পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুরের কাউখালীতে সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গন রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ৪কোটি ৫১লক্ষ টাকার প্রকল্প ভেস্তে যেতে বসেছে। ভিত্তি প্রস্তরের ৪ বছরেরও কাজ শুরু না হওয়ায় এলাকাবাসীর ক্ষোভ প্রকাশ। পাইলিং এর জন্য নামে মাত্র কিছু ব্লক ও জিও ব্যাগ ৪ বছর আগে নির্মাণ করে খাদ্য গুদামের সামনে রেখে দেওয়া হয়। ব্লক গুলো এখন শ্যাওলা, আবর্জনা স্তুবে পরিনত হয়েছে। কবে নাগাদ পাইলিং এর কাজ শুরু হবে, তা কেউ সঠিক ভাবে বলতে পারে না। সন্ধ্যার তীব্র ভাঙ্গন বর্তমান থাকায় যেকোন সময় বিলীন হতেপারে কাউখালীর ঐতিহ্যবাহী খাদ্য গুদামের ৫টি ভবন। কাউখালীর খাদ্য গুদাম এক সময়ে বরিশাল বিভাগের দক্ষিণ অঞ্চলের পিরোজপুর জেলা সহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় খাদ্য গুদামজাত করার লক্ষে সরকারি ভাবে খাদ্য চাল, গম সামগ্রী সরবরাহ করা হতো। সরকারের গ্রামীন জনগোষ্ঠীর জন্য গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন রাস্তা ঘাট, ভেরিবাধ, খাল খনন, মাটিকাটা সহ বিভিন্ন কাজের শ্রমিকদের কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হত এখান থেকে সংরক্ষণকরে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করে। মুলত গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের এই সকল উদ্যোগেই আজ বাংলাদেশেকে উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আজ শত কোটি টাকার খাদ্য গুদাম সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করা এবং নদী ভাঙেনর হাত থেকে রক্ষা না করার জন্য মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। খাদ্য গুদামের ভাউন্ডারির ওয়াল, প্রবেশ পথ ও জেটি সহ রাস্তা বহু আগেই নদী ভাঙেন বিলীন এখন সীমানা প্রাচীরও ভেঙে নদীতে তলিয়ে গেছে। নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে মুল খাদ্য গুদামের ভবন। সীমানা প্রাচীর না থাকায় সরকারি বহু মুল্যবান সম্পদ ঝুঁকিতে রয়েছে। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, কাউখালী খাদ্য গুদাম অরক্ষিত এলাকা। দ্রুত কাজ না করলে যে কোনো সময় নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
তবে জুলাই ২০১৮ সনে খাদ্য গুদাম সংলগ্ন নদীর তীর ভাঙ্গন রক্ষা প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করলেও আজ ৪ বছর পর্যন্ত ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি। পানি উন্নয় বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গন রোধ কল্পে সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গনের কবল থেকে খাদ্য গুদাম রক্ষার জন্য ৪ কোটি ৫১ লক্ষ টাকার বরাদ্ধ দেওয়া হয়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে পিরোজপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নুসাইর হোসেন জানান, কাজ চলমান রয়েছে।দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করি পানি কমলে নভেম্বর মাসের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।