নকল সনদ জমা দিয়ে চাকরি: খুলনা বন বিভাগের নৈশ প্রহরী বরখাস্ত

11
Spread the love


রূপসা প্রতিনিধি
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের নৈশ প্রহরী মোঃ সিরাজুল ইসলামকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বয়স গোপন করে অবৈধভাবে চাকুরি করার তথ্য প্রমান পাওয়ায় তার বিরূদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের দাবি অবৈধভাবে চাকুরী নিয়ে সরকারি বেতন ভাতাসহ অন্যন্য সুবিধাদির যে অর্থ গ্রহণ করছে তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে।
বন বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গত ২০২৩ সালের ১৬ আগস্ট সিরাজের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন গৌতম কুমার শীল, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ও মোহাম্মদ শামীম খান। অভিযোগ দাখিলের পর থেকে প্রায় ১ বছর ৭ মাস পর সিরাজুলের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ এ ব্যবস্থা নিয়েছে। এ দীর্ঘ সময় ধরে মোঃ সিরাজুল ইসলামের চাকুরীতে প্রবেশের বয়স কম দেখানোর বিষয় নিয়ে নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত, অভিযোগকারী, সংশ্লিষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে একাধিক বার তথ্য যাচাই বাছাই করে। যার ভিত্তিতে তৈরি করা প্রতিবেদন গত বছর ২৫ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নিকট দাখিল করে।
সূত্রগুলি জানায়, মিথ্যা জন্ম তারিখ ও ৮ম শ্রেণি পাশের মিথ্যা সনদ জমা দিয়ে চাকুরি নেয়ার অভিযোগ প্রমানিত ও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তাকে চাকুরী হতে বরখাস্ত করা হয়। তদন্তে উঠে আসে মোঃ সিরাজুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বাগেরহাটে মিটার রিডার পদে এস,এস,সি, সনদ ব্যবহার করে চাকরী করেছেন। ২০০১ সালে বন বিভাগে নৈশ প্রহরী পদে চাকরী গ্রহনকালে সরকারী চাকরীতে প্রবেশের বয়স অতিক্রান্ত হওয়ার কথিত মল্লিকের বেড় আদর্শ বিদ্যালয় থেকে প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে উক্ত প্রত্যয়ন পত্রের জন্ম তারিখ মোতাবেক ভোটার তালিকার নাম অন্তর্ভুক্ত করেন এবং জাতীয় পরিচয় পত্র গ্রহন করেন। এছাড়া এস,এস,সি পাশের সনদ ও ৮ম শ্রেনী পাশের সনদে উল্লেখিত মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও মোঃ সিরাজুল ইসলাম সেখ একই ব্যক্তিমর্মে তদন্ত প্রতিবেদনে প্রমানিত ও প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়। অভিযোগকারিরা বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে চাকুরি গ্রহণের দায়ে চাকুরী হতে বরখাস্ত করা হলেও আদায় করা হয়নি অভিযুক্ত কর্তৃক গ্রহণকৃত সরকারি অর্থ। তারা সরকারি অর্থ আদায়ের দাবি জানিয়েছে।