স্পোর্টস ডেস্ক।।
ওয়ানডে অভিষেকে ১৫০ রানের ইনিংস খেলে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন ম্যাথিউ ব্রিটজকে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকান এই ওপেনারের মাইলফলক ম্লান করে দিলেন কেন উইলিয়ামসন। তার ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ভর করেই প্রোটিয়াদের ৬ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
আজ সোমবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় সিরিজে মুখোমুখি হয় দুদল। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা দ. আফ্রিকা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০৪ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ও ৮ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কিউইরা।
এ জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালেও উঠল নিউজিল্যান্ড। ২ ম্যাচের দুটোই জিতে মোট ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে মিচেল স্যান্টনারের দল। একটি করে ম্যাচ খেলা দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তান এখনো পয়েন্ট পায়নি। জয়ের মুখ না দেখলেও রান রেটে এগিয়ে দুইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিনে পাকিস্তান।
পাশাপাশি ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জয় এটি। ২০১৫ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে অকল্যান্ডে ২৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জয় ছিল আগের সর্বোচ্চ।
৩০৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৫০ রান তোলেন দুই ওপেনার উইল ইয়ং ও ডেভন কনওয়ে। ইথান বশ্চের বলে ১৯ রানে ফেরেন ইয়ং। তবে উইলিয়ামসনকে নিয়ে ফের জুটি গড়েন কনওয়ে। কিন্তু নার্ভাস নাইন্টির শিকার হন এই বাঁহাতি। তিনি ১০৭ বলে ৯টি চার ও একটি ছক্কায় ৯৭ রান করেন।
অবশ্য দমে যাননি উইলিয়ামসন। সাবেক এই অধিনায়ক মাত্র ৭২ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরির দেখা পান। এই ব্যাটার পরে ১১৩ বলে ১৩৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন। এছাড়া গ্লেন ফিলিপস ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে সেনুরান মুথুসামি ২টি উইকেট পান।
টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অভিষিক্ত ব্রিটজকের একার ব্যাটেই লড়াই করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ওপেনার ১৪৮ বলে ১১টি চার ও ৫ ছক্কায় ১৫০ রান করেন। ওয়ানডে অভিষেকে এটিই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
তিনি ছাড়িয়ে গেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক তারকা ডেসমন্স হেইনসকে। ১৯৭৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেকে ১৪৮ রান করেছিলেন হেইনস।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এর আগে অভিষেক ওয়ানডে ইনিংসে সর্বোচ্চ রান ছিল কলিন ইনগ্রামের। ২০১০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২৪ রান করেছিলেন ইনগ্রাম।
দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৪ রান এসেছে উইয়ান মুল্ডারের ব্যাটে। এছাড়া ৪১ রান করে অবদান রেখেছেন জেমি স্মিথও।
ইনিংস শেষে স্ট্রাইকরেট এক শ’র ওপর থাকলেও শুরুটা বেশ ধীরগতিতেই করেছিলেন ব্রিটজকে। হাফ সেঞ্চুরি করতে ৬৮ বল ব্যয় করা এই ওপেনার সেঞ্চুরি পেয়েছেন ১২৮ বলে। তার মানে, শেষ ৫০ রান করতে ব্রিটজকে ব্যয় করেছেন মাত্র ২০ বল। এই সময়ে মাত্র ৬টি চার ও ২ ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষ ৫০ রান করার পথে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন এই ওপেনার।
কিউই বোলারদের মধ্যে ২টি করে উইকেট লাভ করেন ম্যাট হেনরি ও উইল ও‘রর্কে।