যারা ভুলেও ঘি খাবেন না

9
Spread the love


মিলি রহমান।।
ঘি স্বাস্থ্যকর খাবার, এবং এর অনেক উপকারিতা রয়েছে, এমনটাই মনে করছে আধুনিক বিজ্ঞান। কেননা এতে রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্যকর স্নেহপদার্থ বা ফ্যাট, ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে। চিকিৎসকেরা মনে করেন ঘি খেলে স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে এবং একাধিক রোগ প্রতিরোধ হয়। তাই ঘি কে ‘সুপারফড’ হিসেবে গণ্য করা হয়।

ঘি খুব পুষ্টিকর খাবার হলেও, সবার ঘি খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে যাদের প্রায়ই পেটের সমস্যা হয়, তাদের ঘি থেকে একটু দূরে থাকাই শ্রেয়। অনেকেরই হজমের সমস্যা খুব ঘন ঘন হয়, বা পেট খারাপ হয়। এ ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ঘি খাবেন না। অপরিমিত ঘি খেয়ে ফেললে পেট ফোলা, বমি বা বদহজমের আশঙ্কা বাড়ে। এছাড়া গলব্লাডারের সমস্যা বা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।

যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন এবং শারীরিক গঠন নিয়ে বেশ সচেতন, তারাও এড়িয়ে যেতে পারেন ঘি। অতিরিক্ত ঘি খেলে শরীরে ফ্যাট জমার সম্ভাবনা থাকে। তবে অল্প বা পরিমিত পরিমাণে ঘি অযাচিত খিদে মেটাতে সাহায্য় করে।

যাদের লিভারের সমস্যা আছে তাদেরও ঘি খাওয়া ঠিক নয়। ঘি তে যেহেতু ফ্যাটের পরিমাণ অনেকটা বেশি থাকে, ফলে তা লিভারকে ক্লান্ত করে তুলতে পারে এবং এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। এক সমীক্ষা অনুযায়ী, সম্পৃক্ত ফ্যাট শরীরে প্রবেশ করলে তা লিভারে খারাপ প্রভাব ফেলে।

এছাড়াও যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটা বেশি, তাদের ঘি-মাখন-তেল এড়িয়ে চলা উচিত। যদিও পরিমাণমতো ঘি খেলে শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে, তবুও অনেকটা ঘি খেলে তা হৃদযন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ফ্যাট থেকে হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে।