এ আর রহমানের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন: অবশেষে মুখ খুললেন মোহিনী

5
Spread the love


বিনোদন ডেস্ক।।

অস্কারজয়ী সঙ্গীতশিল্পী এ আর রহমানের সঙ্গে সায়রা বানুর দীর্ঘ ২৯ বছরের সংসার ভেঙে গেছে। একইসঙ্গে রহমানের টিমের সদস্য গিটারিস্ট মোহিনীর বিয়ে ভাঙায় রহমানের সঙ্গে তার প্রেমচর্চাও শুরু হয়। গত ১৯ নভেম্বর রহমান ও সায়রার বিবাহ-বিচ্ছেদের খবরে সকলেই তখন হতবাক।

তার ঠিক ঘণ্টা খানেক পর ডিভোর্সের কথা জানান প্রবাসী বাঙালি গিটারিস্ট মোহিনী দে। কাকতলীয়ভাবে যিনি আবার একসময় এ আর রহমানের টিমে তার সঙ্গে কাজ করতেন। এরপরই রহমানের সঙ্গে মোহিনী দের নাম জড়িয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। নেটদুনিয়ায় রহমানের চরিত্র নিয়ে শুরু হয় জোর চর্চা।

যদিও এই জল্পনা পুরো মিথ্যা বলে জানিয়েছেন এ আর রহমানের সদ্য বিচ্ছন্না স্ত্রী সায়রা বানু ও তাদের ছেলেমেয়েরা। এমনকী এ ধরনের খবর ছড়ালে আইনি পদক্ষেপ নিবেন বলেও সাফ জানিয়েছেন অস্কারজয়ী সঙ্গীতশিল্পী। ইতিমধ্যেই তার নাম জড়িয়ে এ ধরনের খবর কানে গিয়েছে মোহিনী দের। অবশেষে রহমানের সঙ্গে প্রেম জল্পনা নিয়ে মুখ খুললেন বাঙালি গিটারিস্ট।

গিটারিস্ট বলেন, ‘এ ধরনের গুঞ্জন নিয়ে আমার কাছে একাধির সাক্ষাৎকারের অনুরোধ আসছে। তবে আমি জানি ঠিক কী কারণে আমার কাছে এই সাক্ষাৎকারের অনুরোধগুলি আসছে। আমি সম্মানের সঙ্গে সব অনুরোধ ফিরিয়ে দিচ্ছি। কারণ, এই ভিত্তিহীন খবর নিয়ে মুখ খুলে নিজের এনার্জি নষ্ট করতে চাই না। দয়া করে আমার গোপনীয়তাকে সম্মান করুন।’ আরো এক ভিডিও বার্তায় মোহিনী দে বলেন, ‘আমার জীবনে পিতৃসহ অনেকেই রয়েছেন। তাদের মধ্য এ আর রহমান একজন। ৮ বছরের বেশি সময় তার সঙ্গে কাজ করেছি। তাকে অকারণ কলঙ্কিত করছেন। রহমান স্যার আমার বাবার থেকেও বড়।’

সায়রা বানু সম্প্রতি এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন গত কয়েক মাস ধরে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি এই মুহূর্তে চেন্নাইতে নেই। তাই তিনি রহমান থেকে বিরতি নিতে চেয়েছিলেন। নিজের ভয়েস নোটে সায়রা বানু সকলকে সঙ্গীতশিল্পীর নাম কলঙ্কিত না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তার কথায় এ আর রহমানকে “একজন রত্ন, বিশ্বের সেরা মানুষ” বলেও অভিহিত করেন তিনি। তিনি বলেন, আমি এখানে সায়রা রহমান। আমি এখন মুম্বাইতে আছি। গত কয়েক মাস ধরে আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই আমি শুধু এআর থেকে বিরতি নিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমি ইউটিউবারদের, দক্ষিণী সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধ করব দয়া করে রহমানের নামে ভুল তথ্য ছড়াবেন না। উনি একজন রত্ন, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানুষ।

সায়রা আরো বলেন, হ্যাঁ, আমার কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে আমাকে চেন্নাই ছাড়তে হয়েছে। কারণ আমি জানতাম আমি যদি চেন্নাইতে না থাকি তবে আপনারা ভাববেন সায়রা কোথায়- আর আমি মুম্বাইয়ে এসেছি। এখানে আমার চিকিৎসা চলছে। আর চেন্নাইয়ে এ আরের ব্যস্ত শিডিউলের কারণে এটা সম্ভব হত না এবং আমি কাউকে বিরক্ত করতে চাইনি, না আমার সন্তান না রহমানকে।”


এ আর রহমানের প্রশংসা করে সায়রা বলেন, উনি একজন আশ্চর্যজনক মানুষ। আমি অনুরোধ করব দয়া করে উনাকে উনার মতো থাকতে দিন। এই বিচ্ছেদের সঙ্গে অন্য কোনো কিছুই কোনো সম্পর্ক নেই। উনার কোনো দোষও নেই। আমি উনাকে আমার জীবন দিয়ে বিশ্বাস করি। আমি ওকে কতটা ভালোবাসি, সেটাই বড় কথা। তাই আমি আপনাদের বিনীত অনুরোধ করছি যে উনার বিরুদ্ধে অযথা মিথ্যা অভিযোগ আনা বন্ধ করুন এবং ঈশ্বর আপনাদের মঙ্গল করবেন। আমার আন্তরিক প্রার্থনা এই যে আমাদের একটু একা ছেড়ে দিন।