সিঙ্গাপুর ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ

4
Spread the love


ক্রীড়া প্রতিবেদক

গত মাসে শিলংয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়েছে হামজা চৌধুরীর। সেটি অবশ্য দেশের মাটিতে নয়। ভারতের বিপক্ষে হামজার অভিষেকের ম্যাচটি অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছে। কার্যত অপেক্ষা দেশের মাটিতে অভিষেক হওয়ার। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে খেলবেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।

ম্যাচটা আরও একটা কারণে আলাদাভাবে গুরুত্বপূর্ণ পাচ্ছে। এই ম্যাচ দিয়েই ঘরে ফিরবে বাংলাদেশ জাতীয় দল। স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ প্রায় শেষ দিকে। কার্যত চলছে শেষ সময়ের গোছগাছের কাজ। এরপর মাঠে নামার অপেক্ষা। বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর এই ম্যাচ নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহ বৃহস্পতির তুঙ্গে। উপলক্ষ রাঙাতে নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও।

কেবল হামজাই নন, প্রবাসী আরও কয়েকজন ফুটবলারকে এই ম্যাচটি খেলানোর প্রয়াস চালাচ্ছে বাফুফে। কানাডা প্রবাসী সামিত সোম, ইতালিয়ান সিরি’ডিতে খেলা ফাহামিদুল ইসলাম, ইংলিশ ক্লাব সান্ডারল্যান্ডে খেলা কিউবা মিচেলকে নিয়ে ভালোই তোড়জোড় চালাচ্ছেন ফুটবলকর্তারা। সব মিলিয়ে দেশের ফুটবলে একটা জোয়ার শুরু হয়েছে। রোমাঞ্চকর এই ম্যাচের টিকিট বিক্রয় করা হবে অনলাইনে।

ম্যাচটির সার্বিক আয়োজন কেমন হতে পারেÑ এ নিয়ে একটা রূপরেখা দিয়েছেন কম্পিটিশন কমিটির সদস্য তাজওয়ার আউয়াল। কমিটির সভাশেষে তিনি বলেছেন, ‘সমর্থকদের মাঠে ফেরাতে চাই আমরা। সমর্থকরা যেন মাঠে এসে খেলা দেখতে পারেন, এ জন্য আজ (গতকাল) স্টেডিয়ামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা অনলাইনে টিকিট বিক্রি করব। টিকিটের দাম কত হবে, সেটি মার্কেটিং কমিটি ও ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত হবে। পরে ফেডারেশনই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবে। এ ছাড়া সমর্থকদের জন্য ফ্যান জোন করা হবে, যেখানে বসেও তারা খেলা উপভোগ করতে পারবেন।’ অবশ্য টিকিট না পেলেও পুরোপুরি হতাশ হওয়ার কিছু নেই। স্টেডিয়ামের বাইরে ফ্যান জোনে খেলা দেখতে পারবেন দর্শকরা। এ জন্য ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টা আগে স্টেডিয়াম এলাকার দোকান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জাতীয় স্টেডিয়াম প্রায় ৩৬ হাজার দর্শক ধারণক্ষম। কিন্তু সংস্কারকাজ শেষ না হওয়ার আগ পর্যন্ত বলা কঠিন কত হাজার দর্শকের উপস্থিতি থাকবে গ্যালারিতে। তাওজার জানান, আসন বিন্যাস ও টিকিটের দামের বিষয়টি তাই চূড়ান্ত হয়নি। তবে সাধারণ গ্যালারির জন্য ১৮ হাজার ৩০০ টিকিট বিক্রি করা হবে। স্টেডিয়ামটিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করার ভাবনা বাফুফের। তাজওয়ার বলেছেন, ‘সমর্থকরা যেন খুশি হয়ে মাঠে ফিরে আসে, এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। বিষয়গুলো নিয়ে সামনে আমরা আবার বসব। বাংলাদেশের জাতীয় স্টেডিয়াম যেন জাতীয় স্টেডিয়ামের মতো হয়, দেশের বাইরের স্টেডিয়ামের মতো মানসম্পন্ন হয় আমাদের জাতীয় স্টেডিয়ামও, এটা নিয়েই আমাদের আলোচনা ছিল।’ তিনি যোগ করেন, ‘তারা (এএফসির প্রতিনিধি) এসে আমাদের যে অবজারভেশন দিয়ে গিয়েছিল কিছু পরিবর্তনের জন্য, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি, আগামী ২২ মের মধ্যে সেগুলো হয়ে যাবে।’ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে প্রথম রাউন্ড শেষে ‘সি’ গ্রুপের চারটি দলেরই সংগ্রহ সমান ১ পয়েন্ট। ভারত ও বাংলাদেশ যেমন ড্র করেছে, তেমনি হংকংয়ের সঙ্গে সিঙ্গাপুরও পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে।