অনলাইন ডেস্ক||
লেবাননের উত্তরাঞ্চলে খ্রিষ্টান অধ্যুষিত গ্রামে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার এ হামলার কথা খোদ জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। তারা বলেছে, তারা হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালিয়েছে। তবে বেসামরিক মানুষ মারা গেলে তা যাচাই করা হবে। লেবাননের রেড ক্রস বলেছে, ইসরায়েলের বোমায় পুরো আবাসিক ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলছে, ইসরায়েলের বাস্তুচ্যুতির আদেশের অন্তর্ভুক্ত আছেন লেবাননের ২৫ শতাংশ বাসিন্দা।
লেবাননে অব্যাহত হামলার মধ্যেই ইরানে আঘাত করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল মঙ্গলবার সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ ইসরায়েলের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রকে নিশ্চিত করেছেন, তারা ইরানের তেলক্ষেত্র বা পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালাবেন না। তারা সামরিক বিভিন্ন লক্ষ্যে হামলা চালাবেন। এর আগে ইসরায়েলে ইরানের নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তেল আবিবকে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, ইরানের হামলা যেন সমানুপাতিক হয়। তাদের তেলক্ষেত্র বা পারমাণবিক স্থাপনায় যেন টার্গেট না করা হয়।
এ অবস্থায় আরেকটি ভয়াবহ দিন পার করেছেন গাজার বাসিন্দারা। গতকাল মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছেন। জরুরি ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ এসব তথ্য জানিয়েছে। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের বানি সুহেইলায় একটি আবাসিক ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হন। হামলা হয়েছে আল ফোখারি শহরে। সেখানে অন্তত পাঁচজন নিহত হন। যাদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছেন। মধ্য গাজার আল নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরেও হামলা হয়েছে। এতে আটজন নিহত জন। এ ছাড়া উত্তর গাজায় হামলায় অনেকে নিহত হয়েছেন।
আলজাজিরা জানায়, চলমান প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার বক্তব্য দিয়েছেন হিজবুল্লাহর উপপ্রধান নাইম কাশেম। তিনি বলেন, কেবল ফিলিস্তিন দখল করেই ক্ষান্ত হবে না ইসরায়েল। তারা আরব বিশ্ব ও সব মুসলিমদের ওপর নিয়ন্ত্রণ চায়। তারা গণহত্যার নীতি নিয়েছে, আর এটা পৃথিবীতে সংঘটিত সব অপরাধের মূল।