বিনোদন প্রতিবেদক।।
জান্নাতুল ফেরদৌস মিষ্টি, তবে শোবিজে তিনি পরিচিত মিষ্টি জান্নাত নামে। ২০১৪ সালের মাঝামাঝি ‘লাভ স্টেশন’র মধ্যদিয়ে সিনেমায় তার যাত্রা শুরু। অভিনয় দিয়ে আলোচনায় না আসলেও, ব্যক্তিজীবনের নানা মুখরোচক গল্পে প্রায়ই সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন এই চিত্রনায়িকা।
সম্প্রতি এই নায়িকা জানিয়েছেন, বিভিন্ন নম্বর থেকে তার কাছে চাঁদা চাওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দেওয়া হচ্ছে হত্যার হুমকিও। এ নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্টও দিয়েছেন তিনি।
মিষ্টি জান্নাতের এমন পোস্টে চিন্তার পড়ে যান ভক্ত- শুভাকাঙ্ক্ষীরা। তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি নায়িকাকে থানা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার উপদেশও দিয়েছেন অনেকে।
চাঁদা ও হুমকির বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বললেন মিষ্টি। জানালেন, তার শত্রু অনেক। তবে এই হুমকি মিডিয়ার লোকজনও দিতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তিনি।
নায়িকা আরও জানান, তার সহকারীকে অজ্ঞাত নম্বরে থেকে ফোন করে কেউ তার নম্বর চাচ্ছিল। তারা বলছে, ‘তোর ম্যামের সঙ্গে কথা বলা, যদি না বলাতে পারিস তাহলে তোর ম্যামের বিরুদ্ধে মামলা করব। তোর ম্যাম বিভিন্ন গ্রুপে ছিল, ছাত্রদের পক্ষে ছিল না।’ তাদের কাছে এর প্রমাণও চেয়েছেন নায়িকার সহকারী।
মিষ্টির ভাষ্য, ‘এরপর তারা আমার নম্বর ম্যানেজ করে এবং মালয়েশিয়া নম্বর থেকে ফোন দিয়ে আমাকে হুমকি দিতে থাকে। আমাকে দেখে নেবে। তারপর আবার বলে যে দুই লাখ টাকা পাঠান। আপনি যদি এগুলো সমাধান করতে চান তাহলে দুই লাখ টাকা পাঠান। এর আগে আরও একবার হুমকি-ধমকি করছিল ৫ আগস্টের পর।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আবার তারা শুরু করছে ফারিয়াকে গ্রেপ্তারের পর। এরপর আমি বলি- যান, যেখানে যা পারেন করেন। তারপর তারা বলে হ্যাঁ যখন করব তখন নাম জানতে পারবেন। তখন আমি বলি তাহলে নামটা বলেন। পরে আরেকটা নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে, ডিরেক্ট ফোন না করে। কিন্তু ফোনটা আমি আর ধরিনি এবং কোনো রিপ্লাই করিনি। কিন্তু তারা পর পর ইউএসএ, কানাডিয়ান নম্বর থেকেও ফোন করতে থাকে।’
কাউকে সন্দেহ করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে এই চিত্রনায়িকা বলেন, ‘সন্দেহ তো হচ্ছে। এর মধ্যে আমাদের মিডিয়ারই রয়েছে দু-একজন নায়িকা টাইপের বা নায়িকা। কিছু আছে আমার বাসার আশপাশের লোকজন। যারা চাকরি করতে চায় কিন্তু চাকরি করতে পারে না আমার এখানে। থাকে না, শত্রু তো অনেক আছে, সন্দেহ করতে হলে সন্দেহ হয় অনেকের ওপর। তারপর তারা আরও হুমকি দেয় গাড়ি বের হলে গাড়ি ভেঙে দেবে। তারা আমার বিএমডব্লিউ গাড়ির নম্বর এবং আরেকটা গাড়ির নম্বর কী সেটাও জানে। এছাড়া আমি বাজারে যাই বোরকা পরে সেটাও তারা জানে। এগুলা উল্টাপাল্টা কথা তারা বলতে থাকে। এসব বিষয়ের কারণে মন ভালো নেই।’