শরণখোলায় ২০টি দূর্গা মন্ডপে পুজার প্রস্ততি সম্পন্ন
শরণখোলা প্রতিনিধি
শরণখোলায় সনাতন ধর্মালম্বীদের আসন্ন শারদীয় দূর্গা উৎসব পালনের প্রস্ততি এখন সম্পন্ন হয়েছে। মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমায় রং তুলির কাজ প্রায় শেষ। পুজারীদের নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসন ব্যপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এ বছর শরণখোলার চারটি ইউনিয়নে ২০টি মন্ডপে দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ধানসাগর ইউনিয়নে ৭টি, খোন্তাকাটা ইউনিয়নে ২টি, রায়েন্দা ইউনিয়নে ৬টি এবং সাউথখালী ইউনিয়নে ৫টি দুর্গা মন্ডপে দূর্গা প্রতিমা স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি মন্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। দূর্গা উৎসবকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে ব্যপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা গেছে। বাজারে দোকানে দোকানে নতুন কাপড় কেনা বেচা বেড়েছে বলে রায়েন্দা বাজারের এক দোকানী জানালেন।
শরণখোলা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবুল দাস জানান, ৯ অক্টোবর থেকে দুর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। উপজেলার ২০টি মন্ডপে নির্বিঘ্নে পুজার সকল প্রস্ততি শেষ হয়েছে কোন ধরনের নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই বলে বাবুল দাস জানিয়েছেন।
শরণখোলা উপজেলা জামায়াতে ইসলামী’র সেক্রেটারী মাওঃ মোস্তফা আমিন জানান, ৩৬টি ওয়ার্ড সভাপতি ও সেক্রেটারীদের সমন্বয়ে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠিত হয়েছে। উপজেলার ২০টি পূজা মন্ডবে ৩২৮জন স্বেচ্ছাসেবক বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পাহাড়া দিবে।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ এ এইচ কামরুজ্জামান বলেন, প্রতিটি মন্ডপে সার্বক্ষনিক পুলিশ পাহারা এবং উপজেলার সর্বত্র পুলিশী টহল কার্যক্রম চলমান থাকবে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুদীপ্ত কুমার সিংহ সোমবার উপজেলার কয়েকটি দূর্গা মন্ডপ পরিদর্শণ করে এসে সাংবাদিকদের বলেন,শরণখোলায় দূর্গা পুজার প্রস্ততি সন্তোষজনক। শান্তিপূর্ণভাবে দূর্গা উৎসব পালনে উপজেলা প্রশাসন ব্যপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রতিটি মন্ডপে সরকার থেকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে ইউএনও জানিয়েছেন।
ইন্দুরকানীতে উপজেলা কো-অর্ডিনেশন সভা
পিরোজপুর সংবাদদাতা
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৪ উপলক্ষে উপজেলা কো-অর্ডিনেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার সকালে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলরুমে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ননী গোপাল রায় এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসন বিন মোহাম্মদ আলী। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর আবুল খায়ের, সরকারি সেতারা স্মৃতি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবেরা সুলতানা, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আঃ হাকিম, সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ মশিদুল হক, আইসিটি কর্মকর্তা চন্দন রায়, রূপসী বাংলা উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আজাদ হোসেন বাচ্চু, প্রেসক্লাব সভাপতি এইচএম ফারুক হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান খান, এসআই সিদ্দিক প্রমুখ। সভায় জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ এইচপিভি টিকা কৈশরকালীণ স্বাস্থ্য সেবার জন্য জরুরী। জরায়ু ক্যান্সারের হার বাংলাদেশে বেড়েই চলছে। এর চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল। দেশে এই ক্যান্সারে সবচেয়ে বেশী নারী প্রাণ হারায়। ১০-১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের একডোজ এইচপিভি টিকা প্রদান করার মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই এই টিকা নেয়ার জন্য ৫ম থেকে ৯ম শ্রেনী বা সমমান অধ্যায়নরত সকল ছাত্রী এবং যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত নয়, অনলাইন রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে তাদেরকে এই টিকা নেয়ার জন্য উপজেলায় ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানোর আলোচনা হয়।
দর্শনায় যৌথবাহিনীর অভিযানে৭২৪ লিটার মদের উপকরণসহ গ্রেফতার ৩ জন
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় যৌথবাহিনীর অভিযানে ৭শ২৪ লিটার রেকটিফাইট স্পিরিটসহ (মদ তৈরির কাঁচামাল বা উপকরণ) ৩ মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৫ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিরিন আক্তার ও ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের সার্জেন্ট মোঃ মাসুদের নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর সদস্যরা জেলার দর্শনা থানার আনোয়ারপুর হঠাৎপাড়ায় এক অভিযান পরিচালনা করেন।এসময় অভিযান চালিয়ে
আনোয়াপুর এলাকার মৃত সোনা মিয়ার ছেলে আমিনুল(৪০), একই এলাকার মৃত কিতাব আলীর ছেলে মিতুল(৩৮) ও মৃত নূর মিয়ার ছেলে শফিকুল(৪০)কে গ্রেফতার করে। গ্রেপ্তারকৃত তিন মাদক কারবারীর বাড়ি হতে ৭শ২৪ লিটার রেকটিফাইট স্পিরিট (মদ তৈরির কাঁচামাল বা উপকরণ) উদ্ধার করা হয়।
এসব মদের উপকরণে ৫ গুন পানি মেশানোর জন্য ভেজাল মদ তৈরি করার জন্য বিপুল পরিমাণ এ স্পিরিট ওই বাড়ি গুলোতে মজুদ রাখা হয়েছিল। এলাকাবাসির ধারণা এসব রেকটিফাইট স্পিরিট কেরু এন্ড কোম্পানী থেকে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যাক্তির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছিল।চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিরিন আক্তার জানান, গ্রেপ্তারকৃত তিন মাদককারবারীর বিরুদ্ধে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খান বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন।
রাজাপুরে মাদ্রাসা সুপার ও ৯ শিক্ষক-কর্মচারি নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি ও অপপ্রচার
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠির রাজাপুরের বড়ইয়া ইউনিয়নের সোনারগাঁও আরুয়া হাসানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি আব্দুর রহমান ও সুপার আব্দুস সালাম সিকদারসহ ওই মাদ্রাসার ৯ জন শিক্ষক-কর্মচারির নামে নিজ স্বার্থ, পারিবারিক ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সাবেক সভাপতি আব্দুল হাকিম সিকদার বিভিন্ন দফতরে অর্ধশতাধিক মিথ্যা লিখিত অভিযোগ দিয়ে হয়রানি ও অপপ্রচারের চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাসে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন সুপার আব্দুস সালাম সিকদার। তিনি অভিযোগ করে জানান, তার আপন চাচা আব্দুল হাকিম সিকদার ১৯৯৭ সালে মাদ্রাসার সহ সভাপতি থাকাকালিন শিক্ষক-কর্মচারিদের বেতনভাতা আত্মসাত করাসহ নানা টালবাহনা করে উৎকোচ দাবি করার অভিযোগে শিক্ষক খলিলুর রহমানসহ কয়েকজন শিক্ষক মিলে ঝালকাঠি দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা দায়ের করলে আব্দুল হাকিম সিকদার কারাবাস করেন। ওই ঘটনায় ক্ষিপ্ত মাদ্রাসা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অর্ধশতাধিক লিখিত অভিযোগ দিলে একাধিক শিক্ষক অন্যত্র চলে যায় এবং পাশের হার শূণ্য হওয়ায় প্রায় ১৬ বছর দাখিল শাখার বিল বন্ধ থাকে। বিভিন্ন সময়ের এসব অভিযোগ তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হওয়ার ৯ ডিসেম্বর ২০১৩ সালে পুনরায় বিল চালু হলে তিনি পুনরায় ক্ষিপ্ত হয়ে ৯ আগষ্ট ২০১৮ সাল থেকে মাদ্রাসা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ যাবতকাল পর্যন্ত অর্ধশতাধিক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এসব অভিযোগ ও হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে নিরুপায় হয়ে ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর আব্দুল হাকিম সিকদারকে মাদ্রাসার সভাপতি করা হয়। কিন্তু সভাপতির দায়িত্ব পাবার পর শিক্ষক কর্মচারিদের বেতনের অর্ধেক তিনি দাবি করে কিন্ত শিক্ষক কর্মচারিরা তাতে রাজি না হওয়ায় প্রায় ২ মাসের বেতন বন্ধ করে রাখে। এসব ঘটনার কারনে তাকে সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড ও জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিলে তা তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হলেও পুনরায় চলতি বছরের গত ২১ আগষ্ট ইএনওর কাছে সাবেক সভাপতি আব্দুর রহমান ও সুপার আব্দুস সালাম সিকদার, সহকারি মৌলভী আবুল কালাম, সহকারি শিক্ষক সায়লা পারভীন, জুনিয়র মৌলভী সোয়াইভ হোসেন, সহকারি মৌলভী মাসুম বিল্লাহ, সহকারি শিক্ষক মাহবুব হাওলাদার, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি আলম সিকদার ও সেলিম সিকদারের নামে আরও একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে, যাহা ইউএনও মহোদয় তদন্তভার দিলে সমাজসেবা কর্মকর্তা ৬ অক্টোবর সরেজমিনে তদন্তে করেন। মাদ্রাসার কমিটির নবায়ন বা স্বীকৃতি বিষয়ে যে অভিযোগ দেয়া হচ্ছে তাহা সত্য নয়। ১৯৯২ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত মাদ্রাসা বোর্ডের নবায়ন বা স্বীকৃতি রয়েছে এবং কমিটির মেয়াদও রয়েছে আগামী বছরের ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। মাদ্রাসাটি ১৯৭৩ সালে সুপারের দাদা আব্দুল ওয়াহেদ সিকদার প্রতিষ্ঠা করলেও প্রতিষ্ঠাকালিন সময়ে অভিযোগকারী আব্দুল হাকিম সিকদারের বয়স ছিল ১৩ বছর কিন্তু সে নিজেকে প্রতিষ্ঠাতা দাবি করে মিথ্যা অভিযোগ ও হয়রানি করে আসছে। এমনকি এসব মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফেসবুুক, অনলাইন ও স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় অপপ্রচার করে মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুন্ন করে আসছে। যাহা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভীত্তিহীন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব অপপ্রচার ও হয়রানির হাত থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি। সুপার আব্দুস সালাম সিকদার আরও অভিযোগ করে জানান, বিগত দিনের ৭ টি নিয়োগে আব্দুল হাকিম সিকদার সুপারের কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন, এসব দাবি না মানায় সব সময়ই মাদ্রাসার পেছনে লেগে থাকেন। মাদ্রাসার সহকারি মৌলভী আবুল কালাম অভিযোগ করে জানান, অভিযোগকারী আব্দুল হাকিম তার আপন চাচা। পারিবারিক ও পত্রিক-কবলা জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে তিনি মাদ্রাসার ক্ষতি করার জন্য একের পর এক অভিযোগ দিয়ে হয়রানি ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। নতুন কর্মকর্তা এলে তার কাছে অভিযোগ দায়ের করে। বর্তমানে সহ-সুপার ও অফিস সহকারি পদে দুটা নিয়োগ থাকায় নিজে পুনরায় সভাপতি হবার জন্য উঠেপরে লেগেছে। অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল হাকিম সিকদার জানান, তাদের অনিয়ম ডাকতে আর নিজেরা বাঁচতে নানা কথা বলে, এসব অভিযোগ সত্য নয়। এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন জানান, তদন্তে উভয় পক্ষ প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমান দিতে না পারায় উভয় পক্ষ সময় চেয়েছেন। তাছাড়া উভয় পক্ষ আত্মীয়স্বজন ও পারিবারিক সমস্যা থাকায় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গও সময় চেয়েছে তারা উভয় পক্ষকে নিয়ে শালিশ বৈঠক করে মিলিয়ে দিবে। বিস্তারিত তথ্য প্রমান দিলে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
মোংলা বন্দরের সিবিএ অফিস জবর দখলের অভিযোগ, সাধারণ কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ
মোংলা প্রতিনিধি
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সিবিএ অফিস সন্ত্রাসী কায়দায় জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সাধারণ কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ নিয়ে যে কোন সময় পরিস্থিতি অবনতির আশংকা দেখা দিয়েছে। বন্দরের সাধারণ কর্মচারী ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘ (রেজিঃ নং খুলনা/ ১৯৫৭) হচ্ছে মোংলা বন্দরে চাকরিজীবি শ্রমিক কর্মচারীদের সিবিত্র প্রতিষ্ঠান। প্রায় ৮শতাধিক শ্রমিক কর্মচারী এ সংগঠনের সদস্য। গত ২০২১ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরে সংগঠনটির দ্বি বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় পরও আদালতে মামলাসহ নানা জটিলতায় এখন পর্যন্ত নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। সর্বশেষ আওয়ামী সরকার পতনের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে সংগঠনটিতে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ অবস্থার মধ্যে গত সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বন্দরের জুনিয়র অফিসার ও সাবেক সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফিরোজ নেতৃত্ব দিয়ে তার অনুসারীদের নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় সিবিএ অফিস দখল করে নেয়। এরপর সে বর্তমান নির্বাহী পরিষদের নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি ধামকী প্রদান করে। এ সময় ফিরোজ তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে সিবিএ অফিসে ঘন্টাখানেক অবস্থান করে উচ্চস্বরে নিজেকে ওই সংগঠনের আহবায়ক হিসেবে দাবি করেন। এক পর্যায়ে সে সাধারণ সম্পাদকের জন্য নির্ধারিত চেয়ারে বসে তার অনুসারীদের নিয়ে একটি কথিত সভা শেষে নাস্তা খেয়ে আনন্দ উল্লাস করেন। ফিরোজের এমন আচরণে সিবিএর বর্তমান নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ কর্মচারীগণ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন।
এদিকে বর্তমান সিবিএর পক্ষ থেকে সোমবার পাঠানো মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে এক চিঠিতে এসব বিষয়ে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, জুনিয়র অফিসার ফিরোজ তাঁর বর্তমান কর্মস্থল সিভিল ও হাইড্রোলিক বিভাগে নিয়মিত অফিস করেন না। অফিস চলাকালীন সময়ে সে নিজ দায়িত্ব পালন না করে প্রায় সময় তার উচ্ছৃংখল সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে নিজ ব্যবহৃত বিলাশ বহুল “টয়োটা এলিয়ন” গাড়ীসহ অফিস চত্বর এলাকায় অযথা ঘোরাঘুরি করেন। ফলে অফিসে স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্টসহ আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। ওই চিঠিতে আরো বলা হয়, ফিরোজের বিভিন্ন অনৈতিক বেআইনী কর্মকান্ড ও অফিস শৃংখলা পরিপন্থী কাজ করার কারণে বিভিন্ন সময়ে বন্দর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করার তিনি দিনদিন বেপোরোয়া হয়ে উঠেছেন। ফিরোজের এসব অবৈধ ও বেআইনী কর্মকান্ড থেকে বিরত করা না হলে ভবিষ্যতে মোংলা বন্দর অস্থিতিশীল ও অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা প্রকাশ করে ওই চিঠিতে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো পত্রে দাবি জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে জুনিয়র কর্মকর্তা মোঃ ফিরোজ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় সাধারণ কর্মচারীরা সভা করে এডহক কমিটি করে তাকে আহবায়ক বানিয়েছেন। বিধি অনুযায়ী তিনি সিবিএ অফিসে সভা করতে গেলে উদ্ভুদ পরিস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তাদের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দিলে তারা তা পালন করেন।
অপরদিকে মঙ্গলবার দুপুরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কিবরিয়া হক জুনিয়র অফিসার ফিরোজের বিরুদ্ধে বর্তমান সিবিএ নেতৃবৃন্দের দেয়া অফিস দখলসহ অন্যান্য অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইন্দুরকানীতে শারদীয় দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে পালনের লক্ষ্যে বিশেষ নিরাপত্তা দিচ্ছে সেনাবাহিনী
পিরোজপুর সংবাদদাতা
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে নির্বিঘ্নে শারদীয় দুর্গোৎসব পালনের লক্ষ্যে বিশেষ নিরাপত্তা দিচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সোমবার রাত আটটার দিকে উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর সার্বজনীন শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ সেবাশ্রমে এক মত বিনিময় সভায় পিরোজপুর ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কোন ভাবেই যেন গুজবে কান না দেই। সবাইকে ঐক্য বদ্ধ হয়ে গুজব প্রতিরোধ করতে হবে। পূজা উদযাপনের সময় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এই এলাকার মানুষ শান্তি প্রিয়। তাই এখানে কোন প্রকার অস্থিতিশীল পরিবেশ মেনে নেয়া হবে না। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হচ্ছে। তাই আপনারা সবাই নির্বিঘ্নে উৎসব পালন করবেন।’
পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানান, উপজেলার ২৩ টি পূজা মন্ডপে নিয়মিত টহল প্রদান করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও গন্যবামান্য ব্যাক্তিবৃন্দ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছেন। সেনাবাহিনীর বিশেষ ভূমিকার জন্য অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক শান্ত পরিবেশের মধ্যে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করছি আমরা।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, লেফটেন্যান্ট আদনান, লেফটেন্যান্ট রেদওয়ান, ইন্দুরকানী থানার নবাগত ওসি মারুফ হোসাইন, পত্তাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন হাওলাদার, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট ননী গোপাল, ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবের সভাপতি এইচ এম ফারুক হোসাইন প্রমুখ।
ঝিকরগাছায় দুই ছাত্রদল নেতা ওপর হামলা
বেনাপোল প্রতিনিধি
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারণ ইউনিয়নে চিহ্নিত অপরাধী ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী রজব বাহিনীর অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের সাপোর্ট পাওয়ায় সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহীম আলীর সঙ্গে তার সখ্য গড়ে উঠায় সে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।এতে নাভারণ ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
অভিযোগ রয়েছে, নাভারণ ইউনিয়নের দুই ছাত্রদল নেতা খায়রুল আলম সোহাগ ও মনোয়ার হোসেন সাকিবের ওপর হামলার ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ ঝিকরগাছা থানায় একটি মামলা করেন বাদী হারুন অর রশিদ হান্টু । মামলার ১ নম্বর আসামি রজব আলীকে রক্ষার জন্য সহযোগিতা করছে এই অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা। এখন মামলা নেওয়ার পর তা রেকর্ড করে তালবাহানা ও গড়িমসি করছে ওসি।
ছাত্রদল নেতা খায়রুল আলম সোহাগ ও মনোয়ার হোসেন সাকিব তারা উভয়ই ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
বাকী আসামিরা হলেন জুয়েল হোসেন, মফিজুর রহমান ও মনিরুল ইসলাম। তারাও ইউনিয়নের একই গ্রামের বাসিন্দা।
এবিষয়ে বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদ হান্টু গনমাধ্যমকর্মীদের বলেন, রজব আলী একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী এবং দুইজন ছাত্রদল নেতার ওপর হামলার ঘটনায় সে ১ নম্বর আসামি। তাকে মামলা থেকে বাঁচাতে উঠেপড়ে লেগেছেন এবং তার পক্ষে সরাসরি অবস্থান নিচ্ছেন ওসি। তিনি মুঠোফোনে হান্টুকে বলেন রজব আলীর বিরুদ্ধে মামলা না করে স্থানীয়ভাবে এলাকায় বসে মিমাংসা করে ফেলেন। এসময় হান্টু ওসিকে বলেন রজব আলী নাভারণ ইউনিয়নে সন্ত্রাসের রাজত্বে পরিনত করেছে। তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে নাভারণ ইউনিয়নে জনমনে আতংক বিরাজ করছে। এছাড়া সে এর আগে নিজ দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ প্রশাসনের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
হান্টু বলেন, সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর মুঠোফোনে হান্টুর সঙ্গে ওসির কথা হলে তিনি বলেন মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। হান্টু তখন বলেন তাহলে আসামিদের গ্রেপ্তার করেন। ওসি বলেন আমার সময়মতো আমি দেখবো। অবাক ব্যাপার, মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরের দিকে জানতে পারলাম ওসি মামলা রেকর্ড করেননি। বরংচো ওসি উল্টো চিহ্নিত অপরাধী ও মামলার আসামিদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এমন অভিযোগ হান্টুর।
হান্টু আক্ষেপ করে আরও বলেন, ওসি থানার একজন প্রধান কর্মকর্তা হয়েও কিভাবে এতো বড় মাপের একজন অপরাধীর পক্ষে অবস্থান নিলেন, তাহলে সাধারণ মানুষ কার কাছে নিরাপত্তা চাইবে। আমি কোন মিমাংসা চাইনা। আমি রজব ও তার গংদের বিচার ও গ্রেপ্তার চাই। মামলা রেকর্ড না করলে আমি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করবো। তা না হলে মামলা রেকর্ড না করার কারণে ওসির বিরুদ্ধে আদালতে শরণাপন্ন হবো।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহীম আলীর সঙ্গে মামলার বিষয় নিয়ে দুদিন আগেও মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন বাদী পক্ষকে (হান্টু) মামলা করার জন্য থানায় আসতে বলেছি।পরে বাদী পক্ষ থানায় যেয়ে একটি মামলা করেন। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরের দিকে ওসির সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন থানায় কোন মামলা এন্ট্রি হয়নি। তিনি বলেন সামান্য আঘাতে মামলা হবে না শুধু জিডি হবে। ছাত্রদল নেতা সোহাগের মাথায় রজব বাহিনীর হামলায় গভীর ক্ষত হয়েছে এবং ৫ টা সেলাই দিয়েছে ডাক্তার। অথচ ওসি ইব্রাহীম আলী বলছে সামান্য আঘাত মামলা নেওয়া যাবে না।
উল্লেখ্য- গত ৫ আগস্টের পরে উপজেলার হাড়িয়া নিমতলা বাজারে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারের গুদাম থেকে ৩০০ বস্তা চাল লুটের ঘটনায় ওসি নিরব ভূমিকা পালন করেন।এরপর বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর ওসি নড়েচড়ে বসেন। এরপর খায়রুজ্জামান মিনু ও রজব আলীসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ঝিকরগাছা থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলার একদিন পর জানা যায় এজাহার থেকে ১ নম্বর আসামি খায়রুজ্জামান মিনুর নাম বাদ দেন ওসি। চাল লুটের মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার না করে ওসি সময়ক্ষেপণ করেন এবং রজব আলীসহ বাকী আসামিদের আদালত থেকে জামিনের সুযোগ করে দেন। সেই মামলায় সন্ত্রাসী রজব এখন জামিনে আছেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় উপজেলার নাভারণ ইউনিয়নের পুরাতন বাজারে গত বুধবার (২ অক্টোবর) রাত ৮ টার দিকে দেশীয় অস্ত্র ও লোহা পাইপ নিয়ে ছাত্রদল নেতা খায়রুল আলম সোহাগ ও মনোয়ার হোসেন সাকিবের ওপর আচমকা হামলা করেন রজব আলী, তার ছেলে জুয়েল হোসেন, মফিজুর রহমান ও মনিরুলসহ আরও ৫-৭ জন। এসময় সোহাগের মাথায় লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং সাকিবকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করেন। সোহাগের মাথায় পাঁচটি সেলাই দিয়েছে কর্তব্যরত ডাক্তার।
এ ঘটনায় বুধবার রাতেই ঝিকরগাছা থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেন সাকিবের বাবা বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদ হান্টু। অভিযোগ দায়ের পুলিশ কোন তদ্ন্তও করেননি এমনকি বাদী পক্ষের কারো সঙ্গে যোগাযোগও করেননি। এরপর হান্টু বিষয়টি গণমাধ্যকর্মীদের অবহিত করেন।
মোংলা বন্দর সিবিএর সাধারণ সম্পাদক পল্টু গ্রেপ্তার
মোংলা প্রতিনিধি
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক কাজী খুরশিদ আলম পল্টুকে গ্রেপ্তার করেছে খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানা পুলিশ। সোমবার রাতে খুলনার কাস্টমস অফিস এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খালিশপুর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৬আগস্ট বিএনপি কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার দিনে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
খুরশিদ আলম পল্টু মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষে হারবার কনজারভেন্সী বিভাগে শিপ মুভমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মরত রয়েছেন। গ্রেপ্তার হওয়া পল্টু খুলনা মহানগরী আওয়ামী লীগের ১৫নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাহী সদস্য। নানা কারণে মোংলা বন্দরের সাধারণ কর্মচারীদের মাঝে তিনি ব্যাপক সমালোচিত ছিলেন। তিনি সর্বশেষ ২০২১সালে অনুষ্ঠিত মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সিবিএ কর্মচারী সংঘের (রেজি: নং খুলনা ১৯৫৭) দ্বি বার্ষিক নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। এরপর ওই নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও আইনী জটিলতায় এ নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। সর্বশেষ আওয়ামী সরকার পতনের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে সংগঠনটিতে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মোংলায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত
মোংলা প্রতিনিধি
মোংলায় জেন্ডারবান্ধব ও জলাবায়ু সংবেদনশীল কার্যক্রমে চাহিদা ভিত্তিক খাত তৈরী, বাজেট বৃদ্ধি বাস্তবায়ন এবং মনিটরিং বিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে গণ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (৮অক্টোবর) সকাল ১০টায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর অর্থায়নে এবং হেলভেটাস বাংলাদেশ এর কারিগরি সহযোগিতায় সিএনআরএস এর ইভলভ প্রকল্পের আওতায় গণ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
সিএসও সদস্য সুস্মিতা মন্ডল এর সঞ্চলনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ইশরাত জাহান।
উন্মুক্ত গণশুনানিতে সুন্দরবনবেষ্টিত এ এলাকায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার দপ্তরে জেন্ডারবান্ধব ও জলবায়ু সংবেদনশীল বাজেট বৃদ্ধি তথা বিশেষ বরাদ্দ প্রদানের জন্য কেন্দ্রিয় সরকারের প্রতি আহবান জানান। তার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয়ে থেকে সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে সরকারি সেবা সঠিক ভাবে বন্টন এবং বাল্যবিবাহ রোধে সামাজিক সচেতনতা করা জন্য আহ্বান জানান সিএসও এর সদস্যরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইশরাত জাহান বলেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয় সুবিধা বঞ্চিতদের জন্যই, এই দপ্তরে মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ সকল ভাতায় কোন উপঢৌকন দিতে হয় না। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয়ে দূর্নীতি মুক্ত রাখার চেষ্টা করছি, তাই মোংলা উপজেলার সকল নাগরিকদের কাছে তিনি সহযোগিতা কামনা করছেন, যাতে প্রকৃত লোকে যাতে সেবা পায় সেই বিষয় ও সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সিএসও সদস্য চিরানন্দ হাওলাদার এর সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
মোংলায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত
মোংলা প্রতিনিধি
মোংলায় জেন্ডারবান্ধব ও জলাবায়ু সংবেদনশীল কার্যক্রমে চাহিদা ভিত্তিক খাত তৈরী, বাজেট বৃদ্ধি বাস্তবায়ন এবং মনিটরিং বিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে গণ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (৮অক্টোবর) সকাল ১০টায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর অর্থায়নে এবং হেলভেটাস বাংলাদেশ এর কারিগরি সহযোগিতায় সিএনআরএস এর ইভলভ প্রকল্পের আওতায় গণ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
সিএসও সদস্য সুস্মিতা মন্ডল এর সঞ্চলনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ইশরাত জাহান।
উন্মুক্ত গণশুনানিতে সুন্দরবনবেষ্টিত এ এলাকায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার দপ্তরে জেন্ডারবান্ধব ও জলবায়ু সংবেদনশীল বাজেট বৃদ্ধি তথা বিশেষ বরাদ্দ প্রদানের জন্য কেন্দ্রিয় সরকারের প্রতি আহবান জানান। তার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয়ে থেকে সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে সরকারি সেবা সঠিক ভাবে বন্টন এবং বাল্যবিবাহ রোধে সামাজিক সচেতনতা করা জন্য আহ্বান জানান সিএসও এর সদস্যরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইশরাত জাহান বলেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয় সুবিধা বঞ্চিতদের জন্যই, এই দপ্তরে মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ সকল ভাতায় কোন উপঢৌকন দিতে হয় না। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয়ে দূর্নীতি মুক্ত রাখার চেষ্টা করছি, তাই মোংলা উপজেলার সকল নাগরিকদের কাছে তিনি সহযোগিতা কামনা করছেন, যাতে প্রকৃত লোকে যাতে সেবা পায় সেই বিষয় ও সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সিএসও সদস্য চিরানন্দ হাওলাদার এর সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
৯ অক্টোবর থেকে কুয়েটে ‘দুর্গাপূজা’র ছুটি শুরু
খবর বিজ্ঞপ্তি
শারদীয় ‘দুর্গাপূজা’ উপলক্ষে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এ ০৯ অক্টোবর মঙ্গলবার থেকে ছুটি শুরু হচ্ছে, চলবে ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে আগামী ২০ অক্টোবর, ২০২৪ রবিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কার্যক্রম নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী শুরু হবে।
ছুটি চলাকালে নিরাপত্তা, চিকিৎসা, মেরামতসহ অন্যান্য জরুরী সেবা চালু থাকবে।
শারদীয় ‘দুর্গাপূজা’ উপলক্ষ্যে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ।
ভান্ডারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টের পাইপ ও অক্সিজেন মিটার চুরি গ্রেফতার-১
পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টের পাইপ ও অক্সিজেন মিটার চুরির সময় জাহাঙ্গীর মীর (৩০) নামের এক যুবকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। আটককৃত জাহাঙ্গীর উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সৈয়দ আঃ ছত্তারের পুত্র। হাসপাতালের নাইটগার্ড সোহাগ জানান, শুক্রবার রাত পৌনে নয়টার দিকে দোতালার লাইট বন্ধ দেখে আমি সেখানে যাই। যেয়ে দেখি অন্ধকারে একজন লোক সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টের পাইপ ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করছে। আমি এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইবারসহ অনেকে ডেকে নিয়ে চোরকে আটক করি। এসময় তার সঙ্গে থাকা ব্যাগে সেলাই রেন্জ, প্লাসসহ পাই কাটার বিভিন্ন সরঞ্জম পাওয়া যায়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবকে নিয়ে যান। ভাণ্ডারিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল জানান, চুরির ঘটনায় পূর্বে একটি মামলা ছিল। সেই মামলায় জাহাঙ্গীর মীর নামের একজনকে গ্রেফতার করে কোর্ট প্রেরণ করা হয়েছে। এর সাথে যেই জড়িত থাকুক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কাউখালীতে দূর্গাপূজায় নাশকতার কোন হুমকি নেই – লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ
পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুরের কাউখালীতে দূর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন জেলার সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ আরিফ। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কেন্দ্রীয় আখড়াবাড়ি পূজা মন্ডপ এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় স্থানীয় এক সুধী সমাবেশে তিনি বলেন, দূর্গাপূজায় নাশকতার কোন হুমকি নেই। আপনারা নির্ভয়ে আপনাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে পালন করবেন। আমরা আপনাদের নিরাপত্তা দিব। রাত ১১ থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত বেশি করে নজরদারি রাখতে হবে। নির্ভয়ে দূর্গাপূজা সুন্দরভাবে উদযাপন করবেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা, ক্যাপ্টেন আনাস, কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সোলায়মান, প্রেসক্লাব সভাপতি রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, সিনিয়র সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি হাফেজ মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।
খুবিতে ২০ হাজার ব্যবহৃত প্লাস্টিক বোতলের বিনিময়ে ৭ শতাধিক গাছের চারা বিতরণ
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ক্লাবের উদ্যোগে গত দুই দিনে ২০ হাজারেরও বেশি ব্যবহৃত প্লাস্টিক বোতল সংগ্রহের পাশাপাশি ৭ শতাধিক গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বরে ‘গিভ এন্ড টেক সিজন-২’ শীর্ষক কর্মসূচি থেকে এসব গাছের চারা বিতরণ করা হয়।
০৮ অক্টোবর (মঙ্গলবার) বিকেলে ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক জানান, গত বছরের ন্যায় এ বছরও ‘গিভ এন্ড টেক’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হয়। এ কর্মসূচি চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং সাধারণ লোকজন ব্যবহৃত প্লাস্টিকের বোতল জমা দিয়ে গাছের চারা গ্রহণ করেছেন। আমরা গত দুই দিনে ৭ শতাধিক চারা বিতরণ এবং ২০ হাজারেরও বেশি ব্যবহৃত প্লাস্টিক বোতল সংগ্রহ করেছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, সোমবার দুপুরে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়। মাত্র দুই দিনে এত প্লাস্টিক বোতল সংগ্রহ দারুণ একটা ব্যাপার। আমাদের আশেপাশে প্লাস্টিকের বোতল ও ভাঙা অংশ জমে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। জনজীবন ও জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। পরিবেশ দূষণ রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে এ ধরনের কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশের তাপমাত্রা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনজীবন ও জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। নানা অজুহাতে নির্বিচারে গাছপালা কেটে ফেলায় বাড়ছে তাপমাত্রা। ব্যতিক্রমধর্মী এই কর্মসূচির মাধ্যমে গাছ লাগানোর পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব মানসিকতার সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি ভবিষ্যতেও জনসচেতনতা ও বসবাসযোগ্য সুন্দর পরিবেশ তৈরিতে সবাইকে উৎসাহিত করতে এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
খুবি শিক্ষক সমিতির আয়োজনে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে শিক্ষকদের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ০৮ অক্টোবর (মঙ্গলবার) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন জয়বাংলা ভবনের সামনের মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ম্যাচের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।
এ সময় তিনি বলেন, শরীর ভালো রাখতে হলে ক্রীড়া চর্চা প্রয়োজন। খেলাধুলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পায়। শিক্ষকরা খেলাধুলায় সম্পৃক্ত হলে তাদের তারুণ্য ফুটে ওঠে। তিনি এই খেলায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষক এবং আয়োজক হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এস এম ফিরোজের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) প্রফেসর ড. সমীর কুমার সাধু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষক সমিতির সমাজকল্যাণ ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ ইকবাল আহম্মেদ।
খুবির প্রথম বর্ষ প্রথম টার্মের একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে গত ০৭ অক্টোবর (সোমবার) সকল স্কুলের ডিনবৃন্দের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের (২৪ ব্যাচের) প্রথম বর্ষ প্রথম টার্মের একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করা হয়েছে। ০৮ অক্টোবর (মঙ্গলবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) প্রফেসর ড. সমীর কুমার সাধু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রণীত একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী- কোর্স রেজিস্ট্রেশন (জরিমানা ছাড়া) ২০ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত, কোর্স রেজিস্ট্রেশন (জরিমানাসহ) ৩১ অক্টোবর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত। ক্লাস গ্রহণ ২০ অক্টোবর থেকে ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত এবং ১৯ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক ছুটি (পিএল) ৩১ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, পরীক্ষা গ্রহণ ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ০৮ মার্চ পর্যন্ত। শীতকালীন ছুটি ১০ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
শারদীয় দুর্গাপূজা ও পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম উপলক্ষ্যে খুবি ছুটি ঘোষণা
খবর বিজ্ঞপ্তি
শারদীয় দুর্গাপূজা ও পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম উপলক্ষ্যে আজ ০৯ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে জরুরি পরিসেবাসমূহ (বিদ্যুৎ, পানি, ইন্টারনেট, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা) যথারীতি চালু থাকবে। ছুটি শেষে আগামী ২০ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি. তারিখ রবিবার যথারীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শরণখোলায় আঞ্চলিক মহাসড়কের নির্মানাধীন ব্রীজের রড চুরি
শরণখোলা প্রতিনিধি
বাগেরহাটের শরণখোলা-মোড়েলগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের তাফালবাড়ি বাজার খালের নির্মানাধীন ব্্রীজের চুরি হওয়া ৫ টন রড গত আট দিনেও উদ্ধার করা যায়নি। এ ঘটনায় স্থাণীয়দের মাঝে ক্ষেভের সৃষ্টি হয়েছে। শরণখোলা থানার অফিসার ইনর্চাজ এইচ.এম কামরুজ্জামান জানান, চুরি যাওয়া রড উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
মীর হাবিবুল ইসলাম নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সোহেল খান জানান, শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি বাজার খালে প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ব্রীজের কাজ চলছে। কিন্তু গত ০১ অক্টোবর রাতে একদল দুর্র্বৃত্ত ব্রীজ নির্মানের জন্য আনা ৫ টন রড ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যায়। ফলে ব্রীজের কাজ বন্ধ রয়েছে। চুরি করে নেয়া রডের মূল্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। এ ঘটনায় গত ৩ অক্টোবর শরণখোলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের বাগেরহাট জেলা প্রকৌশলী মোঃ আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে ব্রীজের মালামাল পাহারা দেয়া উচিৎ ছিলো। তবে এ ঘটনায় ব্রীজের নির্মান কাজ বাধাগ্রস্থ হওয়ার কোন আশংকা নাই।
দুর্গাপূজাকে উৎসবমুখর করতে কঠোর অবস্থানে কেএমপি
স্টাফ রিপোর্টার
শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবমূখর পরিবেশে উদযাপন করার জন্য খুলনা মহানগরী এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থানে থাকবে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে পুলিশের টহল ডিউটি জোরদার করার পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) নগরীর বয়রাস্থ পুলিশ লাইন্সে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ডিউটিতে মোতায়েনকৃত অফিসার-ফোর্সের ব্রিফিং অনুষ্ঠানে কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার এ কথা বলেন।
যে কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে তিনি ডিউটিতে মোতায়েনকৃত অফিসার-ফোর্সদের ধৈর্য, সহিষ্ণুতা এবং পেশাদারিত্বের সাথে সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
ব্রিফিং অনুষ্ঠানে কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স) আবু রায়হান মোহাম্মদ সালেহ এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল) মোছাঃ তাসলিমা খাতুনসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নবাগত ইউএনও’র পরিচিতি ও আসন্ন দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে সভা
কালিগঞ্জ প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বিএনপি, জামায়াত ইসলামীর নেতৃবৃন্দ, সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ, ইউপি সচিব ও গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় করেছেন নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল। নবাগত ইউএনও’র পরিচিতি ও আসন্ন দুর্গোৎসব উদযাপনের প্রস্তুতির লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাকক্ষে নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত কুমার বিশ্বাস এর পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর মুশফিকুর রহমান, থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ এবাদুল ইসলাম, সদস্য সচিব ডাঃ শেখ শফিকুল ইসলাম বাবু, জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওঃ আব্দুল ওহাব সিদ্দিকী, সেক্রেটারী অধ্যাপক আব্দুর রউপ, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সেক্রেটারী সুকুমার দাশ বাচ্ছু, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার উপজেলা সভাপতি এম হাফিজুর রহমান শিমুল, উপজেলা ঈমাম সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল গফুর, পূজা উদযাপন পরিষদের সেক্রেটারী মিলন কুমার ঘোষ, উপজেলা সমন্বয়ক রাকিব ও সমন্বয়ক আমির হামজা প্রমুখ। এসময়ে বক্তব্যে নবাগত ইউএনও অনুজা মন্ডল বলেন দলমত নির্বিশেষে সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় কালিগঞ্জে দুর্গোৎসব উদযাপন করতে চাই। আইন শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে উপজেলা এলাকার ১২টি ইউনিয়নের ৪৯টি পূজা মন্ডপে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আনছার ভিডিপি ও গ্রাম পুলিশ যথাযথ দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন সর্বদাই তদারকিতে থাকবেন। রুটিং মাফিক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি টহলে থাকবেন। আমি এই উপজেলায় অদ্যহতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্বে আছি, দুর্নীতিমুক্ত ও জনবান্ধব উপজেলা প্রশাসন উপহার দিতে চাই। সেক্ষেত্রে আমাকে সকলে সহযোগিতা করবেন এমনটা আশা করছি। শুধু দুর্গোৎসব নয়, অন্যান্য সময়েও এই উপজেলাকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রাখতে স্বচেষ্টায় থাকব। তবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
কালিগঞ্জে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়
কালিগঞ্জ প্রতিনিধি
কালিগঞ্জে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল। মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) বেলা ১২টায় নির্বাহী কর্মকর্তার সভাকক্ষে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত কুমার বিশ্বাস এর পরিচালনায় এসময়ে বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্ছু, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার উপজেলা সভাপতি এম হাফিজুর রহমান শিমুল, সিনিয়র সহ সভাপতি এসএম আহম্মদ উল্লাহ বাচ্ছু, সহ সভাপতি প্রভাষক সেলিম শাহারিয়ার, সাধারণ সম্পাদক শেখ নাজমুল হোসেন প্রমুখ। নবাগত ইউএনও এসময়ে বলেন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সমাজ তথা দেশের অবদান রাখতে হবে। আসন্ন দুর্গোৎসবে সকলে মিলে মিশে আনন্দ উপভোগ করতে চাই। এ উপজেলায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আনছার ভিডিপি ও গ্রাম পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক টীম থাকবে। সংবাদপত্রে অহেতুক হয়রানীর উদ্দেশ্যে নয়, সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সমাজকে আলোকিত করতে পারে। আমি আশা করবো আপনারাও সঠিক তথ্যদিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন।
দর্শনায় আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির ব্যাংকের ৪৮ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
দর্শনায় আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির দর্শনা শাখায় ব্যাংকের ৪৮ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে কেক কাটাসহ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দর্শনা পুরাতন বাজার ব্যাংটির ভবনে আয়োজিত ৪৮ বছর পূর্তি ‘ নিশ্চিত আগামীর নির্ভরতায়’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন
দর্শনা শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ রেজাউল করিম।সহকারী ব্যবস্থাপক বিপ্রদীপ পালের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রাব্বিক হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) মোহাম্মদ আঃ সাত্তার, হাফিজুর রহমান,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান খোকন,হাজী আঃ রহমান,হাজী অঃ মমিন প্রমুখ।প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন আমি এই ব্যাংকের পুরাতন গ্রাহক।এদের সেবার মান ভাল।আশা করবো এটা তারা ধরে রাখবে।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শরিফুল
ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি
নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা শেখ হাবিবুল্লাহ এর পুত্র মোঃ শরিফুল ইসলাম গতকাল সকাল সাড়ে ১০ টায় বাদামতলা নিজ কর্মস্থলে আসার পথে খুলনা বেতারের সামনে পৌছানো মাত্র সিএনজি (খুলনা মেট্রো থ ১১- ১০১৪ ) মোটরসাইকেল আরোহী মোটরসাইকেল নং (ঢাকা মেট্রো হ ৫০- ৫০৫০) শরিফুল ইসলামকে রং সাইডে এসে ধাক্কা দেয় এতে শরিফুলের ডান হাত,বুকে ও দুই পায়ে সহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত লেগে রাস্তায় ছিটকে পড়ে স্থানিয়রা তাকে উদ্ধার করে বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার সাথে সাথে সিএনজি চালক দ্রুত পালিয়ে যায়।
খানাবাড়ী গার্লস হাই স্কুলে আলোচনা সভা, কোরআন তেলাওয়াত ও নাতে রাসুল প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণী
ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি
সিরাতুন নব্বী (সাঃ) যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে খানাবাড়ী গার্লস হাই স্কুলে আলোচনা সভা-দোয়া এবং কোরআন তেলওয়াত ও নাতে রাসুল প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় বিদ্যালয়ের হল রুমে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের সাবেক ধর্মীয় শিক্ষক ইদ্রিস আলী হাওলাদার। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) এস এ রহিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা- দোয়া ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খানজাহান আলী থানা সাংবাদিক ইউনিটের সহ-সভাপতি ও দৈনিক প্রবাহের খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি এম শফিক। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিষয় ভিক্তিক আলোচনা করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জোয়াদ্দার মোঃ জিয়াউল হাসান। এ সময় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত), সিনিয়র শিক্ষক কুমোদ চৌধুরী, তাসলিমা খাতুন, আফরোজা সুলতানা, নাসিমা আক্তার, তাপস কুমার মল্লিক, খাদিজা আক্তার, মোশাররফ হুসাইন, মোঃ আঃ কাদের, সুজন কুমার দেসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিল। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনী থেকে দশম শ্রেনীর ছাত্রী কোরআন তেলওয়াত ও নাতে রাসুল প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
সাতক্ষীরার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে মতবিনিময় সভা
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার নবাগত সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ এর সাথে আশাশুনি উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সুধীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় উপজেলা উপজেলা কারিগরি শিক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আইসিটি কর্মকর্তা আক্তার ফারুক বিল্লাহ’র সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরার নবাগত জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাক আহমেদ। এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায়, সরকারি কমিশনার ভূমি রাশেদ হোসাইন, আশাশুনি সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক হোসেন আলী, থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপÍসহকারী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলামসহ সরকারি কর্মকর্তাÍকর্মচারী, গণমাধ্যম কর্মী, শিক্ষক প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিগণ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নবাগত জেলা প্রশাসক বলেন, বুধবার থেকে আশাশুনি উপজেলার কোন দপ্তরে ঘুষ দুর্নীতি চলবে না। কেউ এ ধরনের কাজের সাথে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, সর্বপ্রথমে আমাদের ভালো মানুষ হতে হবে। আমরা ভালো মানুষ হতে পারলে প্রত্যেক সেক্টর থেকে অনিয়ম নির্মূল হয়ে যাবে। মাদকের বিরুদ্ধে কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, কোন মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদক সেবীদের ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি এসময় আসন্ন দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে পালনে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় উপজেলার সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
দিঘলিয়ায় সিটিসি’র দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত
দিঘলিয়া প্রতিনিধি
রূপান্তরের আয়োজনে আশ্বাস প্রকল্পের আওতায় দিঘলিয়া ইউনিয়ন মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটি (সিটিসি) এর দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালা গতকাল ৮ই অক্টোবর মঙ্গলবার দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপী এই কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হায়দার আলী মোড়ল । আশ্বাস প্রকল্পের কমিউনিটি ফ্যাসিলেটেটর নাজমুন হাসিন রিপার সঞ্চলনায় উক্ত কর্মশালায় প্রকল্পের কার্যক্রম ও কর্মশালার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন প্রোগাম অফিসার মোঃ মোশারেফ আলী সোহেল।
অনুষ্ঠানে উইনরক ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক আশ্বাস প্রকল্পের জন্য নির্মিত “প্রেরণার আলোকশিখা” নামক একটি ডকুমেন্টরি ভিডিও দেখানো হয়। যেখানে মানব পাচারের শিকার সারভাইভারদের সংগ্রাম, বৈষম্য ও ফিরে আসার গল্প তুলে ধরা হয়েছে।
কর্মশালায় ইউনিয়ন পর্যায়ের সিটিসি’র অগ্রাধিকার ভিত্তিক কাজ চিহ্নিতকরণ, মানব পাচারের সারভাইভারদের জন্য সেবার সুযোগ চিহ্নিতকরণ, সারভাইভারদের সুরক্ষার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের বার্ষিক বাজেটে বরাদ্দ ও বরাদ্দের সদ্বব্যবহার, জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সারভাইভারের সুরক্ষা বিষয়ক কার্যক্রম গ্রহণ ও পরিচালনা, মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটিকে সম্পৃক্তকরণের গুরুত্ব, কৌশল নির্ধারন ও ৬ মাসের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এ কর্মশালায় অন্যান্য সদস্যগণের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দিঘলিয়া থানার এসআই প্রকাশ চন্দ্র বাছাড়, দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ আনছার আলী বিশ্বাস, মাওলানা মুজিবর রহমান, সাংবাদিক সৈয়দ জাহিদুজ্জামান, ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম, পাখি বেগম, রূপা বেগম, খান বিপ্লব, মাস্টার মশিউর রহমান, শেখ বোরহানুর রহমান, মাওঃ আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
প্রতারক মোকছেদ আলীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
শ্যামনগর প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে মঙ্গলবার ৮ অক্টোবর ভূমি দসু প্রতারক ও মিথ্যা মামলাকারি মোকসেদ আলীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন উপজেলা নাগরিক সমাজ ও সচেতন এলাকাবাসী।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নাগরিক সমাজের পক্ষে ইয়াসিনুর রহমান,হাবিবুর রহমান,হুমায়ুন কবির, এস কে আলম ও ব্যবসায়ী মমিনুর রহমান।
তারা বক্তব্যে বলেন, উপজেলা বাস্তহারালীগের সাবেক সভাপতি, উপজেলা কৃষি খাস জমি বন্দোবস্তো বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য পরিচয়ে ভূমিদস্যু, প্রতারক মোঃ মোকছেদ আলী ও তাঁর চাঁদাবাজ পুত্র রহমত আলী জামাতা একাধিক হত্যা মামলার আসামী ছাবের মিস্ত্রী গং দের বিরুদ্ধে অসহায় নারী-পুরুষদের কাছ থেকে জমি ও ঘর দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবী জানানো হয়। মোকছেদ আলী বিরুদ্ধে শ্যামনগর সদরে মুক্তিযুদ্ধা বারেক গাজীর, থানা মসজিদ এর ইমাম মাওলানা জুবায়ের হোসেন, পৌর জামাতের আমির সাচ্চু গাজী, সুজা মাহমুদ গাজী সহ অসংখ্য লোকজনের জায়গা দখল করার অভিযোগ রয়েছে।
তার পরিবারের একাধিক সদস্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি,হত্যা,রাতের আধারে অন্যের জমি দখল, খাসজমি দখল করে বিক্রি করা,সরকারি ঘর দেওয়ার নামে প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
গড়ভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ কেটে আত্মসাতের অভিযোগ
কেশবপুর প্রতিনিধি
যশোরের কেশবপুরে গড়ভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যালয়ের দুই লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মেহগনি গাছ কেটে বাড়ির ফার্ণিচার বানানোসহ অবশিষ্ট টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি জানা জানি হলে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, ৪৫/৫০ বছর আগে ঐতিহ্যবাহী গড়ভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে বৃহদাকার ৭টি মেহগনি, ৩টি কাঁঠাল গাছসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন গাছ লাগানো ছিল। গত জুন, জুলাই মাসে বিদ্যালয়ের জন্যে নতুন একটি একাডেমিক ভবন বরাদ্দ দেয়া হয়। এসময় ভবন নির্মাণের স্বার্থে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোনো টেন্ডার ছাড়াই গাছগুলি কেটে বিদ্যালয়ের পাশে স্তুপ করে রাখে। গত জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে বিদ্যালয়ের শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এ সুযোগে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে যোগসাজশে অতিগোপণে স্তুপ করে রাখা প্রায় আড়াই লাখ টাকা মূল্যের কাঠ এলাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেয়। সম্প্রতি কাঠ বিক্রির খবর এলাকায় রটে গেলে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়।
নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে একজন শিক্ষক জানান, ওই কাঠের ভেতর থেকে কিছু কাঠ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিজের বাড়ির আসবাবপত্র তৈরির জন্যে নিয়ে গেছে। অবশিষ্ট কাঠ এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দিয়ে সমুদয় টাকা সিন্ডিকেট করে ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছে।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অঞ্জন কুমার কুন্ডু বলেন, গাছ কাটার পর আমি ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার গ্রহণ করি। বিষয়টি সাবেক প্রধান শিক্ষক বলতে পারবেন। তাছাড়া, ভবন নির্মাণের স্বার্থে গাছ টেন্ডার দিয়ে বিক্রির সময়ও ছিল না। গাছ বিক্রির ৬০ হাজার টাকা আতিয়ার রহমান নামে এক ব্যবসায়ী আমার কাছে দিয়েছিল। যা পাঁজিয়া রূপালী ব্যাংকে বিদ্যালয়ের হিসাবে জমা রাখা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক লিয়াকত আলী বলেন, বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যে গাছ লাগানো ছিল তার আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ২০/৩০ হাজার টাকা হবে। আমি এপ্রিলে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অবসরে যাই। আমার অবসর কালিন সময়ে বিদ্যালয়ের কোনো গাছ কাটা হয়নি। গাছ কাটা হয়েছে জুন, জুলাই মাসে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম জিল্লুর রশিদ বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ অবহিত করেনি। তাছাড়া, এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগও দেয়নি। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
খুলনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দাওয়াতী কর্মসুচীর উদ্বোধন
খবর বিজ্ঞপ্তি
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সহ-সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, ৫৩ বছর পর ইসলামকে বিজয়ী করার সুযোগ এসেছে। ইসলামের সৌন্দর্যগুলো তুলে ধরে মানুষকে ইসলামের পথে নিয়ে আসতে হবে। চলমান মানবরচিত সংবিধানের কুফল এবং ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রের সুফল তুলে ধরে মানুষকে ইসলামের পতাকাতলে নিয়ে আসার জন্য একযোগে সকল নেতাকর্মীকে কাজ করতে হবে। ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠিত না থাকলে দেশ, মানুষ ও ইসলামের যে কী দূরাবস্থা তা বিগত সময়ে দেশের মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। এখন ইসলাম প্রতিষ্ঠার কল্যাণকর দিকগুলো তুলে ধরে মানুষকে বুঝাতে হবে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকাল ৫ টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরের উদ্যোগে নগরীর পাওয়ার হাউস মোড়ে আয়োজিত দেশব্যাপী দাওয়াতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে খুলনা মহানগরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নগর সেক্রেটারি মুফতি ইমরান হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নগর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু তাহের, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবু গালিব, অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি মাওলানা দ্বীন ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা হাফিজুর রহমান, আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির, মুহাম্মাদ মঈন উদ্দিন, এইচএম আরিফুল ইসলাম, মোঃ ফেরদৌস গাজী সুমন, মুফতি আমানুল্লাহ, অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন, মাওলানা নাসিম উদ্দিন, হাফেজ আব্দুল লতিফ, গাজী মিজানুর রহমান, আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন, আলহাজ্ব সরোয়ার হোসাইন বন্দ, মোল্লা রবিউল ইসলাম, মোহাম্মদ কবির হোসেন, আলহাজ্ব মারুফ হোসেন, ক্বারী মোঃ জামাল, আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম টুটুল মোড়ল, রিয়াজ খান, মোঃ আফজাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ মহানগর সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সেক্রেটারি মোঃ ইব্রাহিম খান, ইসলামী যুব আন্দোলন মহানগর সভাপতি মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহ-সভাপতি মাহদী হাসান মুন্না, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আল গালিব, মোঃ হাবিবুল্লাহ মেসবাহ সহ বিভিন্ন থানার নেতৃবৃন্দ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সারাদেশে একযোগে সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচি শুরু করেছে। সারাদেশে সাধারণ মানুষ, আইনজীবী, শ্রমজীবী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ পীর সাহেব চরমোনাই’র আপোসহীন ও গতিশীল নেতৃত্বের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সদস্য ফরম পুরণ করে সদস্য হচ্ছেন।
‘এশিয়া রিজিলিয়েন্ট সিটিস’ প্রকল্প কর্তৃক ‘ডিজিটাল সার্ভে ফাইন্ডিংস’ বিষয়ে কেসিসি কর্মকর্তাদের সাথে প্রকল্প কর্মকর্তাদের সভা
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগরীতে বাস্তবায়নাধীন ‘এশিয়া রিজিলিয়েন্ট সিটিস’ প্রকল্প কর্তৃক ‘ডিজিটাল সার্ভে ফাইন্ডিংস’ বিষয়ে কেসিসি কর্মকর্তাদের সাথে প্রকল্প কর্মকর্তাদের এক সভা মঙ্গলবার বিকেলে নগর ভবনের জিআইজেড মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্মসচিব) লস্কার তাজুল ইসলাম। এইএসএআইডি’র অর্থায়নে খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও ব্রাক যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে মহানগরীতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ওয়ার্ড অফিসসমূহে ডিজিটাল সেবা কেন্দ্র মূল্যায়ন ফলাফল শেয়ারিং ও যৌথ কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহণের লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতির বক্তৃতায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেসিসিকে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, নগরবাসীকে উন্নত সেবা প্রদানে কেসিসি কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ জন্য সকল কর্মকর্তা কর্মচারীকে সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। অনলাইন সেবা চালু না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক ওয়ার্ড অফিসে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সেবাদান কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রকল্প পরিচালনার লক্ষ্যে খুলনা সিটি কর্পোশেনের সকল ওয়ার্ড অফিসে ডিজিটাল সেবা কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং ওয়ার্ড অফিসসমূহে চাহিত কম্পিউটার সরবরাহের বিষয়ে গুরুত্ব বিবেচনায় পর্যায়ক্রমে সকল ওয়ার্ডে কম্পিউটার সরবরাহ করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।
সভায় কেসিসি’র সচিব শরীফ আসিফ রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সানজিদা বেগম, প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো: আনিসুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার হালদার, চীফ প্লানিং অফিসার আবির উল জব্বার, রাজস্ব কর্মকর্তা এসকেএম তাছাদুজ্জামান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শরীফ শাম্মিউল ইসলাম, সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এস এম আব্দুল ওয়াদুদ, কঞ্জারভেন্সী অফিসার মো: অহিদুজ্জামান খান, আর্কিটেক্ট রেজবিনা খানম, আইটি ম্যানেজার শেখ হাসান হাসিবুল হক, ভেটেরিনারী সার্জন ড. পেরু গোপাল বিশ^াস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্যা মারুফ রশীদ, এস্টেট অফিসার গাজী সালাউদ্দিন, জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ মাজেদ, কালেক্টর অব ট্যাক্সেস তপন কুমার নন্দী, প্রকল্প প্রধান ফারহানা আফরোজ, প্রকল্পের সিটি অফিসার গাজী গোলাম মোহাম্মদ, কানসালট্যান্ট জিরারুর রহমান, গবেষণা ও মনিটরিং অফিসার উৎপল কুমার দাসসহ ৩১টি ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ফকিরহাটে মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন বৃত্তি প্রদান
ফকিরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ফকিরহাটে মরহুম সৈয়দ গোলাম মাহাবুব আলী মেধাবী শিক্ষার্থীদের চতুর্থ তম এককালীন বৃত্তি ও সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
এদিন আট্টাকা কেরামত আলী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির মোট ৩৬জন শিক্ষার্থীকে মোট ৫২হাজার নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। একই সাথে এসব শিক্ষার্থীকে ক্রেষ্ট দিয়ে সম্মননা প্রদান করা হয়। এছাড়াও চার শিক্ষার্থীকে স্কুল ড্রেস প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় আট্টাকা কেরামত আলী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন।
অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সুরঞ্জিৎ কুমার হালদালের সভাপতিত্ব এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন মরহুম সৈয়দ মাহাবুব আলীর (পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক চীফ ইলেকশন কমিশনার) ছেলে আমেরিকা প্রবাসী বিশিষ্ট সমাজসেবক সৈয়দ মঞ্জুর আহমেদ নওরোজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুর রহমান, একাডেমিক সুপারভাইজার আছাদুজ্জামান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মীর রফিকুলইসলাম বিল্লু, এএলএম বদিউজ্জামান, সৈয়দ মারুফ হোসেন মাহফুজ, সৈয়দ হারুন অর রশিদ হিরু, মল্লিক ইদ্রিস আলী, সৈয়দ মাসুদ হোসেন, মো. কাজী শাহানশাহ্ মিথুন।
আমেরিকা প্রবাসী বিশিষ্ট সমাজসেবক সৈয়দ মঞ্জুর আহমেদ নওরোজ জানান, শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ার আগ্রহ বাড়াতে এই উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। আগামীতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে বলে তিনি জানান।
চুয়াডাঙ্গায় ৭২৪ লিটার রেকটিফাইড স্পিরিটসহ আটক ৩
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে ৭২৪ লিটার রেকটিফাইড স্পিরিটসহ আমিনুল ইসলাম (৪৫), মিতুল মিয়া (৪০) ও শরিফুল ইসলাম (২০) নামে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ভোর রাতে দর্শনা থানাধীন আনোয়ারপুর হঠাৎ পাড়া থেকে তাদের আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নাজমুল হাসান খান।
আটককৃত আমিনুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার আনোয়ারপুর হঠাৎপাড়ার মৃত সোনা মিয়ার ছেলে, মিতুল মিয়া মৃত কিতাব আলীর ছেলে ও শফিকুল ইসলাম মৃত নুর মিয়ার ছেলে।
নাজমুল হাসান খান জানান, মঙ্গলবার ভোরে তিনি ও সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের ওয়ারেন্ট অফিসার মাসুদ সঙ্গীয় ফোর্স হঠাৎ পাড়ায় একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ৭২৪ লিটার রেকটিফাইড স্পিরিটসহ তাদের ৩ জনকে আটক করেন। বোতলজাত করে বিক্রির উদ্দেশ্যে এসব স্পিরিট রাখা হয়েছিলো।
নাজমুল হাসান খান নিজে বাদী হয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। আটক ৩ জনকে মাদকসহ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষকের স্বীকৃতি পেলেন এস এম হায়াতুজ্জামান
নড়াইল প্রতিনিধি
বিশ্ব শিক্ষক দিবস- ২০২৪ উপলক্ষে গুণী শিক্ষক হিসেবে সারাদেশের মধ্যে ‘দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক’ এর স্বীকৃতি পেয়েছেন লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এস এম হায়াতুজ্জামান।
তিনি নড়াইল জেলা এবং খুলনা বিভাগে শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে জাতীয় পর্যায়ে তিনি দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষকের স্বীকৃতি পেয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গুণী শিক্ষক বাছাই প্রক্রিয়ায় একজন শিক্ষকের শিক্ষকতার অনন্যতার পাশাপাশি সামাজিক, মানবিক কার্যক্রম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় বাছাই কমিটি দ্বারা যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করা হয়। শিক্ষক এস এম হায়াতুজ্জামান নেট দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বে শতবর্ষ প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়টি আজও স্বমহিমায় ভাস্বর হয়ে রয়েছে।
কোনো শিক্ষক অথবা শিক্ষার্থী দুরারোধ্য রোগে আক্রান্ত হলে এস এম হায়াতুজ্জামান ছুটে যান আক্রান্ত ব্যক্তির পাশে। মহামারী করোনার সময় তিনি আক্রান্তদের বাড়ি গিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। জেলার স্কাউটিং কার্যক্রমকে গতিশীল ও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বিশ্ব শিক্ষক দিবসের আলোচনা সভা শেষে নড়াইল জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান গুণী শিক্ষক এস এম হায়াতুজ্জামানকে শুভেচ্ছাসহ সংবর্ধনা প্রদান করেন।
যশোরে ৫ মামলার আসামিকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা
যশোর প্রতিনিধি
যশোরে হত্যাসহ পাঁচ মামলার আসামি সাইফুল ইসলাম সাগরকে (৩৫) হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া বাজার সংলগ্ন ব্রিজের ওপর তাকে মেরে আহত করা হয়। সাগরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকায় রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত সাগর বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, সাইফুল ইসলাম সাগর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি স্থানীয় সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজ হিসেবে চিহ্নিত। ১০-১২ দিন আগে তিনি একটি অস্ত্র মামলায় জেল হাজত খেটে মুক্তি পান। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বালিয়া ভেকুটিয়া ব্রিজের ওপর সাগরকে একা পেয়ে অতর্কিত হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তাকে দুই পায়ে হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, নিহত সাগর হত্যায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। কেউ আটক হয়নি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
তিনি বলেন, নিহত সাগারের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতির চেষ্টা ও মাদকসহ ৫টি মামলা রয়েছে।
ভারতে দুই বছর জেল খেটে ফিরলেন ৫ বাংলাদেশি
বেনাপোল প্রতিনিধি
কাজের সন্ধানে ভারত গিয়ে আটক, তারপর দুই বছর জেল খেটে দেশে ফিরেছেন পাঁচ বাংলাদেশি। রোববার সন্ধ্যায় তাদের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে হস্তান্তর করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোরের শেল্টারহোমে থাকার পর মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
খুলনার রূপসা উপজেলার রফিক জানান, তিনি দালালের মাধ্যমে ২০২২ সালে সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে ভারতে যান। সেখান থেকে কেরালা রাজ্যের চেরাই এলাকায় অবস্থান নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরার কাছ করতেন। প্রতিদিন ৫০০ রুপি মজুরির পাশাপাশি মাছের থেকে কমিশন পেতেন। এ বাবদ সপ্তাহে আরও প্রায় ২০ হাজার রুপি আয় হতো। সে হিসাবে মাসে আয় হওয়ার কথা ৭০-৮০ হাজার রুপি।
রফিক বলেন, কিন্তু কপালে সুখ বেশিদিন সইলো না। মাত্র ১৮ দিনের মাথায় কেরালা পুলিশের হাতে ধরা পড়লাম। দুই বছরের জন্য সোজা ত্রিশুর ভিয়ের সেন্ট্রাল জেলে যেতে হলো।
কেরালা পুলিশের হাতে আটক হন রফিকের এলাকারই শাহীন শিকদার, তার স্ত্রী এবং শিশুপুত্র। তারা আটক হয়েছিলেন নর্থ পারুনের ভাড়া বাড়ি থেকে। সেসময় তার স্ত্রী দুই মাসের সন্তানসম্ভবা ছিলেন। তাদেরও দুই বছরের জেল দিয়ে ত্রিশুর ভিয়ের জেলখানায় পাঠানো হয়। শিশুপুত্রকে পাঠানো হয় একটি শেল্টারহোমে। জেলখানাতেই দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেন শাহীনের স্ত্রী।
রফিক জানান, কেরালায় অনেক বাংলাদেশির অবস্থান। তারা মাছ ধরা, ভাংগাড়ির কারবারসহ নানা ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। এদের অনেকে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে, আবার কেউ কেউ পাসপোর্ট, ভিসা করেই সেখানে গেছেন। তবে, সবাই কোনো না কোনো দালালের মাধ্যমে যান। এসব দালাল বাংলাদেশিদের স্থানীয় ‘মহাজনদের’ জিম্মায় দিয়ে অর্থ উপার্জন করেন। সেই মহাজন বাংলাদেশিদের নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত করে লাভবান হন। বাংলাদেশিরাও বাড়তি রোজগার করেন।
রফিক ২০১৮ সালে প্রথম ভারতে গিয়েছিলেন পাসপোর্ট-ভিসা করেই। তিনি তিন মাস তিন মাস করে সেখানে অবস্থান করে কাজ করতেন। এরপর ফিরে এসে কয়েকদিন পর ফের যেতেন। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে দালালের মাধ্যমে ২০২২ সালে অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশ করেন।
রফিক বলেন, সি বিচের একটি দোকানে বসে থাকা অবস্থায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটক করে তাকে। ভিসা বা আধার কার্ড না থাকায় থানায় নিয়ে যায়। পরে দুই বছরের জেল দেয় আদালত।
রফিক বলেন, ‘স্থানীয় মানুষরাই আমাকে ধরিয়ে দিয়েছে। এরকম ঘটনা প্রায়ই ঘটে।’
দালালের মাধ্যমে ২০২২ সালে কেরালায় গিয়েছিলেন শাহীন শিকদার। তিনিও সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তের অবৈধ পথ দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে একজন দালাল তাকে নিয়ে যান কেরালার নর্থ পারুনে। সেখানে তিনি ভাংগাড়ির কাজ করতেন। শাহীন যাওয়ার দুই মাসের মধ্যে ডাক্তার দেখানোর জন্য শিশু সন্তানকে নিয়ে ভারতে যান তার স্ত্রীও। তবে পাসপোর্ট-ভিসার মাধ্যমে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গিয়েছিলেন শাহীনের স্ত্রী।
শাহীন জানান, ডাক্তার দেখানোর পর স্ত্রী সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু তিনি দেশে ফিরে না এসে তার সঙ্গে কেরালায় অবস্থান করতে থাকেন। একদিন পুলিশি অভিযানে আটক হন তারা।
চলতি বছরের ২৬ আগস্ট তাদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। সেখান থেকে শাহীন ও রফিককে নিয়ে যাওয়া হয় ডিটেনশন সেন্টার ডিটিআরএ। ১২ সেপ্টেম্বর চেন্নাইস্থ বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশন থেকে সবার দেশে ফেরার জন্য ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা হয়। যার ভিত্তিতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ৩ অক্টোবর কেরালা পুলিশ সবাইকে নিয়ে যাত্রা করে। তারা ৫ অক্টোবর রাতে কোলকাতায় পৌঁছায়। ৭ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে তাদের পেট্রাপোল স্থলবন্দরে নিয়ে আসা হয়। সন্ধ্যায় পাঁচজনকেই বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসির কাছে হস্তান্তর করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। সেখান থেকে বেনাপোল পোর্ট থানায় জিডি করে সবাইকে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোরের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক জানান, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে বাংলাদেশিদের নিয়ে নানা কাজে যুক্ত করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। সাধারণত ওই দেশের মানুষরা যে কাজ করে না সেসব কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে বাংলাদেশিদের নিযুক্ত করা হয়। সাধারণত স্বাধীন মনে হলেও ওই চক্রের ঘেরাপোট থেকে তাদের বের হওয়ার উপায় থাকে না। এটা অনিরাপদ অভিবাসন। কখনো কখনো পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটক করে।
বেনাপোল বন্দরে ৫ দিন বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি
বেনাপোল প্রতিনিধি
দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে টানা পাঁচদিন বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে এ ছুটিতে বেনাপোল কাস্টম হাউজ ও বন্দরে পণ্য খালাস এবং বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুল সজিব নাজির। তিনি জানান, ভারত থেকে এ ধরনের একটি চিঠি বন্দরে দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৯ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে টানা পাঁচদিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। ১৪ অক্টোবর থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানির সব কার্যক্রম শুরু হবে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, পূজার ছুটিতে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বেনাপোল দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, বুধবার থেকে ছুটি শুরু হলেও মঙ্গলবার বিকেল থেকে শুরু হয়ে যাবে ছুটি। সবাই কাজকর্ম সেরে রওয়ানা দেবেন যার যার গন্তব্যে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৯ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর ও বাংলাদেশে ১৩ অক্টোবর টানা পাঁচদিনের ছুটিতে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। ১৩ অক্টোবর সকাল থেকে আবারও এ পথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য চালু হবে। তবে ইলিশ মাছ আমদানি চালু থাকবে বিশেষ ব্যবস্থায়।
দেশের অর্থনীতিতে বেনাপোল বন্দরের ভূমিকা অপরিসীম। বেনাপোল থেকে কোলকাতার দূরত্ব ৮৪ কিলোমিটার। এ কারণে এ পথে আমদানিকারকরা আমদানিতে আগ্রহ বেশি। প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ পণ্য বোঝাই ট্রাক আসে ভারত থেকে। এছাড়াও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাঁচা মালামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এ বন্দর দিয়ে। ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ৯০ ভাগই আসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। টানা পাঁচদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় এর প্রভাব বাজারে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীসহ বন্দর ব্যবহারকারীরা।
ভবদহে জলাবদ্ধতার পুনরাবৃত্তি পদ্ধতিগত মানবাধিকার লঙ্ঘন
যশোর অফিস
কয়েক দিনের টানা বর্ষণে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ভবদহ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভবদহে জলাবদ্ধতার ঘটনার পুনরাবৃত্তিকে পদ্ধতিগত মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
সোমবার (৭ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় কমিশন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে মনিরামপুরের ভবদহ এলাকায় জলাবদ্ধতা ও লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি বিষয়ক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বর্ষা মৌসুম আসলেই একটি বিশেষ অঞ্চল প্লাবিত হওয়া এবং লাখ লাখ মানুষের দুর্দশা সৃষ্টি হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। এর ফলে স্থানীয়দের জীবন-জীবিকা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বছরের পর বছর ধরে মানবিক বিপর্যয় সত্ত্বেও এ বিষয়ে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়া বা সমস্যার সমাধান না করা পদ্ধতিগত মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এ বিষয়ে কমিশন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ পর্যালোচনা করে স্বপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমোটো) গ্রহণ করেছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে মনিরামপুর উপজেলার ভবদহ অঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সরকারিভাবে এ অঞ্চলকে বন্যাদুর্গত এলাকা ঘোষণা করা হয়নি। যশোর-খুলনা অঞ্চলের মানুষের দুঃখের একটি নাম হলো ভবদহ। বৃষ্টির মৌসুম আসলেই এই অঞ্চলের মানুষের নির্ঘুম রাত কাটে। ভারী বৃষ্টি হলে এই অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তলিয়ে যায় ফসলের ক্ষেত, হাজার হাজার মাছের ঘের ও পুকুর। ক্ষতি হয় মানুষের কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সরকার আসে সরকার যায়, প্রকল্প আসে প্রকল্প শেষ হয়ে যায়, কিন্তু ভবদহ এলাকার মানুষের সমস্যার কোনো সমাধান হয় না। বন্যা হলেই এখানকার মানুষ নওয়াপাড়া, খুলনা, যশোর ও মনিরামপুর শহর এলাকায় গিয়ে কেউ রিকশা বা ভ্যান চালায়, কেউ মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কেউ শাপলা, কলমিশাক বিক্রি করে দিন চালান। সম্প্রতি টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণের ফলে বন্যার সৃষ্টি হওয়ায় এ অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ায় রাস্তার ওপরে উঁচু জায়গায় টং ঘর বেঁধে বসবাস করছেন।
বিশেষ করে ছিয়ানব্বই এলাকার কুলটিয়া, লাখাইডাঙ্গা, নেহালপুর, পাতাকড়ি ও কপালিয়া অঞ্চল বেশি বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এ অঞ্চলের স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা হাঁটু পানি ভেঙে, কেউবা বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে স্কুল-কলেজে যায় বলে সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, বছরের পর বছর একটি জনপদের জনগণের জীবনযাত্রায় বিপর্যয় সৃষ্টিকারী এ ধরনের দুর্যোগের স্থায়ী সমাধান তাদের মানবাধিকারের দাবি। বর্তমান সরকার এ বিষয়ে কার্যকর সমাধান নিরূপণ করে ব্যবস্থা নেবে বলে কমিশন প্রত্যাশা করে।
এ অবস্থায়, এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং কেন এতদিনেও এ সমস্যার সমাধান করা যায়নি তা কমিশন জানতে চায়। আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন পাঠাতে বলেছে কমিশন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯ এর ১৭ ধারা অনুযায়ী পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে।
গাংনীতে সাত দিনে ২৮ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত
জেলা প্রতিনিধি
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় আশংকাজনকহারে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চলতি মাসের ৭ দিনে নতুন করে ২৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আব্দুল আল মারুফ জানান, গেলো ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ২ রোগীকে ছাত্রপত্র দেওয়া হয়েছে এবং ভর্তি রয়েছেন ১০ জন ডেঙ্গু রোগী। চলতি মাসের ৭ দিনে ২৮ জন এবং গত মাসে ১০০ জন রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধী কার্যকরী ব্যবস্থা না থাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে বলে জানান চিকিৎসকরা।
তবে অভিযোগ রয়েছে হাসপাতাল থেকেও ডেঙ্গু মশা ছড়াচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে আলাদা ডেঙ্গু ওয়ার্ড না থাকায় সাধারণ রোগীদের সঙ্গেই ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ঝুঁকিতে রয়েছেন সাধারণ রোগীরা।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ ব্যবস্থার দুর্বলতার বিষয়ে জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা বলেন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পৌর এলাকায় ফগার মেশিন দিয়ে মশক নিধন করা হচ্ছে। তবে বাসা বাড়িসহ ডেঙ্গুর সম্ভাব্য আবাসস্থল ধ্বংস করার বিষয়ে ব্যক্তিগত সচেতনা প্রয়োজন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
ইবির বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট হলেন ড. মিজানুর রহমান
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নতুন প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ফলিত পুষ্টি ও খাদ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. এটিএম মিজানুর রহমান। আগামী এক বছরের জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ তাকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
অফিস আদেশ সূত্রে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম পদত্যাগ করায় তদস্থলে একই বিভাগের অধ্যাপক ড. এটিএম মিজানুর রহমানকে পরবর্তী এক বছরের জন্য তাকে উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছেন। এ অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য তিরি বিধি মোতাবেক সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এটিএম মিজানুর রহমান বলেন, আমি ছাত্রদের সুবিধা-অসুবিধাকে প্রাধান্য দিয়ে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করব। হলের নেটওয়ার্ক সমস্যা, বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির সংকট নিরসন ও ডাইনিংয়ের খাবারের মানের উন্নয়ন নিশ্চিতকরণসহ ছাত্র সংশ্লিষ্ট সব বিষয় নিয়ে কাজ করব। সবার সহযোগিতায় সততার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব।
অ্যাটেনডেন্সের বিনিময়ে ছাত্রলীগের মিছিলে পাঠাতেন ইবি শিক্ষক হাফিজ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
অ্যাটেনডেন্সের বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগের মিছিলে পাঠানো, ক্লাসের শিডিউল দিয়ে ডেকে এনে জোরপূর্বক জন্মদিন পালন করা, ব্যক্তিগত রুমে নিয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শারীরিকভাবে নির্যাতন ও ছাত্রীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করাসহ নানা গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
সোমবার (০৭ অক্টোবর) দুপুরে তাকে চাকরিচ্যুত ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে তালা ঝুলিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ফটক অবরোধ করে রাখেন। এসময় কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহগামী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বাসগুলো আটকা পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতের শর্তে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান ও পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলীর আশ্বাসে গেট খুলে দেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা উপাচার্যের সঙ্গে তাদের প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেন। এসময় উপাচার্য তদন্ত কমিটি করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়।
বিভাগের ছাত্রী মৌমিতা তাসনিয়া রহমান জানান, হাফিজ স্যার আমাদের ফেসবুক ঘাঁটাঘাঁটি করেন। সেখান থেকে বিভিন্ন স্ক্রিনশট নেন, আবার ক্লাসে সেগুলো নিয়ে বাজেভাবে অপমান করেন। তিনি আমাদের বলেন- তোমরা ফেসবুকে ছবি দেও কেন? কাস্টমার ধরার জন্য? তিনি আমাদের এক বান্ধবীর তথ্য আরেক বান্ধবীর থেকে নেন। সময় অসময় মেসেজ দেন। বিভাগের তথ্য পাওয়ার জন্য স্পাই রাখে প্রতিটি ব্যাচে।
আরেক শিক্ষার্থী লামিয়া হোসেন জানান, আমি প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকতাম। আমি কি পোশাক পড়বো, কোথায় যাবো, কি খাবো, সেই স্বাধীনতাটুকু তিনি কেড়ে নিয়েছিলেন। দুইদিন বিভাগে না যাওয়ায় আমাকে উল্টা করে ঝুলিয়ে পিটাতে চেয়েছিলেন। বিভাগের মেয়েদের ওপেনে গালিগালাজ করেন। তিনি মেয়েদের অশ্লীল ভাষায় সম্বোধন করেন। যে স্যারের গুণগান গাইবে সে ইন্টার্নালে পাবে ২৭ আর আমি পাবো ১৭। আমার বন্ধুদের রাতের বেলা ডেকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে বদনাম করা হয়।
আরেক শিক্ষার্থী হৃদয় জানান, একজন শিক্ষক কখনো অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে মেন্টালি অ্যাটাক করতে পারেন না। কিন্তু তিনি সব শিক্ষার্থীর সঙ্গে, কোথায় থাকবো, কোথায় আড্ডা দেব, কোন হলে থাকবো, এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি করেন। আমাকে হল থেকে নামিয়ে দেন। পরে তার মাধ্যমে হলে ওঠার জন্য বলেন। আমাকে লাল পানি দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
বিষয়টি নিয়ে সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আতিফা কাফি বলেন, আমি লিখিত অভিযোগ এখনও পাইনি। উপাচার্য স্যার তদন্ত কমিটির আশ্বাস দিয়েছেন। তদন্ত কমিটি পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, মঙ্গলবার তাদের অভিযোগগুলো শুনেছি। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মেহেরপুরে ২ দোকানকে জরিমানা
মেহেরপুর প্রতিনিধি
বেশি দামে পণ্য বিক্রি, নোংরা পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি, বাসি গ্রিল ও খাবার অস্বাস্থ্যকরভাবে সংরক্ষণ করে বিক্রির অপরাধে দুই দোকানকে মালিককে ২২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে গাংনী উপজেলা এ অভিযান চালানো হয়।
নেতৃত্ব দেন মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ।
তিনি জানান, উচ্চ মূল্যে ডিম বিক্রি ও গ্রাহককে ভাউচার না দেওয়ার অপরাধে একটি দোকান মালিককে দুই হাজার এবং আগে সতর্ক করার পরেও নোংরা পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি, বাসি গ্রিল অন্যান্য খাবার অস্বাস্থ্যকরভাবে সংরক্ষণ করে পুনরায় বিক্রি করায়সহ বিভিন্ন অপরাধে মেসার্স গাংনী সুইটস অ্যান্ড বিরিয়ানি হাউজের মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় হোটেলে রাখা প্রচুর পরিমাণ অস্বাস্থ্যকর ও বাসি খাবার জনসম্মুখে বিনষ্ট করা হয়।
অভিযানে সহযোগিতা করেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. রিয়াজ মাহমুদ, গাংনী উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান ও মেহেরপুর জেলা পুলিশের একটি টিম।
পরে উপজেলা শহরের বিভিন্ন ডিম, মাংশ, মাছ, সবজি হোটেল ও মুদি দোকানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়।
আইন মেনে সবাইকে ব্যবসা পরিচালনা, মূল্যতালিকা প্রদর্শন ও কেনা-বেচার ভাউচার সংরক্ষণ করা এবং অতিরিক্ত দাম নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়।
এ সময় ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
নড়াইলে ওয়ান শ্যুটারগানসহ যুবক গ্রেপ্তার
নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় ওয়ান শ্যুটারগানসহ হোসেন সরদার (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে তাকে কালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে কালিয়া উপজেলার ইলিয়াসাবাদ ইউনিয়নের বিলদুড়িয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত হোসেন সরদার কালিয়া উপজেলার চন্ডিনগর গ্রামের মো. দুলু সরদারের ছেলে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৬ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালানোর উদ্দেশ্যে রাতে কয়েকজন অস্ত্রসহ বিলদুড়িয়া (উওর গ্রাম) এলাকায় অবস্থান করছিলেন। খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে অভিযান চালিয়ে হোসেন সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে দেশীয় ওয়ান শ্যুটারগানটি জব্দ করা হয়।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
খুলনার শ্রম পরিচালকের অপসারণে ৭ দিনের আল্টিমেটাম, কার্যালয় ঘেরাও
স্টাফ রিপোর্টার
খুলনা বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমানের বিচার, শাস্তি ও অপসারণের দাবিতে শ্রম অধিদপ্তরের সামনে ঘেরাও ও সমাবেশ করেছেন শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে রূপসায় অবস্থিত খুলনা-যশোর আঞ্চলিক কারখানা কমিটির উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় বিভাগীয় শ্রম পরিচালক মো. মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবিতে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেন শ্রমিক নেতারা।
সমাবেশে খালিশপুর জুটমিল, দৌলতপুর জুটমিলসহ পাঁচটি পাটকলের শ্রমিকদের ২০১৫ সালের মজুরি কমিশনের এরিয়ারের টাকা, রাষ্ট্রীয় পাটকল রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু, করোনাকালীন সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সুবিধাদি প্রদান, ২০২০ সালের নতুন দুটি উৎসব বোনাসের সকল পাওনা প্রদানের দাবি জানানো হয়।
শ্রমিক নেতারা বলেন, ২০২০ সালের ২ জুলাই বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান একযোগে ২৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ ঘোষণা করেন। তখন থেকেই আমরা পাটকল চালু, শ্রমিকদের সকল বকেয়া পাওনা প্রদান, পাটকল আধুনিকায়নের দাবিতে শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তুলি। আন্দোলনের শুরুতেই রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বিশেষ সংস্থা, পুলিশ প্রশাসন দ্বারা আমাদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে এসেছে। খুলনা বিভাগীয় শ্রম পরিচালক মো. মিজানুর রহমান তৎকালীন সরকার ও সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রীর আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে শ্রমিক স্বার্থের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এবং এখনো শ্রমিক স্বার্থ পরিপন্থি ভূমিকা রেখে চলেছেন। রাষ্ট্রীয় মালিক আমাদের শ্রম শোষণ করেছেন, রক্ত চুষে নিয়েছেন।
শ্রমিক নেতারা আরও বলেন, আমাদের শ্রমের টাকা, আমাদের ঘাম ঝরা টাকা কোনোভাবেই আত্মসাৎ হতে দেব না। সমস্ত ষড়যন্ত্র, সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার থাকব, আমাদের লড়াই চলবে অবিরাম। খালিশপুর জুটমিলসহ অন্যান্য পাঁচটি জুটমিলের শ্রমিকদের সমুদয় টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।
শ্রম পরিচালকের বিচার ও অপসারণের দাবি তুলে শ্রমিক নেতারা বলেন, পাটকল আন্দোলন চলাকালে আমরা আমাদের মিলগুলো চালু এবং বকেয়া বেতনের জন্য খুলনা বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালকের কাছে গেলে তিনি আমাদের প্রত্যক্ষ হুমকি দেন। আমরা কীভাবে রাজপথে আন্দোলন করি তা তিনি দেখে নেবেন। রাজপথে আন্দোলন করলে আমাদের ওপর প্রশাসন দিয়ে হামলা চালাবেন, হাত-পা ভেঙে দেবেন, এমনকি গুলি করে মেরে ফেলবেন বলেও হুমকি প্রদান করেন। তিনি ছিলেন ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক শ্রমমন্ত্রীর একান্ত আস্থাভাজন কর্মকর্তা। এই পরিচালক দীর্ঘ ১৭ বছরে একাধারে খুলনায় থাকার কারণে তিনি ফ্যাসিবাদী সরকারের স্বৈরাচার পরিচালকে পরিণত হয়েছেন। কীভাবে তিনি এতো বছর খুলনায় থাকেন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে। সাবেক সরকারের ১৭ বছরে তিনি ১৫ জনকে ডিঙ্গিয়ে পরিচালক হন।
শ্রমিক নেতারা অভিযোগ করেন, খুলনায় তিনি গণপূর্ত অধিদপ্তরের আওতাধীন শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের উলটো দিকে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ৬৭নং প্লট সাবেক শ্রমমন্ত্রীকে দিয়ে ২০১২ সালে ১ কোটি টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন। এখন তিনি সেই জায়গার ওপর ৯ তলা বাড়ি নির্মাণ করছেন। তিনি কীভাবে বিশাল সম্পদের মালিক হলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা অবিলম্বে শ্রম পরিচালক মিজানুর রহমানের বিচার-অপসারণ এবং মিল চালু ও সকল বকেয়া প্রদানের জোর দাবি জানাচ্ছি। নতুবা দ্রুত গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এদিকে শ্রমিকদের কর্মসূচি চলাকালীন বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে শ্রমিকনেতাদের এক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এই মতবিনিময় সভায় কর্মকর্তারা বলেন, শ্রমিকদের দাবি দাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব এবং ওপর মহলে অবহিত করব। তবে শ্রম পরিচালকের অপসারণের ব্যাপারে আমরা কোনো ভূমিকা পালন করতে পারব না। এ কথা বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের কানে পৌঁছালে তারা প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে শ্রম কর্মকর্তারা আবারও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। ওই সভায় শ্রমিকনেতাদের আশ্বস্ত করেন, আপনারা আমাদের সাত দিনের সময় দেন। তখন শ্রমিক নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আগামী সাত দিনের ভেতর কোনো পদক্ষেপ না নিলে রাজপথে অগ্নিঝরা আন্দোলন শুরু করব।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহ্বায়ক ও সিবিএ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির হোসেন মনি এবং সঞ্চালনা করেন খালিশপুর জুটমিল কারখানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির।
বক্তৃতা দেন, গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, দৌলতপুর জুটমিল কারখানা কমিটির সভাপতি নূর মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক মো. মোফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ কেন্দ্রীয় সদস্য মো. মোজাম্মেল হক খান, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের খুলনা জেলা সভাপতি কাজী দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন শেখ, খুলনা-যশোর আঞ্চলিক বদলি কমিটির আহ্বায়ক মো. ইলিয়াস হোসেন, ক্রিসেন্ট জুটমিল কারখানা কমিটির সভাপতি শামছুজ্জোহা ডিয়ার, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, খুলনা-যশোর আঞ্চলিক কারখানা কমিটির উপদেষ্টা মো. নূরুল ইসলাম, শ্রমিকনেতা আবদুল হাকিম, শফিউদ্দীন আবদুল আজিজ, মফিজ ইময়া, আবুল খায়ের প্রমুখ।
নানা কারণে সাতক্ষীরায় কমছে সুন্দরবনের পর্যটক
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
বাস কিংবা পরিবহণ থেকে নামলেই দেখা যায় প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের দৃশ্য। তাই বলা হয়, ‘সাতক্ষীরার আকর্ষণ সড়ক পথে সুন্দরবন’। বাংলাদেশের ছয় জেলা জুড়েই সুন্দরবন বিস্তৃত। তবে একমাত্র সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ থেকে সরাসরি দেখা যায় এ বনের সবুজ আবহ। কিন্তু সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে নানা কারণে পর্যটক কমছে। এতে পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল উপকূলীয় এলাকার মানুষের জীবন জীবিকায় ভাটা পড়েছে।
বনবিভাগ সূত্র জানায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে পশ্চিম বনবিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জ দিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করেন ৫১ হাজার ৪৮০ জন দেশি ও ৫০ জন বিদেশি পর্যটক। যেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছেন ৪০ হাজার ৯১৪ জন দেশি ও ১৮০ জন বিদেশি পর্যটক। ২০২১-২২ অর্থবছরে সুন্দরবনে প্রবেশের মাথাপিছু ফি ছিল ২১ টাকা ৫০ পয়সা, যা পরে বাড়িয়ে ৪৭ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়।
সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন শিল্পে জড়িত একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে ধারণা পাওয়া যায় এখানে পর্যটন কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে। তারা বলছেন, সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে পর্যটক কমার নেপথ্যে অন্তত তিনটি কারণ আছে। এগুলো হলো, সাতক্ষীরা-মুন্সীগঞ্জ সড়কের বেহাল দশা, সুন্দরবনের প্রবেশ মূল্য বৃদ্ধি ও সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে সুন্দরবনে রাত্রিকালীন অবস্থানের পাশ দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকা।
যদিও বন বিভাগ বলছে, বর্তমানে অনলাইনে সুন্দরবনে প্রবেশের ফি প্রদান করে রিসিট জমা দিলে সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকেই সুন্দরবনে রাত্রিকালীন অবস্থানের পাশ দেওয়া সম্ভব।
সাতক্ষীরা শ্যামনগর এলাকার বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, আমাদের এই অঞ্চলের মানুষ সুন্দরবনের ওপর অনেক নির্ভরশীল। এই অঞ্চলের মানুষ পর্যটন খাতেই বেশি আয় করে থাকেন। রাস্তাঘাট সংস্কারের অভাব ও টুরিস্ট বোর্ডের ভাড়া বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে আমাদের এই অঞ্চলে পর্যটক কমে গেছে। তবে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে হলে আগে আমাদের প্রধান সড়কগুলো যেমন সাতক্ষীরা থেকে মুন্সীগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কার করা খুবই জরুরি। সুন্দরবনে ২-৩ দিন বা রাত্রিকালীন অবস্থানের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে রেঞ্জ অফিসের সে ক্ষমতা না থাকায় পর্যটকদের এ অঞ্চলে আসার আগ্রহ অনেক কমে গেছে। মূলত রাত্রিকালীন পাশ আনতে খুলনায় যেতে হয়, এটা পর্যটকদের কাছে একটা বিড়ম্বনা। রাত্রিকালীন পাশ পারমিট চালু হলে এই অঞ্চলে পর্যটক অনেক বাড়বে।
উন্নয়নকর্মী স.ম ওসমান গণী সোহাগ বলেন, আমি উপকূলীয় অঞ্চলের একজন সন্তান। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের অঞ্চলে টুরিস্টরা প্রবেশ করে সেটা দেখে দেখে আমরা অভ্যস্ত। ২০১৬ সালে পর্যটন বর্ষ ঘোষণার পর টুরিস্টদের ব্যাপক একটি চাপ ছিল। পরবর্তীতে করোনার কারণে দীর্ঘদিন সুন্দরবনে প্রবেশ বন্ধ থাকায় টুরিস্টদের সেই চাপ কমে যায়। তারপর থেকেই সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে পর্যটক কমে যাচ্ছে। পর্যটক কমার কারণ হিসেবে আমরা যে কারণগুলো উল্লেখ করব তার মধ্যে প্রথম এবং প্রধানতম কারণ হচ্ছে সাতক্ষীরা থেকে মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে টুরিস্টরা মোংলা বা পূর্ব সুন্দরবনে সহজেই প্রবেশ করতে পারেন। কিন্তু সেই তুলনায় মুন্সিগঞ্জে এসে পৌঁছাতে অনেকটা সময় লাগে আর সেই সঙ্গে আছে সড়কের বেহাল দশা।
সংবাদকর্মী শেখ তানজির আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র জেলা সাতক্ষীরা যেখান থেকে সড়কপথে সুন্দরবন উপভোগ করা সম্ভব। কিন্তু সাতক্ষীরা থেকে মুন্সিগঞ্জের প্রধান সড়কটির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক ও জরাজীর্ণ। এখন ঢাকা থেকে সাতক্ষীরায় আসতে সাড়ে চার ঘণ্টা সময় লাগে। আর সাতক্ষীরা থেকে মুন্সীগঞ্জ আসতে সময় লাগে চার ঘণ্টা। যেমন সড়কের অবস্থা, তেমনি এ সড়কের পরিবহণ ব্যবস্থা। সড়কটি আগু সংস্কার করে চার লেনে প্রশস্ত করা হলে এবং সাতক্ষীরা-মুন্সীগঞ্জ সড়কে সরাসরি পর্যটকবাহী বাস চলাচলের উদ্যোগ নিলে পর্যটকের সংখ্যা বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের পরে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা অঞ্চলে আশংকাজনক হারে পর্যটক কমে যাওয়ায় পর্যটন ব্যবসায়ী, গাইড, ট্রলার মালিক ও স্থানীয় হোটেল রেস্তোরাঁর মালিকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। সুন্দরবনের প্রবেশ ফি বৃদ্ধিও পর্যটক কমে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে গেলে অবশ্যই সাতক্ষীরা-মুন্সীগঞ্জ সড়কের উন্নয়ন করতে হবে। আর সুন্দরবনের প্রবেশ ফি বাড়ানো কমানোর বিষয়টি সরকারের। তবে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাত্রিকালীন পাশের জন্য অনলাইনে টাকা জমা দেওয়া যাচ্ছে। টাকা দিয়ে পেমেন্ট স্লিপ দেখালেই পাশ করে দেওয়া যাবে।
বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ১৫ টাকা দরে চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত ৫০০ পরিবার
যশোর প্রতিনিধি
যশোরে মণিরামপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। গত ৩ অক্টোবর সকালে এ সংঘর্ষের পর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা দরে চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ৫০০ গরিব ও দরিদ্র পরিবার।
উপজেলার ঢাকুরিয়া বাজারে (৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর) ওয়ার্ডের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় গরিব ও দরিদ্রদের জন্য ১৫ টাকা দরে
প্রায় ৫০০ জনের মাঝে ১৪ হাজার ৯৭০ কেজি চাল বিতরণের কথা ছিল। সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না ঢাকা পোস্টকে জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এটি বন্ধ থাকবে।
জানা যায়, বিতরণের দিন সকালে বিএনপির দুই গ্রুপের একটি পক্ষ মাস্টার মতিয়ার গ্রুপের নেতা ঢাকুরিয়ার খালপাড়ের মোস্তফা রহমান মনার ছেলে তরিকুল ইসলাম ও তেলিকুড়ের খলিলের ছেলে মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকশ বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে বাজারে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন এবং দরিদ্রদের মাঝে চাল দিতে বাধা প্রদান করেন।
এ সময় মাস্টার মতিয়ার পক্ষের তরিকুল ইসলাম ও মিজানুরের নেতৃত্বে থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালালে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার এক পর্যায় সংর্ঘষে রুপ নেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এ বি এম মেহেদী মাসুদ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
অপরদিকে, মণিরামপুর থানার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কমিশনার (ভূমি) নিয়াজ মাখদুম ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করে পরবর্তী নিদের্শ না দেওয়া পর্যন্ত এই চাল বিক্রি বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশ প্রদান করেন। ফলে গরিব ও দরিদ্রদের জন্য প্রায় ৫০০ জনের চাল পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এসব দরিদ্র পরিবারে এখন চালের সংকট চলছে। কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে, দরিদ্র, অস্বচ্ছল জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে কৃষক শ্রেণির মানুষের কথা চিন্তা করে কম দামে চাল বিক্রির এ কার্যক্রম চালু করে সরকার।
ঢাকুরিয়া খালপাড় এলাকার মোসলেম উদ্দিন, ভবানীপুর গ্রামের মোহাম্মদ আহাদ, ঢাকুরিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকার মাজদা বেগম, কলেজপাড়া এলাকার ফরিদা খাতুনসহ একাধিক কার্ডধারী বলছেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, দিনমজুরি করে খায়। চাল না পেয়ে আমরা অনেকেই অনাহারে দিন কাটাচ্ছি। আমরা খুব সমস্যায় আছি। বাজারের সকল পণ্যের যে ঊর্ধ্বমুখী দাম তাতে চাল কিনে খাওয়ার সামর্থ্য আমাদের নেয়। সকলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্থক্ষেপ কামনা করছি।’
ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ইসরাফিল আমার গ্রুপের। গত বৃহস্পতিবার সকালে চাল বিতরণের প্রস্তুতি নিলে দলের অন্য গ্রুপের লোকজন ঢাকুরিয়া বাজারে চাল বিতরণের বিপক্ষে মিছিল বের করে। পরে চাল নিতে আসা লোকজনসহ আমার গ্রুপের লোকজন ওদের বিপক্ষে মিছিল করতে গেলে ওই পক্ষ মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে চার-পাঁচজন আহত হয়েছে।
ডিলার জাহিদুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের কারণে ও প্রশাসনের নির্দেশে চাল বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে।
৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. আলমগীর হোসেন জানান, দলমত নির্বিশেষে কার্ড ধারীদের চাল প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। তবে বিএনপির অপর একটি পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে এটা বন্ধ করে দেয়।
সংশ্লিষ্ট ইউপি মেম্বর সাথী বেগম বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় মঙ্গলবার ১ অক্টোবর চাল তুলে ঢাকুরিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইসরাফিল হোসেনের দোকানে মজুদ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার চাল বিক্রি লাভের টাকা ভাগ চওয়া নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সেনাবাহিনী ও ঘঠনাস্থলে আসেন।
মনিরামপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, নিরাপত্তার কথা ভেবে আমাদের সঙ্গে কথা বলে সেপ্টেম্বর মাসের চাল তুলে ঢাকুরিয়া বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদকের ঘরে তোলা হয়। বিএনপির দুই গ্রুপের মারামারি হওয়াতে চাল বিতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না বলেন, আপাতত আমরা এ কর্মসূচি বন্ধ রেখেছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এটা বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া কবে দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি।
কলেজে যোগদান করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া সরকারি সেন্ট্রাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে যোগদান করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে অধ্যাপক মোসলেম উদ্দিন লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ কয়েকজন শিক্ষকের ইন্ধনে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ঘটনার পর কুষ্টিয়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন মোসলেম উদ্দিন।
তবে লাঞ্ছিতের অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজের অভিযুক্ত শিক্ষকরা দাবি করেছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে মোসলেম উদ্দিন যোগদান করতে পারেননি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফের কাছ থেকে সুবিধা নেওয়াসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে কাজ করেছেন মোসলেম উদ্দিন। তবে তারা সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেননি।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর কলেজের অধ্যক্ষ আজমল গণি অবসরে গেলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পান জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম। এরপর ২ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোসলেম উদ্দিনকে কুষ্টিয়া সরকারি সেন্ট্রাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়।
কলেজ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টার পর মোসলেম উদ্দিন কলেজে গেলে কিছু শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। তারা অধ্যক্ষের কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন। এ সময় অন্য শিক্ষকরা দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরপর নতুন অধ্যক্ষকে কলেজ থেকে বের করে দেন শিক্ষার্থীরা।
এরপর সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অধ্যক্ষ যোগদানের জন্য আবারও কলেজে যান। তখনও অধ্যক্ষের কক্ষে তালা লাগানো দেখতে পান। অফিসের লোকজনের সহায়তায় তালা খুলতে গেলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেন। এ সময় অধ্যক্ষ তার কক্ষের তালা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিলে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা জানতে পেরেছেন নতুন অধ্যক্ষ সরাসরি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন। কুষ্টিয়া সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফের কারণে অধ্যক্ষ নিয়োগ পেয়েছেন। তাই স্বৈরাচারী সরকারের কোনো দোসরকে ক্যাম্পাসে চান না তারা।
অভিযোগ অস্বীকার করে মোসলেম উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে একবার বদলি হয়েছিলেন। কিন্তু ওই সময় হানিফসহ (মাহবুব উল আলম) তার চাচাতো ভাইয়ের বাধার কারণে যোগদান করতে পারেননি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতনের শিকার আমি। আমার ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছিল আওয়ামী লীগের লোকজন। সে ঘটনায় আমি মামলাও করেছিলাম। তাহলে আমি আওয়ামী লীগের দোসর কীভাবে হলাম? বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরুদ্ধে কাজ করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। কোনো প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবেন না। আমি আন্দোলনে পক্ষে ছিলাম। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
মোসলেম উদ্দিন অভিযোগ করে আরও বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খায়রুল ইসলামের ইন্ধনে তার সহযোগী ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আশরাফুল হক, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রওশন আলী, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মফিজ উদ্দিন ও রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রবিউল হোসেনের প্ররোচনায় আমাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। আমাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খায়রুল ইসলাম বলেন, মোসলেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকায় শিক্ষার্থীরা তাকে যোগদান করতে দেননি। ওই সময় তিনি রুমের তালা ভাঙার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে তাকে কলেজ থেকে বের করে দিয়েছেন। অধ্যক্ষের করা অভিযোগ সঠিক নয়।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) শারমিন আখতার বলেন, সহযোগিতা চেয়ে মৌখিকভাবে বিষয়টি অধ্যক্ষ জানিয়েছেন। যেহেতু সরকারি প্রতিষ্ঠান, সেহেতু তাদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ভিন্ন। আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়টি দেখভাল করতে পারি। প্রশাসনিক ব্যবস্থা উনার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।
ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে ভবদহ জোটভূক্ত প্রতিনিধিদের নিয়ে জোট সভা
খবর বিজ্ঞপ্তি
ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে ৮ অক্টোবর ২০২৪ যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার বন্ধু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সেমিনার কক্ষে ‘ জলাবদ্ধ ভবদহ অঞ্চল : সমস্যা সমাধানে করণীয়’ বিষয়ক এক জোট সভা অসুষ্ঠিত হয়। ভবদহ পানি নিষ্কাশন ও কৃষি জমি রক্ষা জোটের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আব্দুল মতলেব সরদারের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল লতিফের সঞ্চালনায় উক্ত জোটভূক্ত প্রতিনিধিদেও নিয়ে আলোচনা সভায় মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলা, খুলনার বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল। অন্যান্যদের মধ্যে মতামত প্রদান করেন জোটের সদস্য এবং ২৭ বিল রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক বাবর আলী গোলদার, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও জোট সদস্য সুনীল দাশ, জোট সদস্য এবং উন্নয়ন সংগঠক প্রকাশ চন্দ্র ধর, জোট সদস্য এবং বিভা’র সভাপতি সুকুমার ঘোষ, জোট সদস্য আব্দুল আজিজ, জোট সদস্য ডাঃ মোশাররফ হোসেন, উন্নয়ন সংগঠক প্রমি আক্তার লিজা, প্রত্যয়ের নির্বাহী পরিচালক শেখ আব্দুল জলীল, নারী প্রতিনিধি নাসরীন সুলতানা, নারী উন্নয়ন সংগঠক সুফিয়া পারভীন শিখা, সামাজিক সংগঠক এস এম নজরুল ইসলাম প্রমূখ।
আলোচনা সভায় জোটভূক্ত সদস্যরা ভবদহের জলাবদ্ধতার সমকালীন ভয়াবহতা নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেন এবং এই সমস্যা সমাধানে আশু করণীয় এবং দীর্ঘমেয়াদী করণীয় কি হতে পারে, সে বিষয়ে মতামত প্রদান করেন। এছাড়াও এই সমস্যা সমাধানে উপস্থিত প্রতিনিধিরা বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা এবং চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন। উক্ত জোট সভার আলোচিত সকল মতামতসমূহ সমন্বীত করে পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণের সীদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
দাকোপে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস বের হচ্ছে
দাকোপ প্রতিনিধি
আবারও ডাবল সেঞ্চুরির ঘরে ব্রয়লার মুরগি। সপ্তাহের ব্যবধানে ১০-১৫ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজিতে। এদিকে, মৌসুমের শেষে এসে আগুন ঝরছে ইলিশের বাজারে। কমতির কোনও আভাস নেই চালের বাজারেও। ভোক্তারা বলছেন, দেশের পটপরিবর্তন হলেও বাজারে মেলেনি তার কোনও প্রভাব। এ পরিস্থিতিতে নাভিশ্বাস অবস্থা নিম্ন ও মধ্যবিত্তের। বাজার ঘুরে দেখা যায় ঊর্ধ্বমুখী ব্রয়লার মুরগির দাম। গত জুলাই ও আগস্টের শুরুর দিকে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২০০ টাকার ঘরে। হাসিনা সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থী ও সরকারি সংস্থার মনিটরিংয়ে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে সেই দাম নামে ১৬০ টাকায়। দুমাস ওঠানামার পর আবারও ডাবল সেঞ্চুরির ঘরে ফিরলো পণ্যটি। গত সপ্তাহেও এর দাম ছিল কেজিপ্রতি ১৮৫-১৯০ টাকা। চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজিতে। বিক্রেতারা বলছেন, মুরগির খাবারের দাম বাড়ায় ও সম্প্রতি বন্যায় খামার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন ব্যবস্থা; এতে বাড়ছে দাম। এদিকে, রফতানির খবরের পর বাড়তির দিকে উঠতে থাকা ইলিশের দাম এখন আকাশচুম্বী। বড় আকারের দেড় কেজি ওজনের একেকটি মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ২৬শ থেকে ২৭শ টাকা। এক কেজি ওজনেরটি বেচকেনা চলছে ১৮ থেকে ১৯শ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, মৌসুম শেষে মাছের সরবরাহ কমেছে; এতে দামও বেড়েছে। রফতানি যতদিন চলমান থাকবে, দাম তত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর ক্রেতারা বলছেন, দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে হচ্ছে। বাড়তি দামের কারণে বড় মাছ কেনার সাধ্য নেই। তাই ছোট ইলিশ কিনতে হচ্ছে। এদিকে, চালের বাজারও বাড়তির দিকে। সব থেকে বেশি বেড়েছে মোটা চালের দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি মিনিকেট ৭১-৭২ টাকা, আটাশ ৫৭-৫৮ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকা, পাইজাম ৫৬-৬০ টাকা, সুগন্ধী চিনিগুঁড়া পোলাও ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাই ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার বাজুয়া বাজারে বাজার করতে এসে দিন মজুর বিভূতি বলেন বর্তমানে মানুষের খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকাটা দায় হয়ে পড়েছে কিভাবে মানুষ বাজার করবে প্রতিটা দ্রব্যমূল্যর দাম যদি এভাবে বাড়তে থাকে।
সাতক্ষীরা তালায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভা
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ১২ ইউনিয়ন ২টি থানায় ১৯৬টি দুর্গা মন্দিরে সনাতন ধর্মলম্বীদের সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মতবিনিময় সভায় তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মোঃ রাসেল এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মৃণাল কান্তি রায় এবং পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র মজুমদার। আরোও উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার ওবায়দুল হক, তালা উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ঐক্য ফ্রন্ট এর সভাপতি অমল দত্ত, সাধারণ সম্পাদক সরজিৎ কুমার সরকার। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পলাশ দাস, তাপস কুমার দাস প্রমূখ। চলতি বছরের তিথি অনুযায়ী, আগামী বৃহস্পতিবার (১০অক্টোবর) এবারের শারদীয় দুর্গাপূজার মূল পর্ব সপ্তমী দিন পড়েছে। শাস্ত্র অনুযায়ী তাই বলা যায়, এবার মা আসছেন দোলা বা পালকিতে করে।একইভাবে বিজয়া দশমী শনিবার (১২অক্টোবর) হওয়ায় ঘটক বা ঘোড়ায় করেই মা কৈলাশে ফিরবেন। তালা উপজেলায় ১৯৬টি পূজা মন্দিরের তালিকা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারের কাছে প্রেরন করা হয়। ইতিমধ্যে প্রতিটি মন্দিরে সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু ১২ টি মন্দিরে জলাবদ্ধতার কারণে পূজা হচ্ছে না। প্রতিটা পূজা মন্দিরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর জোরদার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও পূজা মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্বেচ্ছাসেবক, আনসার, পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, সেনাবাহিনী টহলে থাকবে।
ডুমুরিয়ায় স্কুল ,মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা স্কুল ,মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে ৫১তম গ্রীম্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ এর পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান আনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা শহীদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে।
অনুষ্ঠিত আলাচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দেবাশীষ বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন। স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার টিকেন্দ্রনাথ সানা, ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব হোসাইন, উপজেলা মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ বিলায়েত হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, শিক্ষক হিরণ্য মন্ডল ও সেলিম হালদার প্রমুখ। আলোচনা শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরষ্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি।
ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়ন খেলাফত মজলিস ও যুব মজলিসের কমিটি গঠন
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
মুফতি আব্দুস সালামকে সভাপতি এবং কে এম মনিরুজ্জামানকে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়ন শাখার কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় ডুমুরিয়া জমাদ্দার সুপার মার্কেট মসজিদে খেলাফল মজলিসের এক দাওয়াতি মাহফিলে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি মাওঃ শরিফুল ইসলাম, মাওঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ লুৎফর রহমান, হযরত আলী ও মোঃ শহিদুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলমগীর, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ আবুল হাসান। এছাড়া ওই সভায় খেলাফত যুব মজলিসের ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়ন শাখায় হাফেজ রুহুল আমীনকে সভাপতি, মাওঃ মোঃ শাহিদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক, মাওঃ আবু বক্কারকে সাংগঠনিক সম্পাদক, হাফেজ আব্দুল্লাহকে বাইতুল মাল সম্পাদক, মাওঃ মাসুদকে প্রশিক্ষণ সম্পাদক, হাফেজ মনিরকে সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও হাফেজ ইউনুছকে প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। সভায় সভাপত্বি করেন উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওঃ মুশতাক আহম্মেদ। প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ শহিদুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন, মহানগর খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মুফতি ওলিউল্লাহ মাহমুদ, বক্তৃতা করেন,উপজেলা খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মাওঃ আব্দুর রহমান, সোনাডাঙ্গা থানা যুব মজলিসের সভাপতি মুফতি মাহফুজুর রহমান, মুফতি আব্দুল কাইউম জমাদ্দার প্রমুখ।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে বিএনপি নেতা গাজী তফসীরের মতবিনিময়
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ডুমুরিয়া উপজেলার ২নং রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গাজী তফসীর আহমেদ আসন্ন দূর্গা পুঁজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেল ৫ টায় ডুমুরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড রুপরামপুর বেলতলা ওয়ার্ড বিএনপি’র কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। বিএনপি নেতা অঘোর মন্ডল সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বিএনপি নেতা গণেশ মন্ডলের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে, খগেন্দ্রনাথ মন্ডল, সুভাষ বিশ্বাস, নিমাই মন্ডল, বৃহস্পতি মন্ডল, সমরেশ বিশ্বাস, প্রদীপ রায়, নারায়ণ বিশ্বাস, রাম প্রষাদ মন্ডল, হরেকৃষ্ণ, নিতাই মন্ডল, রানা মন্ডল, উত্তম বিশ্বাস, অনিমেষ মন্ডল, হরিতান মন্ডল, কাজল বিশ্বাস, সুভাংকেশ মন্ডল প্রমুখ।
পরে বাদ মাগরিব ২নং রঘুনাথপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণ নগর নিমতলায় হরি মন্দির চত্ত্বরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে বিএনপি নেতা গাজী তফসীর আহমেদ মতবিনিময় করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ২নং রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোজিৎ বালা, সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য আরতী মহাজন, বিএনপি নেতা যথাক্রমে তারক মন্ডল, অসিম মন্ডল, সুবানতেষ মন্ডল, জয়দেব মন্ডল, সচিন মহাজন, শুভ্রদেব মহাজন, প্রফুল্ল মন্ডল, সুজিত মন্ডল, মনি মহন বালা ও গোপাল চন্দ্র প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বিএনপি নেতা গাজী তফসীর আহমেদ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আসন্ন দূর্গা পুঁজা উদযাপনের আহবান জানান। একই সঙ্গে যে কোন প্রয়োজনে তিনি তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৯ চালানে ভারতে ৪৫৯ টন ইলিশ রপ্তানি
বেনাপোল প্রতিনিধি
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে নয় চালানে ভারতে গেল ৪৫৯ মেট্রিক টন ইলিশ। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ২০টি ট্রাকে ৫৪ টন ৪৬০ কেজি, শনিবার ১৫ ট্রাকে ৪৫ টন ২০০ কেজি, রবিবার ৬ টি ট্রাকে ১৯ টন, সোমবার ৩০ টি ট্রাকে ৮৯ টন,মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ২৩ টি ট্রাকে ৬৯ টন ৬৪০ কেজি, বৃহস্পতিবার ৩০ ট্রাকে ৯২ টন, শনিবার ১৩ টি ট্রাক ৪২ টন, সোমবার ৮ টি ট্রাকে ২৩ টন ৬০০ কেজি, সব শেষ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ৮ ট্রাকে ২৪ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১০ ডলার, যা বাংলাদেশি ১১৮০ টাকা দরে।
কম দামে ইলিশ রপ্তানি বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগের। তখনকার বাজারদরের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি কেজি ইলিশ ১০ ডলার রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এখনও সেই পরিপত্র অনুযায়ীই ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। তবে দেশীয় বাজারদরের সঙ্গে মিল রেখে ইলিশের দাম সমন্বয় হতে পারে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ডেপুটি ডিরেক্টর রাশেদুল সজিব নাজির জানান, বেনাপোল দিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত সাত চালানে ভারতে গেল ৪৫৯ মেট্রিক টন ইলিশ। তবে রপ্তানিকারকদের আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে।
বাল্যবিবাহে দেশের শীর্ষে খুলনা বিভাগ
স্টাফ রিপোর্টার
বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। দেশের মধ্যে খুলনা বিভাগ রয়েছে বাল্যবিয়ের শীর্ষে। খুলনা বিভাগে সর্বাধিক বাল্যবিয়ের হার নড়াইল জেলায় ৭১ শতাংশ। এর পরে রয়েছে ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরা জেলা। শিশুর বিরুদ্ধে সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরি করতে বিভাগীয় পর্যায়ে বহুমুখী প্রচারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে খুলনা সিএসএস আভা সেন্টারে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এর অর্থায়নে মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের জেলা কার্যালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, বাল্য বিবাহ রোধে সচেতনতামূলক প্রচারণা বৃদ্ধিসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিশুর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে খুলনা বিভাগের পাঁচটি জেলায় প্রান্তিক পর্যায়ে এসব প্রচার কাজ পরিচালনা করা হবে। বিভাগের এই পাঁচটি জেলায় বাল্যবিবাহের শতকরা হার বেশি। জেলাগুলো হলো: নড়াইল, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা ও মাগুরা। সিনেমা প্রদর্শনী, টিভিএস, বিলবোর্ড স্থাপন, টিনবোর্ড প্রদর্শন, ব্যানার এবং সামাজিক নেতাদের মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে সচেতনতা তৈরি করা হবে। এই প্রচারের নাম দেয়া হয়েছে লালকার্ড প্রদর্শন এবং এর স্লোগান হলো: ‘চলো আমরা করি প্রতিবাদ, সহিংসতা বন্ধে তুলি রেডকার্ড’। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। শিশুর বিরুদ্ধে সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। শিশুর প্রতি কোন সহিংসতা কাম্য নয়। খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) তাছলিমা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের পরিচালক ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ, রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদিয়া আফরোজ ও ইউনিসেফ ফিল্ড অফিসের চিফ মো. কাউসার হোসাইন। স্বাগত বক্তব্য দেন মহিলা বিষয়ক দফতরের উপপরিচালক হাসনা হেনা। ক্যাম্পেইন সম্পর্কে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ইউনিসেফের এসবিসি অফিসার সেতারায়ে জান্নাত।