
খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের ৩১ নং ওয়ার্ড কমিটি গঠন
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা জেলা ইমাম পরিষদ খুলনা সদর থানা শাখা এর আওতাধীন ৩১নং ওয়ার্ডের কমিটি গঠন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাদ এশা ৩১ নং ওয়ার্ডের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে লবণচরা বাজারাস্থ মদীনা জামে মসজিদে ওয়ার্ড সভাপতি মাওলানা ফজলুল কাদেরের সভাপতিত্বে এবং ওযার্ড সেক্রেটারি আলহাজ্ব মাওঃ শাফায়াতুল ইসলামের পরিচালনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যারা রয়েছেন সভাপতি মাওলানা ফজলুল কাদের, সহ সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ আঃ সালাম, মুফতি মাসুম বিল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মোহাম্মাদ উল্লাহ মুফতি আল আমিন, মাওলানা মোঃ হাসিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা শাফয়াতুল ইসলাম,সহ সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আজিজুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মাসুম বিল্লাহ,সহ অর্থ সম্পাদক মুফতি আরিফুল ইসলাম, সংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন,সহ সংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মোঃ বেলাল শরীফ, প্রচার সম্পাদক মাওলানা মোঃ রবিউল ইসলাম,সহ প্রচার সম্পাদক হাফেজ মাওলানা কাওসার মাহমুদ, অডিটর হাফেজ মাওলানা মোহাঃ মিজানুর রহমান, সহঃ অডিটর হাফেজ মাওলানা মুফতি আশরাফুল ইসলাম,দপ্তর সম্পাদক মাওলানা ইব্রাহিম খলিল, সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মোহাঃ আহসানুল্লাহ, সদস্য মাওলানা মোহাঃ শাহ আলম, মাওলানা রাকিবুল ইসলাম,হাফেজ মাওলানা মুরাদ হোসেন,হাঃ মাওলানা তানভীর আহমদ, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম হাফেজ মাওলানা আফজাল হোসাইন,হাফেজ মোহাঃ ওমর ফারুক।
দর্শনায় রেলওয়ে পশ্চিমজোনের কর্মকতার্রাদের অবকাঠামো পরিদর্শন
দামুড়হুদা প্রতিনিধি
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে ষ্টেশন পরিদর্শন করলেন রেলওয়ে পশ্চিমজোনের কর্মকতার্রা। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পশ্চিমজোনের উচ্চ পযার্য়ের একটি টীমটি দর্শনায় পৌছায়। এরপর
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলষ্টেশন, দর্শনা জয়নগর ভারতের গেদে সীমান্ত জিরো পয়েন্ট এলাকা সহ বিভিন্ন অবকাঠামো পরিদর্শন করে ঐ টিম। এবিষয় পশ্চিমজোনের ব্যবস্থাপক মামুনুল ইসলাম তিনি বলেন, দর্শনা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী ট্রেন, রেল পথে ভারত থেকে আমদানী ও রপ্তানী, দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলষ্টেশনের আশে,পাশে অবৈধ্য দখল স্থাপনা উচ্ছেদ, রেল বন্দরের ইয়ার্ড উন্নয়ন, রেলষ্টেশনের অব-কাঠামোর উন্নয়ন, ওয়াটার সাপলাই লাইনে উন্নয়ন ও রেলওয়ের সমস্যা গুলো দেখতে এসেছি। দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলষ্টেশন পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশের দর্শনা জয়নগর ভারতের গেদে সীমান্ত জিরো পয়েন্ট এলাকা পরিদর্শন করে ঐ টিম। পশ্চিমজোনের উচ্চ পযার্য়ের কর্মকতাদের আসার খবরে “দর্শনার জন্য আমরা সংগঠন” এর আনন্দোলনকারী লোকজন তাদের দাবী নিয়ে পৌছান স্টেশন চত্বরে। পশ্চিমজোনের উচ্চ পযার্য়ের কর্মকতাদের কছে দাবীগুলো তুলে ধরেন, আনোয়রুল ইসলাম বাবু, রবিউল আলম বাবু, দর্শনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আওয়াল হোসেন ও দর্শনা রেল বাজারের ব্যবসায়ীরা। এসব দাবীর মধ্যে দর্শনা আন্তর্জাতিক ষ্টেশন থেকে রাজশাহী পর্যন্ত একটি আন্তঃনগর ট্রেন ও লোকার ট্রেন চালু করা, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সুন্দরবন ট্রেন ও চিত্রা আন্তনগর ট্রেন আপ এ্যান্ড ডাউনে দর্শনা হল্ট ষ্টেশনে স্টপেজ। দর্শনা ও খুলনার মধ্যে ডাবল লাইন স্থাপনসহ ৯টি দাবী সম্বলীত একটি লিফলেট তুলে দেন পশ্চিমজোনের ব্যবস্থাপক মামুনুল ইসলামের হাতে। দীর্ঘদিনের দাবী দর্শনাবাসী দাবী এসব করে আসছে। এ দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সুন্দরবন ট্রেন আপ ও ডাউনে থামানো হবে এবং দর্শনা আন্তর্জাতিক ষ্টেশন থেকে রাজশাহী ট্রেন দেওয়ার ব্যপারে আশ্বাস দেন পশ্চিমজোনের কর্মকতার্রা। দর্শনাবাসীর দাবীর কথা শোনেন উপস্থিত প্রধান প্রকৌশলী অশাদুল ইসলাম, প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী সাদেকুর রহমান, প্রধান সংকেত টেলি যোগাযোগ কর্মকতা শাহিদুজ্জামান, চীপ অপারেটর সুপারিন্ডেন্টেন আহসান উল্লাহ ভুঁইয়া, চীপ কমারশিয়াল ম্যানেজার সুজিত কুমার বিশ্বাস দর্শনাবাসীকে আশ্বাস দেন। তাদের দাবী পযার্য়ক্রমে মেনে নেয়া হবে। এরপর ১৫ জনের ঐ উচ্চ পযার্য়ের কর্মকতারা দর্শনা আন্তর্জাতিক ষ্টেশন ও দর্শনা জয়নগর ও ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্ট রেলপথ ঘুরে দেখেন। এরপর দুপুরের পর পশ্চিমজোনের ঐ টিম চলে যায় তাদের গন্তব্যে। চলে যাওয়ার সময় তাদের ভাষ্যমতে অচিরেই দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলষ্টেশন নানা আবকাঠামোর উন্নয়ন হবে এবং খুলনার মধ্যে চলাচলকারী সুন্দরবন ট্রেনটি আপ-ডাউনে থামবে বলে জানান।
অপারেশন ডেভিল হান্টে হাসিম সরদারসহ তিন আ’লীগ নেতা গ্রেপ্তার
শ্যামনগর প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পুলিশের বিশেষ অভিযান অপারেশন ডেভিল হান্ট-এর আওতায় তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার গভীর রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত উপজেলার সোনারমোড় মাছের আড়ৎ, মুন্সিগঞ্জ ও কৈখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে শ্যামনগর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অন্যতম হলেন গুমানতলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি দুর্র্ধষ হাসিম সরদার। হত্যাসহ অন্তত ১৪টি মামলার আসামি হিসেবে চিহ্নিত এই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, তিনি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জগলুল হায়দারের প্রধান সহযোগী। নিজস্ব বাহিনী গড়ে তুলে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। ঘের দখল, ভাড়াটে সন্ত্রাসী সরবরাহসহ বিভিন্ন অপরাধে তার জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তার হওয়া অন্য দুইজন হলেন পশ্চিম কৈখালী আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ রুহুল কুদ্দুস এবং মুন্সিগঞ্জ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ শাহাবুদ্দীন গাজী। তাদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলার অভিযোগ রয়েছে।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবীর গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পরবর্তী আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হাসিম সরদারের গ্রেপ্তারের ফলে এলাকায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। সরকার পরিবর্তনের পরও তার কার্যক্রম থেমে থাকেনি। বরং নিজস্ব বাহিনী নিয়ে তিনি আরও সক্রিয় হয়ে ওঠেন।
এই বিশেষ অভিযানে নেতৃত্ব দেন শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবীর। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালিগঞ্জ সার্কেল) মোঃ আমিনুর রহমানের তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালিত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অপারেশন ডেভিল হান্টের মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা অব্যাহত থাকবে, যাতে এলাকায় শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
চুরি হওয়া মোবাইল ফোন ও টাকা উদ্ধার করছে পুলিশ
পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুর জেলা পুলিশ ৪০ টি মোবাইল ও অনলাইন ট্রানজেকশনের ৯০ হাজার টাকা এবং হ্যাকড হওয়া ৩ টি ফেইজবুক একাউন্ট উদ্ধার করছে। বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ৪০ টি মোবাইল ফোন, অনলাইন ট্রানজেকশনের ৯০ হাজার টাকা ও হ্যাকড হওয়া ৩ টি ফেইজবুক প্রকৃত মালিকের নিকট বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। পিরোজপুরের পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন, টাকা,ফেইজবুক আইডি বুঝিয়ে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন্স) মোঃ মুকিত হাসান খাঁন সহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা।
পুলিশ সূত্র জানায়,আনজিরা বেগমের বিদেশে থাকা স্বামীর ইমো হ্যাকড করে তার (স্বামীর) ইমো দিয়ে স্ত্রী আনজিরা বেগমের ইমোতে কল দিয়ে বিপদে পরার কথা বলে বিকাশে টাকা চাইলে স্ত্রী সরল বিশ্বাসে অনলাইন ট্রানজেকশনের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে স্বামীর সাথে কথা হলে জানতে পারেন তিনি ইমোর মাধ্যমে অনলাইন প্রতারনার শিকার হন। আনজিরা বেগম পরে পিরোজপুর সদর থানায় জিডি করলে পুলিশ কুষ্টিয়া থেকে তার ট্রানজেকশনের টাকা গুলো উদ্ধার করে।ভুক্তভোগীরা তাদের মোবাইল, অনলাইন ট্রানজেকশনের টাকা ও ফেইজবুক একাউন্ট ফেরত পেয়ে জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। উল্লেখ্য যে, পিরোজপুর জেলার পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের এর নির্দেশে পুলিশের আইসিটি এন্ড মিডিয়া শাখার এরকম উদ্ধারজনিত কার্যক্রম অব্যহত থাকবে। জেলা পুলিশ ইতোপূর্বেও এরকম উদ্ধারজনিত কাজ করে সবসময় জনগনের পাশে অবস্থান করছে।
মাগুরার শালিখায় একাধিক অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১
মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরার শালিখায় অপারেশন ” ডেভিল হান্ট ” পরিচালনা করে ১টি একনলা বন্দুক, এক রাউন্ড গুলি ও দেশীয় অস্ত্র সহ একজনকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। ১৩ ফেব্রুয়াী বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় যৌথ বাহিনী এ তথ্য জানিয়েছেন। ১২ ফেব্রুয়ারী ভোর চারটায় মাগুরার শালিখা থানার তিলখড়ি গ্রামের ইব্রাহিম কাজীর পুত্র আল আমিন কাজীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। এসময় ১টি একনালা বন্দুক, ১৪টি ধারালো অস্ত্র, ৪টি ঢাল তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে।
তার বিরুদ্ধে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি, ভয়ভীতি ও আধিপত্য বিস্তারের চেস্টা করার অভিযোগ রয়েছে ।গ্রেফকৃত আসামিকে আদালতে সপোর্দ করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।সেই সাথে দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও জানানো হয়।
স্বৈরাচারের দোসরকে প্রোভিসি করা হলে ক্যাম্পাস অচল করে দেয়ার হুমকি শিক্ষার্থীদের
যশোর অফিস
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেছেন, যবিপ্রবি একটি ছোট বিশ্ববিদ্যালয়, এখানে কোনও প্রো-ভিসি লাগবে না। প্রো-ভিসি নিয়োগ মানেই প্রশাসনিক স্তর বৃদ্ধি। আর এর মানে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ বাড়ানো। স্বৈরাচারের দোসরকে প্রো-ভিসি করা হলে ক্যাম্পাস অচল করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রেসক্লাব যশোরে যবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এইসব কথা বলা হয়। “স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর হিসেবে পরিচিত সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের স্বামী সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর এফ এম সাইফুল ইসলামকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসি বানানোর চেষ্টা চলছে” এমন সংবাদের ভিত্তিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যবিপ্রবির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসান সাব্বির।
সংবাদ সম্মেলন বলা হয়, প্রফেসর ডক্টর এফ এম সাইফুল ইসলাম সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের নেতা এবং ক্রপ বোটানি অ্যান্ড টি প্রোডাকশন টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক। তার স্ত্রী ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে রাতের ভোটের মূল কারিগর ছিলেন। যার পুরস্কার স্বরূপ তাকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। চাকরির মেয়াদ শেষ হলেও পুরস্কার হিসেবে তাকে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান। শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্র্বতীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেই গত বছরের ৮ অক্টোবর ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমকে পিএসসি থেকে বরখাস্ত করে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১২ সালে ড. নাজমানারা খানুমের লবিংয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন ড. সাইফুল। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের প্যানেল থেকে দুইবার (২০১৪-১৬ ও ২০২২-২৪) সিকৃবির সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়া ২০১৫-১৭ হলে কৃষি অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্র নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, তার আপন ভায়রাভাই ড. কে এম দেলোয়ার হোসেন যবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে। জুলাই বিপ্লব নিয়ে কটুক্তিসহ তার বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্টের সহযোগী হিসেবে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি এখনও বলে বেড়ান, আপা (শেখ হাসিনা) দ্রুতই দেশে ফিরবেন এবং জুলাই বিপ্লবের সমন্বয়কারীসহ আন্দোলনের সমর্থকদের শায়েস্তা করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, উপ-উপাচার্য হিসেবে ড. সাইফুলের মত স্বৈরাচারের দোসরকে আমরা কখনোই মেনে নেব না। তাকে উপ-উপাচার্য করা হলে এই ক্যাম্পাস আমরা অচল করে দেবো। তার মত লোককে নিয়োগ দেওয়া মানে দুই হাজার শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি করা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে পিইএসএস বিভাগের হাবিবুর রহমান ইমরান, ইএসটি বিভাগের হাবিব খান, পিইএসএসের ইসমাইল হোসেন, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাসুদ রানা, ম্যাথমেটিক্সের সুমন আলী, কেমিস্ট্রি বিভাগের আব্দুল খালেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দাফনের ৮ বছর পর কবর থেকে উঠানো হলো মরদেহ
কালীগঞ্জ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে দাফনের ৮ বছর পর কবর থেকে আব্দুল মাজিদ হোসেন (৫০) নামের এক হোমিও ডাক্তারের মরদেহ উত্তোলন করেছে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। সে উপজেলার রাড়িপাড়া গ্রামের তাবারক আলী বিশ^াসের ছেলে। ঝিনাইদহ আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার রাড়িপাড়া গ্রাম থেকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন আলমের নেতৃত্বে ঝিনাইদহ পিবিআইয়ের একটি টিম ওই মরদেহের হাড়গোড় উত্তোলন করেন।
পিবিআই ঝিনাইদহের ইন্সপেক্টর নাসির উদ্দিন জানান, ২০১৭ সালে ৫ই মার্চ কালীগঞ্জ শহেরর আড়পাড়া গ্রামে আপন চাচাতো ভাই সাজিদ হোসেনের বাড়িতে থাকা অবস্থায় রহস্যজনকভাবে মারা যান মাজিদ হোসেন। সে সময়ে তাকে কোন ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছিল। পরে মাজিদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে এমন সন্দেহ জাগে। এর ৭ বছর পর ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নিহতের ছোট ভাই আব্দুল আলিম বাদী হয়ে ঝিনাইদহের আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় নিহতের চাচাতো ভাই সাজিদ হোসেনকে আসামি করা হয়। পরবর্তীতে ঝিনাইদহ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো আব্দুল আওয়াল মৃত্যুর সঠিক কারন উদঘাটনে গত ১১ ফেব্র্রুয়ারী কবর থেকে নিহতের মরদেহটি উত্তোলনের নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা পেয়ে পিবিআই টিম বৃহস্পতিবার মরদেহটির কবর খুড়ে হাড়গোড় উত্তোলন করে ঝিনাইদহ মর্গে পাঠিয়েছে।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট শাহীন আলম জানান, মৃত্যু’র ঘটনায় গত বছর আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। আদালতের নির্দেশেই মরদেহটির হাড়গোড় উত্তোলন করা হয়েছে। এ সময়ে পিবিআই কর্মকর্তাসহ একজন ডাক্তার উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, মৃত্যুর প্রকৃত কারন উদঘাটনে ময়না তদন্ত করতে মৃতদেহটি ঝিনাইদহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ছাত্রসংগঠনগুলো দ্রুত চাইলেও উপাচার্যের ‘আইনি অজুহাত’
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) নির্বাচনের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।
ইকসু নির্বাচনের দাবিতে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া ছাড়াও মতবিনিময় সভা করেছে ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য সংগঠন। তাদের দাবি, ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ছাত্র সংসদ সংক্রান্ত বিধান অন্তভুর্ক্ত করে ইকসু প্রতিষ্ঠা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, দলীয় নির্বাচিত সরকার ছাড়া ইকসু গঠন সম্ভব নয়। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন আইনে (১৯৮০) ছাত্র সংসদ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো রাখা হয়নি। এমনকী ২০১০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনের সময়ও ছাত্র সংসদের বিধান অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়েছে। ফলে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব ও বিগত প্রশাসনগুলোর অনীহায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ গঠন করা হয়নি।
তবে সংশ্লিষ্টদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান আইনি কাঠামো দিয়ে অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে প্রশাসন চাইলে ছাত্র সংসদ গঠন করতে পারে। সংবিধি ও অধ্যাদেশ প্রণয়নের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-১৯৮০ এর সিন্ডিকেট ক্ষমতা ও কার্যাবলী ২০ (জ)(ঝ) ধারায় বলা হয়েছে, চ্যান্সেলরের অনুমোদন সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সংবিধি প্রণয়ন, সংশোধন বা বাতিল করবে এবং অধ্যাদেশ প্রণয়ন, সংশোধন বা বাতিল করবে। এছাড়া সংবিধি প্রণয়ন ৩২ (২) ধারায় বলা হয়েছে, যেকোনো সময়ে সিন্ডিকেট সংবিধি প্রণয়ন করতে পারবে এবং তা সংশোধন বা বাতিল করতে পারবে।
এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গঠন এবং সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ইকসু অপরিহার্য। আমরা গত কয়েক বছর ধরে ইকসুর দাবি জানিয়ে আসছে। আমরা মনে করি, এটি শিক্ষার্থীদের সমষ্টিগত প্রয়োজনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, ‘সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত প্রধান প্রধান নীতিমালার কথা উল্লেখ রয়েছে। সব বিষয়ে নীতিমালা থাকবে না এটি স্বাভাবিক। ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আইনের দোহাই দেওয়া ঠুনকো অজুহাত।’
ইবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, ছাত্ররাজনীতি হওয়া দরকার ছাত্র সংসদ কেন্দ্রিক। দলীয় সরকার নয়, এ সরকারের আমলেই ইকসু গঠনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার দাবি জানাই।
তবে ইকসু গঠনে কিছুটা সময় নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে ইবি ছাত্রদল। সংগঠনটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে স্বৈরাচারী সরকারের কারণে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলো তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম অবাধে করতে পারেনি। তাই আমরা মনে করছি ইকসু গঠনে প্রশাসনকে আরও সময় নেওয়া উচিত।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব ইকসু গঠন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে ছাত্র সংসদের বিকল্প নেই।’
ইকসু গঠনে আইনি বাধা প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আইন প্রশাসক ও আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট চাইলে নীতিমালা তৈরি করে ছাত্র সংসদ গঠন করতে পারে। অনেকেই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ছাত্র সংসদ গঠনের কথা বলেন। কিন্তু আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় নিজেই এটি করতে পারে।’
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘ছাত্র সংসদ সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো নেই। তাই ছাত্র সংসদ গঠন করতে হলে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ, আদালতের আদেশ ও সংসদ কর্তৃক পাস করা নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে। দলীয় নির্বাচিত সরকার ছাড়া এটি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।’
অপারেশন ডেভিল হান্ট: মোংলায় আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী আটক
মোংলা প্রতিনিধি
অপারেশন ডেভিল হান্টে মোংলায় কোস্ট গার্ড ও পুলিশের পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী আটক হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
কোস্ট গার্ড ও পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে পৌর শহরতলীর কানাইনগর এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান হাওলাদার (৫০) হাশেম ফকির (৪০) ও গৌতম মন্ডলকে (৩৫) আটক করে কোস্ট গার্ড। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মামলা রয়েছে।
এদিকে উপজেলার গোয়ালীরমেঠ এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা শাহআলম (৪৫) ও আওয়ামী লীগ কর্মী মো. জসিমকে (২৭) আটক করেছে পুলিশ।
রূপসায় শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান
রূপসা প্রতিনিধি
রূপসায় কাজদিয়া সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত বিদ্যালয়ের অস্বচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবিষয়ক কার্যক্রমে শুভেচ্ছা নিদর্শন স্বরূপ শিক্ষা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক খান আহমেদুল কবীর চাইনিজ। শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কাজদিয়া সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অজিত সরকার,সাবেক অধ্যক্ষ বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য,খান মারুফুল হক,সরকারি বিএল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আফরোজা খানম।
ক্রীড়া শিক্ষক আঃ কাদেরের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন সমাজসেবক সৈয়দ নিয়ামত আলী,মুন্না সরদার,জিএম আসাদুজ্জামান, সাজ্জাদ হোসেন, মিরাজ শাহ,সাবেক ছাত্র জহির খান,হাসান ফরাজী প্রমূখ।
এসময় ৫০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করেন। শিক্ষা বৃত্তি আয়োজক কমিটির আহবায়ক অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো: ফিরোজ শাহ সকলের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এছাড়াও স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণিতে ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অধিকারি ২৪ জন মেধাবি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার ও স্মারক উপহার প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ভবিষ্যতে এরকম কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।
রূপসায় কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা হেলালের পক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মাঝে উপহার প্রদান
রূপসা প্রতিনিধি
রূপসা উপজেলার তিলক খ্রিষ্টিয়ান সম্প্রদায়ের সেবক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত ১৬ তম বার্ষিক সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালের পক্ষ থেকে উপহার প্রদান করেন রূপসা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বিকাশ মিত্র। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবুল কালাম গোলদার, বিএনপি নেতা মিন্টু শিকারি, মাসুম রেজা, মঞ্জু শিকারি, মাসুদ হাওলাদার, মামুন হালদার, মহব্বত শেখ, আসলাম গোলদার, শামিম মোল্যা জাবেদ শেখ, সবুজ শেখ, ইমরান শেখ, শাহাদাত শেখ, সোবহান শেখ, মারুফ শেখ, আরিফুল শেখ, বিকাশ পাল, দেবপ্রসাদ, জয় নোটন বাড়ই, রক্সি বাইন, দানিয়েল অধিকারী, হেবল রায়, হারান বালা, টমাস সরকার, জেমস অধিকারী, আশিষ বাড়ই প্রমূখ।
ইন্দুরকানীতে বিএনপির গণসমাবেশ
ইন্দুরকানী প্রতিনিধি
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে পত্তাশী ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে পত্তাশী জনকল্যান মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়র বিএনপির সভাপতি কবির হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রথান াতিথির বক্তব্য রাখেন পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শেখ রিয়াজউদ্দিন রানা, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফরিদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব আলমগীর কবির মান্নু, যুগ্ম আহবায়ক আহসানুল ছগির, ফারুক হোসাইন, মাস্তান হাফিজ, যুবদলের সভাপতি আতিকুর রহমান, সদস্য সচিব খায়রুল ইসলাম লাভলু, ছাত্রদলের আহবায়ক আলআমিন হোসেন, সদস্য সচিব সাদিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক হুমায়ুন কবির, সদস্য সচিব জুয়েল রানাসহ বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বক্তারা শহীদ জিয়াউর রহমানে ১৯ দফা এবং তারেক রহমান কর্তৃক রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে ৩১ দফা বাস্তবায়নে সবাইকে একযোগে কাজ এবং আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করার আহবান জানান।
মোরেলগঞ্জ পৌর বিএনপি সভাপতিপদে জাহাঙ্গীর আল আজাদের গণসংযোগ
মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর আসন্ন দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলকে সামনে রেখে মোরেলগঞ্জ পৌর বিএনপি সভাপতি পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর আল আজাদ গণসংযোগ চালিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিনি পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে লিফলেট বিতরণ ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।গণসংযোগে তার সঙ্গে ছিলেন ছাত্র ও যুব নেতা রুহুল, গিয়াস, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা লিটন তালুকদার, যুবদল নেতা বি এম রেজাউল করিম সোহাগ, নাহিদ আব্দুল হাদি, পলাশ, মিঠুসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আল আজাদ দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি বারৈখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি মোরেলগঞ্জ পৌর বিএনপির সদস্য সচিব এবং বাগেরহাট জেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জানান, রাজনৈতিক হয়রানি সত্ত্বেও তিনি দলের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এবং নির্বাচিত হলে দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নেতাকর্মীরা তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান।
আজ ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের খালিশপুর থানা শাখার থানা সম্মেলন
খবর বিজ্ঞপ্তি
ইনসাফভিত্তিক কল্যণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে ইসলাম-ই কার্যকর পন্থা এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ ১৪ই ফেব্রুয়ারী (শুক্রবার) ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর এর খালিশপুর থানা শাখার থানা সম্মেলন’২৫ অনুষ্ঠিত হবে।
খালিশপুর পিপলস গোল চত্বর সংলগ্ন আই এবি মিলনায়তনে দুপুর ২টায় থানা সম্মেলন’২৫ অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর এর সহ-সভাপতি হাফেজ আব্দুল লতিফ,প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর এর সভাপতি মুহা. মাহদী হাসান মুন্না ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খালিশপুর থানা শাখার সহ-সভাপতি গাজী মিজানুর রহমান,সেক্রেটারি আলহাজ্ব মুহা. বাদশা খান ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুহা. হাবিবুল্লাহ মিসবাহ ও আলিয়া মাদরাসা সম্পাদক মুহাম্মাদ শাহরিয়ার তাজ।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ খালিশপুর থানা শাখার সভাপতি মুহা. ওসমান নাদীম উক্ত সম্মেলনে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে ছাত্র-জনতা সহ সর্বস্তরের জনসাধারণ কে যথাসময়ে যথাস্থানে উপস্থিত হয়ে সম্মেলন সফল করার জন্য আহব্বান জানান।
সুন্দরবনের সাঈদ মেম্বার গ্রেপ্তার
কয়রা প্রতিনিধি
খুলনার কয়রায় অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে সুন্দরবনের নানান অপরাধের অভিযোগে আবু সাঈদ বিশ্বাস নামের এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। তিনি কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
বৃহস্পতিবার(১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টার সময় সুতির বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কয়রা কনটিজেন্টের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, বনদস্যুদের অস্ত্র সরবরাহ, বনদস্যুদের খাবার সরবরাহ এবং সুন্দরবনে বীষ দিয়ে মাছ শিকারের সিন্ডিকেট পরিচালনা সহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বয়রা বাজার সংলগ্ন সড়ক ও ফুটপথ থেকে অবৈধ দখলদারদের অপসারণ
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর বয়রা বাজার সংলগ্ন সড়ক ও ফুটপথ থেকে অবৈধ দখলদারদের অপসারণ করা হয়েছে। কেসিসি’র এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণার নেতৃত্বে এ অপসারণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
অবৈধ দখল অপসারণকালে নগরীর বয়রা বাজারে ফুটপথ দখল করে ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে হোটেল ব্যবসায়ী মো: মনির কাজী-কে ৩ হাজার টাকা, হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী মো: মুজিবরকে ২ হাজার টাকা এবং ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন না করার অপরাধে পাবনা মিষ্টি ঘরের স্বত্ত্বাধিকারী দ্বীন ইসলাম-কে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করে তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়। এছাড়া ফুটপথ দখল করে ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে জলিল সরণি’র হোটেল স্বাদ-এর স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুর রাজ্জাক-কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়।
কেসিসি’র এস্টেট অফিসার গাজী সালাউদ্দিনসহ কেএমপি’র পুলিশ সদস্যগণ অপসারণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। জনস্বার্থে এ অপসারণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
কয়রায় শ্রেণিকক্ষে অজ্ঞাত রোগে ১৪ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
কয়রা প্রতিনিধি
খুলনার কয়রায় শ্রেণি কক্ষে পাঠদান চলাকালে ১৪ ছাত্রী অজ্ঞাত রোগে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার(১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ঘুগরাকাটি ফাজিল( ডিগ্রী)মাদ্রাসায় আচমকা এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা হলো,রিফা তসনিম, সুমাইয়া সিদ্দিকা, মীম, আখি, জুঁই, মিথিলা, কুলসুম, হামিদা, কেয়া, মীম সুলতানা, তন্নী, অরিসা, হুমাইরা, উর্মী। তারা সকলেই দশম শ্রেণির ছাত্রী।সরেজমিন বেলা ২টার দিকে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেয়ে দেখা যায়, মীম নামের এক ছাত্রীকে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে। এছাড়া কয়েকজনকে স্যালাইন দেয়া হচ্ছে। সুস্থ অনুভব হওয়ায় কয়েকজন শয্যার উপরে বসে রয়েছে। হাসপাতালে ছাত্রীদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের ভীড় রয়েছে। তারা ছাত্রীদের যত্ন নিচ্ছেন।
অসুস্থ ছাত্রীরা জানান, তাদের বুক ধড়পড় করে ও দমবন্ধ হয়ে যেতে থাকে।কয়েকজনের বমি হয়। নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। চারজন অচেতন হয়ে পড়ে।
প্রথমে অসুস্থ হয়ে পড়া দশম শ্রেণির ছাত্রী রিফা তাসনিম জিবা বলেন, সকালে মাদ্রাসায় আসার পর থেকে বুক ব্যথা করে ও শ্বাসকষ্ট হতে থাকে। একপর্যায়ে নাক দিয়ে রক্ত বের হয় ও অচেতন হয়ে পড়ি। এরপরে আর কিছু বলতে পারি না। এখন অনেকটা ভালো লাগছে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা সুজা উদ্দীন বলেন, মাদ্রাসায় পাঠদান চলাকালে রিফা নামের একজন ছাত্রীর শ্বাসকষ্ট শুরু। সে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে আরও তিনজনের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাৎক্ষণিক আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পরে আরও কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। সকলেই হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। কয়েকজন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে।
কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রেজাউল করিম বলেন, সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক এ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে অসুস্থ চারজন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। পরে আরও ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের তেমন কোন সমস্যা হয়নি। তারা গণ মনোরোগজনিত রোগে আক্রান্ত। একজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় আতংকে আরও কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা শারিরীকভাবে অনেকটা দুর্বল। এছাড়া অধিকাংশ শিক্ষার্থী সকালে না খেয়ে মাদ্রাসায় যায় বলে তথ্য পেয়েছি।
দুদকের মামলায় এসআই আলী আকবরের ৩ বছরের কারাদণ্ড
স্টাফ রিপোর্টার
এক কোটি ৩৬ লাখ টাকার আয় বর্হিভুত সম্পদ গোপন রাখার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এসআই মো. আলী আকবর শেখকে ৩ বছরের কারাদণ্ড, ৩ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) খুলনার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত এসআই আলী আকবর শেখ নগরীর ১৮/২ পশ্চিম টুটপাড়ার আঞ্জুমান মঞ্জিলের বাসিন্দা এবং বাগেরহাট জেলার মোরলগঞ্জ থানার ভাটখালী গ্রামের মো.হাবিবুর রহমান খানের ছেলে। রায় ঘোষণাকালে অভিযুক্ত এসআই মো. আলী আকবর আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১১ সালে এসআই আকবর দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১০ লাখ ৪১ হাজার ৮৩৬ টাকার সম্পদ থাকার ঘোষণা দেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ১ কোটি ৮২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৭ টাকার সম্পদ থাকার তথ্যাদি প্রমাণ পাওয়া যায়। এর মধ্যে হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন থেকে ১৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং অফিস থেকে গৃহ নির্মাণ বাবদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণের তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি তার বিবরণীতে ১ কোটি ৫১ লাখ ৬২ হাজার ২৫১ টাকার সম্পদ থাকার তথ্য গোপন করেছেন। যা তার জ্ঞাত আয়ের সাথে অসমঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে দখলে রাখার অপরাধ করেছেন। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাহাতাব উদ্দিন বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ২২ মার্চ খুলনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার নং- ২৫। ২০১৭ সালের ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক নাজমুল হুসাইন এসআই মো. আকবর আলী শেখকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন সময়ে ৯জনের মধ্যে ৮জন আদালতে স্বাক্ষ্য প্রদান করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন এডভোকেট খন্দকার মজিবর রহমান ও এডভোকেট সেলিম আল আজাদ।
কেরুজ ক্লাবের পাশে বোমা সাদৃশ্য, ঘিরে রেখেছে প্রশাসন
দামুড়হুদা প্রতিনিধি
দর্শনার কেরু এ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড (চিনিকল) প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারী ক্লাবের পাশে বোমা সাদৃশ্য লাল টেপ মড়ানো একটি বস্তুকে পড়ে থাকতে দেখে সারাদিন কৌতুহল ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি টিম এসে এলাকাটি সিল করে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটকে দেয়।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কেরুজ জেনারেল অফিস সংলগ্ন ক্লাবের পাশের রাস্তার পাশে লাল টেপ মড়ানো একটি (কৌটা) বস্তু দেখতে পান ক কোম্পানির কর্মরত কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মী। বোমা হতে পারে এই সন্দেহজনক হওয়ায় দ্রুত তারা প্রথমে কেরুজ প্রশাসন পরে দর্শনা থানা পুলিশ ও আর্মি ক্যাম্পে খবর দেন। খবর পেয়ে জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা-জীবননগর সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর ও হুমায়ূন আহমেদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থলে সিল করে দেয় ও এলাকাটির আশপাশে কাউকেই আসতে নিষেধ করে।
ওসি মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর বলেন,রাজশাহী র্যাব-৫ এর বোম্ব ডিসপোজাল টিমকে জানানো হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে আসলে জানা যাবে এটি বোমা নাকি অন্য কিছু।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা (বিপিএম-সেবা) এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বস্তুটি কি জিনিস এটা এখনি বলা সম্ভব নয়। বোম্ব ডিসপোজাল টিমকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরিচালক রাব্বিক হাসান বলেন ক্লাবের পাশে বোমা সাদৃশ্য একটি বস্তু পাওয়া গেছে বোমা কিনা এটা এখনো নিশ্চিত নয় বোম্ব ডিসপোজাল টিম আসলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত বোমা নিস্ক্রিয় টিম ঘটনাস্থলে পৌছাতে পারেনি।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র ও তার স্ত্রীর ৫ ব্যাংকের হিসাব ফ্রিজ
স্টাফ রিপোর্টার
হাসিনা সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের নিজ নামে ও তার স্ত্রী ঊষা রাণী চন্দের ৫টি ব্যাংকের একাউন্টে থাকা দেড় কোটি টাকা ফ্রিজ করার নির্দেশ দিয়েছে খুলনার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ এর আদালতের বিচারক। দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক মোঃ শরীফ হোসেন হায়দার গত মঙ্গলবার এই আদেশ দিয়েছেন। নারায়ণ চন্দ্র চন্দের নিজ নামে ও তার স্ত্রী ঊষা রাণী চন্দের হিসাব ফ্রিজ করার আদেশ কার্যকর থাকা অবস্থায় হিসাব সমূহে অর্থ জমা করা যাবে কিন্তু কোন অবস্থাতেই উত্তোলন করা যাবে না।
আদালত ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ করে নিয়োগ বাণিজ্য, জমি দখলসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ নিজ ও স্ত্রী ঊষা রানী চন্দের নামে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব, এফডিআর ও ব্যাংকে রক্ষিত সঞ্চয়পত্র ফ্রিজ করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক অভিযোগ অনুসন্ধান টিমের দলনেতা মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ আদালতে আবেদন করেন।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে দুদক সাবেক মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর নিজ নামে সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ডাচ বাংলা ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের অধীনে থাকা সঞ্চয়পত্র একাউন্ট এবং মন্ত্রীর মালিকানাধীন কেপি ব্রিক ফিল্ড ও কনক্রীট ব্রিক্সস এন্ড ব্রিকস ফ্যাক্টরি হিসাবে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৬৩ হাজার ৮৩৫ টাকার হিসাব পেয়েছে।
নগরীতে অপারেশন ডেভিলহান্টে গ্রেপ্তার ১২
স্টাফ রিপোর্টার
খুলনায় অপারেশন ডেভিল হান্টে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে একদিনে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, খানজাহান আলী মাত্তমডাঙ্গা এলাকার জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৩৪), সোনাডাঙ্গা আবাসিক প্রথম ফেইজের নাছির হাওলাদার (৫৩), নগরীর বয়রা বকুলতলা এলাকার মাসুম রহমান শেখ, নগরীর শের ই বাংলা রোডের মুস্তাকিম বিল্লাহ লনি (৩৮), একই রোডের মো. নাসির শেখ (৫০), নগরীর লবণচরার জিন্নাপাড়া মেইন রোডের রাকিবুল ইসলাম অনিক (১৯), সোনাডাঙ্গা আন্দিরঘাট এলাকার মো. আব্দুল্লাহ শেখ (১৯), সোনাডাঙ্গা ভাঙ্গাপোল এলাকার মো. হৃদয় খাঁন (১৯), নগরীর লবণচরা চরা হাসনাবাদ এলাকার মো. হেমায়েত ফরাজী (৫২), নগরীর খালিশপুর নিউজ প্রিন্ট গেট মো. শহিদুল ইসলাম শাহীন (৩৫) এবং সোনাডাঙ্গা প্রথম আবাসিক এলাকার মো. সরোয়ার হোসেন (৪৭)।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড সিপি) আহসান হাবিব জানান, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ অপরাধ দমন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্নভাবে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশব্যাপী শুরু হয়েছে অপারেশন ডেভিল হান্ট। খুলনা মহানগরীর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িত কুখ্যাত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য সাঁড়াশি অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ঘন কুয়াশায় তিন ট্রাকের সংঘর্ষ, আহত ৫
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
ঘন কুয়াশায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের বটতৈল আনসার ক্যাম্পের সামনে তিনটি ট্রাক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। চৌড়হাস হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আল-মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘‘সকালে ঘন কুয়াশায় মহাসড়কের পাশে একটি ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় ঝিনাইদহ থেকে ছেড়ে আসা কুষ্টিয়াগামী একটি ট্রাক পেছন থেকে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা দেয়। একই সময় পেছনে থাকা আরো একটি ট্রাক দুই ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এতে ৫ জন আহত হয়েছেন।’’
বিজিবি-বিএসএফের মহানুভবতায় জিরো পয়েন্টে মা-মেয়ের শেষবিদায়
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সীমান্তের এপারে মায়ের মরদেহ, ওপারে মেয়ের বুকফাটা আর্তনাদ। অবশেষে বিজিবি-বিএসএফের মহানুভবতায় সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বাংলাদেশি মাকে শেষবিদায় জানালেন এক ভারতীয় মেয়ে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশনের সামনে জিরো পয়েন্টে এই ঘটনা ঘটে। মৃত ওই মায়ের নাম আছিয়া খাতুন। তিনি দেবহাটা উপজেলা সদরের শেখ মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী। আর মেয়ে ফরিদা খাতুন ভারতীয় নাগরিক আনছার মোল্লার স্ত্রী।
জানা যায়, সাতক্ষীরার দেবহাটা সদরে বার্ধক্যজনিত কারণে আছিয়া খাতুন বুধবার সকালে মারা যান। মেয়েকে জানানো হলে মেয়ে শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এসময় ভোমরা ইমিগ্রেশনের সামনে জিরো পয়েন্টে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) উপস্থিতিতে মায়ের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসা হয়। ওদিকে ভারতীয় নাগরিক মেয়েকে নিয়ে আসেন বিএসএফ সদস্যরা। এসময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সেখানে মৃত মাকে জড়িয়ে ধরে মেয়ের কান্নার দৃশ্য উপস্থিত সবার চোখ ভিজিয়ে দেয়।
বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ এ মহানুভবতার ঘটনায় উভয় দেশের নাগরিকদের মধ্যে বন্ধুত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিজিবি-বিএসএফের মহানুভবতায় জিরো পয়েন্টে মা-মেয়ের শেষ বিদায়
সাতক্ষীরা-৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশরাফুল হক জানান, ভারতের কল্যানীর ১০২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভোমরা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মো. আফজাল হোসেন খান ও ভারতের ঘোজাডাঙ্গা কোম্পানি কমান্ডার এসি নবিন কুমারের উপস্থিতিতে বাংলাদেশি মৃত মায়ের মুখ মেয়েকে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশনের সামনে বিজিবির উপস্থিতিতে মৃত মায়ের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে আসা হয়। ওদিকে ভারতীয় নাগরিক মেয়েকে নিয়ে আসেন বিএসএফ সদস্যরা। সেখানে অ্যাম্বুলেন্সে বসেই মৃত মায়ের মুখ শেষবারের মতো দেখেন ভারতীয় নাগরিক মেয়ে। এসময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
মাত্র ১৫ মিনিট হলেও নাড়ির বন্ধন প্রতিষ্ঠিত করতে বিজিবি ও বিএসএফের এ মহানুভবতা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকলো বলে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মৃতের স্বামী শেখ মোহাম্মদ আলী ও মেয়ে ভারতীয় নাগরিক ফরিদা খাতুন।
ইউএনও প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মোংলায়
মোংলা প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিয়া শারমিনের প্রত্যাহার দাবি করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির সদস্যরা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদের সামনে পালিত হয় এই কর্মসূচি। এ সময় তারা ইউএনওকে ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাঁকে প্রত্যাহার করা না হলে ঘেরাওসহ অন্যান্য কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন নেতারা। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল করে।
আন্দোলনকারী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বুধবার সকালে ইউএনও’র কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার চারটি ইউপির চেয়ারম্যান। তারা সবাই আওয়ামী লীগের নেতা। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিএনপি নেতাকর্মী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীরা। বুধবার সন্ধ্যায়ই বিক্ষোভ মিছিল করেন মোংলা পৌর বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। তারা ইউএনওর অপসারণে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন।
এ বিষয়ে মোংলার ইউএনও আফিয়া শারমিন বলেন, বুধবার সকালে তাঁর কার্যালয়ে সামাজিক বনায়নবিষয়ক সভা হয়। এতে চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা তরিকুল ইসলাম, চিলা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন, বুড়িডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান উদয় শংকর বিশ্বাস ও মিঠাখালী ইউপি চেয়ারম্যান উৎপল মন্ডল ছাড়াও উপজেলা বিএনপির নেতা আব্দুল মান্নানও অংশ নেন। এখন তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে। আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
শিক্ষা সফরফেরত ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ
যশোর অফিস
যশোরের কেশবপুরে শিক্ষা সফরফেরত ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। ওই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে তালা দেয় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর বাবা বুধবার মেয়ের শ্লীলতাহানির বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দেন।
এতে বলা হয়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা সফরে নাটোর যায় শিক্ষার্থীরা। রাতে সেখান থেকে ফেরার পর বিদ্যালয়ের হিন্দু ধর্মীয় শিক্ষক বিশ্বনাথ আইচ (৪৫) সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে বাড়ি পৌঁছে দিতে যান। পথে মেয়েটির শ্লীলতাহানি ঘটান তিনি। ভুক্তভোগী বিষয়টি কয়েকদিন পর তাঁর অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে শিক্ষক বিশ্বনাথ আইচের মোবাইল ফোন নম্বরে কল দিয়েও সংযোগ পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর বলেন, বুধবার ছাত্রীর অভিভাবকের অভিযোগ পেয়েই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করেন। তাদের নির্দেশনায় ওই শিক্ষককে সেদিনই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এলাকাবাসী তাঁর স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ কারণে পাঠদান বন্ধ হয়ে যায়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে শ্রেণিকক্ষের তালা খুলে ফেলা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এএসএম জিল্লুর রশীদ বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষক বিশ্বনাথ আইচকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
রি-প্যাকিংয়ের নামে সার-কীটনাশকে ভেজাল
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনকারী প্রসিদ্ধ এলাকার মধ্যে অন্যতম ঝিনাইদহের শৈলকুপা ও মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা। এ দুই উপজেলার পেঁয়াজ চাষিদের লক্ষ্য করে জাল বিস্তার করেছেন মানহীন ও ভেজাল সার-কীটনাশক ব্যবসায়ীরা। গোপনে সার ও কীটনাশকের রি-প্যাকিং কারখানা গড়ে তুলে স্থানীয় সার ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে কৃষককে ভেজাল পণ্য গছিয়ে দিচ্ছেন তারা। এসব সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে আর্থিকভাবে প্রতারিত হওয়ার সঙ্গে ফসলহানি ও জমির উর্বরতা বিনষ্টের ঝুঁকিতে পড়ছেন চাষি।
জানা গেছে, কয়েক মৌসুম ধরেই শৈলকুপা ও শ্রীপুরের পেঁয়াজ চাষিদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন এক শ্রেণির সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা গড়ে তুলেছেন ফসলের বালাইনাশক, ভিটামিনসহ সার কীটনাশকের রি-প্যাকিং কারখানা। পুলিশি ঝামেলা এড়াতে দুই জেলার সীমান্তবর্তী লাঙ্গলবাঁধ এলাকায় এসব রি-প্যাকিং কারখানা গড়ে তোলা হয়। বেশি লাভের আশায় এসব কারখানার মানহীন কীটনাশক চাষির হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন স্থানীয় কিছু সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী। ফলে সহজেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন দুই উপজেলার বিপুল সংখ্যক পেঁয়াজ চাষি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে শুধু শৈলকুপায় এবার ১৩ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে; যা গত মৌসুম থেকে ৫ হাজার হেক্টর বেশি।
শৈলকুপার আউশিয়া গ্রামের চাষী মিল্টন বিশ্বাস বলেন, পেঁয়াজের ফলন বাড়াতে চাষিরা বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন। পেঁয়াজ মৌসুমে চাষিদের বাকিতে পণ্য দেওয়ার সুযোগে বিভিন্ন ধরনের নিম্নমানের সার ও কীটনাশক সরবরাহ করা হয়; যা মাঠে প্রয়োগ করে কোনো কাজ হয় না। তিনিও এ ধরনের প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
একই গ্রামের পেঁয়াজ চাষি মনিরুল ইসলাম বলেন, তিনি গত বছর পেঁয়াজ ক্ষেতে আগাছা দমনের জন্য কীটনাশক ছিটিয়ে ছিলেন। সেবার আগাছাসহ পেঁয়াজ ধ্বংস হয়। এবার সেই ক্ষেতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ করলেও গত বছর প্রয়োগ করা কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় তা নষ্ট হয়। পরে ক্ষেতের উপরিভাগের মাটি কেটে তুলে তিনি নতুন করে আবাদ করেছেন।
শৈলকুপার বিসিআইসি ডিলার আলম ট্রেডার্সের মালিক নোমান পারভেজ বলেন, চাষিরা মাঝে মধ্যেই পেঁয়াজ ক্ষেতে প্রয়োগ করা বিভিন্ন সার ও কীটনাশক নিয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ করেন। এক শ্রেণির অসাধু সার-কীটনাশক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে চাষীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন।
শৈলকুপা ও শ্রীপুর সীমান্ত এলাকায় গড়ে ওঠা রি-প্যাকিং কীটনাশক জেপিআর এগ্রো কেয়ার ও মজিদ এগ্রো সায়েন্সের মালিক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, দস্তা, ম্যাগনেসিয়াম সালফার, জিপসাম, বোরন সারসহ বিভিন্ন কীটনাশক তিনি রি-প্যাকিং করে বাজারে সরবরাহ করে থাকেন। এসব সার ও কীটনাশক উৎপাদনে তাঁর খামারবাড়ির লাইসেন্স রয়েছে। তবে কোনো কেমিস্ট ছাড়াই রি-প্যাকিং করা এবং সার ও কীটনাশক রি-প্যাকিং করার বৈধতা আছে কিনা জানতে চাইলে বিষয়গুলো এড়িয়ে যান তিনি।
শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান বলেন, তিনি রি-প্যাকিং করা মানহীন ও ভেজাল সার এবং কীটনাশক নিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছেন। সার ও কীটনাশকের রি-প্যাকিংয়ের বৈধতা আছে কিনা খতিয়ে দেখে গোপনে গড়ে ওঠা এসব কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সার ও কীটনাশক রি-প্যাকিং নিয়ে ঢাকার খামারবাড়ির উপপরিচালক (সার ব্যবস্থাপনা) আমিনুল ইসলাম বলেন, কেউ যদি কোনো বৈধ আমদানিকারকের পরিবেশক হয়ে থাকেন, তাহলে শুধু সেই কোম্পানির পরিবেশক হিসেবে তিনি সার-কীটনাশক রি-প্যাকিং করতে পারেন। তবে রি-প্যাকিংয়ের আগে কোন ধরনের প্যাকেটে পণ্যটি প্যাকেটজাত হবে– এ বিষয়ে খামারবাড়ির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
‘তোর দুই নাতির মাথার দাম তিন লাখ টাকা, পুলিশ জানলে চলবে গুলি’
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে উড়ো চিঠিতে রেজাউল ইসলাম (৫৭) নামের এক গামছা বিক্রির হকারের কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার মধ্যে টাকা না দিলে বা পুলিশকে জানালে হকারসহ তার দুই নাতিকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ নিয়ে গেল দুই মাসে ভুক্তভোগী পরিবারটিকে উড়ো চিঠিতে তিনবার চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী রেজাউল উপজেলার সদকী ইউনিয়নের বাটিকামারা এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে। তিনি ফুটপাতে গামছা বিক্রি করে সংসার চালান। এ ঘটনায় রেজাউল আজ দুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে রেজাউল উল্লেখ করেন, ‘আমি একজন ফুটপাতে গামছা বিক্রি করি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে অজ্ঞাত কে বা কারা আমার বাড়ির জানালা ভেঙে দেয়। জানালা ভাঙার শব্দে ঘুম ভেঙে বাইরে এসে দেখি যে, অজ্ঞাত ব্যক্তির হাতে লেখা একটি চিঠি। চিঠিতে আমার কাছে তিন লাখ দাবি করা হয়েছে। রাত ১২টার মধ্যে টাকা না দিলে দুই নাতিকে হত্যা করা হবে। বিষয়টি পুলিশ অথবা কাউকে জানালে আমাকেও গুলি হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, কুষ্টিয়া- রাজবাড়ি সড়ক থেকে ২০০ মিটার নিচে হকার রেজাউলের চার কক্ষ বিশিষ্ট টিনসেডের আধপাকা ঘর। সেখানে স্ত্রী, ছেলে, ছেলের স্ত্রী, মেয়ে, ২ নাতিসহ সাতজনের বসবাস। ঘরের একটি কাঁচের জানালা ভাঙা।
এ সময় রেজাউলের মেয়ে রিমা খাতুন বলেন, ‘কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই। তবুও কে বা কারা চিঠি দিয়ে চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে। গত রাতসহ গেল দুই মাসে তিনবার এ ঘটনা ঘটেছে। এতে আমরা আতঙ্কিত।’
বুধবার রাতে দুর্বৃত্তদের ফেলে যাওয়া চিঠিটি সমকালের হাতে এসেছে। চিঠিতে লেখা রয়েছে, ‘ভয় নাই, আজ মারবে নানে। চলে গেলাম। তোর দুই নাতি ছেলের মাথার দাম ধরা হয়েছে তিন লাখ টাকা। আগামীকাল রাত ১২টার মধ্যে তিন লাখ টাকা নিয়ে চলে আসবি। আর এটা আমার এলাকা। তাই পুলিশ বা অন্য কোনো ঝামেলা না করলে তোর ভালো হবে। আর যদি কিছু করিস তাহলে, রেজাউল তুই বাড়ির বাইরে আসলে আগে তোকে পাখির মতো গুলি করে মারবে, মনে রাখিস। আজ গুলি করলে মারতে পারতাম। কিন্তু মারিনি, একটা সুযোগ দিলাম। মনে রাখিস আগামীকাল রাত ১২টার মধ্যে টাকা নিয়ে চলে আসবি।’
ভুক্তভোগী রেজাউল বলেন, ‘কারা, কেন এমন করছে জানি না। পরিবার নিয়ে খুব ভয়ে আছি। বিচার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। এর আগে ২০২৪ সালের ২ ডিসেম্বর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম ‘
উড়ো চিঠিতে চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকির বিষয়ে লিখিত অভিযোগের কথা স্বীকার করেছেন কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ। তিনি বলেন, ঘটনাটি গভীরভাবে তদন্ত চলছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে জিম্মি, মুক্তিপণ আদায়
শ্যামনগর প্রতিনিধি
শ্যামনগরে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অবিনাশ মুণ্ডাকে জিম্মি করে ৪৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করেছে এক ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা। বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদর থেকে কৌশলে তাঁকে গৌরিপুর এলাকায় নিয়ে আটকে রাখা হয়। এক পর্যায়ে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। বিকাশ ও নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মুক্তিপণের টাকা পেয়ে রাত ৮টার দিকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা অবিনাশকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।
নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের খুলনা ক্যাম্পাসের ছাত্র অবিনাশ উপজেলার কালিঞ্চি গ্রামের গোবিন্দু মুণ্ডার ছেলে। এ ঘটনায় ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আজিজুর রহমানের নামে শ্যামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের মামুন নিজেকে সাতক্ষীরা পলিটেকনিক কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বলে পরিচয় দেন।
অবিনাশের ভাই দীনবন্ধু মুণ্ডা জানান, বুধবার সকালে অবিনাশ শ্যামনগরে যান। পূর্ব পরিচিত আজিজুর রহমানের সঙ্গে বিআরটিসি বাস কাউন্টারে বসে কথা বলার সময় আব্দুল্লাহ আল মামুন সেখানে যান। অবিনাশকে গৌরিপুর এলাকায় নিয়ে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। মোবাইল ফোনে তাঁর চিৎকার শুনিয়ে দুই দফায় ৪৩ হাজার টাকা আদায় করা হয়। এ ছাড়া অবিনাশের মোবাইল ফোন এবং তাঁর কাছে থাকা আরও ২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে রাত ৮টার পরে তাঁকে হাসপাতালের সামনে ফেলে যায়। এ ঘটনায় দু’জনের বিরুদ্ধে তিনি শ্যামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে স্থানীয় বিএনপির এক নেতা টাকা ও মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাই আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অবিনাশ জানান, পলিটেকনিক কলেজে পড়ার সময় আজিজুরের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল। মামুনের ডাকে সাড়া দিয়ে শ্যামনগর যাওয়ার পর বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে তাঁকে গৌরিপুর গুচ্ছগ্রামে নিয়ে আটকে রাখা হয়। পরে মারধর করে টাকা ও ফোন ছিনিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে আজিজুর রহমান জানান, তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। কে জড়িত– জানতে চাইলে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। প্রধান অভিযুক্ত মামুন বলেন, ‘আমি সাতক্ষীরা চলে এসেছি। বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে’। তাঁর পক্ষে স্থানীয় বিএনপি নেতারা দু’পক্ষের মধ্যে মীমাংসা করে দিয়েছেন বলে তাঁর দাবি। টাকা ও মোবাইল ফেরত দেওয়া হয়েছে কিনা– জানতে চাইলে তিনি বলেন, থানা পুলিশের কাছে জেনে নিন। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক অভিক বলেন, বাদী ও বিবাদী দু’পক্ষ থানার বাইরে বিষয়টি মীমাংসা করে নেবেন বলে জানিয়েছেন।
জেলা বিএনপি খুলনাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা জেলা বিএনপি’র আয়োজনে নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে গত বুধবার বিকালে অনুষ্ঠিত বিশাল জনসভা সর্বাত্মক সফল করায় সর্বস্তরের নেতাকর্মী-সমার্থক তথা খুলনাবাসীর প্রতি অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নেতৃবৃন্দ। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জেলা বিএনপি’র আহবায়ক মো. মনিরুজ্জামান মন্টু ও সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম প্রেরিত খবর বিজ্ঞপ্তিতে স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমের অকুষ্ঠ সমার্থন দেয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন জনদাবিতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত এ জনসভায় সর্বস্তরের জনগনের বিশাল উপস্থিতি খুলনা জেলা বিএনপিকে উজ্জীবিত করেছে। গণমাধ্যমগুলোতে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে এসব জনদাবিসমূহ প্রচার/প্রকাশিত করায় খুলনা তথা দেশের মানুষের কাছে রাষ্ট্র সংস্কারে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১দফা আরও স্পষ্টত্ব হচ্ছে। জেলা বিএনপি’র আহবানে সাড়া দিয়ে জনসভায় স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহন করায় খুলনা মহানগর, সকল থানা/উপজেলা/ পৌরসভা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী-সমার্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। একই সাথে জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের দিক-নির্দেশনামুলক বক্তৃতায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হওয়ায় তারেক রহমানের বার্তা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছাবে বলে নেতৃবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। জনসভা সফলে সার্বিক তত্বাবধায়নের জন্য বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ¦ রকিবুল ইসলাম বকুল ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক এ্যাড. শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব মো. শফিকুল আলম তুহিন, দায়িত্ব পালনকারী উপকমিটির নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ।।
ইসলামী আন্দোলন
সোনাডাঙ্গা থানার সভাপতি বাবুল, সেক্রেটারি ইমরান
খবর বিজ্ঞপ্তি
বৃহস্পতিবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও মজলিসে শূরার অধিবেশন বিকাল ৪ টায় আএবি কার্যালয়ে থানা সভাপতি মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোঃ কবির হোসেন হাওলাদার এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব মুফতী আমানুল্লাহ, বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর সহ-সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, সেক্রেটারি মুফতী ইমরান হোসাইন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা দ্বীন ইসলাম, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ইমরান হোসেন মিয়া, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপদেষ্টা আবু মোহাম্মদ বেলাল, আবু মোহাম্মদ গালিব, আবু হানিফ ভাণ্ডারী, যুব আন্দোলন সভাপতি আব্দুর রশিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মাহাদি হাসান মুন্না।
সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন থানার সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শেখ মারুফ রহমান, মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বাবুল, প্রচার সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম লিটন, এইচ এম আরিফুর রহমান, মাওলানা সোহরাব হোসেন, মোঃ শাকির হোসেন, হাফেজ শামীম হোসেন, মোহাম্মদ মনির শেখ, মোহাম্মদ শাহিন, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ ফিরোজ লস্কর, আব্দুস সোবাহান, মোঃ সাব্বির হোসেন, মোহাম্মদ আমিনুর ইসলাম প্রমুখ।
সম্মেলন শেষে প্রধান অতিথি ২০২৫-২৬ সেশনের জন্য সভাপতি হিসেবে মোঃ নুরুজ্জামান বাবুল ও সেক্রেটারি হিসাবে মুহা. ইমরান হোসেন মিয়ার নাম ঘোষণা করেন এবং শপথ বাক্য পাঠ করান।
পাশের একটি দেশ ফ্যাসিবাদের সেইফ হোমে পরিণত হয়েছে: বকুল
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা-৩ আসনের ধানের শীষের কান্ডারী, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, পাশের একটি দেশ ফ্যাসিবাদের সেইফ হোমে পরিণত হয়েছে। দিল্লির ফ্যাসিবাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পাবলা সবুজ সংঘ মাঠে সবুজ সাথী প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ৩৪তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপস্থিত অভিভাবক ও সুধীজনের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদীরা বসে নেই। তারা নানাভাবে নানা কায়দায় তাদের চক্রান্ত এবং ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এই ষড়যন্ত্রকে আমাদের সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করতে হবে। সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ আজ ভঙ্গুর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হলে রাষ্ট্রের সংস্কার অপরিহায। কিন্তু অর্নিবাচিত সরকারের দ্বারা পুরোপুরি সংস্কার করা সম্ভব নয়। রাষ্ট্র সংস্কার করতে হলে নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষনার জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি আহবান জানান।
বকুল আরো বলেন, বিগত পতিত সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। খাদের কিনারা থেকে শিক্ষা ব্যবস্থা তুলে আনতে নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন। পরে তিনি বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোঃ শাহীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, এড. মাসুদ হোসেন রনি, শেখ ইমাম হোসেন, মতলুবুর রহমান মিতুল, বিমলেন্দু দাশ প্রমুখ। সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন আকুঞ্জী জাকির হোসেন প্রমুখ।