বেঙ্গালুরুর ছেলে রাহুল বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে যে ‘এলিট লিস্টে’ ঢুকলেন

10
Spread the love


স্পোর্টস ডেস্ক

১৯৯২ সালের এই এপ্রিলেই কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে জন্ম লোকেশ রাহুলের। ছোটবেলা থেকে এই মাঠে খেলেই অভ্যাস এই উইকেটকিপার ব্যাটারের। বেঙ্গালুরু ফ্রাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেনও ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত। চিন্নাসামী স্টেডিয়ামটি তাই রাহুলের অত্যন্ত চেনা। এই মাঠেই গতকাল বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের রাহুল।

দল যখন বিপদে তখন ৫৩ বলে অপরাজিত ৯৩ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়লেন রাহুল। তাতে প্রথম ৪ ম্যাচেই জয়ের মুখ দেখল দিল্লি। ম্যাচশেষে চিন্নাসামীকে নিজের মাঠ বলে গর্বভরে প্রকাশও করলেন রাহুল। এমন গর্বিত দিনে একটি এলিট লিস্টেও ঢুকে পড়লেন রাহুল। আইপিএলে সেরা দশ রান সংগ্রাহকদের একজন এখন এই উইকেটকিপার ব্যাটার।

রাহুল পেছনে ফেলেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে এবং বেঙ্গালুরুর সাবেক অধিনায়ক দিনেশ কার্তিককে। ২০১৩ সালে অভিষেক হওয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত ১৩৫ ম্যাচে ৪ হাজার ৮৬৮ রান এসেছে রাহুলের ব্যাটে। ৪৬.৩৬ গড় ও ১৩৫.৬৭ স্ট্রাইকরেট রেখে এই রান করেছেন তিনি। ৪টি সেঞ্চুরি ও ৩৯টি হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানো রাহুলের আছে সর্বোচ্চ ১৩২* রানের ইনিংস।

আইপিএলে রাহুল তার সেরা মৌসুম কাটিয়েছেন ২০২০ সালে। পাঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলা রাহুল সেবার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের স্বীকৃতি ‘কমলা টুপি’ জেতেন। ওই মৌসুমে ১৪ ম্যাচে ৫৫.৮৩ ও ১২৯.৩৪ স্ট্রাইকরেটে ৬৭০ রান করেন। যেখানে একটি সেঞ্চুরির সঙ্গে ছিল ৫টি ফিফটি।

বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে রাহুলের রেকর্ড বেশ ঈর্ষণীয়। এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটির হয়ে ১৭ ম্যাচ ও ১৬ ইনিংসে ৭৪১ রান করেছেন তিনি। যেখানে ৭৪.১০ গড় ও ১৪৭.৩১ স্ট্রাইক রেখে ব্যাট করেছেন রাহুল। এই ক্লাবটির বিপক্ষে একটি সেঞ্চুরিসহ চারটি হাফ সেঞ্চুরি আছে রাহুলের। ক্যারিয়ারসেরা ১৩২ রানও বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে।

আইপিএলে তান তাড়ার ‘মাস্টার’ও বলা যায় রাহুলকে। এখনো পর্যন্ত ২৫টি সফল রান তাড়ায় ১ হাজার ২০৮ রান তার। যেখানে প্রায় দেড় শ স্ট্রাইকরেট রেখে ৭১.০৫ গড়ে ব্যাট করেছেন তিনি। আছে সর্বোচ্চ ৯৮* রানের ইনিংসসহ ১৫টি অর্ধশতক। রান তাড়ায় কমপক্ষে ৫০০ রান করেছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে ডেভিড মিলারের (১০৩.৭০ গড়ে ১ হাজার ৩৭ রান) গড়ই কেবল রাহুলের চেয়ে ভালো।