জুস না স্মুদি কোনটি বেশি উপকারী, জানালেন বিশেষজ্ঞ

0
Spread the love


মিলি রহমান।।

এখন পবিত্র রমজান মাস চলছে। এ মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা রোজা পালন করেন। ভোরে সেহরির পর সারাদিন অনাহার থেকে সন্ধ্যায় মাগরিবে খাবার খেয়ে ইফতার করেন। ইফতারে রকমারি মুখরোচক খাবার থাকলেও এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পানীয়। আর এই পানীয়ের মধ্যে কেউ রাখেন জুস, কেউ রাখেন স্মুদি।


এছাড়াও অন্য সময় সারাদিন ব্যস্ত সময় কাটে সবার। দিনভর পরিশ্রম করার মাঝে বিরতিতে প্রশান্তির জন্য বিভিন্ন ধরনের পানীয় ও খাবার রাখা হয়। এতেও কেউ জুস রাখেন, আবার কেউ স্মুদি রাখেন। কিন্তু কখনো কী ভেবে দেখেছেন―জুস কিংবা স্মুদি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী? শরীরে এসব কোনো প্রভাব ফেলে কিনা? এ নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ড. কিরণ গুপ্ত। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।

এ বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, জুস ও স্মুদি দুটিই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। স্মুদিতে চিনি ও লবণ ব্যবহার করা না হলে, এটি নিয়মিত খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও এসবে থাকা অন্যান্য উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

ফাইবারের পরিমাণ: জুস তৈরিতে শুধু ফল বা সবজির রস বের করা হয়। এ কারণে এর ফাইবার কমে যায়। আর স্মুদিতে গোটা ফল বা সবজির টুকরো কিংবা মিশ্রণ থাকে। তাই স্মুদিতে ফাইবারের পরিমাণ বজায় থাকে। স্মুদিতে ফাইবার বেশি থাকায় তা পাকস্থলীর জন্য উপকারী এবং হজমে সহায়তা করে।

পুষ্টিগুণ: জুস পান করলে শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগান দেয়। তবে ফলমূলের খোসাতেও অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে। এ জন্য জুসের ক্ষেত্রে খোসা বাদ দেয়া হয়। তাই জুসের পুষ্টি অনেক কমে যায়। বিপরীতে স্মুদিতে অনেক সময় ফল ও সবজি খোসাসহ ব্যবহার করা হয়। ফলে এতে পুষ্টি উপাদান বিশেষ করে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পেয়ে থাকে শরীর।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা: স্মুদিতে থাকা ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। তাই ঘন ঘন খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হয় না। ফলে স্বাভাবিকভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। অন্যদিকে জুস অল্প সময়ে হজম হয় এবং ক্ষুধাভাব জাগে। এটি ক্যালোরি গ্রহণের ঝুঁকি বাড়ায়।

রক্তে শর্করার ওপর প্রভাব: জুসে কেবলই তরল থাকে, যা রক্তে অল্প চিনি শোষণ করে এবং শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে ফেলতে পারে। এদিকে স্মুদিতে ফাইবার থাকায় এতে থাকা চিনি ধীরে ধীরে শোষিত হয়। যা রক্তে সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি স্মুদি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।


হাইড্রেশন ও তাৎক্ষণিক শক্তি: জুসে অধিক পরিমাণ তরল থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং দ্রুত শক্তি জোগায়। গ্রীষ্মের সময় জুস শরীর সতেজ রাখে। এদিকে স্মুদি ধীরে ধীরে শক্তি নিঃসরণ করে। যা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ সক্রিয় রাখে।