সারা খুলনা অঞ্চল ও আশ-পাশের সব খবরা খবর

39
পরম যত্নে কাদামাটি দিয়ে মা–মেয়ে টব তৈরি করছেন।
Spread the love

যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পরেনি: মাও: সোয়াইব
খবর বিজ্ঞপ্তি
১৯৭১ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিল, কেউই এই জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পরেনি। দুর্নীতি-দলীয়করণ-দুঃশাসন উপহার দেওয়াসহ দেশ পরিচালনায় তারা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এর কারণ হচ্ছে শাসক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু নীতি ও আদর্শের কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরা চাই শুধু নেতা নয়, নীতিরও পরিবর্তন চাই। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) মাওলানা শোয়াইব হোসেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার ও অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক (চজ) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বন্ধ মিল কলকারখানা চালু, ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের সুস্থতা ও বীর শহীদদের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও গণ-সমাবেশ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩ টায় খুলনা মহানগরীর খালিশপুর গোল চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানার উদ্যোগে বিশাল গণ-সমাবেশ খালিশপুর থানা সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ আব্দুল লতিফ এর সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারী মোঃ গাজী মিজানুর রহমান এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত গণ-সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মুফতি আমানুল্লাহ,বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ মুনতাসির আহামাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সহ-সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, নগর সেক্রেটারী মুফতি ইমরান হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ সাইফুল ইসলাম, সদস্য শেখ হাসান ওবায়দুল করীম, মাওলানা হাফিজুর রহমান, মোঃ কবির হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিএম কিবরিয়া, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি এস এম আবুল কালাম আজাদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহ-সভাপতি মোঃ মাহাদী হাসান মুন্না, যুব আন্দোলনের নগর সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর আল রাব্বি, মোঃ মামুনুর রশিদ, মোহাম্মদ বনি আমিন, খালিশপুর থানা ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওঃ কারামত আলি সাহেব, মাওলানা আব্দুল আজিজ, ইসলামী আন্দোলন নেতা মাওঃ ওবায়দুর রহমান, থানা সহ সভাপতি মোঃ জামাল মুন্সী, শাহজালাল হোসেন, মোঃআফরোজ আলম, মোঃ রাজিবুল ইসলাম, আঃ আজিজ, শোয়াইব হোসেন, মো: বাদশা খান, মো: খলিলুর রহমান, আলহাজ্ব আব্দুল হাকিম, মোঃ শাহিন কাজী, মোঃ হাফিজুর রহমান, মো: শওকত হোসেন, মো: আব্দুল জলিল, মোঃ আব্দুর রউফ মোল্লা, শ্রমিক নেতা মৌলভী আল আমিন গাজী, মোঃ পলাশ শিকদার, যুব নেতা মোঃ মাইনুল ইসলাম, মাওঃ মশিউর রহমান খুলনাভী, মোঃ আল আমিন, স্বাধীন রাজু, ছাত্র নেতা মোঃ আল মামুন রাফি, মোঃ নাসির উদ্দিন,ওসমান গনি প্রমুখ ।

ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
শহিদুল ইসলাম দইচ যশোর।।
ঠাকুরগাঁহ সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক স্বর্ণা দাস ও জয়ন্ত সিংহ নামে দুই বাংলাদেশিকে হত্যার প্রতিবাদে যশোরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট যশোর জেলার উদ্যোগে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় প্রেসক্লাব যশোরের সামনে এ মানববন্ধন হয়।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব নির্মল কুমার বিটের সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে দুই শতাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, স্বাধীনতার পর আমরা ভারতকে বন্ধু হিসাবে দেখেছি। কিন্তু ভারত বাংলাদেশকে কখনো বন্ধু ভাবিনি। তারা নিয়মিত সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশী নাগরিককে অন্যায়ভাবে গুলি চালিয়ে হত্যা করছে। এজন্য সীমান্তে হত্যা বন্ধে সরকারকে এখনই কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সদস্য সচিব অলোক কুমার ঘোষ, বিষ্ণুপদ সাহা, সিম কুমার মন্ডল, সুদিপ্ত কুমার ঘোষ, মানিক সাহা, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু. জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সালসহ প্রমুখ।

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় উলামা বিভাগের উদ্যোগে উলামা সমাবেশ অনুষ্ঠিত
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় দামুড়হুদা থানা উলামা বিভাগের উদ্যোগে উলামা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০ টায় দর্শনা অডিটরিয়ামে অনুষ্টিত জামায়াতে ইসলামীর দামুড়হুদা উলামা বিভাগের আয়োজনে দর্শনা থানা উলামা বিভাগের সভাপতি মাওঃ আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা থানা উলামা বিভাগের সভাপতি হাফেজ মাওঃ আঃ খালেকের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, চুয়াডাঙ্গা জেলা আমীর, জামায়াত মনোনীত চুয়াডাঙ্গা- আসনের এমপি প্রার্থী, আইনজীবি মোঃ রুহুল আমিন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা আমীর মোঃ রুহুল আমিন বলেন,নিজের ঘুমিয়ে থাকা চেতনাকে ভুলে যেয়ে সকলে মিলে এক আল্লাহর পথে সবাই চলবো।সকলে একসাথে এগিয়ে গেলে পুনরুদ্ধার গনতন্ত্র হারিয়ে যাবেনা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির শুরা সদস্য, জেলা নায়েবে আমীর, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওঃ আজিজুর রহমান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি,সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আঃ কাদের, জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাও লোকমান হোসেন, সেক্রেটারি মাও হাফিজুর রহমান,দামুড়হুদা থানা সেক্রেটারি মাওঃ আঃ গফুর,দামুড়হুদা থানা আমীর মো নায়েব আলী, মাও মাজাহারুল ইসলাম,মাওঃ আবু জার গিফারী প্রমুখ।

দামুড়হুদায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র’র মৃত্যু, আহত ৩
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় বৃষ্টির পানিতে মটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চালক কলেজ ছাত্র মারা গেছে।এসময় এক পথচারীসহ দু’বন্ধু জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়ার সাইফুল ইসলামের ছেলে এইসএসসি পরীক্ষার্থী বাদশা(২০)ও তার দু’বন্ধু এক মোটরসাইকেলে করে দর্শনা থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে যাচ্ছিলো। এসময় জয়রামপুর কাঠালতলা নামক স্থানে পৌছালে আলা নামে এক পথচারীকে ধাক্কা দিলে মটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের ওপর উল্টে যায় ও সবাই মারাত্নকভাবে জখম হয়। পথচারীরা আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক আল ইমরান জুয়েল বাদশাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে পথচারী আলার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত মোটরসাইকেল আরোহী দুইজনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দুদকের জালে আটকা মোংলা বন্দরের এক বর্তমান কর্মচারী ও সাবেক এক শীর্ষ কর্মকর্তা
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ হলেও অদৃশ্য কারণে সম্পত্তি শাখায় চাকুরী করতেন নুরুল ইসলাম নামের এক কর্মচারী। আর সেখানে বসেই নানা রকম দুর্নীতি আর অনিয়ম করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। তিনি বন্দরের শিল্প এলাকায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন ফ্যাক্টরির ড্রেজিংকৃত বালু রাখার ডাইকের ব্যবস্থা করে দেওয়া থেকে শুরু করে নিয়োগ বাণিজ্য ও বন্দরের বিভিন্ন প্লট বা ভূমি বরাদ্দ দিতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এই টাকা আদায় করেছেন। এমনকি পুরাতন চালনা পোর্টের জায়গা অনিয়মের মাধ্যমে একটি শিপিং এজেন্টকে বরাদ্দ দেয়াসহ অবৈধ স্থাপনা থেকে উচ্ছেদের ভয় দেখিয়ে প্রতি মাসে টাকা আদায় করা যেন তার কাছে ছিল রুটিন ওয়ার্ক। আর তার এ কাজে কোন সিনিয়র কর্মকর্তাদের তোয়াক্কা করতেন না তিনি। কারণ তাঁর মাথার ওপর সব সময় ছায়া হিসেবে থাকতেন সম্পত্তি বিভাগের প্রধান সাবেক পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ শাহিনুর আলম। সে কারণেই দুর্নীতি করে মোটা অংকের অর্থ বানিয়েছেন নুরুল ইসলাম। তবে চতুর ওই কর্মচারীর অবৈধ পন্থায় উপার্জন করা কাড়ি কাড়ি টাকা কোথায় রেখেছেন বা তা দিয়ে কোথায় সম্পদ গড়েছেন কেউ জানেননা। তবে তার এই অবৈধ টাকার সন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। ঢাকার সেগুনবাগিচার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে মামলা হওয়ার পর তাদের এসব কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষে চিঠি এসেছে। গত ১১আগষ্ট দুদকের পরিচালক উত্তম কুমার মন্ডল স্বাক্ষরিত পাঠানো ওই চিঠিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়। ওই চিঠিতে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ২১/২০২৪ নম্বরের মামলায় অভিযোগের বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করা হয়।
দুদক থেকে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ নুরুজ্জামান বৃহস্পতিবার (১২সেপ্টেম্বর) দুপুরে বলেন, এ বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও কর্ম) মোঃ সালেহ্ উদ্দিন কবিরকে বুধবার (১১সেপ্টেম্বর) তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫কার্য দিবসের মধ্যে তিনি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর লাইব্রেরিয়ান নুরুল ইসলাম ও সাবেক পরিচালক (প্রশাসন) শাহিনুর আলমের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দরের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলেন, রাজশাহী সদরের বাসিন্দা মোঃ নুরুল ইসলাম ২০১৯সালে মোংলা বন্দর স্কুল এন্ড কলেজের লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ পান। মাস ছয়েক সেখানে চাকরী করার পর অস্থির নুরুল সেখান থেকে এক লাফে চলে আসেন সুবিধাজনক স্থান সম্পত্তি শাখায়। দুই বছর সম্পত্তি শাখায় আসীন থেকে লুটপাট চালিয়ে দুর্নীতি করে দুই হাত ভরে কামিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। তার এই দুর্নীতির আশ্রয় প্রশ্রয়ে পর্দার আড়ালে ছিলেন তৎকালীন বন্দরে কর্মরত পরিচালক (প্রশাসন) শাহিনুর আলম। তার মদদেই ওই কর্মচারী বেপরোয়া হয়ে কেউকে তোয়াক্কা করতেন না। তার দুর্নীতির বিষয়ে কেউ প্রশ্ন তুললে ওই পরিচালককে দিয়ে চাকুরী খেয়ে দেয়ার ভয় দেখাতেন। এদিকে দুর্নীতি আর অনিয়ম করে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি মানতে নারাজ বন্দরের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী নুরুল ইসলাম। তিনি দাবি করেন, যে বেশি কাজ করেন, তারই দুর্নাম হয়, এটাই স্বাভাবিক। বিগত দিনে যাদের বেআইনি কাজ করতে দেইনি, তারাই দুদকে অভিযোগ দিয়েছেন। আর বর্তমানে আইসিটি মন্ত্রনালয়ে কর্মরত মোংলা বন্দরের সাবেক পরিচালক (প্রশাসন) শাহীনুর আলমের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি কল কেটে দেন। পরে তাকে হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া মেলেনি। #

দলবাজি আর বদলি বাণিজ্যে বিপর্যস্ত খুলনার স্বাস্থ্য প্রশাসন
স্টাফ রিপোর্টার
আওয়ামীপন্থি চিকিৎসকদের চাহিদার ভিত্তিতে একেরপর এক সংযুক্ত বদলি করে হাসপাতালগুলোতে অচলাবস্থা তৈরির অভিযোগ উঠেছে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মঞ্জুরুল মুর্শিদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে বিভাগের সব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে তৈরি করেছেন ভয়ংকর এক সিন্ডিকেট। স্টেনোগ্রফার ফরিদ আহমেদ মোল্যা তার এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা। বঙ্গবন্ধু পরিষদ খুলনার এই নেতার আত্মীকরণ বদলি বাণিজ্য শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও চলছে বহাল তবিয়তে।
খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালের একাধিক কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক মঞ্জুরুল মুর্শিদের এই সিন্ডিকেটের অন্যতম মূল হোতা ফরিদ আহম্মেদ মোল্যা, স্টোনোগ্রাফার পদে, বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিসে কর্মরত থাকলেও তাকে সবাই পিএ ফরিদ নামে চেনে। জানা যায়, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বারাশিয়া গ্রামের ফরিদ বেপরওয়া হয়ে ওঠেন ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর। শেখ হাসিনার চাচাত ভাই সাবেক এমপি শেখ হেলাল এর নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় তার প্রভাবে আধিপত্য বিস্তার করে রাখে খুলনার পুরো স্বাস্থ্য প্রশাসন। অপ্রদর্শিত আয়, মানি লন্ডারিং, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ দুদকের একাধিক মামলায় স্ত্রীসহ কারাবাস করলেও বারবার ফিরে আসেন মুর্শিদের আস্তানায়। ফরিদের ভায়রা স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে চাকরি নেন বাগেরহাটে। সেখান থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে পদোন্নতি দিয়ে স্টুয়ার্ট হিসেবে পদায়ন করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আওয়ামীপন্থি ঠিকাদারদের সঙ্গে সিন্ডিকেট করে রোগীদের খাবার জালিয়াতির একাধিক অভিযোগ হাবিবের বিরুদ্ধে। হাসপাতালের একাধিক পরিচালক বিভিন্ন সময় হাবিবকে কারণ দর্শানো নোটিশ ও ব্যবস্থা নিতে চাইলেও ফরিদের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে সম্ভব হয়নি। ভায়রা ফরিদের মাধ্যমে প্রতি মাসের মাশোয়ারা জমা হয় মুর্শিদের কাছে। বঙ্গবন্ধু পরিষদ খুলনার জেলার সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে চাকরি দিয়েছেন আত্মীয় নাজমুল হোসেনকে খুলনার পোর্ট হেলথ অফিসে। ২০ গ্রেডে চাকরি নিয়ে পদোন্নতি পেয়ে হয়েছেন অফিস সহকারী। কিন্তু বছরের পর বছর ঐ অফিসে প্রধান সহকারী খালি থাকার পরও বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক মঞ্জুরুল মুর্শিদের আশীর্বাদে কাউকে পদায়ন করা হয় না সেখানে। নাজমুলই অফিসের সব দায়িত্ব পালন করেন। শিপিং এজেন্টদের বিভিন্ন সার্টিফিকেটের বিনিময়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভাগ দেয় আত্মীয় ফরিদকে। ফরিদের বোনের ছেলে রাকিবুল ইসলাম আজিমকে পিয়ন পদে চাকরি দিলেও ফরিদের আশীর্বাদে এখন তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজের অফিস সহকারী। মেডিকেল কলেজে ফরিদের এজেন্ট রাকিবুল নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন মানুষের কাছে টাকা নিয়ে নিয়োগ দিতে না পেরে পালিয়ে বেড়ালেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কোনো অধ্যক্ষ।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের অন্যতম মুরিদ খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী মো. সাইদ। নিজের খেয়াল খুশিমতো বদলান উপজেলা স্বাস্থ্য কমকর্তাদের।
সাবেক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যারা পূর্বে বটিয়াঘাটায় দায়িত্বে ছিলেন তারা বলেন, বটিয়াঘাটায় কোনো উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা চাকরি করতে হলে তাকে সাইদের সঙ্গে সখ্যতা রেখে চলতে হয়। এর আগে ডা. অপর্ণাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পদ ছাড়তে হয় সাইদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে।
সেখানকার বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান বলেন, আমি গত দুই বছর এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা দিয়েছি। দৃশ্যমান ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। সরকারের কাছে স্বীকৃতিও পেয়েছি। এখানে একটাই প্রতিবন্ধকতা, সেটি হলো সাইদ। দুর্নীতির এমন কোনো খাত নেই যার সঙ্গে এই সাইদ জড়িত ছিল না। ১৬ গ্রেডে চাকরি করে সাইদ গড়ে তুলেছে বিপুল সম্পদ।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, উপজেলার হোগলাডাঙ্গা নিজখামার এলাকায় ৪ তলা বাড়ি রয়েছে সাইদের। এ ছাড়া সাতক্ষীরা শহরে টেক্সটাইল মিলস সংলগ্ন এলাকায় ৩ তলা বাড়ি ও গ্রামের বাড়িতে গড়ে তুলেছেন বিলাসবহুল বাড়ি। অথচ নিজে খুলনা নগরীর সিএন্ডবি আবাসিক এলাকায় একটি সরকারি বাড়ি অন্যের নামে বরাদ্দ নিয়ে থাকেন।

মুর্শিদের সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহাতাব। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি। ২০ গ্রেডের একজন কর্মচারী থেকে হয়েছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা। মন্ত্রণালয়ের একাধিক তদন্তে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে অযোগ্য ঘোষণা করা হয় তাকে। মন্ত্রণালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে আদালতে রিট করে বারবার এই পদে রয়েছেন বহাল তবিয়তে। নিজের স্ত্রীকে চাকরি দিয়ে বানিয়েছেন একই দপ্তরের প্রধান সহকারী।

জাহাতাবের শ্যালক জাকির হোসেন মালি হিসেবে চাকরি নিলেও নিয়োগ বিধি ভঙ্গ করে পদোন্নতি নিয়ে হয়েছেন উচ্চমান সহকারী। জাহাতাব এবং ফরিদের অন্যতম সহযোগী খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিসের প্রধান সহকারী মো. মাসুম বিল্লাহ। চাকরি নিয়েছেন মেডিকেল সাবডিপোর প্যাকার (প্যাকেজিং কর্মচারী) পদে। ২০ গ্রেডের এই চাকরি থেকে ফরিদ আর জাহাতাবের আশীর্বাদে তিনি এখন প্রধান সহকারী। খুলনা বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বদলি করায় মাসুমকে শাস্তিমূলক বদলি করা হলেও বর্তমান পরিচালক মুর্শিদের সিন্ডিকেটে আবারও তাকে যুক্ত করা হয়।

২০২২ সালের শুরু থেকে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরে পরিচালক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর থেকে একে একে এই দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের আবারও চলে আসেন এই দপ্তরে। গড়ে তোলেন অসাধু সিন্ডিকেট। সম্প্রতি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সোহেল নামে এক কর্মচারীর কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নিয়মবহির্ভূত পদোন্নতি দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পদায়ন এখন ওপেন সিক্রেট।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, সোহেলের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে ফরিদের মাধ্যমে এই বদলি করা হয়। কিন্তু খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এপিপি (বার্ষিক ক্রয়) পরিকল্পনা পক্রিয়াধীন থাকায় অভিজ্ঞতাহীন নতুন লোক নিতে সময় ক্ষেপণ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ সময় সোহেল এসে উপপরিচালককে হুমকি দিলে তার ক্ষমতা সম্পর্কে অনুসন্ধান করে বেরিয়ে আসে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক দপ্তরের এক মুর্শিদ ও তার মুরিদদের স্বাস্থ্য সিন্ডিকেটের ভয়াবহ এ চিত্র।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী ফরিদ মোল্যা বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি সরাসরি না করলেও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। দুদক আমার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে মামলা দায়ের করেছে। আমি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয়।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মঞ্জুরুল মুর্শিদ বলেন, বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের চাপে অনৈতিক সংযুক্তি অর্ডার করেছি অস্বীকার করব না। এ ছাড়া তিনি কোনো আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেন।

ধানক্ষেতে পোকার আক্রমণে বাড়তি খরচ কৃষকের
কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
বছর গেলেই বাড়ে সার-কীটনাশকের দাম। বেড়ে যাচ্ছে উৎপাদন খরচ। বাড়তি খরচ মাথায় নিয়েই আমন আবাদ শুরু করেছি। এর মধ্যে অতিবৃষ্টি ও তাপদাহে ধানে মাজরা, পাতা মোড়ানো, কারেন্ট, গান্ধিসহ নানা ধরনের পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কীটনাশক ছিটিয়েও কাজ হচ্ছে না। পোকার কাছে আমরা অসহায়।
কথাগুলো বলছিলেন, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পূর্বাশা ক্লাব মোড় এলাকার কৃষক বসির উদ্দিন। তিনি এ বছর পাঁচ বিঘা জমিতে আমন আবাদ করেছেন। গাছ সবুজ হওয়ার পরপরই মাজরা পোকা আক্রমণ করেছে। আগে এক-দুইবার স্প্রে করে কাজ হয়েছে। এখন তিনবারেও ফল পাওয়া যাচ্ছে না। ফসল উৎপাদন খরচ এবার আরও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে যদুবয়রা, পান্টি, চাঁদপুর বাগুলাট ও চাপড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়– কেউ ধানক্ষেতে কীটনাশক, কেউবা সার ছিটাচ্ছেন। কেউ ব্যস্ত আগাছা পরিষ্কারে। ক্ষেতের বিভিন্ন অংশে ধান গাছ মরে ফাঁকা হয়ে গেছে। কোনো কোনো গাছের মাথা মরে লালচে হয়ে গেছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর ১৪ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হেক্টর বেশি। প্রতি বিঘায় ১৫ থেকে ২০ মণ ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতি হেক্টরে উৎপাদিত ধান থেকে প্রায় এক দশমিক ৫ টন চাল উৎপাদন হয়। এ বছর চালের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে প্রায় ৫৩ হাজার ৮১০ টন।
এবার প্রতি বস্তায় সারের দাম বেড়েছে দুই থেকে তিনশ টাকা। প্রতি বোতল কীটনাশক ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। জমির ইজারা, চাষ, চারা রোপণ ও পরিচর্যায় শ্রমিক খরচও বেড়েছে। সব মিলে প্রতি বিঘায় আমন আবাদে খরচ হয়েছে ১৮ থেকে ২২ হাজার টাকা; যা গতবারের চেয়ে চার থেকে ছয় হাজার টাকা বেশি বলে জানান কৃষক।
কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস বলেন, প্রতিবছর ইজারা, চাষ, পরিচর্যা, সার ও কীটনাশকের দাম বাড়ছে। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচও বাড়ছে। তার ওপর পোকার আক্রমণ কৃষকের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে।

বাড়ির সামনে দিয়ে জোরে গান বাজিয়ে যাচ্ছিলেন তরুণী, হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় বাড়ির সামনে দিয়ে জোরে গান বাজিয়ে যাওয়ার অভিযোগে এক প্রতিবন্ধী তরুণীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করেছে এলাকাবাসী। শনিবার সকাল ১০টার দিকে সদরের লাবসা ইউনিয়নের থানাঘাটা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত তরুণীর নাম রজিনা সুলতানা (২০)। তিনি সাতক্ষীরা শহরের সুইড খাতিমুন্নেসা হানিফ লস্কর বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তাঁর বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার থানাঘাটা এলাকায়। বাবার নাম রেজাউল করিম।

সদর উপজেলার থানাঘাটা গ্রামের ছখিনা খাতুন জানান, রজিনা সকাল ১০টার দিকে রাস্তা দিয়ে একটি স্পিকারে জোরে গান বাজিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় একই এলাকার ইলিয়াস হোসেন তাঁর বাড়ির সামনে জোরে গান বাজানোর বিষয়ে অভিযোগ করে হাতুড়ি দিয়ে রজিনার মাথায় কয়েকটি আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই রজিনার মৃত্যু হয়। ইলিয়াস ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন তাঁকে আটক করে মারধর করে। পরে র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পে খবর দেয়। র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে ইলিয়াস ও তাঁর বাবা একরামুল হোসেন, মাসহ পাঁচজনকে আটক করে।

ইলিয়াস স্থানীয় লোকজনকে বলেন, রজিনা প্রায় বাড়ির সামনে দিয়ে গান বাজাতে বাজতে যেতেন। গান না বাজানোর জন্য বললে তিনি উল্টোপাল্টা বলতেন। আজকে গান বাজিয়ে যাওয়ার সময় নিষেধ করলে তা না শুনে রজিনা তাঁকে গালিগালাজ করে। এতে রেগে তিনি হাতুড়ি দিয়ে রজিনার মাথায় আঘাত করেন।

সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মমতাজ মুজিদ জানান, নিহত রজিনাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর মাথায় বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

র্যাব-৬ সাতক্ষীরার কমান্ডার মো. ফয়সাল তানভীর জানান, এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে এ বিষয়ে জানানো হবে। ইলিয়াসকে সদর হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’

শিশু চোর সন্দেহে হাসপাতালে মানসিক রোগীকে গণপিটুনি
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
শিশু চোর সন্দেহে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রহিমা আক্তার মুক্তা (৩৫) নামে এক নারীকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের রোগীদের স্বজন ও বহিরাগতরা তাকে পেটান। গণপিটুনিতে আহত ওই নারী বর্তমানে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আহত রহিমা আক্তার মুক্তা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর ইসলামের স্ত্রী।

মুক্তার স্বামী জাহাঙ্গীর বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে আমার স্ত্রীর মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। সে পথে পথে ঘুরে বেড়ায়। আমার স্ত্রী শিশু চুরি করেনি। কিন্তু শিশু চোর সন্দেহে গণধোলাই দেওয়া হয়েছে।

গত ৫ দিন ধরে হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ৫ বছর বয়সী অনিক। শিশুর বাবা অনিক ও তার মা জেমি খাতুন বলেন, আমাদের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার আলমাতলায়। শুক্রবার সন্ধ্যার আগে ওই নারী আমাদের ওয়ার্ডে এসে ঘোরাঘুরি করছিল। দুই বা আড়াই ঘণ্টা ধরে সে ঘোরাঘুরি করছিল। আমরা ধারণা করছিলাম তিনি শিশু চোর। চোর সন্দেহে রোগীর স্বজন ও বহিরাগতরা তাকে মারপিট করে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক মিঠুন কুমার চক্রবর্তী বলেন, শিশু চোর সন্দেহে মুক্তা নামের এক নারীকে গণপিটুনি দিয়ে আহত করা হয়েছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, শিশু চোর সন্দেহে এক নারীকে গণধোলাই দিয়ে আহত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সঠিক না। তার মানসিক সমস্যা আছে।

ভাড়া বাড়িতে মিললো ক্লিনিক কর্মীর মরদেহ, পরিবারের দাবি হত্যা
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা শহরের গুলশানপাড়ায় ভাড়াবাড়ি থেকে তানিয়া খাতুন (২২) নামে এক নারী ক্লিনিক কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের গুলশানপাড়ার সেলিম মিয়ার বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তানিয়া খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয়রা তানিয়াকে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তানিয়া খাতুনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়োজিত সদর থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আরাফাত ইসলাম।
তিনি বলেন, রাত ১০টার পর তানিয়া খাতুনকে জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তবে নিহত তানিয়া খাতুনের বড় ভাই বেল্টু রহমানের দাবি, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমার কাছে মনে হয়েছে এটা হত্যাকাণ্ড। আমার বোনকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রেখেছে তার স্বামী আলামিন। নিহত তানিয়া খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের ঝোড়াঘাটা গ্রামের মাহাতাব আলীর মেয়ে এবং দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা স্বর্ণকার আলামিনের স্ত্রী। স্বামী আলামিনকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা শহরের গুলশানপাড়ার সেলিম মিয়ার তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন তানিয়া খাতুন। তাওহীদ ইসলাম নামে ছয় বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান আছে তাদের।
তানিয়া খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এলাকায় বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান আখিঁতারা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আয়ার কাজ করতেন। তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বর্তমানে মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। শনিবার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হন্তান্তর করবে পুলিশ।
তানিয়া খাতুনের ভাই বেল্টু রহমান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ফ্যানের সঙ্গে যেভাবে দড়ি বাঁধা হয়েছে সেটা দেখে মনে হয়েছে আমার বোন আত্মহত্যা করেনি। তাকে তার স্বামী মেরে ফেলেছে। তবে কী কারণে মেরেছে এটা এখনই বলতে পারছি না।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল বলেন, আমরা তানিয়া খাতুনকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে জানা যাবে এটা আত্মহত্যা কি না।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) হোসেন আলী বলেন, একজন নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে জেনেছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে জানা যাবে এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যা। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মোংলা বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ: ক্লাসে নেই, বেতনে আছেন শিক্ষকরা
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
অনার্স ক্লাসের অনুমোদন নেই, তাই ছাত্র-ছাত্রীও নেই। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১৪ জন। ২০২১ সাল থেকে প্রতি মাসে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা করে এভাবে বেতনও তুলছেন তারা। মোংলার বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ শিক্ষকদের এই নিয়ম বহির্ভূত বেতন চালু করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ঘুস দেওয়া হয়েছে বলেও স্বীকার করেন কলেজটির অধ্যক্ষ মো. হাফিজুর রহমান।

ঘুস দেওয়া শিক্ষকরা হলেন- মল্লিক শামছুজ্জোহা, সৈয়দ তরিকুল ইসলাম, আব্দুল জলিল সানা, অনুপমা মন্ডল, মো. আল আমিন, দেলোয়ার হোসেন, মো. রুহুল কুদ্দুস, তামান্না জাহান, শেখ ফরিদ, আব্দুল্লা আল মামুন, জোবায়দা গুলশানারা, মাহামুদুল হাসান, আব্দুর রহিম ও সাদেকুর নাহার। তারা সবাই ১৪ লাখ টাকা করে ঘুস দেন সংশ্লিষ্ট শাখায়। এভাবে ২০২১ সাল থেকে কাগজে কলমে শিক্ষক বনে যাওয়া সবাই বেতন উঠিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
কলেজ সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুরুতে ১৯৯৪ সালে ‘মোংলা মহিলা কলেজ’ নামকরণ করা হলেও পরে ‘বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ’ নামে কার্যক্রম শুরু হয়। অবৈধভাবে সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার জন্য দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা কৌশলে এর নাম পরিবর্তন করেন। এরপর বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার এবং বিশেষ সুবিধা দিয়ে ডিজি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অডিট রিপোর্টে অনার্স ক্লাস না থাকার বিষয়টিকে এড়িয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিশেষ টাক্সফোর্সের মাধ্যমে শিক্ষক কর্মচারির পদ সৃষ্টি করা হয়। কেবল উচ্চ মাধ্যমিক থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত ক্লাসের অনুমোদন থাকা কলেজে অনার্স পর্যন্ত বেতন চালু করে দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। এরপর ক্লাস না করে কেবল খাতায় স্বাক্ষর করে ২০২১ সালের মে মাস থেকে অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে বেতন তুলছেন অনার্স ক্লাসের জন্য নিয়োগ পাওয়া ১৪ জন শিক্ষক।
এ বিষয়ে কলেজের অনার্স বিভাগের জন্য নিয়োগ নেওয়া শিক্ষক অধ্যক্ষ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ইন্টারমিডিয়েট ও ডিগ্রিতে এসব শিক্ষকদের ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ঘুস দিয়ে অনার্সের বেতন পাওয়ার বিষয়টি অকপটে স্বীকার করে তিনি বলেন, ওই টাকা দিয়ে ঢাকায় যাওয়া আসা বাবদ খরচ করা হয়েছে। বাকি অবশিষ্ট টাকা তাদের নিজস্ব ফান্ডে রেখে কলেজের অবকাঠামোর কাজে ব্যয় করা হচ্ছে। তবে অবকাঠামোর কাজে দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন চোখে পড়েনি। প্রতিষ্ঠার ৩০ বছরেও মাতৃভাষার প্রতীক একটি শহীদ মিনারও স্থাপন করা হয়নি এই কলেজে।

এ বিষয়ে ফাদার মারিনো রিগন শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুভাষ বিশ্বাস বলেন, যদি কোনো কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনার্সের শিক্ষার্থী না থাকে, ক্লাস না হয়, তাহলে সেখানে কেন শিক্ষক থাকবে? সেখানেতো কোনো শিক্ষক থাকার যৌক্তিকতা নেই। তারপর আবার শিক্ষকরা নিয়মিত বেতন ওঠাচ্ছেন, এটা কিসের ভিত্তিতে ওঠান তারা? যেসব শিক্ষকরা অপকৌশল করে ঘুস দিয়ে বেতন চালু করেছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা উচিৎ এবং অবিলম্বে এই লুটপাট বন্ধ করে দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানান ওই প্রবীন শিক্ষাবিদ।
ঘুস দিয়ে অনার্স চালু করা এবং ক্লাস না নিয়ে দীর্ঘদিন বেতন তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে মোংলা বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, এর উত্তর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডিজি দেবেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কলেজের অন্য বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক বলেন, শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন গত ৫ আগস্ট দেশের পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর বেশ প্রভাবশালী হয়ে উঠেছেন। নিজেকে বিএনপি দলীয় সমর্থক পরিচয় দিয়ে অধ্যক্ষের চেয়ে বড় শিক্ষক মনে করেন। কলেজে তার স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে কোনো শিক্ষক কথা বললে তাকে স্থানীয় শীর্ষ বিএনপির নেতাদের কলেজে এনে ভয় দেখান।

খুলনায় পুজা উদযাপন পরিষদের বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ
স্টাফ রিপোর্টার
খুলনা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে পাইকগাছার দেলুটি ইউনিয়নে ১৩টি গ্রামের বন্যার্তদের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ইউনিয়নের বন্যায় দুর্গত প্রতিটি পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপণ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পূজা উদযাপন পরিষদ খুলনা জেলা শাখার সভাপতি কৃষ্ণপদ দাশ, সাধারণ সম্পাদক বিমান সাহা, সহসভাপতি অধ্যক্ষ অযিদ কুমার বিশ্বাস, সহসভাপতি প্রভাষক গৌর চন্দ্র ঢালি, দপ্তর সম্পাদক সুমন দাস, প্রচার সম্পাদক পলাশ মন্ডল প্রমুখ।

পূজা উদযাপন পরিষদ খুলনা জেলার সাধারণ সম্পাদক বিমান সাহা বলেন, আজকে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের ১৩টি গ্রামে শতাধিক পরিবারের মাঝে আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। আমরা মানবতার সেবায় ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার কাছে সাহায্য পৌঁছে দিয়েছি সামাজিক দায়বদ্ধতার কারণে।

লেখক-সাংবাদিক উর্মি রহমানের ইন্তেকাল
স্টাফ রিপোর্টার
বিবিসির সাবেক সাংবাদিক ও বিশিষ্ট লেখক উর্মি রহমান মারা গেছেন। শনিবার ভারতের কলকাতায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। উর্মি রহমানের বন্ধু মানবাধিকারকর্মী সীমা মোসলেম মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন। উর্মি রহমানের জন্ম খুলনায়। তবে তাঁর বেড়ে ওঠা রাজধানীর আজিমপুরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়ে তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন। উর্মি রহমানের সাংবাদিকতার শুরু দৈনিক সংবাদ দিয়ে। সংবাদ ছাড়াও তিনি পিআইবি, উইকলি হলিডে এবং বিবিসি রেডিওতে কাজ করেছেন। সাপ্তাহিক বিচিত্রায় তিনি টিভি অনুষ্ঠানের সমালোচনা লিখতেন। দৈনিক জনকণ্ঠে তিনি কলামও লিখতেন। প্রায় এক যুগ ধরে স্বামী সাগর চৌধুরীকে নিয়ে সঙ্গে কলকাতায় বাস করছিলেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি উর্মি রহমান গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ভ্রমণ কাহিনিও লিখেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থ হলো-ব্রিকলেন: ‘বিলেতের বাঙালিটোলা’, ‘পাশ্চাত্যে নারী আন্দোলন’, ‘সমান্তরাল, ‘অতিথি’, ‘এদেশে বিদেশে’ ‘বি ইজ ফর বাংলাদেশ’।

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের অপসারন দাবীতে শ্যামনগরে মানববন্ধন
শ্যামনগর সাতক্ষীরা
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি পেশা নিয়ে কটুক্তি করায় মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর এর অপসারন ও নার্সিং মিডওয়াফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক,পরিচালক এবং নার্সিং ও মিডওয়াফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্ট্রার পদে উচ্চ শিক্ষিত, দক্ষ ও অভিজ্ঞ নার্স পদায়নের দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১২ টায় উপজেলা প্রেসক্লাব চত্বরে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সিং সুপারভাইজার লতিফ হাসিনা, সিনিয়র নার্স গীতা নারী মন্ডল, খালেদা বানু, শিউলি বিশ্বাস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, অবিলম্বে মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের অপসারন ও মিডওয়াফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্ট্রার পদে উচ্চ শিক্ষিত,দক্ষ ও অভিজ্ঞ নার্স পদায়ন করতে হবে। তা না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

মোংলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এসএম জিলানীর উপর হামলা ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারকে হত্যার প্রতিবাদে মোংলায় বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ করেছেন বিএনপি। শনিবার বিকেলে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপি ও তার সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা অংশ নেন। মিছিলটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৌর মার্কেট চত্বরে এসে মিলিত হন। সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা জিলানীর উপর হামলাকারী ও দিদার হত্যাকান্ডে জড়িত সকলকে গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।

পল্লী বিদ্যুতের তারে,স্বপ্ন পুড়ে ছাই,খামারি আলিমের
পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পল্লী বিদ্যুতের বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে সৃষ্ট আগুনে স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে পিরোজপুর সদর উপজেলার উত্তর পোরগোলা গ্রামের খামারি আব্দুল আলিমের। আগুনে বিদ্যুৎ লাইনের নিচে থাকা আলিমের মুরগির খামারের এক হাজার ব্রয়লার মুরগি পুড়ে ভষ্মীভূত হয়েছে।
ভূক্তভোগী আলিম জানান, ১৭ দিন আগে খামারে এক হাজার মুরগি তুলেছিলেন যেগুলোর প্রতিটির ওজন প্রায় এক কেজি। আর মাত্র ১৫ দিন পর সে মুরগিগুলো বিক্রি করতে পারত। তবে গত রোববার দুপুরের দিকে তার খামারের উপর থাকা পল্লী বিদুতের বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের দুইটি তার একটি আরেকটির সংস্পর্শে এসে আগুন ধরে যায়। পরবর্তীতে সেই আগুন ছিটকে তার খামারের উপর পরে। এতে মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে তার পুরো খামার জুড়ে। এরপর আগুনে খামারে থাকা এক হাজার মুরগি পুড়ে মারা যায়। তবে পল্লী বিদ্যুতকে বিষয়টি জানানোর পর তারা বিদ্যুৎ লাইনটি তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেয়। তবে বিষয়টি দেখার জন্য সেখানে কেউ যায়নি বলে জানান তিনি। আলিমের দাবি অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তার দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।

সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রমাণ দিলে রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা বিএনপি নেতার
স্টাফ রিপোর্টার
দখল, চাঁদাবাজি বা সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত থাকার ঘটনা প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ওই ঘোষণা দেন তিনি। বিএনপির ওই নেতার দাবি, পটপরিবর্তনের পর তিনি ১২০০ বিঘার ঘের দখল করেছেন বলে প্রতিপক্ষের লোকেরা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। অথচ মোল্লাহাটে এমন কোনো ঘেরের অস্তিত্ব-ই নেই। মূলত কেন্দুয়ার বিলে মানুষের শত শত বিঘা জমি এতদিন যারা জবরদখল করে ভোগ করেছেন, তারাই পুনরায় দখলে রাখতে এবং সাধারণ মানুষের জমির টাকা না দেয়ার কৌশল হিসেবে চক্রান্তের আশ্রয় নিয়েছেন। রাজনৈতিক হয়রানি থেকে বাঁচতে তিনি প্রশাসনিক ও দলীয় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘আজিজুর রহমান নামে এক মৎস্য খামারি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী নেতাকর্মীদের অত্যাচারকারী আওয়ামী লীগের দুজন প্রভাবশালী নেতার ক্ষমতার দাপট গড়েন। তারা আমার এলাকা কেন্দুয়া বিলে সাধারণ জমির মালিকদের জমার টাকা না দিয়ে জোরপূর্বক দখল করে মৎস্য খামারসহ নানা ব্যবসা করে গরীবের রক্ত চুষে খেয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘নতুন করে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করায় জমির মালিকরা তাদের জমি ফিরে পেতে প্রশাসনসহ নানা জায়গায় ধর্না দেয়া শুরু করলে দীর্ঘদিনের অত্যাচারীরা আত্মগোপনে গিয়ে নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে আমার বিরুদ্ধে নানা অপবাদ রটাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ নেতাগণও তাদের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ীক মিত্র চক্রটি মিলে এখনও মনে করে মোল্লাহাট উপজেলাটি গোপালগঞ্জের অংশ। আমি আপনাদের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী ও ওই চক্রটিকে সতর্ক করতে চাই। যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন আমাকে শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শ থেকে সরানো যাবে না। আর যারা কৌশলে আমাকে ঘের দখলকারী সাজানোর অপচেষ্টা করছেন, তা সফল হবে না।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আজিজুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দেয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
গত ১১ সেপ্টেম্বর ‘দৈনিক খুলনাঞ্চল’ পত্রিকার তৃতীয় পৃষ্ঠায় ৬ ও ৭ এর কলমে প্রকাশিত “অভয়নগরে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরিসহ নানা অভিযোগ” শিরোনামের খবরটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়। আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত ওই খবরটি সত্য নয়। একটি মহল আমার ব্যক্তিগত ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়েছে সেই তথ্যের ভিক্তিতে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। আমি প্রকাশিত ওই সংবাদটির প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
-মোহাম্মদ মহিদুল ইসলাম খান
অধ্যক্ষ
নওয়াপাড়া মডেল কলেজ
নওয়াপাড়া, অভয়নগর, যশোর

পাইকগাছায় জমির বিরোধ : শালিসী সভার শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ
পাইকগাছা প্রতিনিধি:
পাইকগাছায় শালিসী’ সিদ্ধান্তের শর্তভঙ্গ করে উল্টো উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতির বিরুদ্ধে জমিতে যেতে বাঁধা সৃষ্টির কথিত অভিযোগের ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রয়া দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে উপজেলার মেলেক পুরাইকাটির সুধাংশু সাধুর স্ত্রী চায়না সাধু পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি সমীরন সাধুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করার ৩ দিন পর নিজের জমিতে ধান রোপন করেও প্রতিহিংসা বশত এমন অভিযোগ করছেন।
জানাগেছে, ইতোপূর্বে চায়না সাধু ও সমীরন সাধু পরিবারের মধ্যে জমা-জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। চায়না সাধুর থানায় সমীরন সাধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। ওসি দু’পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনান্তে শালিসী সভার সিদ্ধান্ত শর্ত সাপেক্ষে দু’পক্ষই নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে সমাধান করে দেন। উভয়ের জমির পশ্চিম সীমানায় উত্তর- দক্ষিন বরাবর প্রত্যেকের মালিকানা জমির ২ হাত করে মোট ৪ হাত তলা মাটির রাস্তা হবে। সমীরন সাধুর ইটভাটার জমিতে উচু নিচু বাঁধ করনে চায়নাকে ২০ হাজার টাকা দেয়া হবে, তবে চায়না সাধু ৯৩৯ দাগের জমি আকৃতি-প্রকৃতি পরিবর্তনে সমীরন সাধুর নামে কোথাও কোন অভিযোগ করতে পারবে না। এছাড়া সমীরন সাধুর এসএ ১ খতিঃ,২৪২ দাগে ১২ এর মধ্যে ৭ শতক জমি সিমানা করে বাঁশের বেড়া, বালিভরাট করতে পরবে। এতে চায়নার আপত্তি থাকবে না। ৮৭১ দাগে ২ শতক জমি চায়না ছেড়ে দেবে সার্বজনীন শিবমন্দিরের জন্য। সর্বশেষ সমীরন সাধুর বিরুদ্ধে তার ইটভাটার ভিতর চলতি আমন মৌসুমে চায়না সাধুর জমি দখল ও জমিতে ধান্য রোপনে বাঁধা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে চায়না সাধু থানায় একটি অভিযোগ করেন।
এ সময় চায়না সাধু কপিলমুনিতে অবস্থান করায় তার বক্তব্য গ্রহন করা সম্ভব হয়নি, তবে তার পুত্রবধু স্বীকার করেন এ বছর ধান রোপনে কেউ বাঁধা দেয়নি।
সমীরন সাধু বলেন,পুর্বের শালিসী সিদ্ধান্ত চায়না সাধু পদে-পদে শর্তভঙ্গ করে উল্টো আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। ওসি মোঃ ওবায়ইদুর রহমান বলেন, তদন্ত করে অভিযোগ সত্য-মিথ্যা যাচাই করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের পদত্যাগের দাবিতে পিরোজপুরে মানববন্ধন
পিরোজপুর প্রতিনিধি:
নার্সিং পেশা ও নার্সদের নিয়ে কটুক্তি করায় নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের পদত্যাগের দাবিতে পিরোজপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে জেলা হাসপাতালে কর্মরত নার্সিং কর্মকর্তা ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকালে জেলা হাসপাতালের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। জেলা হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার মোসাম্মৎ মনোয়ারা বেগম বলেন, বিভিন্ন দাবি নিয়ে নার্সরা গত ৯ সেপ্টেম্বর নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সে সময় মহাপরিচালক তাদের সঙ্গে বাজে আচরণ করেন। মাকসুরা নূর সে সময় বলেন, নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা দেওয়া সরকারের ভুল ছিল। তিনি আমাদের নিয়ে, আমাদের পেশা নিয়ে অবমাননাকর কথা বলেছেন। আমরা রবিবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি। অতিদ্রুত মহাপরিচালক মাকসুরা নূর পদত্যাগ না করলে আমরা কর্মবিরতিসহ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেব। পিরোজপুর নার্সিং ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান বলেন, নার্সদের বদলি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন এবং বদলি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেট নিয়ে কথা বলতে গেলে মহাপরিচালক মাকসুরা নূর নার্সদের সঙ্গে অপেশাদার আচরণ করেন। একইসঙ্গে তাদের পেশাকে অপমান করেন। মহাপরিচালক পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলমান থাকবে। মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, নার্স সুমিত্রা, ফাতেমা আক্তার, নার্সিং ইন্সট্রাক্টর প্রভা রানি বরাল, নিপা মন্ডল, নিপা হালদার, গৌরী রানি প্রমুখ।

রামপালে মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী তামিম হাসানের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়
রামপাল প্রতিনিধিঃ
আন্তর্জাতিক মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম, এইস তামিম এর সাথে প্রেসক্লাব রামপালের সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে বিগত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। এ সময় তিনি হাসিনা সরকারের হায়েনাদের নৃশংসতায় হাজার হাজার আহতদের সুস্থতা কামনাও করে বলেন, অন্তর্র্বতী সরকারের ন্যাস্ত করা দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা হবে। কারো প্রতি কোন অবিচার করা হবে না। সাংবিধানিকভাবে যে কোন অভিযুক্ত ব্যাক্তির ন্যয় বিচার নিশ্চিত এবং মানবিক আচারণ করা হবে। এক তরফাভাবে কারো ন্যায়সঙ্গত অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হবে না। বৈশম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, যারা আহত হয়েছেন তাদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের পরিবারের সদস্যরা ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করলে তাদের আইনি সহযোগীতা করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিগত সময়ে মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাদের বিচার হয়েছে, সরকার চাইলে পুনরায় রিভিউ করতে পারেন। বিচারগুলো আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এবং সঠিক স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হয়েছে কি না ? তবে সে ক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধন ও আইন সংস্কার প্রয়োজন। তিনি সাংবাদিকসহ রাষ্ট্রের সকল নাগরিকদের সহযোগীতা কামনা করেন।
এ সময় তার সাথে থেকে কথা বলেন, মোল্যা রহমাতুল্লাহ, প্রেসক্লাব রামপালের সভাপতি এম, এ সবুর রানা, সিনিয়র সহসভাপতি মোতাহার হোসেন মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক সুজন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ, এইচ আমিনুল হক নান্টু, অর্থ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, সদস্য সরদার মহিদ্লু ইসলাম প্রমুখ।

ফুলতলার এতিমখানার বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাতের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার:
খুলনার ফুলতলা উপজেলার ১১টি এতিমখানার সরকারী বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাল আত্মসাতের পিছনে ফুলতলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সেক্রেটারী আসলাম খান ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতা খলিল শেখের সম্পৃক্ততা উঠে এসেছে। জানা গেছে, খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ত্রান ও পূনবাসন শাখা থেকে ফুলতলা উপজেলায় অবস্থিত ১১টি এতিমখানা ও মাদ্রাসায় জিআর চাল বরাদ্দ হয় ৩৩ মেট্রিক টন । সেই চালের বেশিরভাগই গায়েব হয়ে যায়। নাম মাত্র চাল পায় মাদ্রসা ও এতিমখানা। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, আসলাম খান ও খলিল শেখ মূলত খুলনার বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ফুলতলার মাদ্রাসা ও এতিমখানার নামে বরাদ্দ বা আর্থিক অনুদান নিয়ে আসেন। তবে বেশিরভাগ আর্থিক অনুদান এই দুই আওয়ামীলীগ নেতার পকেটে চলে যায়। শুধু এখানেই শেষ নয়। মাদ্রাসা ও এতিমখানার পরিচালনা পর্ষদ এর নামে বে-নামে কাগজপত্র ও স্বাক্ষর জাল করার মত গুরুতর অভিযোগ উঠে আসে। দামোদর কারিকরপাড়া মহিলা মাদ্রাসা পরিচলানা পর্ষদের সদস্য ও আরবী বিভাগের শিক্ষিকা রেখা বেগম জানান, ৩ টন চাল আমাদের মাদ্রাসায় বরাদ্দ হয়, তবে আমরা পায়ছি মাত্র ৩০ হাজার টাকা। এ বিষয়ে আসলাম খান আমাদের ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে দেয়নি। মশিয়ালী হযরত আঃ কাদের জিলানী (রহঃ) হাফিজিয়া মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সরদার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমার মাদ্রাসার নামে চাল আসছে, উঠানোও হয়ে গেছে। অথচ আমরা জানলাম না, আমাদের সই জাল করে এসব করছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দারুন নাজাত মাদ্রাসা, ফুলতলা আহম্মাদিয়া এতিমখানা, দামোদর ফজলুল উলুম, মশিয়ালী শিশু সদন, কারিকর পাড়া মহিলা মাদ্রাসা, খাদিজাতুল কুবরা মহিলা মাদ্রাসা, মদিনাতুল উলুম এতিমখানা, কাজী আবু মোকারম এতিমখানা, মশিয়ালী হযরত আঃ কাদের জ্বিলানী মাদ্রাসা, গাড়াখোলা দাখিল মাদ্রাসা ও আকাম আলী বিশ্বাস মাদ্রাসার প্রত্যেকটিতে ৩ মেট্রিক টন করে মোট ১১টি প্রতিষ্ঠানে ৩৩ মেট্রিক চাল ত্রান ও পূর্নবাসন শাখা থেকে বরাদ্দ হয়। উল্লেখিত ১১টি প্রতিষ্ঠানের কোনটিতেই ৩ মেট্রিক টন চাল বা সমপরিমান টাকা পায়নি। নাম মাত্র ২০-৩০ হাজার টাকা পেয়েছে। এই সকল চাল আত্মসাতের ঘটনার পিছনে খলিল শেখ সরাসরি জড়িত এবং তার সহযোগি হিসেবে ছিলেন থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সেক্রেটারী আসলাম খান এমন মন্তব্য মাদ্রাসা ও এতিমখানা সংশ্লিষ্টদের। এ বিষয় মুঠোফোনে আসলাম খানকে না পেলেও খলিল শেখকে পাওয়া যায়। মুঠোফোনে খলিল জানান, আমি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত নেই। আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ আসছে তা সঠিক নয়। ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসনীম জাহান জানান, এতিমদের জন্য চাল বরাদ্দ এসেছে, ব্যবস্থাতো নিতেই হবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ এসেছে তা আবার তছরুপ হবে তাও আবার এতিমদের বিষয়,এটার বিষয় আমি সবসময় সচেষ্ট থাকব।

বেনাপোলে ঘোষণা বহির্ভূত ৯০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত ১০০ কোটি টাকার হোমিও মেডিসিন জব্দ
বেনাপোল প্রতিনিধি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষনায় আমদাদিকৃত ৯০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত ১০০ কোটি টাকার হোমিও মেডিসিন জব্দ করেছে বেনাপোল কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দার সদস্যরা ।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে পণ্য চালানটি জব্দ করা হয়। যার বিল অব এন্ট্রি নম্বর-৬৮৭০৩, তারিখ ১৮.০৮.২০২৪ ইং। আমদানিকারক দ্য হোমিও ওয়ার্ল্ড, চট্টগ্রাম ২৮/০৭/২০২৪ ইং তারিখে ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২ হাজার ২০০ প্যাকেজের (গ্রোস ওয়েট) ২২ হাজার ২৭৯ কেজি ওজনের হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন-১.উরষঁঃরড়হ ১গ ৫০০সষ. ২.উরষঁঃরড়হ ২০০ঈঐ – ৫০০সষ. ৩. উরষঁঃরড়হ ৩ঢ-৩০ ঈঐ ৫০০সষ. ৪. গড়ঃযবৎ ঞরহপঃঁৎব উ/অ.আমদানি করে। চালানটি বেনাপোল স্থলবন্দরে ৩৪ নম্বর সেডে রক্ষিত রয়েছে। যার ম্যানিফেস্ট নম্বর ৬০১২০২৪০০২০০৪৬৩২১. তারিখ ২৮/০৭/২০২৪ ইং।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, জব্দকৃত চালানটির বাজার মূল্য ১০০ কোটি টাকার উর্ধ্বে। আমদানিকারক চালানটির এলসি মূল্য৭৫ হাজার ৩১২ মার্কিন ডলার বা ৮৮ লাখ ৮৬ হাজার ৮১৬ টাকা দেখিয়েছেন। সিএন্ডএফ এজেন্ট মহিউদ্দিন আহমেদ এন্ড সন্স বেনাপোল যশোর আমদানি কারকের পক্ষে কাজ করছেন। পণ্য চালানটি এইচএস কোড ৩০০৪৯০২০ অনুযায়ী ১০% শুল্কহারে রাজস্বের জন্য ৯ লাখ ৯ হাজার ৭৬৩ টাকায় বিল অব এন্ট্রি সাবমিট করেছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে উক্ত পন্যের এইচএস কোড হবে ৩০০৪৯০১০। এবং ৫৮.৬০% হারে রাজস্ব নির্ধারিত হবে বলে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনারকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন।ঔষধ গুলোর একেকটির দাম একেক রকম।
ঘোষনা বহির্ভূত এবং অতিরিক্ত ৯০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত (রেকটিফাইড স্প্রীট) ও চারটি আইটেমের বিপরীতে ৩৮২ আইটেমের বিভিন্ন নামের ঔষধ আমদানি করেছে বলে এনএসআই বেনাপোল স্থলবন্দরের কর্মকর্তা বিষয়টি বেনাপোল স্থলবন্দরের শুল্ক গোয়েন্দার উপ-পরিচালক সাইফুজ্জামানকে অবহিত করলে তার নেতৃত্বে চালানটি পরীক্ষা করে এনএসআইয়ের গোপন তথ্য সঠিক পাওয়ায় পণ্য চালানটি জব্দ করে খালাস স্থগিত করা হয়।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার সাফায়েত হোসেন জানান, আমদানিকৃত কোন পণ্যে অনিয়ম পেলে সেটা তো জব্দ করতেই হবে। আমদানিকারক দ্য হোমিও ওয়ার্ল্ড, চট্টগ্রাম হোমিও মেডিসিন নামে ঘোষণা দিয়ে এই পণ্য চালান আমদানি করেন। পণ্যটি বেনাপোল বন্দরে আসার পর শনিবার সকালে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএস আই’র দেয়া তথ্যে শুল্ক গোয়েন্দার সদস্যরা পণ্যচালানটিতে আমদানি নিষিদ্ধ অতিরিক্ত ৯০ শতাংশ অ্যালকোহল পাওয়া গেছে। যে কারণে চালানটি জব্দ করা হয়েছে।বর্তমানে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে অনিয়মে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ অনিয়ম করলে কোন প্রকার কাউকে ছাড় নয়।

ডুমুরিয়ার আঠারোমাইল ঈসা কলেজে গৃহিনীকে অধ্যাপক সাজিয়ে সভাপতি তৈরিঃ অধ্যক্ষের ভাই-বোন সদস্য
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি:
সৈয়দ রেহেনা ঈসা একজন গৃহিনী। অথচ তাকে খুলনা সরকারি সুন্দরবন আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের সহযোগি অধ্যাপক সাজিয়ে ডুমুরিয়ার আঠারোমাইল সৈয়দ ঈসা টেকনিক্যাল এন্ড বি এম কলেজের সভাপতি হিসেবে নাম প্রেরণ করা হয়। কারিগরি বোর্ড থেকে অনুমোদনও নেওয়া হয়। কলেজটির দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ জি এম আব্দুস সাত্তার শুধুমাত্র সভাপতির ক্ষেত্রে এ জালিয়াতি করেননি। অভিভাবক সদস্য, দাতাসদস্য, বিদ্যুৎসাহী সদস্য, প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসহ অধিকাংশ সদস্য দেওয়ার ক্ষেত্রেও চরম জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। হাইকোর্টের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের তদন্তে এসব দূর্নীতির সত্যতা মিলেছে।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, আঠারোমাইল সৈয়দ ঈসা টেকনিক্যাল এন্ড বি এম কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক এম এম আলাউদ্দীন ও অফিস সহকারী আক্তারুজ্জামান ২০২২ সালের ১০ অক্টোবরে অধ্যক্ষ কর্তৃক ভ্থয়া কাগজপত্র তৈরি করে সভাপতিসহ ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদনকে বেআইনী মর্মে হাইকোর্টে একটি রীট পিটিশন দাখিল করেন। ৮০৭৮/২০২৩ নম্বর রীট পিটিশনে মহামান্য হাইকোর্ট বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডকে ১ মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দেয়। তার প্রেক্ষিতে কারিগরি বোর্ড খুলনা জেলা প্রশাসককে তদন্ত করতে অনুরোধ জানালে সহকারি কমিশনার নাভিদ সারওয়ারকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
অধ্যক্ষ সভাপতি হিসেবে বেগম রেহেনা ঈসাকে সরকারি আদর্শ সুন্দনবন মহাবিদ্যালয়ের সহযোগি অধ্যাপক হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে তদন্তকালে দেখা গেছে তিনি একজন গৃহিনী। কোনদিন কোন চাকরী করেননি। সরকারি সুন্দরবন কলেজের অধ্যক্ষ তার প্রত্যায়নে উল্লেখ করেছেন সৈয়দ রেহেনা ঈসা কোন দিন অত্র প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাকতা করেননি এমনকি এ নামেও ইতিপূর্বে কোন শিক্ষক এ প্রতিষ্ঠানে ছিল না। উল্লেখ্য, শহরের অদুরে কোন কারিগরি কলেজের সভাপতি হবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অথবা তিনি কর্তৃক মনোনীত কোন ব্যক্তি বা সরকারি বা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে অবঃসর প্রাপ্ত প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা পর্যায়ের ব্যক্তি। তবে এর কোনটিই অনুসরন করেননি দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ জি এম আব্দুস সাত্তার। অধ্যক্ষের ভাই আবুল হোসেনকে দাতা সদস্য করা হয়েছে। অথচ তদন্তকালে আবুল হোসেন দাতা সদস্য হিসেবে তার স্বপক্ষে কোন দালিলিক প্রমান দেখাতে পারেনি। অধ্যক্ষের সকল অপকর্মের সহযোগি অফিস সহকারি সুরঞ্জন ঘোষ। অভিভাবক সদস্য হিসেবে তার স্ত্রী কাজল রানী ঘোষকে বিনা প্রতিদন্দ্বিতায় নির্বাচিত দেখানো হয়েছে। তবে তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে কাজল রানী ঘোষ তার ছেলে শুভ ঘোষের অভিভাবক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে শুভ ঘোষ ৫ বছর আগে ওই কলেজ ত্যাগ করেছেন। তদন্তকালে ভোটার তালিকায় কাটাছেড়া এবং শুভর অভিভাবকের স্থানে কাজল রানী এবং মায়ের স্থানে উষা রানী ঘোষ লেখা রয়েছে। তদন্তে রিপোর্টে এ জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে। অধ্যক্ষের আপন বোন রশিদা খাতুনকে বিধিবর্হিভ্থত ভাবে সদস্য করা হয়েছে। অধ্যক্ষের আস্তাভাজন সহযোগি ল্যাব সহকারী রুমিচা খাতুনের স্বামী রফিকুল ইসলামকে বিদ্যুৎসাহী সদস্য করা হয়েছে সম্পূর্ন বেআইনীভাবে। জেলা প্রশাসকের কাযার্লয়ের সহকারি কমিশনার ও তদন্তকারী কর্মকর্তা নাভিদ সারওয়ার তার তদন্ত রির্পোটের শেষভাগে উল্লেখ করেছেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের একাধিক ধারা লংঘন করে বিধিবর্হিভ্থভাবে গঠিত কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠন করার সুপারিশ করেন। অধ্যক্ষ তার সুবিধার্থে কখনও ভাবি, কখনও ভাই, কখনও বোন, কখনও ভগ্নিপতিকে অভিভাবক সদস্য, দাতা সদস্য তৈরি করেন। এভাবে প্রতিষ্ঠানটি এখন তার কাছে এক প্রকার জিম্মি হয়ে পড়েছে। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ আল-আমিন বলেন, তদন্তে সত্যতা পেলে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পিরোজপুরে জাতীয় পার্টির (জা:) আলোচনা সভা
পিরোজপুর প্রতিনিধি :
ফ্যাসীবাদমুক্ত বাংলাদেশ ও আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে পিরোজপুরে আলোচনা সভা করেছে জাতীয় পার্টি শনিবার বেলা ১১ টায় পিরোজপুর শহরের হোটেল রয়েল প্যালেস মিলনায়তনে পার্টির জেলা সভাপতি তৌহিদ উদ্দিন শেখ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বাদশা, সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুল ওহাব তালুকদার, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম কিসমত, জাতীয় পার্টি নাজিরপুর উপজেলা মো: রিয়াজ, সাধারন সম্পাদক মো: আরিফুর রহমান খান টুটুল, সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, হানিফ হাওলাদার মন্টু, আব্দুর রাজ্জাক মুনান, মাস্টার খালেকুজ্জামান, ব্যারিস্টার জুবায়ের হায়দার অয়ন সহ বিভিন্ন নেতা কর্মীরা।

এ সময় সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্ররা ০৫ ই আগস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ভারতে পালাতে বাধ্য হয়েছে। যাবার আগে মরণ কামড় দিতে সে ভুল করেনি। বাংলাদেশের প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে তাদের লোক রয়েছে। আমরা একটি গণতান্ত্রিক সরকার চাই, একটি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার দেশ শাসন করবে।

সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ
খবর বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস,এম, জিলানীর গাড়ী বহরে হামলা এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার এর হত্যার প্রতিবাদে খুলনা সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল নগরীর গোলোক মনি পার্ক হইতে ডাক বাংলা মোড় প্রদক্ষিন করে পিকচার প্যালেস মোড় হয়ে দলীয় কার্যলয়ে সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। উক্ত বিক্ষোভে মিছিলে সভাপতিত্ব করেন সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মঞ্জুর শাহিন রুবেল, সঞ্চলনায় নাইম হাসান হাসিব, উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাডঃ শফিকুল আলম মনা, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহবায়ক বদরুল আলম খান, যুগ্ম আহবায়ক কাজী মাহমুদ আলী, যুগ্ম আহবায়ক শের আলম সান্টু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিদায়ী সভাপতি একরামুল হক হেলাল, আলী আক্কাস, আরও অন্যান্য উপস্থিত ছিলেন ২২ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস,এম নুরুল আলম দিপু, মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ মাফিজুল ইসলাম, মোঃ শাহরুজ্জামান মুকুল, মোঃ আলী হোসেন সানা, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রিপন শিকদার, আল আমিন শেখ, মিজান সরদার, আসাদুজ্জামান রিপন, মাহবুবুর রহমান নোমান, মোঃ শফিকুল ইসলাম সজল, এজাজ হোসেন মোল্লা, ইকবাল হোসেন বাবু কাজী, মোঃ মাহামুদ হাসান পলাশ, মোঃ শহিদুল ইসলাম ডালিম, মোঃ জাফর হাওলাদার, মোঃ ফিরোজ হাওলাদার, রাজু হাওলাদার, মোঃ স্বপন শেখ, এস এম কবির, মোঃ আলী আকবর, মোঃ জামাল হোসেন ভুট্টো, রাজু হাওলাদার, মোঃ ইকবাল হোসেন, মোঃ আঃ জলিল সরদার, বদিউল আলম শেখ সুজন, মোঃ রানা হাওলাদার, মোঃ আবুল কালাম, মোঃ সুজন শেখ, মোঃ রিপন আঞ্জুজী, মোঃ শাহীন শেখ, মোঃ সৈতক, মোঃ হায়দার, এস,এম, ইফতেখাইর (সানি), মোঃ রাজু হাওলাদার, মোঃ শহিদুল ইসলাম, সুজন শেখ, এসএম শামীম, বাবুল হাওলাদার, মোঃ ইয়াছিন হাওলাদার, মোঃ আজাদ শিকদার, মোঃ খায়রুল ইসলাম, মোঃ রেজাউল শেখ, মোঃ মুরাদ হোসেন, মোঃ সুমন শেখ, মোঃ শিরাজুল ইসলাম (শিরাজ), মোঃ ইউনুস হাওলাদার, রায়হান বীন নাদের, মোঃ শাহিন শেখ, মোঃ মুজাম মিস্ত্রী, মোঃ বেলাল ফরাজী, মোঃ শিমুল, মোঃ শামীম শেখ, মোঃ মতিয়ার রহমান, মোঃ রবিউল ইসলাম (রবি), মোঃ সোহেল গাজী বাবু, মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ মাছুদ আকন, মোঃ মিরাজ গাজী, মোঃ রবিউল ইসলাম সাদ্দাম, মোঃ সজীব শেখ, মোঃ বাদশা, আফজাল, মীর রাসেল, মেহেদী হাসান, জুয়েল, সুরুজ ব্যাপারী, আবুল শিকদার, কালাম মীর, সোহাগ, জামাল গাজী, সরো কাজি, আরিফ, শহীদ, রবিউল, মোস্ত, রাজীব, মনি, জাকির, রহিম, নূর ইসলাম, ছোট বাবু, মোঃ সুমন শিকদার, মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ ফরিদ হাসান গাজী, মোঃ রবিউল ইসলাম, মোঃ হাবিবুর রহমান বাচ্চু, মোঃ রহমান কাজী, মোঃ নূর মোহাম্মদ গাজী, মোঃ মুন্সী ইদ্রিস হাওলাদার, মোঃ অপু আকুঞ্জি, মোঃ মিরাজ হোসেন, মোঃ রাজা, মোঃ আসাদুল, মোঃ মোক্তার মোল্লা, মোঃ রফিকুল ইসলাম বাবু, মোঃ ইব্রাহিম ঢালী, মোঃ রমিজ ব্যাপারী, মোঃ রাসেল শেখ, মোঃ শাহাবুদ্দিন হাওলাদার, মোঃ হেলাল শেখ, মোঃ রবি তালুকদার, মোঃ ইউমুফ শেখ প্রমুখ।

ডুমুরিয়ায় গাঙচিলের ৫০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
ডুমুরিয়ায় আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ গাঙচিলের ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। শনিবার সকালে গাঙচিল শাহপুর শাখার সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন গাঙচিল শাহপুর শাখার নির্বাহী সভাপতি সাংবাদিক মোঃ আনোয়ার হোসেন আকুঞ্জী, ডাঃ আশরাফ আলী গোলদার, গোলাম মোস্তফা সাগর, কবি সুমন বিপ্লব, কবি নূরুজ্জামান, কাজি অর্ণব হাসান, আজিজুল ইসলাম, জেসমিন আক্তার, সাহারা মিমি প্রমুখ। আলোচনা শেষে কেক কেটে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

দামুড়হুদা প্রেসক্লাব উপনির্বাচনে সভাপতি পলাশ, সাধারন সম্পাদক ফয়সাল
দামুড়হুদা প্রতিনিধিঃ
দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার সকালে দামুড়হুদা প্রেসক্লাব ভবনে অনুষ্ঠিত দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে প্রেসক্লাবের সদস্যদের ভোটে সভাপতি শামসুজোহা পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক তানজির ফয়সাল নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে
দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান পলাশের সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেন সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুস সালাম ও তাছির আহামেদ।২২ জন সদস্যদের মধ্যে ২১ জন সদস্য গোপন ভোটের মাধ্যমে তাদেরকে নির্বাচিত করেন।১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মধ্যে সহ-সভাপতি মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদ হাসান সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল হাসান তোতা, কোষাধাক্ষ শমসের আলী, দপ্তর সম্পাদক এস এম সুজন, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সালেকীন মিয়া সাগর, নির্বাহি সদস্য তাছির আহম্মেদ, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হবি, মেহেদী হাসান মিলন ও আরিফুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। এদিকে নির্বাচিত সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল হক পিপুল, সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান রনি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওসমান আলী, সহসাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সুমন।

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের অপসারন দাবীতে শ্যামনগরে মানববন্ধন
শ্যামনগর প্রতিনিধি:
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি পেশা নিয়ে কটুক্তি করায় মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর এর অপসারন ও নার্সিং মিডওয়াফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক,পরিচালক এবং নার্সিং ও মিডওয়াফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্ট্রার পদে উচ্চ শিক্ষিত, দক্ষ ও অভিজ্ঞ নার্স পদায়নের দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১২ টায় উপজেলা প্রেসক্লাব চত্বরে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সিং সুপারভাইজার লতিফ হাসিনা, সিনিয়র নার্স গীতা নারী মন্ডল, খালেদা বানু, শিউলি বিশ্বাস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, অবিলম্বে মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের অপসারন ও মিডওয়াফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্ট্রার পদে উচ্চ শিক্ষিত,দক্ষ ও অভিজ্ঞ নার্স পদায়ন করতে হবে। তা না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে

নিক্সন চৌধুরী মর্মাহত’ হওয়ায় মাদ্রাসার ২৮ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন দুই বছর ধরে বন্ধ
খুলনাঞ্চল ডেস্কঃ
ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন ‘মর্মাহত’ হওয়ায় অধ্যক্ষসহ একটি মাদ্রাসার ২৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন দুই বছর ধরে বন্ধ রেখেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

দীর্ঘ সময় বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এসব শিক্ষক-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনাটি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ইকামাতেদ্বীন মডেল কামিল (এমএ) মাদ্রাসার। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ ১৭ জন শিক্ষক, তিনজন ল্যাব সহকারী, তিনজন তৃতীয় শ্রেণির ও ছয়জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বেতন বন্ধ রাখা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মাদ্রাসার পক্ষ থেকে ১ সেপ্টেম্বর পুনরায় বেতন-ভাতা চালুর জন্য অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের পল্লিবেড়া গ্রামে ২ একর ১২ শতাংশ জমির ওপর মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৫ সালের মে মাসে মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হয়। মাদ্রাসায় চারতলা ভবন আছে দুটি, তিনতলা ভবন আছে একটি ও দুইতলা ভবন আছে তিনটি। বর্তমানে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী আছেন ১ হাজার ৩৮ জন এবং শিক্ষক-কর্মচারী আছেন ৫৮ জন।
২০২১ সালের ৮ অক্টোবর ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী বরাবর ডিও লেটার দিয়ে ‘অধ্যক্ষসহ শিক্ষক-কর্মচারীগণের বেতন–ভাতা স্থগিত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ’ করেন। ডিও লেটারে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুর-৪ এর ভাঙ্গা উপজেলার ইকামাতেদ্বীন মডেল কামিল মাদ্রাসাটি বিএনপি সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়। মাদ্রাসার শিক্ষক–কর্মচারীরা সরকারি নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় মর্মে জানা যায়। আমি বারবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও বিষয়টির প্রতি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও কিছুসংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী কর্ণপাত না করায় ও আমার আদেশের অবজ্ঞা করায় আমি দারুণভাবে মর্মাহত হয়েছি। তাই অধ্যক্ষসহ নিম্নবর্ণিত শিক্ষক–কর্মচারীদের বেতন–ভাতা স্থগিত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’
২০২১ সালের ৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে বেতন বন্ধ হওয়ার আগপর্যন্ত নিক্সন এ–সংক্রান্ত মোট ২১টি ডিও লেটার দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। এসব ডিও লেটারের পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এটি কার্যকর হয় ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে।

বেতন বন্ধ হওয়া দুজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাবেক সংসদ সদস্য নিক্সনের এই অবৈধ পদক্ষেপের কারণে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে দুই বছর ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী। ১ সেপ্টেম্বর আবার বেতন-ভাতা চালুর জন্য অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর লিখিত আবেদন জমা দেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ মৃধা। তিনি নিক্সনের পদক্ষেপকে ‘অবৈধ’ দাবি করে তা বাতিল করার অনুরোধ জানান।
ভাঙ্গা ইকামাতেদ্বীন মডেল কামিল (এমএ) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ মৃধা বলেন, ‘সাবেক সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর অনৈতিক রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের নির্দেশ অমান্য করায় তিনি আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার দিয়ে বেতন-ভাতা বন্ধের সুপারিশ করেন। তাঁর সুপারিশের পর ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে তৎকালীন সরকার তা আমলে নিয়ে আমাদের বেতন-ভাতা স্থগিত করে দেন। আমরা নিক্সনের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কয়েক বছর মানবেতর জীবন যাপন করছি। নিক্সন চৌধুরীর কথার বাইরে গেলেই এ রকম ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হতো আমার মতো অনেকেরই।’
সরকার পরিবর্তনের পর সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী আত্মগোপনে থাকায় ও তাঁর মুঠোফোন নম্বর বন্ধ থাকায় অভিযোগের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
ভাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন বলেন, মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিধি মেনে পরিচালিত হয়ে আসছে। মাদ্রাসা পর্যায়ে জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কয়েকবার স্বীকৃতিও পেয়েছে।

বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল
খবর বিজ্ঞপ্তি
হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি। শনিবার বিক্ষোভ মিছিলটি ঘাঘর বাজার চৌরাস্তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঘাঘরকান্দা এলাকায় পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওলিউর রহমান হাওলাদারের বাড়িতে এসে শেষ হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার হাওলাদার, পৌর বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী, সাধারণ সম্পাদক ওলিউর রহমান হাওলাদার, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ফায়েকুজ্জামান শেখ, উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মান্নান শেখ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মাসুদ তালুকদারসহ সিনিয়র নেতারা বক্তব্য দেন।
এস এম মহিউদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী গতকাল শুক্রবার ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় তাঁর নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়ায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়। হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদার নিহত ও অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আমরা এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে কোটালীপাড়ার বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি আহত নেতা-কর্মীদের দেখতে যান।

‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত আ. লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে’
খবর বিজ্ঞপ্তি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদারের সই করা এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের হামলায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার নিহতের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একইসঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করারও দাবি জানিয়েছে তারা। শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদারের সই করা এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গভীর উদ্বেগের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্মম হামলায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। আমরা এই বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা ও জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিটের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দাবি করছে, অনতিবিলম্বে হামলার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ বিচারের আওতায় আনা হোক। পাশাপাশি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং নিহত শওকত আলী দিদারের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। একইসঙ্গে এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে, গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকায় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবদুল্লাহ আল মাসুদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অবস্থান কী জানতে চাইলে সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মূল স্পিরিটকে ধারণ করে সব ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিষয়ে আমাদের কঠোর অবস্থান বজায় থাকবে।’

খুলনা প্রতিবন্ধী সংস্থা পরিচালিত কাশিপুর অন্ধ হাফিজিয়া মাদ্রাসার অনুদান আত্মসাৎ
স্টাফ রিপোর্টার
খুলনা প্রতিবন্ধী সংস্থা পরিচালিত কাশিপুর অন্ধ হাফিজিয়া মাদ্রাসার অনুদান আত্মসাতের ঘটনায় হাতেনাতে আটক সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজগর আলী।
সূত্রে জানা গেছে,খুলনা প্রতিবন্ধী সংস্থা পরিচালিত কাশিপুর অন্ধ হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং এতিমখানার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাজী আজগর আলীর প্রতারণামূলক অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় খালিশপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সংস্থার বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আঃ রশিদ মিনা স্বাক্ষরিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর যাবত সংস্থার আর্থিক সাহায্য সংগ্রহকারী মোঃ আজগার আলী ও তাঁর সহকারী জুম্মান শেখ সংস্থার নামে ভুয়া রশিদ তৈরির মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য সংগ্রহ করে আসছে। যার ধারাবাহিকতায়, খুলনা জিপিওতে অর্থ সংগ্রহ করতে গেলে অনুদান প্রদানকারীদের সন্দেহ হলে সংবাদ পেয়ে তাদের কাছ থেকে ১টি ভুয়া রশিদ বই উদ্ধার করা হয় যার ৫১পাতায় ১০,৯২০/-টাকা আর্থিক সাহায্য উত্তোলনের তথ্য পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে সংস্থার বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আঃ রশিদ মিনা বলেন,খুলনা প্রতিবন্ধী সংস্থা পরিচালিত কাশিপুর অন্ধ হাফেজিয়া মাদ্রাসা লিল্লাহ বোডিং এতিমখানা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অর্থ আদায়কারী ও সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আজগার আলী ভূয়া রশিদ বহি তৈরির মাধ্যমে মাদ্রাসায় দানকারী বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে সংগ্রহকৃত অর্থ প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের নিকট জমা না দিয়ে গোপনে আত্মসাৎ ও সংগঠন বিরোধী কার্যক্রমের কারণে তাকে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। যে কারণে তার সঙ্গে মাদ্রাসা ও সংস্থা সংশ্লিষ্ট কোনো ধরনের লেনদেন না করার জন্য সম্মানিত সকলের প্রতি অনুরোধ রইল। এরপরেও যদি কেহ তার সঙ্গে লেনদেন করেন তাহার দায়ভার সংস্থা কর্তৃপক্ষ গ্রহন করবে না।

ভোলায় সাগরে ট্রলারডুবি, ৭ জেলে নিখোঁজ
ঢাকা অফিস:
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় বঙ্গোপসাগরে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ১০ জেলে নিয়ে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। এ সময় তিন জেলেকে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ রয়েছেন সাতজন।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলায় দক্ষিণ ঢালচরে সাগরের মোহনায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক আবদুস সালাম হাওলাদার।
নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে ট্রলার মালিকের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে।
নিখোঁজ জেলেদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে তারা ঢালচর ও চর মানিকা ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
জেলেরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ঢালচর ঘাট থেকে আকতার মাঝি ১০ জেলে নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যান। দুই দিন পর বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঢালচর ঘাটে ফেরার পথে তীব্র ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারটি মোহনায় ডুবে যায়।এ সময় অন্য ট্রলারের জেলেরা তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করলেও সাত জেলে সাগরে তলিয়ে যাওয়ায় তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

ট্রলার মালিক আবদুস সালাম জানান, তার মালিকানাধীন ট্রলারটি শুক্রবার বিকালে ঘাটে ফেরার পথে উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। সাগরে থাকা অন্য জেলেরা তিনজনকে উদ্ধার করতে পারলেও সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন।
খবর পেয়ে নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে ঢালচর ঘাট থেকে আরও তিনটি ট্রলার সাগরে গেছে বলে জানান তিনি। চরফ্যাশন উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, ট্রলারডুবির ঘটনাটি তাকে কেউ জানায়নি। তবে খোঁজখবর নিচ্ছেন। ট্রলারডুবির বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে উদ্ধার অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছেন চর মানিকা জোনের নৌ কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. সানোয়ার হোসেন।

আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে
ঢাকা অফিস
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী (পদত্যাগকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) পালিয়ে যাওয়ার পর তাদের (আওয়ামী লীগের) অনেকেই পালিয়ে গেছে। নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কাউকে এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হলে সে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে।’

শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে ‘গণতন্ত্র সুরক্ষায় রাষ্ট্র মেরামত এবং জাতীয় নির্বাচন’ শীর্ষক ছায়া সংসদে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমি-ডামি, একতরফা ও মধ্যরাতের নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ এ দেশে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরুপে ধ্বংস করেছে। গত তিনটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, প্রশাসন, রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত প্রায় সবাই অপরাধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থাকে বিভিন্ন অজুহাতে দলীয়করণ করে সংবিধানের সুস্পষ্ট লংঘন করেছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছে। অতিউৎসাহী হয়ে পক্ষপাতদুষ্ট আচারণ করেছে। তাই নির্বাচনী অপরাধে অভিযুক্ত সব ব্যক্তিদের বিচারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার তত্বাবধায়ক সরকার নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল রুটিন সরকার। অন্তবতীর্কালীন সরকারকে পনের-ষোলো বছরের জঞ্জাল দূর করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরেও জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হলে অন্তর্বতীর্কালীন সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা হ্রাস পেতে পারে।’

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘২৮ অক্টোবর পরিকল্পিতভাবে নয়াপল্টনে হামলা চালিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। নির্বাচনের জন্য সমতল ক্ষেত্র প্রস্তত করতে পারেনি। সেসময় উদ্দেশ্য-প্রণোদিত হয়ে সরকারের রূপরেখা বাস্তবায়নের জন্য কয়েকটি কথিত দলকে নিবন্ধন দিয়েছে।’

সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘এদেশের মানুষ ভুলে যায়নি কীভাবে দিনের ভোট রাতে হয়েছিল। মৃত মানুষ ভোট দিয়েছে। বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তিরাও ভোট প্রদান করেছে। কোথাও কোথাও শতভাগ ভোট পড়েছে। শিশুরাও ভোট দিয়েছে। আমি আর ডামি প্রার্থীর নির্বাচন হয়েছিল। একই ব্যক্তি ভোট দিয়ে আবার লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছে। বারবার ভোট দিয়েছে। ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ ছিল। ৮ থেকে ১০ শতাংশ ভোট পড়লেও ভোটের সংখ্যা বাড়িয়ে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ দেখানো হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার ব্যতীত রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের চাপ দিলে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা ব্যাহত হতে পারে। ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী বিপ্লবে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে সে বিজয়ের সুফল ব্যাহত হবে। তাই অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারসহ রাষ্ট্র সংস্কারে কাজ করতে প্রয়োজনীয় সময় প্রদান করা উচিত। তবে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের পর অন্তর্র্বতীকালীন সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য রোড ম্যাপ ঘোষণা করবেন বলে সবার প্রত্যাশা।’ বিতার্কিকদের হাতে ট্রফি তুলে দেন ড. বদিউল আলম মজুমদার ও হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ পরবর্তী সকল নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ নিম্নের ১০ দফা সুপারিশ করেন:

১.নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের পর একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনি রোডম্যাপ জাতির সামনে ঘোষণা করা।

২.অভিজ্ঞ, সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা। যারা কোনো চাপে বা লোভে মাথানত করবে না।

৩. তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্র্বতীকানীল সরকার সংবিধানের অন্তভুর্ক্ত করে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দ্বারা জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন বিধান রাখা।

৪.বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের সমম্বয়ে দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সংসদে উচ্চকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা প্রবর্তন করা।

৫. ইভিএম এ ভোট প্রদানে কারচুপির শঙ্কা বেশি থাকায় এবং ইতোপূর্বে ইভিএমে ভোট জালিয়াতির ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় পেপার ব্যালটের মাধ্যমে ভোট আয়োজন করা।

৬. নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের লক্ষ্যে সদ্য ঘোষিত কমিশনকে এজেন্ডাভিত্তিক রাজনৈতিক দলসহ নাগরিক সংগঠন গুলোর সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করা।

৭. দুর্নীতিবাজ, টাকা পাচারকারী, ব্যাংক লুটেরাসহ ঋণ খেলাপিরা কোনোভাবেই যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেই জন্য কঠিন আইনের বিধান রাখা।

৮. পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে না পারার বিধান রাখা।

৯. একটি নিভুর্ল ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে তা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা।

১০. বিগত কয়েকটি নির্বাচনকে যেসব কমিশন বা যারা বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার বিধান তৈরি করা।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘গণতন্ত্র সুরক্ষায় রাষ্ট্র মেরামত এবং জাতীয় নির্বাচন’শীর্ষক প্রস্তাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকদের পরাজিত করে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন। প্রতিযোগিতা শেষে চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতায় প্রস্তাবের পক্ষে জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি এবং বিপক্ষে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করে।

খুলনায় জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
খুলনার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের ক্যাডার ছিলেন অভিযোগ করে মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন, ১৯৯৮ সালে থেকে টানা ৪ বছর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি বাহাদুর বেপারীর একান্ত সহযোগী ও পোষ্য ক্যাডার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রাস ছিলেন মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌলভীবাজারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির শিরোনাম হয়েছিলেন তিনি। বিনাভোটের অবৈধ ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের গণহত্যাযজ্ঞে দলীয় বিবেচনায় মাঠ প্রশাসন সাজিয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থান প্রশামনে মাঠপর্যায়ের প্রশাসন বদলি কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
যখন-যেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন, তখন সেখানেই গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার পোষ্য ক্যাডার হিসেবে আওয়ামী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন তিনি। অবিলম্বে খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট পদ থেকে তাকে প্রত্যাহার করে গণহত্যায় সহযোগিতা করার অপরাধে শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
১৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মুখ সড়কে খুলনাবাসীর পক্ষে অনুষ্ঠিত বিশাল মানববন্ধনে এ দাবি জানিয়েছেন নাগরিক নেতৃবৃন্দ।
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির সদস্য সচিব এড. নূরুল হাসান রুবার সভাপতিত্বে এড. মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে খুলনার নাগরিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও উন্নয়ন সংস্থার নেতৃবৃন্দ বলেন, ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি খুলনার বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সরাসরি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহস্রাধিক জীবনের বিনিময়ে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ছাত্রলীগের চিহিৃত ক্যাডার, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট এবং একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার হাতে ছেড়ে দেয়া যায় না।
তাই অবিলম্বে খুলনা থেকে তাকে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মুখোমুখী করে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে সহায়তা করার অপরাধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে খুলনাবাসী। মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের মতো কর্মকর্তাদের হাতে খুলনা তথা বাংলাদেশ নিরাপদ নয় বলে দাবি করেছেন বক্তারা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে গত ৯ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে খুলনার জেলা প্রশাসক দায়িত্ব দেয় সরকার। এরআগে গত ২০ আগস্ট খুলনার সর্বশেষ জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিনকে প্রত্যাহার করে বদলি করা হয়।

ডুমুরিয়ার কৃষ্ণনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দূর্নীতির সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি

খান আরিফুজ্জামান (নয়ন), ডুমুরিয়া
ডুমুরিয়ার কৃষ্ণনগর এম বি বি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষকের ১৭ পৃষ্ঠার দূর্নীতির ফিরিস্থির তদন্তে সত্যতা পেয়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তা। বিদ্যালয় ও উপজেলা প্রশাসন সুত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, কৃষ্ণনগর এম বি বি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনিয়ম এবং দূর্নীতির অভিযোগে পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ওই প্রতিষ্ঠানে যান একটি কমিটির দায়িত্ব প্রাপ্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মোঃ মনির হোসেন। এসময়ে উভয় পক্ষের বক্তব্য তিনি শোনেন এবং প্রত্যেকের লিখিত বক্তব্য গ্রহন করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, বেশ কিছু অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে লিখিত বক্তব্য এখনও যাচাই বাছাই চলছে। যে কারণে তদন্ত রির্পোটটি এখনও পুরোপুরি তৈরি হয়নি। কৃষ্ণনগর এমবিবিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার পক্ষে গত ৫ সেপ্টেম্বর মনিতোষ মন্ডল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার প্রেক্ষিতে এ তদন্ত হচ্ছে। উল্লেখ্য, সহকারী প্রধান শিক্ষক বিচরণ হালদার ১ যুগ ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ এক যুগে অনেক শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে কমপক্ষে এক কোটি টাকার উৎকোচ গ্রহন করেছেন। সর্বশেষ ভুয়া চিঠির মাধ্যমে চতুর্থ শ্রেণীর ৩ টি পদে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠলে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন। এ সময়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, এলাকাবাসী এবং শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি সভা হয়। ওই সভায় শিক্ষক বিচরণ হালদার ঘুষের ৯ লাখ টাকা প্রতিষ্ঠানে দিতে অঙ্গিকার করেন। সকলের উপস্থিতিতে গত ২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর একটি চেক এবং একটি লিখিত অঙ্গিকারনামা প্রদান করেন শিক্ষক বিচরণ হালদার। তবে ওই টাকা এখনও প্রতিষ্ঠানে তিনি দেননি। এছাড়া বিভিন্ন সময় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের কথা বলে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করলেও কোন উন্নয়নমুলক কাজ না করেই সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

প্রধান অতিথি থাকবেন বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
বিশ^ গণতন্ত্র দিবস আজ: খুলনায় বড় জমায়েতের প্রস্তুতি বিএনপির

খবর বিজ্ঞপ্তি।।
আজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বড় ধরনের জমায়েতের প্রস্তুতি নিয়েছে খুলনা বিএনপি। বিকেলে নগরীর শিববাড়ি মোড় জিয়াহল চত্বরে সমাবেশ ও র্যালী অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে কয়েক লাখ লোক অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা। ইতোমধ্যে কর্মসূচিকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। এই সমাবেশে নেতা-কর্মীদের বড় জমায়েত ঘটাতে চায় দলটি। সমাবেশ সফল করতে বিভাগের প্রস্তুতি সভাসহ প্রতিটি জেলা উপজেলা, ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে প্রস্তুতি সভা করেছেন দলের নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি খুলনা মহানগর ও জেলার দায়িত্বশীল নেতারাও কাজ করছেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ^র চন্দ্র রায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শুক্রবার খুলনা বিভাগীয় ও মহানগর বিএনপি প্রস্তুতি সভা করেছে।
খুলনা মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেন, খুলনায় আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের সমাবেশ ও র্যালি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পালন করবে বিএনপি। এই জন্য বিভাগের প্রতিটি ইউনিটের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ৫ আগস্টে ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়েছি, তা জানান দিতে আজ রোববারের এই সমাবেশে কয়েক লাখ লোকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবো। তিনি খুলনাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গণতন্ত্র দিবসের সমাবেশ ও র্যালি সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, খুলনা নগরীর প্রাণকেন্দ্র শিববাড়ি মোড়ের জিয়াহল চত্বরে আজ ‘বিশ^ গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষ্যে সমাবেশ ও সমাবেশ শেষে নগরীতে র্যালী করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি খুলনা বিভাগ। স্বৈরাচারী সরকারের পতনে পরে এটিই বিএনপির বৃহৎ কর্মসুচি। গণতন্ত্র দিবসে খুলনা নগরী জনসমুদ্রে পরিনত হবে। শিববাড়ি জিয়া হল চত্বরে বেলা ২টায় সমাবেশ ও সমাবেশ শেষে র্যালী শুরু হয়ে যশোর রোড হয়ে সার্কিট হাউজে গিয়ে শেষ হবে। র্যালীতে বিগত ১৭-১৮ বছরে দলের যারা গুম ও খুন হয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। র্যালীতে গনতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনে যে সকল নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন তাদের ছবি থাকবে। এছাড়া কর্মসুচি সফল করতে ৫টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিগুলো সমাবেশ সফল করতে কাজ করছেন। শনিবার রাত থেকেই সমাবেশ স্থলে মঞ্চ তেরীর কাজ শুরু হয়েছে। আজ দুপুর থেকে জাসাস শিল্পিরা সমাবেশস্থলে সঙ্গিত পরিবেশন করবেন। সমাবেশস্থল ও আশপাশে ৫০টির অধিক মাইক থাকবে। তিনি আশা করেন দুপুরের মধ্যে সমাবেশ স্থলে বিভাগের ১০জেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত হবে। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ড ও ৫ থানার নেতাকর্মীরা ব্যানার প্লাকার্ডসহ উপস্থিত হবেন। তিনি আরো জানান, সমাবেশ স্থলের মেডিকেল টিম, সংবাদকর্মীদের জন্য আলাদা মঞ্চ থাকবে।

কয়রায় বিএনপির সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ
কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধি
কয়রা উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে সন্ত্রাস,নৈরাজ্য,চাঁদাবাজ দখলদার ও লুটতারাজদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪ টায় কালনা আমিনিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদাসা মাঠে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কয়রা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাডঃ মোমরেজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক এম এ হাসানের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য মোঃ মনিরুজ্জামান মন্টু। প্রধান বক্তা ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শেখ তৈয়বুর রহমান, খুলনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক সজল। এতে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য আনিসুর রহমান, নাজমুস সাকিব পিন্টু, আরিফুর রহমান আরিফ, বিএনপি নেতা এনামুল হক, আসলাম পারভেজ, খুলনা জেলা যুবদল নেতা আব্দুল্যাহ আল কাফি সখা, জাবির আলী, খুলনা জেলা ছাত্রদল নেতা গোলাম মোস্তফা, আজিজুর রহমান,কয়রা উপজেলা বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান বেল্টু, আবু সাইদ বিশ্বাস, সরদার মতিয়ার রহমান, কোহিনুর আলম, গাজী সিরাজুল ইসলাম, আঃ সামাদ, আঃ রহিম সানা, হাবিবুর রহমান, রওশন মোল্যা,শেখ সালাউদ্দিন লিটন, ফয়জুল করিম খোকন, আবুল বাশার ডাবলু, মুনছুর আলী, হাফিজুর রহমান ঢালী, শেখ মফিজুল ইসলাম, আশরাফুল আলম পল্টু, যুবদল নেতা এছানুর রহমান, আকবার হোসেন, আবুল কালাম আজাদ কাজল, আছাদুল ইসলাম, ডাবলু, কালাম আজাদ,তুহিন, সরদার মাসুদ, মেহেদী হাসান মিলন, দেলোয়ার, ইমরান, তরিকুল, লিটন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ডাঃ নুর ইসলাম খোকন, নুরুল ইসলাম খোকা, হেলাল উদ্দিন, রবিউল ইসলাম, কৃষক দল নেতা গোলাম রসুল, আবু সাইদ মালী, ছাত্র নেতা আরিফ বিল্যাহ সবুজ,মাহমুদ হাসান, ইমরান, মাশরাফি, বাবু, রানা, মিনার,সাইদুল প্রমুখ।

রূপসায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত
খবর বিজ্ঞপ্তি
শনিবার বিকাল ৪টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলার আওতাধীন রূপসা উপজেলা শাখার উদ্যোগে সিরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় শাখা সভাপতি শেখ মোহাঃ ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে সেক্রেটারী মাওলানা হারুন অর রশিদ এর পরিচালনায় উপজেলার শ্রীফলতলা আল আকসা হামিদিয়া জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত সিরাত সম্মেলনে আলোচনা পেশ করেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আঃ সাত্তার হালদার, আলহাজ্ব হাফেজ আব্দুল হালিম, মোঃ আবদুল হাফিজ শেখ, মুফতী নাজমুস সাকিব, মুফতী মিজানুর রহমান, মাওলানা আঃ সালাম, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, হাফেজ ইয়ামিন হুসাইন, মাওলানা ইউসুফ আলী, মোহাঃ রমজান মল্লিক লিটন,মাও জামাল উদ্দিন, আক্তারুজ্জামান আকতার, মাও আনিসুর রহমান, মাওলানা মাসুদুর রহমান রউফি, আরজান আলী মেম্বার, প্রমুখ।

দৌলতপুরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে প্রাণনাশের হুমকিঃ অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টারঃ
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে দেশে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগে নগরীর দৌলতপুর ৪নং ওয়ার্ডস্থ দেয়ানা দক্ষিনপাড়া এলাকায় এক শ্রেনী মহল কর্তৃক মালিকানা জমিতে বালু ভরাট ও গাছপাল কেটে দখলসহ ভয়ভীতি ও জীননাশের হুমকির অভিযোগ ওঠেছে। ওই ঘটনায় জমির মালিক মিয়া হায়দার বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একই এলাকার মৃত: আবু তালেব বন্দের পুত্র তরিকুল ইসলাম বন্দ (৪৫), মৃত: আলী আহম্মাদ মোড়লের ছেলে আসালাত মোড়ল (৪৫), মৃত: জুলমাত মোড়লের পুত্র আজাহার মোড়ল (৬০), মৃত: রায়হান মোড়লের পুত্র সাফায়াত মোড়লের পুত্র (৪০), মৃত: আব্দুল খালেক বন্দের পুত্র বাবুল বন্দ (৫৫)সহ অজ্ঞানামা আরো ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে বাদী জানান, তার দৌলতপুর থানা এলাকার দেয়ানা দক্ষিনপাড়া তালুকদার সড়কে একটি জমি আছে। যার এস. এ খতিয়ান-৪১২, এস. এ দাগ নং- ৩৩০২, আর এস খতিয়ান নং-১৬২৫, আর এস দাগ নং-৬৩৬২, এস. এ খতিয়ান ৪২০, এস এ দাগ নং- ৩৩০০, আর এস খতিয়ান নং- ২১০৯, আর এস দাগ নং- ৬৩৬১। উক্ত, জমি নিয়ে বিজ্ঞ আলাদতে মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও বিবাদীগন গত ৫ আগষ্ট ২০২৪ইং তারিখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে দেশে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগে আমার দখলকৃত জমিটি সংঘবদ্ধভাবে দখলপূর্বক গাছপালা কেটে ফেলে এবং গত, ১০ আগষ্ট হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত ওই জমিতে বালূ ভরাটের কাজ চলমান রেখেছে। তাদেরকে জমি ভরাটে বাধা দিতে গেলে তারা সংঘবদ্ধ ভাবে বিভিন্ন গালিগালাজ, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও জীবনাশের হুমকি প্রদান করে। এ অবস্থা চলতে থাকলে যে কোনো সময় বড় ধরনের গোলজোগসহ শান্তি-শৃংঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে বলে আশংখা করছি। দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম জানান, দৌলতপুর থানাধীন দেয়ানা দক্ষিনপাড়া এলাকায় জমি-জমা বিরোধ সংক্রান্তে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাতক্ষীরার খুলনা পাইকগাছা মহাসড়কে টানা দু-দিনের বৃষ্টিতে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে!
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার খুলনা-তালা-পাইকগাছা মহাসড়কে টানা দু-দিনের বৃষ্টির ফলে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে! সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পথচারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার (১৪ই সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ টার সময় খুলনা পাইকগাছা মহা সড়কের তালা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে তৈল পাম্প হয়ে মুক্তিযোদ্ধা কলেজ মোড়, তালার জেলে পাড়া হতে মোবারকপুর মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা খানাখন্দে ভরা। চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, দেখার কেউ নেই। স্থানীয় পথচারী মোবারকপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান বলেন, দেখভালের দায়িত্বে থাকা সাতক্ষীরা সড়ক জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় ক্ষতির মাশুল গুনতে হচ্ছে ছোট বড় যানবাহন সহ পথচারীদের।এতে করে ঘটে যেতে পারে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা।এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সড়ক জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার পারভেজ এর সাথে মুঠোফোন একাধিকবার আলাপের চেষ্টাকালে তিনি আলাপ কলটি গ্রহণ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ এর সাথে মুঠোফোনে আলাকালে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, এ বিষয় আমি সড়ক জনপদে এর সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

রূপসা নৈহাটিতে বিএনপির মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত
রূপসা প্রতিনিধি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণতন্ত্র দিবস পালন উপলক্ষে নৈহাটি ৭ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি পুরাতন রূপসা- বাগেরহাট সড়কের গোডাউন মোড় থেকে শুরু হয়ে রূপসা প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে দেবীপুর মহিলা কলেজ হয়ে পুনরায় মিছিলটি নৈহাটি গোডাউন মোড় দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল ৫ টায় মিছিল পরবর্তী দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রুপসা উপজেলা জাতীয়তাবাদী দলের যুগ্ম আহ্বায় শেখ রয়েল আযম। সভায় সভাপতিত্ব করেন ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক মোঃ হালিম মোড়ল। নৈহাটি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান বাদলের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন উপজেলা জাসাস সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফ হোসেন, সাবেক বিএনপি নেতা মোঃ শরিফুল ইসলাম, মোঃ ওহিদুল ইসলাম, মহসিন শেখ, মোহাম্মদ মোজাফফর শেখ, শ্রমিক নেতা জুম্মান শেখ, মোঃ বিল্লাল শেখ, ডাক্তার জাহাঙ্গীর, মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ মোশারফ হোসেন, আলী আকবর শেখ প্রমূখ।