স্টাফ রিপোর্টার
এক কাতার প্রবাসীকে থানায় ডেকে নিয়ে ৬লাখ ৩০ হাজার টাকা জোরপুর্বক আদায় করে দু’নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর অভিযোগে খুলনা সদর থানার এসআই সুকান্ত কুমার দাস ও দু’নারীসহ ৫জনের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১১ সেপ্টেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন খালিশপুর হাউজিং এস্টেট মানষি বিল্ডিং মোড় এলাকার মো. বিল্লাল। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১৭ নভেম্বরের মধ্যে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন নগরীর টুটপাড়া দিলখোলা রোডের মো. সাইফুল ইসলামের মেয়ে নুসরাত জাহান অর্ণা (২২), নিরালা সবুজবাগ এলাকার মো. আবুল হোসাইনের মেয়ে সুমাইয়া সুলতানা রিনা (২১), ডালমিল মোডের মো. মান্নাফের ছেলে শফিকুল ইসলাম অনিক ও সোনাডাঙ্গা আ/এ ২য় ফেজের মো. স্বপনের ছেলে ফাহিম হাসান আকাশ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কাতারে থাকা অবস্থায় ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর বাদীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় নুসরাত জাহান অর্ণার। দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এসুযোগে অর্ণা বিভিন্ন বাহানায় ২১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর বাদী দেশে ফিরে ্এসে অর্ণা, রিনাসহ অন্যদের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তারা প্রতারণার মাধ্যমে তার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অর্ণার কাছে টাকা ফেরত চাইলে সে গালিগারঅজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
১ডিসেম্বর এসআই সুকান্ত বাদীকে ফোন দিয়ে কথা আছে বলে হোটেল ক্যাসল সালামে নিয়ে যায়। টাকা দিতে অস্বীকার করলে এসআই সুকান্ত থানায় নিয়ে যায় এবং অর্ণার অশ্লীল ছবি দিয়ে মামলা দিয়ে ঝেলহাজতে পাঠায়। এর আগে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে বাদীর কাছ থেকে ৬লাখ ৩০ হাজার টাকা জোরপুর্বক আদায় করে নেয় এসআই সুকান্ত ও আসামিরা। এঘটনায় মো. বিল্লাল এসআই সুকান্ত কুমার দাসসহ ৫জনের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা মামলা দায়ের করেছেন যার নং- সিআর ১১৮৪/২৪।