খুলনায় শৌচাগার নির্মাণে ঠিকাদারের গাফিলতি, সুযোগে গেট নিয়েছে চোরে

5
Spread the love


স্টাফ রিপোর্টার
নগরীর মুসলমান পাড়া রোডের আব্দুল গনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ দু’বছরেও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। শৌচাগার না থাকায় ক্লাশ করতে অনিহা প্রকাশ করছে কোমলমতি শিশুরা। সুযোগ বুঝে স্কুলের লোহার গেটটি নিয়ে গেছে চোরেরা।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ স্কুল ভবন ও একটি শৌচাগার নির্মাণের জন্য এক কোটি ছিয়াশি লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার একটি কার্যাদেশ ঠিকাদার খন্দকার আলি হায়দারকে প্রদান করে পাবলিক হেলথ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দু’বছরের বেশী সময় পার হলেও ঠিকাদার কাজ শেষ করতে পারেনি। বিশেষ করে স্কুলের শৌচাগার না থাকায় কোমলমতি শিশুরা ক্লাশ করতে অনিহা প্রকাশ করছে। এবিষয়ে পাবলিক হেলথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোন সুরাহা হয়নি।
জানা যায়, হেলথ অফিসের সুমন নামে এক ব্যক্তির যোগসাজসে ঠিকাদার স্কুলের কাজ শেষ না করে বিল উত্তোলণ করে নিয়েছে। আর এজন্য কাজের কোন খোঁজ-খবর নিচ্ছে না। এমনকি গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেলে ঠিকাদার আর কাজ করতে স্কুলে আসেনি।
অপরদিকে দু’বছরের বেশী সময় ধরে অরক্ষিত থাকার কারণে স্কুল ভবনটিতে এলাকার বখাটাদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে। ফলে দিনে-রাতে বসছে মাদকের আসর। আর এ সুযোগে গত ১৩ মার্চ রাতে স্কুলের একমাত্র লোহার গেটটি চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। এঘটনায় খুলনা সদর থানায় সাধারন ডায়েরী করলেও এখন পর্যন্ত গেটটি উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক তামান্না আফরোজ জানান, স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য পুরাতন ভবনটি যখন ভেঙ্গে ফেলা হয়, তখন অন্য স্কুলে ক্লাশ করতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। ঠিকাদার প্রথম থেকেই ধীরগতিতে শুরু করে কাজ। অনেকবার ঠিকাদারের দারস্থ হয়ে স্কুলের নির্মাণ কাজ শেষ করলেও শৌচাগারের কাজ ষে করতে পারেনি। ফলে শৌচাগার না থাকায় এখন শিশুরা স্কুলে আসতে অনিহা প্রকাশ করছে।
ভুমিদাতা সভাপতি এসএম কামরুল ইসলাম জানান, বহুবার অফিস ও ঠিকাদারের নিকট দৌড়াতে দৌড়াতে অনেক কষ্টে ভবনের কাজ শেষ হয়েছে। তাও আবার অনেক ছোট ছোট কাজ বাকি। কিন্তু এখন আর শৌচাগারের কাজ শেষ করতে পারছি না। অফিস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা গেলেও ঠিকাদারদের পাওয়া যাচ্ছো না। ফলে শৌচাগারের কাজ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
সাব ঠিকাদার সাকিব আহমেদ জানান, পুর্ব থেকেই নানা কারণে কাজ করতে দেরি হয়েছে। বুঝতে পারছি শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হচ্ছে। তবে যত দ্রুত পারি কাজ শেষ করে দেব।
পাবলিক হেলথ অফিসের ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল হাসান জানান, প্রথম থেকেই ঠিকাদার কাজে গাফিলতি শুরু করে। বারবার বলার পরও কাজ শেষ করতে পারছে না। রবিবার কথা হয়েছে ঠিকাদারের সঙ্গে। মে মাসের মধ্যে কাজ শেষ করবে। তারপরও যদি কাজে গাফিলতি করে তবে তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।