এখনো উদ্ধার হয়নি আন্দোলনে লুট হওয়া ৩ লাখ অস্ত্র-গুলি

10
Spread the love


ঢাকা অফিস
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারাদেশে থানা ও ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ ও হামলা চালিয়ে অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে দুর্বৃত্তরা। ৩ সেপ্টেম্বর ছিল সেসব অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষ দিন। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে লুট ও অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। অভিযানে ৩ লাখের বেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সমপরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদ এখনো উদ্ধার হয়নি।

পুলিশ সদর দফতর জানিয়েছে, ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, ঢাকাসহ সারাদেশে লুট হওয়া বিভিন্ন অস্ত্রের সংখ্যা ৫ হাজার ৮১৮টি। এর মধ্যে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৩ হাজার ৯৩৩টি অস্ত্র। রাইফেল, এসএমজি, এলএমজি ও পিস্তলসহ এখনো উদ্ধার করা যায়নি ১ হাজার ৮৮৫টি অস্ত্র। এছাড়া প্রায় ৩ লাখ লুট হওয়া গোলাবারুদ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে ২৯৬টি চায়না রাইফেল উদ্ধার হয়নি। এছাড়া ১টি বাংলাদেশি রাইফেল, ৬০টি এসএমজি, ১১টি এলএমজি, ৮২৫টি পিস্তল উদ্ধার হয়নি। ১টি ৯ী১৯ মিলিমিতার এসএমজি/এসএমটি, ৬৭টি শটগান, ১১৭টি গ্যাস গান, ৫টি টিয়ার গ্যাস লঞ্চার (সিক্স শট) এবং ২টি সিগন্যাল পিস্তল উদ্ধার হয়নি।

২ লাখ ৯৪ হাজার ৪০৫টি বিভিন্ন বোরের গুলি উদ্ধার করা যায়নি। এছাড়া ৮ হাজার ৮১১টি টিয়ারগ্যাসের শেল, ৭৫১টি টিয়ারগ্যাস গ্রেনেড, ২ হাজার ৫৬৪টি সাউন্ড গ্রেনেড, ৭৮টি কালার স্মোক গ্রেনেড, ৩৭টি মাল্টিপল ব্যাং স্টান গ্রেনেড, ৩৬০টি ফ্ল্যাশ ব্যাং গ্রেনেড, ৮৩টি গ্যান্ড হেল্ড টিয়ার গ্যাস স্প্রে (ক্যানিস্টার) উদ্ধার হয়নি।