জ্বর-সর্দি-কাশি কমাতে যেভাবে আমলকী খাবেন

16
Spread the love


মিলি রহমান।।

আবহাওয়াজনিত কারণে এখন ঘরে ঘরে অনেকে জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুগছেন। বেশ কয়েকদিন হয়ে গেলেও এসব উপসর্গ কমছে না। দ্রুত সুস্থ হতে ওষুধের পাশাপাশি আমলকী খেতে পারেন। শীতকালীন ফল হলেও গরমেও আমলকীর কদর রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, আমলকীতে পেয়ারার চেয়ে ৩ গুণ এবং কাগজি লেবুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকীতে কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। তাই নিয়মিত আমলকী খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

আমলকী কেন খাবেন
১. আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। আর তাই এটি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যায়। জ্বর-ঠাণ্ডা প্রতিরোধ করার জন্য আমলকী হতে পারে সহজ উপায়।
২. গরমে হজমের গোলমাল, গ্যাসের সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। এসব এড়াতে আমলকী বেশ কার্যকর। আমলকীতে আছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, যা হজমে সাহায্য করে।
৩. আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে। এ দুটি উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আমলকী বেশ উপকারী।
৪. দীর্ঘমেয়াদি সর্দি, কাশি, গলাব্যথার পথ্য হিসেবেও আমলকী কার্যকর। টিউবারকিউলোসিস (টিবি) রোগ থেকেও সুরক্ষা দেয় এটি। ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজ়মা থেকে মুক্তি পেতেও আমলকী খেতে পারেন।
৫. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আমলকী ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনী রশ্মি থেকেও রক্ষা করে। ত্বকের সজীবতা বজায় রাখতেও আমলকীর জুড়ি নেই।
৬. চুলের যত্নে আমলকীর ব্যবহার অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। চুলের বৃদ্ধি, খুশকির সমস্যা দূর করতেও আমলকী বেশ কার্যকর।

যেভাবে খাবেন
আমলকী পানি দিয়ে ধুয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন। আবার গরম পানিতে মিশিয়েও খেতে পারেন। আমলকী ছোট ছোট টুকরো করে অল্প গরম পানিতে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। আমলকী মিশ্রিত পানি সকালে খালি পেটে পান করুন। পরে আমলকির টুকরোগুলোও খেয়ে ফেলুন। চাইলে আমলকীর জুস বানিয়েও পান করতে পারেন। এজন্য আমলকী টুকরো করে কেটে নিন। ব্লেন্ডারে আমলকীর টুকরোর সঙ্গে সামান্য পানি ও লবণ দিয়ে ব্লেন্ড করুন। ব্লেন্ড হয়ে গেলে মিশ্রণটি পান করে ফেলুন।