বেনাপোলে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও বোমা বিস্ফোরণ, আহত ৫
বেনাপোল প্রতিনিধি
বেনাপোল পোর্ট থানার বালুন্ডা গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত শালিস চলাকালীন সময়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও বোমার বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় ১০ থেকে ১২ টি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটনো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে বালুন্ডা উত্তর পাড়ার অহিদ বিশ্বাস ও ফজলু বিশ্বাসের মধ্যে জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধ নিরসনের শালিশ বৈঠক বসানো হয়। এসময় ৫নং পুটখালী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ- সভাপতি কামরুল ও ৫ নং বালুণ্ডা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কবিরুলের সমার্থক নেতাকর্মীরা বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে কয়েকটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটনো হলে কবিরুল সমার্থক ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে ২ জনকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করা হয় এবং বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠানো হয়।
আহতরা হলেন, বেনাপোল পোর্ট থানার বালুন্ডা গ্রামের ওম্বত আলীর ছেলে ইরফান আলি (৩৫),সুলতান মল্লিকের ছেলে আবুজর(২৩) আব্দুল গণির ছেলে মোকারুল(৮) তাহাজ্জত মোড়লের ছেলে আবু সিদ্দিক(৪৫) ও পুটের ছেলে জালাল উদ্দিন(৩২) ।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা শুরু হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান তিনি।
মাগুরার শালিখার সীমাখালি গরুর-ছাগলের হাটে জায়গা সংকট
মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরার শালিখার সীমাখালি গরু-ছাগলের হাটে জায়গা সংকটে বিপাকে পড়ছে ক্রেতা-বিক্রেতা ও গাড়ী চালকেরা।হাটটি বিলুপ্তির মাধ্যমে সরকারের মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারানোর আশংকা।
এটি দক্ষিণ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী একটি গরু-ছাগলের হাট।প্রতি বছর সরকার এখান থেকে যথেষ্ট পরিমান রাজস্ব পেয়ে থাকেন। ৫ আগষ্টের পর সরকার জনতার চাপে হাটটি স্কুল মাঠ থেকে স্থানান্তর করে সীমাখালী ব্রীজের উত্তর পাশে যশোর মাগুরা মহাসড়কের পশ্চিম পাশে।জায়গাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের।এখানে পর্যাপ্ত সরকারি জায়গা থাকলেও সিংহভাগই স্থানীয়রা দখলদিয়ে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরী করেছেন।যতটা গরু ছাগল ক্রেতা বিক্রেতা ও গাড়ী পর্কিং এর জায়গা দরকার এখন আর সে পরিমান ফাঁকা জয়গা হাটে নেই।ফলে যানজট আর বিশৃঙ্খলা লেগেই আছে।
এ ব্যাপারে হাটমালিকদের পক্ষে যশোরের সাবেক ছাত্রদল ও বিএনপির ত্যাগীনেতা রেজাউল ইসলাম(রেজা) ঢালী,আব্দুল গফ্ফার সর্দার,আবুল খায়ের,আনিচুর ঢালি,আলমগীর হোসেন,জহির রায়হান, সহ অনেকে বলেন দক্ষিণ বঙ্গের ঐতহ্যবাহী গরু-ছাগলের হাট জায়গা সংকটে মুখথুবড়ে পড়ছে।সেদিকে সরকারের নেই কোন দৃষ্টি।অথচ হাটে পর্যাপ্ত সরকারি জমি রয়েছে, যা অবৈধ দখলে।সরকার যদি হাট থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে এবং নদী তীরের জয়গা সমপ্রাণ করে তাহলে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।এ ক্ষেত্রে সরকার প্রতিবছর মোটা অঙ্কের রাজস্ব পাবে।টিকবে ঐতহ্যবাহী গরু-ছাগলের হাটটি।গরু-ছাগলের হাট বন্ধ হলে সরকার মাত্র ৫/৭ লক্ষ টাকাও রাজস্ব পাবেনা বলে মনে করেন সচেতন মহল। তাই এ ব্যাপারে সরকারি পর্যায়ে সরেজমিন তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তারা।
পাইকগাছায় তিনদিনে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকসহ গ্রেপ্তার ৫
পাইকগাছা প্রতিনিধি
পাইকগাছা থানাপুলিশ অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনা করে পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তারকরেছে। গত ৩ দিনে ওই ৫ জনকে গ্রেপ্তারকরা হয়। তাদেরকে থানার নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তারদেখিয়ে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সবজেল হোসেন জানান, পৌরসভার জি এম ইমান আলীর ছেলে সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান পারভেজ রনি(৩০), রাড়ুলী ইউনিয়নের কাটি পাড়া গ্রামের মৃত ইমান আলী গাজীর ছেলে রজব আলী গাজী(৬০), গদাইপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মোকাম গাজীর ছেলে মিজান গাজী (৫৫), কপিলমুনি ইউনিয়নের কাশিম নগর গ্রামের কনেক চন্দ্র দাসের ছেলে সুজন কুমার দাস(৪০) লস্কর ইউনিয়নের আমিন উদ্দিন সানার ছেলে জাকির সানা(৩৪)কে গ্রেপ্তারকরা হয়। তারা সবাই ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত রয়েছে এবং মামলার আসামি।
অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী পরিষদ কাউখালী শাখার উপজেলা কার্যালয় উদ্বোধন
পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুরে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী পরিষদ কাউখালী শাখার উপজেলা কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে মানিক মিয়া কিন্ডারগার্ডেন সংলগ্ন অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী পরিষদ কাউখালি শাখা উদ্বোধন করেন কাউখালি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা।
অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী পরিষদ কাউখালি উপজেলার সভাপতি সার্জেন্ট অব: মো: আব্দুল ওয়াদুদ এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ল্যান্স কর্পোরাল অব: মো: নুরুজ্জামান এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাউখালী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এস এম আহসান কবির, সদস্য সাচিব এইচ এম দ্বীন মোহাম্মদ, কাউখালী থানার ওসি মো: সোলায়মান, কাউখালী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: মোস্তাফিজুর রহমান,পিরোজপুর জেলা অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী পরিষদ এর সভাপতি সার্জেন্ট অব: মো: রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অব: মো: হাবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সার্জেন্ট অব: মো: আউয়াল প্রমুখ। এছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন পেশা শ্রেণির মানুষ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শালিখায় নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে সাংবাদিকদের সৌজন্য সাক্ষাৎ
মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরার শালিখায় নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বনি আমিন এর সাথে প্রেসক্লাব শালিখায় কর্মরত সাংবাদিকগণ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রবিবার বিকাল ৪ টায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব শালিখার সহ সভাপতি জি আর এম তারিখ,সাধারণ সম্পাদক মোঃ নওয়াব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মোঃ আনোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক মোঃ আবু হুরাইরা,দৈনিক নব চিত্রের জেলা প্রতিনিধি মীর মোস্তাক আহমেদ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস,যুগ্ম সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুবির কুমার ঘোষ, দৈনিক সকালের সময়ের শালিখা উপজেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম,দেশ রুপান্তর পত্রিকার সাংবাদিক অরিন্দম বর সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ। সাংবাদিক বৃন্দ পজেটিভ সংবাদের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও মত পোষণ করেন।
বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য ভবিষ্যতের জন্য জ্বালানি নীতি সংস্কারের আহ্বান
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
বাংলাদেশের ১০০% নবায়নযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরের পথে বাধা অপসারণের দাবীতে রবিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জন সংযোগ ও নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নাগরিক সভায় বক্তব্য রাখেন স্বদেশ নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, মো: আব্দুস সামাদ, স্বপন পান্ডে, রজকুমার, কুমারেশ দাস, কওসার আলী, মাইদা মিজান, জাহাঙ্গীর আলম, আজিজুল বারী, মনোয়ারা খাতুন, জয় সরদার প্রমুখ।
নাগরিক সভার বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য শক্তি গ্রহণে জাতীয়ভাবে তীব্র চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। জটিল অনুমোদন প্রক্রিয়া, অপ্রতুল তহবিল, পুরোনো অবকাঠামো এবং নীতির ফাঁক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।
তাছাড়া, বর্তমান ট্যারিফ কাঠামোও নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে, যা নতুন প্রকল্পগুলিকে আর্থিকভাবে লাভজনক হওয়া কঠিন করে তোলে। সভায় নবায়নযোগ্য শক্তিকে প্রবাহিত, সাশ্রয়ী এবং কার্যকর করতে নির্দিষ্ট, কার্যকরী দাবি জানানো হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের লিফলেট বিতরণ ও জনমত জরিপ
কয়রা প্রতিনিধি
কয়রায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের লিফলেট বিতরণ ও জনমত জরিপ কর্মসূচি পালন করা হয়। দেশ বদলে দিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ শীর্ষক লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। কয়রা উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচি শুরু হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার)। এ দিন বিকাল ৪ টায় কয়রা সরকারি মহিলা কলেজের সামনে সড়কের উপর চলা-চলকারী পথচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে এ লিফলেট বিতরণ করা ও প্রশ্ন সম্বলিত উত্তরপত্রের একটি ফর্মে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মতামত লিপিবদ্ধ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহবায়ক শাহারুল ইসলাম সুজন, কয়রা উপজেলা বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী,নাগরিক নেতা মোহসিন আলম, ছাত্রনেতা আজহারুল ইসলাম মিন্টু, মারুফ হোসেন, ফারহা রওশন হৃদি,আফরিন সুলতানা মিম,আউলিয়া, মাসুম বিল্লাহ, জাহাঙ্গীর আলম, রুহান বিনতে রউফ তিশা প্রমুখ।
কেসিসি ২ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের মানববন্ধন
খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি
নগরীর খানজাহান আলী থানার ফুলবাড়ীগেট যশোর খুলনা মহাসড়কে কেসিসি ২ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে কে সিসি ২ নং ওয়ার্ড ছাত্রদল ও যুবদল নেতা বাপ্পি সিয়াম মুন্না নাসির হাসিব এর উপর হামলা, অগ্নিসংযোগ বাড়িতে লুটতরাজ এর প্রতিবাদ বিকাল ৫ টায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইকবাল হোসেন মিজান এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন খান জাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা সোহাগ হোসেন, যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন, এমদাদুল হক, জাহিদুল ইসলাম, হেলাল শরীফ, ডাঃ রইচ উদ্দিন, মামুন মেম্বার, আফজাল, শাহাবুদ্দিন বুদ্ধি, মোজাম্মেল হোসেন, ফরহাদ হোসেন, শফিকুল রহমান, কামরুল ইসলাম, রহমান মুন্সী, খলিলুর রহমান, গিয়াসউদ্দিন রতন, নোমান হাসান, ইব্রাহিম আদু, আনিসুর রহমান পিন্টু, হায়দার আলী টিপু, খান জাহান আলী থানা যুবদলের শহিদুল ইসলাম সোহেল মেহেদী হাসান বাপ্পি মাসুম খান রাসেল আহমেদ আল-আমিন শামীম আহমেদ নাজমুল হোসেন আরমান সিকদার সেন্টু, শেখ জিয়াউর রহমান জিয়া রফিকুল ইসলাম জাহিদ মামুন হোসেন মেহেদী হাসান সাব্বির হোসেন বেগ মিলন গিয়াস উদ্দিন সুমন মান্দার মল্লিক, রবিউল ইসলাম এবং খান জাহান আলী থানা ছাত্রদলের সিয়াম হোসেন, মুন্না, আবু হায়াত শুভ, ইউবুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, হাসিব মোল্লা, রিফাত, তানভীর ,নাঈম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন আমাদের ছাত্রদল ও যুবদল নেতা কর্মীদের উপর ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের গুন্ডাবাহিনী বর্বর আক্রমণ অত্যন্ত নিন্দনীয় এ ব্যাপারে খান জাহান আলী থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। সকল অপরাধীকে দ্রুত গ্রেপ্তারকরে আইনের আওতায় আনা না হলে থানা ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন বলে তারা জানান।
বটিয়াঘাটায় যুবদল নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ সভা
বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি
গত ৯ ই ফেব্রুয়ারী উপজেলার আমিরপুর ইউনিয়ন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহসিন মুন্সী’র উপর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোঃ নাজমুল শেখ, গোলাম রসুল,মোঃ ইনামুল শেখ (এনা) সহ অজ্ঞানামা আরো ১৫-২০ জন মিলে এলোপাথাড়ি সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মারধর করায় ভিকটিমের ডান পা ভেঙে যাওয়ায় তার প্রতিবাদে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে বরিবার বিকেলে উপজেলা যুবদলের পক্ষ থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নীরু, সদস্য সচিব বাহাদুর মুন্সি, যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল মোল্লা শফিক,সাবেক জেলার বনবিষয়ক সম্পাদক রেজাউল করিম, হাফিজুর রহমান বাবু, আবুল হোসেন, বাপ্পি খান, বাদল, বিল্লাল, সদর যুবদল নেতা সোহাগ শেখ, শফিকুল ইসলাম শফি, মোঃ আল মামুন শেখ, কবীর, মিন্টু, মাসুম বিল্লা, হাফিজ, মাশকুর রহমান, সাঈদ, লিটন, জাকারিয়া মোড়ল, রবি, আজিম মিয়া, শেখ শহিদুল, বিশ্বজিৎ, কাশেম, জাহাঙ্গীর, ইউসুফ গাজী, মানিক, ইমরান, রুমি, মাহবুব, আজিম, মাসুম, রাসেল শেখ, সোহাগ শেখ, মাসুম শেখ সহ যুবদলের বিভিন্ন ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য: বিএনপি নেতার জমি দখল করে প্রাচির নির্মাণের অভিযোগ
খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি
খুলনার খানজাহান আলী থানাধিন মাত্তমডাঙ্গায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থানীয় এক প্রবীণ বিএনপি নেতার জমি দখল করে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় গিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেনা ভুক্তভোগী পরিবার। বিএনপির ওই নেতা রফিকুল ইসলাম শুকুরের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম আদালতকে বিষয়টি অবহিত করে আবেদনের পরই আদালত জমিতে কোন ধরণের কাজ বা বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক দলবল নিয়ে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে বিবাদী মোঃ আবু ফয়সাল এমনটি অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী। ভুক্তভোগী পরিবার বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ কাজের বাধা দিতে গেলে জান ও মালের ক্ষতি সাধনের হুমকি প্রদান করারও অভিযোগ করেছে ভুক্তোভোগী পরিবার। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে যে কোন মুহুর্তে সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে।
ভুক্তভোগী হোসনেয়ারা বেগম ও তার পরিবার জানান, খুলনার ফুলতলা উপজেলার গিলাতলা মৌজার এস এ ৬৩৬ খতিয়ানের ৭৮ দাগের ০.৬৮ একর জমির স্থলে বি.আর.এস ৭৬৬ খতিয়ানে ৯৬ দাগ ০.৩৮ একর মধ্যে ০.০৫২৫ একর জমি । যাহা বি, আর. এস পৃথক ৩০১১ খতিয়ানের ৯৬ দাগের ০.০৫২৫ একর জমি যাহার হোল্ডিং নং ২৮৮১ তফশীল বর্ণিত সম্পত্তি সুরঞ্জন পাল ও কমল পাল দ্বয়ের কাছ থেকে কবলা দলিলমূলে ২০১১ সালে জমিটি ক্রয় করে হোসনেয়ারা বেগম। ক্রয়কৃত জমিতে ভোগদখলের পর হঠাৎ করে ২২/৯/২০১১ সালে একটি বাটোয়ারা মামলা করে জনৈক মোঃ আবু ফয়সাল। পরবর্তিতে আবু ফয়সাল মামলাটি প্রত্যাহার করেও নেন বলে ভুক্তোভোগী পরিবার জানান। গত ২৯/১/২৫ সকাল ১০টায় মোঃ আবু ফয়সাল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জোরপূর্বক জমি থেকে হোসনেয়ারা বেগমকে উচ্ছেদ করে জমি দখলের চেষ্টা করে। সম্প্রতি স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় জমিটি দখলের করে জমিতে বাউন্ডারী ওয়াল দেওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি অবহিত করে বিএনপি নেতা মোঃ রফিকুল ইসলাম শুকুরের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম বাদী হয়ে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেন। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিনের আদালতে বিষয়টি নজরে এনে ফৌজাদারী কার্যবিধি ১৪৪/১৪৫ধারা জারী করেন এবং একই সাথে আগামী ৮/৪/২৫ তারিখ পরবর্তি তারিখ নির্ধারণ করেন। ভুক্তোভোগী পরিবার জানান বিবাদী আবু ফসাল আদালতের নিষেধাজ্ঞা আদেশ অমান্য করে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জোরপূর্বক জমিতে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন। বিষয়টি খানজাহান আলী থানায় অবহিত করা হলেও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তিতে পুলিশ চলে গেলে পুনরায় স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ আবু ফয়সাল বলেন, আদালতের কোন নির্দেশ আমি হাতে পায়নি যেহেতু থানা পুলিশের মাধ্যমে জানতে পেরেছি এখন থেকে কাজ বন্ধ রাখবো।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন জানান, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ অমান্য করার কোন সুযোগ নেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো ঘটনাস্থল থেকে ১ জনকে জিজ্ঞাসাবের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
সুন্দরবন রক্ষার সচেতনতামূলক বার্তা ছড়াল ভিবিডি সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
দূষণ, বন উজাড় ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সুন্দরবন আজ হুমকির মুখে। সুন্দরবন রক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) সাতক্ষীরা ব্যতিক্রমী এক পরিবেশ সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করেছে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কালাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে ভিবিডির স্বেচ্ছাসেবকরা সুন্দরবনের জলাভূমির মধ্যে দাঁড়িয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে সচেতনতামূলক বার্তা প্রদর্শন করেন। “বাঁচাও সুন্দরবন, ওপেন ইয়োর আইজ, সেভ দ্য আর্থ এবং “সুন্দরবন বাঁচলে, বাংলাদেশ বাঁচবে”-এমন শক্তিশালী বার্তাগুলোর মাধ্যমে তারা বন সংরক্ষণের আহ্বান জানান।
এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সুন্দরবনে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের মধ্যেও পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ভিবিডি সাতক্ষীরা একটি ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে। প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহতা সম্পর্কে পর্যটকদের অবহিত করা হয় এবং তাদেরকে প্লাস্টিক ও অন্যান্য ক্ষতিকর বর্জ্য না ফেলার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া, বনভ্রমণের সময় কীভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়।
ভিবিডি সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি ইব্রাহিম খলিল জানান, আমাদের এই উদ্যোগ শুধু একটি কর্মসূচির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। সুন্দরবন রক্ষা, জলাধার সংরক্ষণ ও পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধিতে আমরা ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করব।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় জনগণ ও তরুণদের পরিবেশ রক্ষায় সম্পৃক্ত করতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করা হবে, যাতে তারা সচেতনভাবে পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন।
প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের নেতা শফিকুল : জনমনে অসন্তোষ
সাতক্ষীরা অফিস
সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অপারেশন ডেভিল হান্ট কে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে বহু অপকর্মের হোতা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক উপজেলা সভাপতি যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও কালিগঞ্জ আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের এর প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম কে নিয়ে প্রকাশ্য ট্রেনিং করায় কালিগঞ্জ উপজেলার সাধারণ মানুষের মনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি কালিগঞ্জ উপজেলা টার্মিনাল সংলগ্ন মৃত আজিজ কলুর ছেলে।
সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম-এর অত্যাচারী বহু মানুষ ঘর বাড়ি ছাড়া হয়েছিল। আমি নিজেও ১৬ বছর তার অত্যাচার অতিষ্ঠ ছিলাম। স্থানীয়দের অভিযোগ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শফিকুল ইসলাম বহু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি দখল মামলা বাণিজ্য চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির, স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলায়। পুলিশ দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে ছিলেন। কিন্তু ঠিক যখনই ছাত্রদের উপর হামলা সেই সময় উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলা কৃষি অফিসের ট্রেনিং করা সাধারণ মানুষের মনে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক বলেন, আমাদের বাচ্চাদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সদস্য শফিকুল ইসলাম বহাল তবিয়তে উপজেলা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি এতটাই প্রভাবশালী তার কিছু করার ক্ষমতা বাংলাদেশের কোন মানুষের নেই বলে তিনি বলে বেড়াচ্ছেন।
কালিগঞ্জবাসী এখন একটাই চাওয়া বহু কুকর্মের হুতা আওয়ামী লীগ নেতা ডেভিল শফিকুল ইসলাম এর গ্রেপ্তারকরে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক ।
কৃষি প্রযুক্তি প্রসারে শ্যামনগরে গ্রাম্য মেলার উদ্বোধন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১টায় শ্যামনগরের ভেটখালী এ করিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে দুই দিন ব্যাপী গ্রাম্য মেলার উদ্বোধন করা হয়। কৃষি প্রযুক্তির প্রচার, প্রসার ও জনসচেতনা সৃষ্টিতে কারিতাস খুলনা অঞ্চল, শ্যামনগরের আয়োজনে দুই দিন ব্যাপী গ্রাম্য মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রণী খাতুন। প্রধান অতিথি বক্তব্যে যে টুকু প্রাকৃতিক সম্পদ আছে তার সঠিক ব্যবহার করার কথা বলেন এবং স্বল্প জায়গায় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে কৃষকদের প্রতি আহব্বান জানান।
বাংলাদেশ ও ভারতের সুন্দরবন অঞ্চলে জলবায়ু অভিবাসন ও আধুনিক দাসত্ব প্রকল্পের আওতায় নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতকরণ, মানব পাচার প্রতিরোধ ও বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি বিষয়ক গ্রাম্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন খান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর, ভেটখালী এ করিম হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক গাজী নজরুল ইসলাম, পাতড়াখোলা আরশাদ আলী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুল হক, রমজাননগর ইউপির প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু হেনা, শিক্ষক রনজিৎ কুমার, শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।
কারিতাস শ্যামনগরের কর্মসূচি কর্মকর্তা ড.শান্তনু রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কারিতাস শ্যামনগরের কর্মকর্তা মি.এন্ড্রিকো মন্ডল, মি.সুজন সেন প্রমুখ।
গ্রাম্য মেলায় সরকারি ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের অংশ গ্রহণে ১৭টি স্টলে কৃষি প্রযুক্তি, হারিয়ে যেতে বসেছে বিভিন্ন প্রকার স্থানীয় ধানের জাত, কৃষি ফসল, আদিবাসী মুন্ডা সংস্কৃতি, নকশীকাঁথা, বিভিন্ন প্রকার আচার, দুর্যোগ প্রশমন বিষয়ক, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতা করণ কর্মসূচি, জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন প্রকার প্রকাশনা, গ্রাম বাংলার পিঠা সহ অন্যান্য গ্রামীন কৃষি পণ্য প্রদর্শন করা হয়। মেলায় শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করা হয়।
যশোর জেলা বিএনপির কাউন্সিল ২২ ফেব্রুয়ারি
যশোর অফিস
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রিজভী জানান, কাউন্সিলের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. ইসহাক। এছাড়াও সদস্য হিসেবে রয়েছেন- অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মুকুল, অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন, ডা. এস এম রবিউল আলম এবং সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সজল।
নিখোঁজের চারদিন পর বাক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিখোঁজের প্রায় চারদিন পর স্বপন মুন্সী (৫৭) নাম এক বাক প্রতিবন্ধীর ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ভাঁড়রা এলাকা সংলগ্ন গড়াই নদীর কুল থেকে মরদেহটি করা হয়। নিহত ব্যক্তি ওই ইউনিয়নের ধর্মপাড়া এলাকার মৃত নাসির মুন্সীর ছেলে।
স্বপন মুন্সীর মরদেহ শনাক্ত করেছেন তার ছেলে মো. খলিলুর ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বুধবার ফজরের নামাজ পড়তে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি বাবা। সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও বাবাকে কোথাও পাইনি। গড়াই নদীতে মরদেহের খবর পেয়ে ছুটে এসে দেখি বাবা আর নেই।’
কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক চিরঞ্জীৎ মণ্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার শেষ বিকেলে গড়াই নদীতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে মরদেহটি নদীর কিনারে এনে নৌপুলিশকে খবর দেওয়া হয়। নৌপুলিশ মরদেহটির সুরতহাল শেষে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। হত্যা না কি দুর্ঘটনা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে জানা যাবে।
স্কুলমাঠে পড়ে ছিল ঘোড়ার চামড়া-মাথা, মাংস নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ সদরের হাটগোপালপুরে রাতের আঁধারে ঘোড়া জবাই করে চামড়া ফেলে রেখে মাংস নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার সকালে স্থানীয়দের নজরে আসে বিষয়টি। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, পাঁচ থেকে ছয় মাস আগে হাটগোপালপুর বাজারে একটি ঘোড়া আসে। সেই থেকে ওই ঘোড়াটি বাজারের আশপাশে ঘুরে বেড়াতো। পাশের স্কুল মাঠে অধিকাংশ সময় থাকতো। গতকাল শনিবার রাতের আঁধারে ওই ঘোড়াটিকে জবাই করে মাংস নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সে সময় চামড়া, মাথা ও ভুঁড়ি স্কুলমাঠে ফেলে রেখে যায় তারা। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, ঘোড়াটি জবাই করে মাংস নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে কেউ নিয়ে যেতে পারে।
হাটগোপালপুর বাজারের ব্যবসায়ী রইচ উদ্দিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বাজারে ঘোড়াটি ঘোরাঘুরি করতো। ঘোড়াটির কোনো মালিক ছিল না। আমরা স্থানীয়রা মাঝেমধ্যে তাকে খাবার খেতে দিতাম।
রবিবার সকালে বাজারে এসে ঘোড়াটি কোথাও দেখতে পাইনি। পরে স্কুলমাঠে ঘোড়ার মাথা, চামড়া ও ভুঁড়ি পড়ে থাকতে দেখি। রাতের অন্ধকারে ঘোড়াটি কেউ জবাই করে মাংস নিয়ে গেছে।’
রবিউল ইসলাম নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ওই ঘোড়ার মাংস অন্য মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে আমাদের এখানে বিক্রি করা হবে না, এর কোনো নিশ্চয়তাও দেখছি না।’
সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘ঘোড়ার মাংস মানুষের খাওয়ার উপযোগী না। ঘোড়ার মাংসে মাত্রাতিরিক্ত অ্যাসিড থাকে। ফলে ঘোড়ার মাংস খেলে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।’ এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো।’
ঝিনাইদহে গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহনন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে রানা মণ্ডল (৩৫) নামের এক যুবকের গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার সড়াতলা গ্রামের নিজ ঘর থেকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। রানা মণ্ডল ওই গ্রামের মঈনুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রানার স্ত্রী শম্পা খাতুনকে আটক করেছে। প্রতিবেশীরা জানায়, স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কিছুদিন ধরে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই ছিল।
হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ রউফ খান বলেন, ‘ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।’
কুল চাষে বিল্লালের বাজিমাত
যশোর অফিস
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার বিজয়রামপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেন কুল (বরই) চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন। পরিচিতি লাভ করেছেন আদর্শ চাষী হিসেবে। তাকে এখন এলাকাবাসী বরই বিল্লাল নামে চেনেন। টানাটনির সংসারে লেখাপড়া মাধ্যমিকের গণ্ডি পার করতে পারেননি বিল্লাল। চাষের জমি না থাকায় অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করতেন। এরপর বাবার সঙ্গে ফুটপাতে মৌসুমী ফল বিক্রি করতেন। ফল বেচাকেনার মাধ্যমে বছর ছয়েক আগে একই উপজেলার করিম নামে এক মাল্টা চাষির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। করিমের অনুপ্রেরণায় উপজেলার মহাদেবপুর মাঠে পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচ বিঘা জমিতে মাল্টার আবাদ করেন বিল্লাল। গড়ে তোলেন ‘বিল্লাল এ্যাগ্রো খামার’। খামারে রয়েছে মাল্টা, আম, লিচু, লেবু, কলা ও পেঁপের সমন্বিত বাগান। পুকুরে রয়েছে নানা প্রজাতির মাছ। ৯ মাস আগে মোবাইল ফোনে ইউটিউবে কুল (বরই) চাষ দেখে সেটিতে আগ্রহ পান বিল্লাল। উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের মাঠে ১২ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে শুরু করেন থাই আপেল কুল চাষ। চারা রোপণের ৮ মাসের মাথায় কুল তোলা শুরু করেছেন। কুলের সমারোহে দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে তার বাগান। দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন মানুষ। প্রতি কেজি কুল ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন। বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘বছর খানেক আগে মোবাইল ফোনে ইউটিউবে কুল চাষে কম খরচে বেশি লাভের ভিডিও দেখে সিদ্ধান্ত নিই কুল চাষের। সৃষ্টিকর্তা আমার সহায় হয়েছেন। সফল হয়েছি কুল চাষে। এ পর্যন্ত ৫ লাখ টাকার বিক্রি করেছি। আরো ১০-১১ লাখ টাকার কুল বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি।’ বিল্লালের মাল্টা বাগানের শ্রমিক আশরাফুল আলম বলেন, ‘চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে এসে এখানে কাজ করছি। তিনি (বিল্লাল) বাগান করছিলেন বলে আমরা কাজের সুযোগ পেয়েছি।’
যশোর এসএম সুলতান ফাইন আর্ট কলেজের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জীবন লহরী বলেন, ‘বিল্লালের কুল বাগানের কথা শুনে দেখতে এসেছি। ফলের স্বাদ বর্ণ ক্রেতাদের আকর্ষণ করছে। ক্ষেতে এসে কুল খেলাম, ভালো লাগছে।’
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মো. তবিবুর রহমান বলেন, ‘উপজেলায় বিভিন্ন জাতের কুলের আবাদ হচ্ছে। বিল্লাল একজন আদর্শ ফল চাষী। বিভিন্ন ফলের আবাদ করেছেন তিনি। কুল আবাদে পেয়েছেন সাফল্য।’
উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. আনিচুজ্জামান বলেন, ‘বিল্লাল একজন আদর্শ চাষী, তিনি কৃষি ও কৃষকদের জন্য আইডল। তার দেখে এলাকার বেকার যুবক ও চাষি কুলের আবাদ করছেন।’
মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. মাহমুদা খাতুন বলেন, ‘এখানকার মাটি, জলবায়ু, পরিবেশ কুল চাষের জন্য উপযোগী। কুল চাষ লাভজনক। সারা দেশে এর চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় কৃষকরা দিন দিন কুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। তা ছাড়া বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কুল চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কুল চাষি বিল্লালের ফলের স্বাদ ও বর্ণের কারণে ক্রেতারা আকর্ষিত হচ্ছেন।’
অপারেশন ডেভিলহান্টে বাগেরহাটে গ্রেপ্তার ৯
বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে ৮দিনে বাগেরহাটে অপারেশন ডেভিল হান্টে ৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অধিকাংশই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলার সর্বত্রই ডেভিল হান্টের অভিযান চলছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বাগেরহাট সদরে দুইজন, চিতলমারীতে একজন, কচুয়ায় তিনজন, মোড়েলগঞ্জে দুইজন এবং রামপাল উপজেলায় একজন রয়েছে।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের ডিএসবি শাখার পরিদর্শক কাজী শাহিদুজ্জামান জানান, অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অপারেশন ডেভিল হান্ট : চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তার ৮
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
দেশজুড়ে চলমান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানে চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য ফেরদাউস হোসেন (৫৫) ও যাদবপুর গ্রামের আওয়ামী লীগকর্মী সিদ্দিক মিয়া (৩৩), আলমাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম মন্টু (৫৭), দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান (৫৮) ও একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম (৫৩) এবং দর্শনা থানা এলাকার দর্শনা পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফ আলম (৫০), পৌর আওয়ামী লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সহ-সম্পাদক আসিকুজ্জামান সুমন (৩৫) ও কুড়লগাছি ইউনিয়নের নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন সরকার (২৭)।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাস জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের নামে নিজ নিজ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
‘৩০ বছর পর বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যান স্বপন’, ফিরলেন লাশ হয়ে
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিখোঁজের তিন দিন পর স্বপন মুন্সি (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মুখে জখমের চিহ্ন ও রক্তাক্ত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার চাপড়া পূর্বপাড়া এলাকায় গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত স্বপন মুন্সি কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মপাড়া এলাকার নাসির মুন্সির ছেলে।
নিহত স্বপনের ছেলে খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘গত বুধবার সকালে আমার বাবা বাড়ি থেকে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যান। বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে বাবা বলেছিলেন, নন্দলালপুরে আমার এক বন্ধু আছে। ৩০ বছর পর তার সঙ্গে দেখা হবে।
তিনি বাড়িতে ভালো খাবারের ব্যবস্থাও করতে বলেছিলেন। কারণ সেই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে আসবেন আমাদের বাড়ি। কিন্তু বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরেননি তিনি। অনেক জায়গায় খোঁজ নিয়েও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না।
বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন বাবা। আমরা বাবার সেই বন্ধুকে চিনি না। তার নামও জানি না। কি কারণে, কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তাও জানি না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হোক।’
কুমারখালী থানার ওসি সোলায়মান শেখ বলেন, ‘স্থানীয়দের খবরে স্বপনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার মুখে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে- এটা হত্যাকাণ্ড। বিষয়টি তদন্ত দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
কুষ্টিয়ায় পিস্তলসহ সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৩ যুবক
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় অভিযান চালিয়ে একটি পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রসহ মো. লিটন (২৪), মো. মোমিন (৪৫) ও মো. রোমান (২২) নামের তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) শহরতলীর জুগিয়া দর্গাপাড়া এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার রাতে সেনাবাহিনী কুষ্টিয়া ক্যাম্প এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি আইনের সুশাসন পুনর্র্নিমাণের উদ্যোগে দেশব্যাপী কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
এরই ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জুগিয়া দর্গাপাড়া এলাকায় শনিবার দুপুর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সন্দেহভাজন তিনটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মো. লিটনের (২৪) রুমের বালিশের নিচ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এসময় মো. লিটন (২৪), মো. মোমিন (৪৫) ও মো. রোমান (২২) নামের তিনজনকে আটক করে সেনাবাহিনী। জিজ্ঞাসাবাদের সময় মো. লিটন অস্ত্রটি মোমিনের কাছ থেকে নিয়েছিল বলে জানায়। পরবর্তীতে মোমিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চাইনিজ কুড়াল, রামদা, ছুরিসহ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রসহ আটকদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেহাবুর রহমান বলেন, অভিযানের সময় সেনাবাহিনীর সঙ্গে পুলিশও ছিল। ভোর ৫টার দিকে আটকদের থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে।
উপজেলার দুটি গেট বন্ধ: বিপাকে মুসল্লি ও ব্যবসায়ীরা, অনড় ইউএনও
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার মিরপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে উপজেলা পরিষদের তিনটি প্রবেশদ্বারের মধ্যে দুটি গেট প্রায় ৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এই দুটি প্রবেশদ্বারে একটিতে উপজেলা পরিষদের জামে মসজিদও রয়েছে। এ ছাড়াও উপজেলা পরিষদের গেটের বাইরে আশপাশে প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
গেট দুটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। তা ছাড়াও মসজিদের সঙ্গে লাগোয়া গেটটি বন্ধ থাকায় নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিরা ভোগান্তিতে পড়ছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর মিরপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহমত আলী রব্বানসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। এর পরদিন মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিবি করিমুন্নেছার নির্দেশে উপজেলা পরিষদের তিনটি গেটের মধ্যে দুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বন্ধ গেট দুটির অন্তত একটি খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানালেও ইউএনও এতে কোনও কর্ণপাত করেননি।
উপজেলার দুই নম্বর গেটের ব্যবসায়ী সোহেল বলেন, ‘গেট বন্ধ করে দেওয়ার পরে ম্যাডামের (ইউএনও) কাছে আমরা সবাই মিলে গিয়ে গেটটা খুলে দেওয়ার জন্য বলেছিলাম। উনি উত্তরে বলেছিলেন, আপনাদের ব্যবসায় যদি কোনও ক্ষতি হয় তাহলে আপনারা ব্যবসা বন্ধ করে দেন। এরপরে আমরা সেখান থেকে অপমানিত হয়ে চলে আসি।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের প্রধান গেটের চেয়ে এই গেট দিয়ে মানুষ সবচেয়ে বেশি যাতায়াত করে। এই গেট দিয়ে যাতায়াত করাটা মানুষের কাছে সহজ হয়। এ ছাড়া এই গেটে একটি মসজিদ রয়েছে। গেটটা খোলা থাকলে উপজেলায় যারা কাজের জন্য আসেন তাদের নামাজে যাতায়াত সুবিধা হয়। এটার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।’
স্থানীয় আরেক ব্যবসায়ী জিয়াউর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘গেট বন্ধ থাকায় আমাদের ব্যবসায় হচ্ছে না। গেটটা খুললে আমাদের উপকার হয়, কিন্তু উনি (ইউএনও) কোনও কাথাই শুনছেন না।’
স্থানীয় চা-দোকানি আজিজুল হক বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের এই গেটটা ম্যাডাম হঠাৎ করে তালা মেরে দিয়েছেন। আমরা দোকানদাররা সবাই গিয়েছিলাম। ওনাকে আমরা সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত গেটটা খোলা রাখার জন্য বলি। আমাদের দোকানগুলো সবই উপজেলা পরিষদের মসজিদের। আমরা ভাড়াগুলো মসজিদে দিই। কিন্তু উনি বললেন গেট খোলা হবে না। আমাদের নিরাপত্তার জন্য এটি বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা অনুরোধ করার পরেও গেটটি খোলেনি।’
মিরপুর উপজেলা পরিষদ বাজার সমিতির সাবেক সেক্রেটারি সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘এটি উপজেলার বাজার। আর উপজেলার লোকজন যদি না আসে সেটা আর বাজার থাকে না। আমাদের বাজারের কোনও আর অস্তিত্ব নেই, একেবারেই বন্ধ অবস্থা। কোনটা অফিসিয়াল দিন আর কোনটা শুক্রবার, এটা আমরা বুঝতে পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলার গেটটা বন্ধ হওয়ার কারণে আমাদের এমন পরিস্থিতি। এই বাজারে প্রায় ৫৭টি দোকান রয়েছে। এর মধ্যে শুধু এই গেটে ৩৮টি। ব্যবসায়ীদের স্বার্থে গেটটা খুলে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।’
সচেতন নাগরিক কমিটির কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি রফিকুল আলম বলেন, ‘গেট বন্ধের কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। বিষয়টি খুবই ক্ষতিকারক। এখানে কিছু মানুষ জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে। কিছু দোকান গড়ে উঠেছে এই গেটকে কেন্দ্র করে। যেখানে মানুষের অবাধ চলাচল ছিল, হঠাৎ করে বন্ধ করাটা অবশ্যই প্রশাসনের দেখা উচিত। সেই সঙ্গে এখানে একটা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওখানে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নামাজ পড়েন। তাদের যাতে কোনও বিঘ্ন না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ওখানে এতদিন যে যাওয়া-আসার রাস্তাটা যার কারণে কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, সেগুলো তাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে। তার ওপরে তাদের পরিবার পরিজন আছে, দোকানের কর্মচারী আছে, তাদের জীবন-জীবিকা আছে। সবদিক বিবেচনা করে আমার মনে হয় প্রশাসনের ভেবে দেখা উচিত।’
এ বিষয়ে ইউএনও বিবি করিমুন্নেছা বলেন, ‘যেকোনও প্রতিষ্ঠানের একটি গেট থাকে। তিনটি গেট অপ্রয়োজনীয়। তিনটা গেট ছিল, এখন প্রয়োজন নেই। তাতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। মসজিদে ঢোকার জন্য একটি গেট রয়েছে।
দুটি গেট বন্ধ করার বিশেষ কোনও কারণ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিশেষ কারণ অবশ্যই আছে। আমার উপজেলা পরিষদের সিকিউরিটি নষ্ট হয়। কিছুদিন আগেও আমার উপজেলা চত্বরে গাঁজা, ফেন্সিডিলের বোতল পাওয়া যেত। রাতের বেলা এসব আড্ডা ছিল। আমি এসব ঠেকানোর জন্য যেকোনও একদিকে এক্সেস এবং এন্ট্রি করেছি। যাতে কে বের হচ্ছে, কে ঢুকছে জানতে পারি।’
ব্যবসায়ীদের অভিযোগের বিষয়ে ইউএনও বলেন, ‘এখানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কোনও ক্ষতি হচ্ছে না। এটা আপনি খুব ভালো করেই জানেন। এই গেট থেকে ওই গেটের দূরত্ব ৩০ সেকেন্ডের পথও না। আপনি হেঁটে দেখেন ৩০ সেকেন্ড লাগে কি না?’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের অভিযোগ শোনার টাইম নাই। ওনারা আমার কাছে অনেক আগে আসছে এবং বিষয়টি সেটেল। এখানে যারা সত্যিকারের ব্যবসায়ী তাদের কোনও সমস্যা হওয়ার কথা না। ওনাদের এটার কারণে আসলেই যদি কোন লস হতো তাহলে তো ব্যবসা ছেড়ে দিতো। খুব অল্প ভাড়া দিয়ে তারা এখানে ব্যবসা করছে এবং এই দোকানগুলো আমাদের। সুতরাং এটা নিয়ে অভিযোগ করার কারণ নেই। উপজেলা পরিষদ চত্বর এটা একটা অফিসের চত্বর। এটা বিজনেসম্যানদের সুবিধা করে দেওয়ার কোনও চত্বর না। এখানে মানুষ অফিসিয়াল কাজে আসে এবং তারা কাজ শেষে চলে যায়। এখানে তো বিজনেস করার কোনও বিষয় না।
আর বাড়ছে না রিটার্ন দাখিলের সময়
খুলনাঞ্চল রিপোর্ট
রিটার্ন দাখিলের সময় আর বাড়ছে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআরের) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন আব্দুর রহমান।
এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে বেশ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৪ লাখ ১০ হাজার করদাতা রিটার্ন দাখিল করেছে। তবে আজ (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২ টায় বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত আরও ২০-৩০ হাজার বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, আগের নিয়মে হার্ডকপির মাধ্যমেও অনেকে রিটার্ন দাখিল করেছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৭ থেকে ৩৮ লাখ করদাতা রিটার্ন দাখিল করেছেন। বর্তমানে টিআইএনধারী করদাতার সংখ্যা ১ কোটি ১৪ লাখের মতো। তবে এরপরও রিটার্ন দাখিল করা যাবে। সেক্ষেত্রে জরিমানা গুনতে হবে।