মো: রাজু হাওলাদার
যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে দামি বার্গারের মূল্য প্রায় ২২ লাখ টাকা! সেখানে মাত্র ২৫ টাকায় খুলনায় বার্গার পাওয়া যাচ্ছে। ২৫ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের একটি বিশেষ বার্গার, যা আমেরিকার একটি বেসবল দল আটলান্টা ব্রেভস তৈরি করেছে। আর ২৫ টাকার বার্গার টি খুলনার রূপসার ট্রাফিক মোড়ে মিলন উকিল তৈরি করছে। এই ছোট উদ্যোক্তা কিনেছে দুই কাঠা জমিও।
বার্গার বিক্রেতা মিলন উকিল খুলনাঞ্চলকে বলেন, সাত বছর ধরে এই রূপসা ট্রাফিক মোড়ে বার্গার বিক্রির ব্যবসা করে আসছি। মুনিয়া ফাস্টফুড নামে দোকানটি বর্তমান রয়েছে। প্রথমদিকে অনেকে খেত না আর অস্বাস্থ্যকর হিসেবে মূল্যায়ন করত না। তবে এখন খুলনার খাদ্য প্রেমিকদের ভালোবাসার মুগ্ধ আমি। সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত একভাবে সিরিয়ালে বিক্রি করতে থাকি। এখন আমার বার্গার বিক্রি খুবই ভালো চলে। দুই প্রকারের বার্গার বিক্রি করা হয় ২৫ আর ৩৫ টাকা। বেশিরভাগই পার্সেল নিয়ে যায় বিভিন্ন স্কুল কলেজের মেয়েরা।
বার্গার বিক্রেতা আরো জানান, খাসির মাংসের ছাটাই কিনে এনে বাসায় বসে প্রয়োজনীয় মসলা দিয়ে তৈরি করি সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত। সন্ধ্যা ছয়টায় বন রুটি ও বাসায় তৈরি বার্গারের মসল্লা নিয়ে ট্রাফিক মোড়ে আসি। তারপর এই সুস্বাদ ২৫ টাকার বার্গার টি বার্গার প্রেমিকদের কাছে বিক্রি করি। কাউকে কোন টাকা দেওয়া লাগে কিনা বা চাঁদা দেওয়া লাগে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, বিগত দিনে একটি রাজনৈতিক দলকে প্রতিদিন চাঁদা দিতে হতো ৫ তারিখের পরে এখন আর কাউকে চাঁদা দিতে হয় না। এখন খুব ভালোভাবে নির্ভয়ে বেচাকিনা করতে পারি।
ইংল্যান্ডের জন্ম নেওয়া ১৬ বছরের কিশোর খুলনাঞ্চল কে বলেন, আমি কিছুদিন হলো বাংলাদেশে এসেছি। আমার এক বন্ধুর সাথে একদিন এখানের বার্গার খেতে আসি। সেই থেকে প্রতিদিন শিববাড়ি মোর আমার বাসা থেকে এই রূপসার বার্গার নিতে আসি। এই বার্গার খেতে আমার খুবই ভালো লাগে।
বড় বাজারের ব্যবসায়ী মাস্টারপাড়া নিবাসী ফাহিম জানান, প্রতিদিন দোকান বন্ধ করে দুইটি বার্গার না কিনে আমি বাসায় ঢুকি না। সুস্বাদু বার্গারের সাদ আমার কাছে অনেক বড় বড় দোকানের বার্গারের চেয়ে ভালো লেগেছে। বার্গার যিনি বিক্রি করেন খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে বিক্রি করেন। অনেকদিন ধরে খেয়াল করে দেখেছি। আগার বানানোর সময় সব রকমের সতর্কতা মেনে চলেন। খুবই সুস্বাদু ও কম দামের বার্গার আমাকে মুগ্ধ করেছে।