খবর বিজ্ঞপ্তি
বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণকে কোনঠাসা করে রেখে ছিল। জনগণ আওয়ামী লীগের দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা, জুলুম-নির্যাতনের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। সেই স্বাধীনতার স্বাদ জনগনকে দিতে চাইলে অবিলম্বে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিন। জনগন ভোট দিয়ে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করুক। জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেই গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরবে বাংলাদেশ। সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রেখে দেশকে নতুনভাবে গড়ার এখনই সঠিক সময়। মনে রাখতে হবে- সকল সম্প্রদায়ের মিলিত শক্তি দেশ গড়ার হাতিয়ার। বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে শেখ হাসিনা ভারতে বসে নানান ফন্দি আটকছে। সে কারণে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের উচিত যতো দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিয়ে জাতীয় সংসদ কার্যকর করা। নির্বাচিত সরকারই জুলাই গণহত্যার বিচার নিশ্চিত, দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র নস্যাৎ ও দেশের সমস্যা-সংকট নিরসনে সক্ষম হবে।
সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) খুলনার রূপসা উপজেলার টিএসবি ইউনিয়ন বিএনপি’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সম্প্রীতির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১দফার আলোকে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে সম্প্রীতি সমাবেশের আয়োজন। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. আনোয়ার হোসেন খান।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আরও বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে হিন্দু-মুসলিমসহ সকল ধর্মের মানুষ যুগ যুগ ধরে মিলেমিশে বসবাস করে আসছি। আগামীতেও যাতে সকল ধর্মের মানুষ ভেদাভেদ ভুলে মিলেমিশে বসবাস করতে পারি, সে জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থেকে দূর্বৃত্ত ও সুযোগ সন্ধানীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
প্রধান বক্তার বক্তৃতায় খুলনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক মো. মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, বিএনপি জনগণের জন্য রাজনীতি করে। জনগণের অধিকার নিশ্চিত করাই বিএনপি’র মূল লক্ষ্য। দেশের জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারে বছরের পর বছর জেল খেটেছেন বেগম খালেদা জিয়া। তবুও বিএনপি রাজপথ ছাড়েনি। কারণ জনগণই বিএনপি’র রাজনীতির স্তম্ভ। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ভোটে জনগণের সরকার গঠন করবে বিএনপি। তাই বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সবাইকে জনগণের পাশে থাকতে হবে, তাঁদের কাছে যেতে হবে। তাদের কথা শুনতে হবে। জনগণের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা খান জুলফিকার আলী জুলু, এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী, শেখ তৈয়েবুর রহমান, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, শেখ আব্দুর রশিদ, এবাদুল হক রুবায়েদ, এনামুল হক সজল, সাইফুর রহমান, জাবেদ হোসেন মল্লিক, বিকাশ মিত্র, আতাউর রহমান রুনু, আনিছুর রহমান, নাজমুস সাকির পিন্টু, এ্যাড. সেতারা বেগম, শফিকুল ইসলাম বাচ্চু ও আনোয়ার হোসেন আনো প্রমুখ।।