স্পোর্টস ডেস্ক
চিটাগং কিংসের দেওয়া ২০৪ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ১১ ওভারে মাত্র ৬৬ রান তোলে সিলেট স্ট্রাইকার্স। এই সময়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি হারায় টপ অর্ডারের ৪ উইকেট। শুরুর এই বিপর্যয়ের খেসারত দিতে হয়েছে সিলেটকে। জর্জ মুনসের অর্ধশতকের পর শেষদিকে জাকের আলি ব্যাট হাতে ঝড় তুললেও আর জেতাতে পারেননি দলকে। এই নিয়ে টানা তৃতীয় জয় পেল চিটাগং। অন্যদিকে, টানা দুই ম্যাচ জয়ের পর হারল সিলেট।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২০৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা সিলেট ৮ উইকেট হারিয়ে থামে ১৭৩ রানে। ৩০ রানের জয় পায় চিটাগং। বিশাল রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা সিলেট ৬৬ রানের মধ্যেই হারায় রনি তালুকদার, পল স্টার্লিং, জাকির হাসান ও অ্যারন জোনসের উইকেট। তাতে শেষ ৫৪ বলে দরকার হয় ১৩৮ রান।
পঞ্চম উইকেটে মুনসে ও জাকের মাত্র ২৭ বলে ৬২ রান যোগ করেন। তবে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। তার ওপর পনেরতম ওভারের শেষ বলে ১২৬ রানের মাথায় আউট হন ৩৭ বলে ৫২ রান করা মুনসে। ছয়ে নামা জাকের ২৩ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩টি চারের পাশাপাশি জাতীয় দলে খেলা এই তারকা হাঁকান ৪টি ছক্কা। ৪ ওভারে মাত্র ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে দারুণ ঝলক দেখান চিটাগংয়ের পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম।
এর আগে তিন বিদেশির ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রানের বিশাল সংগ্রহ তোলে চিটাগং। দলটির হয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন দুই বিদেশি ক্রিকেটার উসমান খান ও গ্রাহাম ক্লার্ক। ১৮ বলে ৪২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন চিটাগংয়ের আরেক বিদেশি ক্রিকেটার হায়দার আলি।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ ওভারের শেষ বলে পারভেজ হোসেন ইমনকে হারায় চিটাগং। দ্বিতীয় উইকেটে দুর্দান্ত জুটি গড়েন উসমান ও ক্লার্ক। ৩৯ বলে ৬৮ রান যোগ করেন এই দুজন। দলীয় ১০০ রানের মাথায় ফর্মে থাকা উসমান (৩৫ বলে ৫৩) ফিরলেও দারুণ ব্যাটিং চালিয়ে যান ক্লার্ক।
১৪৮ রানের মাথায় থামেন দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিং করা ক্লার্ক। তবে ৩৩ বলে ৬০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে সিলেটকে বড় বিপদে ফেলেন তিনি। ৩টি চারের পাশাপাশি ৫টি ছক্কা হাঁকান এই তারকা। শেষ পর্যন্ত ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন তিনিই। চার নম্বরে নেমে ১৯ বলে ২৮ রান করেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন। চিটাগংকে দুই শ পার করতে সাহায্য করেন হায়দার আলি। ৪২ রান করার পথে ৪টি চারের পাশাপাশি ৩টি ছক্কা হাঁকান এই পাকিস্তানি তারকা।
৪ ওভারে ৩৮ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নিয়ে সিলেটের সবচেয়ে সফল বোলার তানজিম হাসান সাকিব। ৪ ওভারে ৩০ রান খরচায় এক উইকেট স্পিনার নাহিদুল ইসলামের। পেসার রুয়েল মিয়া ও অধিনায়ক আরিফুল একটি করে উইকেট নিলেও ছিলেন বেশ খরুচে।