর বর্জ্য, হাড়, শিং, কান, মাথার চামড়া এবং রক্তে সিক্ত থাকা চাটাই (পাটি) ইত্যাদি আমরা যেখানে-সেখানে ফেলে রাখি। ফলে রোগজীবাণু ছড়ানো এবং পরিবেশ দূষণের মতো সমস্যা দেখা দেয়। পরিবেশসম্মত কোরবানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যথাযথভাবে করা হলে একদিকে পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করা,অন্যদিকে জবাইকৃত পশুর ঊচ্ছিষ্ঠাংশগুলো সম্পদে পরিণত করা সম্ভব হবে।
আমাদের সচেতনতাই পারে বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করতে। মানুষের খাদ্যাভ্যাসে গরু বা ছাগলের ভুঁড়ি অনেক আগে থেকেই আছে যা অনেকের কাছে ‘বট’ নামে পরিচিত। আবার কিছু মানুষ নাড়িও খেয়ে থাকে। সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করে প্রস্তুত করে রান্না করতে পারলে এগুলো বেশ মজাদার হয়। পশুর নাড়িভুড়ি, পাকস্থলীর বর্জ্য মাছের উপাদেয় খাদ্য। এছাড়া পশুর নাড়ি দিয়ে অপারেশনের সুতা তৈরি করা হয়। পশুর রক্তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। রক্ত দিয়ে পাখির পুষ্টিকর খাদ্য তৈরি হয়। অন্যদিকে হাড়ের গুঁড়া হাঁস-মুরগির উৎকৃষ্ট খাদ্য এবং এটি সার হিসেবেও জমিতে ব্যবহার করা যায়। চীন ও থাইল্যান্ডে গরুর হাড়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। দেশে ১৮০টি ওষুধ কোম্পানি ও হারবাল কোম্পানির ব্যবহারের জন্য প্রতিমাসে ৪০ থেকে ৪৫ কোটি ক্যাপসুল সেলের চাহিদা রয়েছে। ক্যাপসুল কোম্পানি গুঁড়া করা হাড় থেকে ক্যাপসুলের সেল তৈরি করে। এসব কাজে প্রতি মাসেই প্রয়োজন হয় কয়েকশত টন পশুর হাড়। হাড়-শিং থেকে বোতাম, চিরুনি, তৈজসপত্র, ওষুধ, গৃহসজ্জার সামগ্রী ইত্যাদি প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। জার্মানি ও ইতালিতে পশুর শিংয়ের ব্যাপক চাহিদা। চর্বি দিয়ে সাবান, পায়ের খুরা দিয়ে অডিও-ভিডিও’র ক্লিপ হয়। এছাড়া অণ্ডকোষ দিয়ে জাপান, কোরিয়া, চীন, জার্মানির সবচেয়ে জনপ্রিয় খাদ্য সুসেড রুলসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি হয়। এভাবেই পশুবর্জ্য মানুষের কোনো না কোনো কাজে ব্যবহৃত হয়। এগুলো রপ্তানি করলে শত কোটি টাকা আয় করা সম্ভব শুধু কোরবানি ঈদকেন্দ্রিক।
খুলনায় পবিত্র ঈদ উল আযহা ২০২৫ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে । খুলনা মহানগর ও জেলায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে পশুর হাট স্থাপন করা যাবে না। অননুমোদিত পশুর হাট বন্ধ করাসহ এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া কোন লঞ্চ টার্মিনাল, মহাসড়ক, রাস্তার পাশে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এলাকায় গরুর হাট স্থাপন করা যাবে না। ঈদে দূর-দুরান্ত থেকে ট্রাকে পশু নিয়ে আসার সময় যাতে দুষ্কৃতকারী রাস্তায় ও হাটে চাঁদাবাজি করতে না পারে এবং নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত টোল আদায়, ছিনতাই, পকেটমারের উপদ্রপরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঈদের দিন পশু জবাই করে পর্যাপ্ত পানি ও ব্লিচিং পাউডার দিয়ে দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে এবং কোথাও জলাবদ্ধতা তৈরি করা যাবে না। পরিবেশ দূষণরোধে নির্দিষ্ট স্থানে সকল পশু জবাই করতে হবে। পশুর চামড়া নির্ধারিত মূল্যে ক্রয়-বিক্রয় করতে হবে। এতিমখানা, মাদ্রাসাসহ অন্যান্যরা যাতে পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পরিবেশ দূষণরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মসজিদের ইমামগণ ঈদের জামায়াতে এবং ঈদের পূর্বের জুম্মার নামাজের খুতবার আগে বা পরে এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে বিশেষ বক্তব্য প্রদান করবেন। এছাড়া নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোরবানির পশুর চামড়া ভালভাবে ছাড়ানো, রক্ষণাবেক্ষণ, ঈদ-উল-আযহা ও কোরবানির চামড়ার বাজারকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে সতর্ক থাকতে হবে। খুলনা সিটি কর্পোরেশন কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । ৩১টি ওয়ার্ডে কেসিসি’র পক্ষ থেকে ১০০ কেজি করে ব্লিচিং পাউডার সরবরাহ করা হবে। প্রত্যেক ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থার পাশাপাশি কেসিসি থেকে ১২টি গাড়ি প্রয়োজনীয় পরিস্কারকসহ কোরবানি ঈদের দিন রাত ১২টার মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব এলাকা পরিস্কার করবে। প্রত্যেক ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত শ্রমিক বর্জ্য পরিষ্কারের কাজে নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া কেসিসি থেকে অতিরিক্ত ১৬০ জন শ্রমিক এ কাজে নিয়োজিত থাকবে। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও খুলনা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা নিরূপণ করেছে। এ বছর খূলনা জেলায় কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর চাহিদা ১,৫৬,২৮৫টি যেখানে পশু প্রাপ্যতা রয়েছে ১,৬৩,০৩১টি এবং ৬৭৪৬টি গবাদিপশুর উদ্বৃত্ত থাকবে বলে আশা করছে খুলনা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ।
শুধু কেসিসি নয়, সামাজিক জীব হিসেবে আমাদেরও দায়িত্ব-কর্তব্য আছে। অনেকেই নিয়ম না মেনে যত্রতত্র পশু কোরবানি করে থাকি, যা উচিত নয়। পশু জবাইয়ের পর বর্জ্য যদি খোলা জায়গায় পড়ে থাকে তবে তা মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য মারাত্নক ক্ষতিকর কারণ হতে পারে। পশুর রক্ত, ঘাস, লতাপাতা, নাড়িভুঁড়ির উচ্ছিষ্ট, বর্জ্য রাস্তায় পড়ে থাকলে তা বাতাসের সঙ্গে মিশে যায়। ফলে এই বর্জ্য আমাদের জন্য মারাত্নক স্বাস্থ্যহানি ঘটাতে পারে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন আপনি। তাই কোরবানির পর বর্জ্য পরিষ্কারে করণীয় বিষয়গুলো আমাদের জানা উচিত। কোরবানির ক্ষেত্রে পশু জবাই শেষে তার রক্ত ও শরীরের যাবতীয় উচ্ছিষ্ট যথাযথভাবে অপসারণ করা জরুরি। গরু জবাইয়ের গর্তটি মাটি দিয়ে ঢেকে দিন। গর্তের মধ্যে কিছু চুন বা ব্লিচিং পাউডার বা জীবাণুনাশক পদার্থ দেয়া যেতে পারে। আশেপাশে যদি কোনো বর্জ্য থাকে তাহলে তা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়া রক্ত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পশুর দেহ থেকে নাড়িভুঁড়ির উচ্ছিষ্ট বের করে যত্রতত্র ফেলে না দিয়ে যথাযথ স্থানে ফেলতে হবে। যেখানে পশু জবাই করবেন ওই স্থানটি সম্ভব হলে গরম পানি ঢেলে পরিষ্কার করতে পারেন অথবা ঠাণ্ডা পানি হলেও চলবে। তবে পানি দিয়ে স্থানটি পরিষ্কার করার পর অবশ্যই ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলে দুর্গন্ধ ছড়াবে না এবং জীবাণুমুক্ত হবে। বর্জ্য পরিষ্কারের পরে যে কাজটি করতে হবে সেটি হোল আপনার হাত, পা ও সারা শরীর ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। পরিস্কারের জন্য সেভলন ব্যবহার করতে পারেন। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস বানানোর কাজ শেষ হলে বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য নিজ নিজ সিটি করপোরেশনের দায়িত্বরত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। কোরবানির ঈদে নদীর স্বাস্থ্যের কথা ভুলে গেলে চলবে না। নদীকে দূষণমুক্ত রাখতে কোরবানির বর্জ্য অপসারনের নিয়মগুলি আমাদের মানা উচিত।
বর্জ্য অপসারণের দায়িত্ব প্রথমত কোরবানিদাতার। যথাসময়ে বর্জ্য অপসারণে অবহেলা করায় তা প্রতিবেশী, আশপাশের মানুষের কষ্টের কারণ হলে এর দায় কোরবানিদাতাকেই নিতে হবে। এ প্রসঙ্গে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার কষ্ট থেকে আশপাশের মানুষেরা নিরাপদ নয়, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ -সহিহ বোখারি : ৫/২২৪০।
পিআইডি ফিচার/ লেখক: সহকারী তথ্য অফিসার, আঞ্চলিক তথ্য অফিস।