খুলনায় অনুমোদন ছাড়াই চলছে ২০০ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার

31
Spread the love


স্টাফ রিপোর্টার।।

খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় লাইসেন্স ছাড়াই চলছে অসংখ্য ক্লিনিক, প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর গত ১৭ নভেম্বর লাইসেন্স বিহীন ২০১টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।


খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের দশ জেলায় লাইসেন্সধারী ক্লিনিক রয়েছে ৮০১টি ও লাইসেন্স বিহীন ক্লিনিকের সংখ্যা ১১৪টি। লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিকের মধ্যে রয়েছে খুলনা নগরীতে ৯টি, জেলায় ৮টি, বাগেরহাটে ১২টি, সাতক্ষীরায় ৪৫টি, যশোরে ৬টি, ঝিনাইদহে ৩টি, মাগুরায় ১২টি, কুষ্টিয়ায় ১২টি ও মেহেরপুরে ৭টি। তবে নড়াইল ও চুয়াডাঙ্গায় লাইসেন্স বিহীন কোনো ক্লিনিক নেই বলে তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, দশ জেলায় লাইসেন্সধারী ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ১ হাজার ২১০টি এবং লাইসেন্স বিহীন ডায়াগনস্টিকের সংখ্যা ১৬৪টি। লাইসেন্স বিহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে রয়েছে খুলনা নগরীতে ২৪টি, জেলায় ১৫টি, বাগেরহাটে ১২টি, সাতক্ষীরায় ৪৮টি, যশোর ও ঝিনাইদহে ৯টি করে, মাগুরায় ২১টি, নড়াইলে ৭টি, কুষ্টিয়ায় ১৪টি ও মেহেরপুরে ৫টি। তবে চুয়াডাঙ্গা জেলায় লাইসেন্স বিহীন কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার নেই বলে তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার জন্য ৩৮টি ক্লিনিক ও ৬০টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এই ৯৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৭টি বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া চলতি বছর এ পর্যন্ত বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে ২০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এদিকে গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে স্বাস্থ্য বিভাগ অভিযান চালিয়ে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বেশ কিছু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছিল। সেগুলোর বেশিরভাগই আবার চালু হয়েছে।

গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানে বিভিন্ন অভিযোগে যশোরের ৩০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ও জরিমানা করা হয়েছিল। অভিযোগগুলো ছিল- লাইসেন্স নবায়ন না করা, অনুমতির অতিরিক্ত রোগী ভর্তি, ভঙ্গুর অবকাঠামো, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, সার্বক্ষণিক পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স না থাকা, হাসপাতালের ফ্রিজে ওষুধের সঙ্গে খাবার রাখা, ভুয়া ল্যাব টেকনিশিয়ান দিয়ে প্যাথলজির পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট দেয়া, অপারেশন থিয়েটারের ইনচার্জ অনুপস্থিত ইত্যাদি।

বন্ধ করে দেয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম হলো- হাসিনা ক্লিনিক, আধুনিক হসপিটাল, ল্যাবজোন হসপিটাল, মা জেনারেল হাসপাতাল, মধুমতি প্রাইভেট হসপিটাল, নোভা এইড, সালমা মেডিকেল সেন্টার, সালেহা ক্লিনিক, কেসি সার্জিক্যাল অ্যান্ড শিশু প্রাইভেট হসপিটাল, রাজগঞ্জ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পারবাজার সার্জিক্যাল ক্লিনিক, আনোয়ারা ক্লিনিক। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে সবগুলো ক্লিনিক আবার চালু হয়েছে।