৫ আগস্ট নিয়ে যে তথ্য জানালেন ভারতের সেনাপ্রধান

11
Spread the love


আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছিলেন ভারতের সেনাপ্রধান। আজ সোমবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী নিজেই এ কথা স্বীকার করেন।


ভারতের সেনাপ্রধান বলেন, গত আগস্টে যখন ক্ষমতার পালাবদল হয়, তখন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে ‘সার্বক্ষণিক যোগাযোগ’ রেখেছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে দ্বিবেদী বলেন, ‘আজকের তারিখে আমাদের কোনো পক্ষেরই আক্রান্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমার সে দেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ আছে।’

জুলাই-আগস্টেরআন্দোলন নিয়ে ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, ‘বস্তুত সে দেশে যখন পালাবদল ঘটল, তখনও আমরা নিজেদের মধ্যে সব সময় যোগাযোগ রাখছিলাম। এরপর গত ২০ নভেম্বরও আমাদের মধ্যে একটা ভিডিও কনফারেন্স হয়েছে, দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবেই চলছে।’

বাংলাদেশের সামরিক হেলিকপ্টারে পালিয়ে যাওয়ার পর পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে ভারতেই রয়েছেন শেখ হাসিনা। আজ ভারতের সেনাপ্রধানের মন্তব্যে এটা স্পষ্ট যে, শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার এই প্রক্রিয়াটা দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় রেখেই হয়েছিল।

উপেন্দ্র দ্বিবেদী বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের একটি সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, ‘তিনি যেমন বলেছেন ভারত তাদের জন্য স্ট্র্যাটেজিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ, কথাটা আমাদের দিক থেকেও সত্যি। আমরা পরস্পরের প্রতিবেশী, আমাদের একসঙ্গেই থাকতে হবে ও পরস্পরকে বুঝতে হবে। যেকোনো ধরনের শত্রুতা আমাদের উভয়ের জন্যই হানিকর হবে।’

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা আগের মতোই অব্যাহত আছে বলে দাবি করেন ভারতের সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, ‘আমাদের অফিসাররাও এনডিসি-র জন্য যথারীতি সেখানে গেছেন, ওদিক থেকে কোনো সমস্যাই নেই। শুধু আমাদের যে যৌথ সামরিক মহড়া হওয়ার কথা ছিল, সেটা বর্তমান পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে সেটাও অনুষ্ঠিত হবে।’