১১ মাস ধরে ওষুধ কেনার অর্থ নেই খুলনার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে

39
Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার।।

খুলনায় সরকারি প্রতিষ্ঠান মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে রোগীদের ওষুধ কেনার জন্য অর্থ বরাদ্দ নেই গত ১১ মাস ধরে। এতে নরমাল ডেলিভারি ও সিজারের জন্য ভর্তি হওয়া নারীদের কোনো ওষুধ দিতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া আউটডোরের রোগীদেরও ওষুধের সংকট রয়েছে। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।


জানা গেছে, নগরীর স্যার ইকবাল রোডে অবস্থিত মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২টি সিজার ও ৫০ থেকে ৬০টি নরমাল ডেলিভারি হয়ে থাকে। আগে এসব রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হতো। তখন প্রতি মাসে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে ওষুধ কেনার জন্য ১ লাখ ও পথ্য কেনার জন্য ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হতো। কিন্তু গত বছর জুন মাস থেকে কোনো অর্থ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় ৮ মাস ধরে রোগীদের কোনো ওষুধ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই প্রতিষ্ঠানটিতে সাধারণত নিম্ন আয়ের লোকজন সেবা নিতে আসে। কিন্তু ওষুধ সরবরাহ না থাকায় তারা চরম বিপাকে পড়েছেন। এছাড়া এখানে প্রতিদিন আউটডোরে ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী আসে। কিন্তু তাদের জন্য বরাদ্দকৃত ওষুধের সংকট রয়েছে।

রিকশাচালক সোলায়মান শেখ বলেন, ‘আমার প্রসূতি স্ত্রীকে এখানে ভর্তি করেছিলাম। আমি জানতাম এখান থেকে প্রয়োজনীয় সব ওষুধ বিনামূল্যে দেয়া হয়। কিন্তু ভর্তির পর জানতে পারি তারা ওষুধ দিতে পারছে না। তখন চরম বিপাকে পড়ি। ধারদেনা করে টাকা সংগ্রহ করে ওষুধ কিনতে বাধ্য হই।’

দিনমজুর ইয়াকুব আলী বলেন, ‘আমার সন্তান সম্ভাবা স্ত্রীকে ভর্তি করেছিলাম। কিন্তু এখান থেকে ওষুধ দিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে পরিবারের ২ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ওষুধ কিনেছি।’

তিনি আরও বলেন, দ্রুত এখানে অর্থ বরাদ্দ করা প্রয়োজন। কারণ প্রতিদিন আমার মতো গরীব অনেক লোক এখানে সমস্যায় পড়ছে।

এদিকে উন্নয়ন ও আউটসোর্সিং খাতে নিয়োগ পাওয়া নার্সসহ ৫ জন কর্মচারীর বেতন বরাদ্দ নেই গত ৮ মাস। এর ফলে তারা বিপাকে পড়েছেন।


এ ব্যাপারে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ইনচার্জ ডা. শাহেলা আকতার বলেন, রোগীদের সমস্যার কথা কয়েকবার অধিদপ্তরে জানিয়েছি। সর্বশেষ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, আগামী মাস থেকে হয়ত ওষুধ কেনার জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে।